প্লিজ কেউই বিয়ে করার জন্য পাত্র /পাত্রী চাহিয়া আমাকে লজ্জা দিবেন না ।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৮:৪০:২৩ রাত
আমি বর্তমান সময়ের ছেলে মেয়েদের বিয়ে করার শর্তবলী আর চাহিদা দেখে পুরা টাস্কি খেয়ে যাচ্ছি । তাদের না আছে কোন রুচি না আছে সংসার করার মত বা সুন্দর দাম্পত্য জীবন জন্য কোন সুপরিকল্পনা। না আছে বাচ্ছা লালন পালনের সুন্দর কোন কাঠামো । তবে তারা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত উচ্চ মনোনশীলতা ধারনকারী। কেউই কাউকে বুঝার বা জানার সময় নাই । সবাই আছে দৌড়ের উপর ডীজিটেল যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ।বাচ্ছা লালন পালন করছে না গরু ছাগল পালছে তা বুঝার উপায় নেই।বাচ্ছার সাথে ব্যাবহারে পুরো বাসাকে বুঝায়ে দেয় মেডামের এখন স্যারের উপর মেজাঝ ১০০ ডীগ্রী ফারেনহাইটে আছে।তাই বাসার অন্যরা সবাই স্ব স্ব নিরাপদ অবস্থ্যানে থাকুন। আবার স্যারের মেজাজ ২০০ ডিগ্রী ফারেনহাইটে তাও অন্যরা বুঝে নিতে হবে।
সবাই সুখি হতে চায় ।কিন্তু কেউ কারো মমতা ভালবাসা বা সেক্রিফাইজ করার সময় নেই ।যৌথ সংসার হলে তো আর কথা নেই । সংসার আলাদা করে সুখি সংসার গড়ে তোল । না হলে যৌথ সংসারের কোন দায়দায়িত্ব কারো নেই ।বাচ্ছা লালন পালন আর নিজেকে নেই নাওয়া খাওয়ার সময় নেই ।আবার কিসের অন্যদের দায়িত্ব ।স্বামীরও তেমনি একভাব । বাচ্ছা পালবে দাদা দাদী নানা নানী কেন আমাদের সময় এদের পিছনে নষ্ট করব।রান্না বান্নার সময় মা বাচ্ছা পালনে মহা ব্যাস্ত।আর সংসারের কাজ যখন নেই তখন সেই মা নেটে বা অন্য শখের বিলাসে /ঘুরা ফিরায় ব্যাস্ত ।স্বামী যেমন দায়িত্ব হীন তেমনি স্ত্রীও হয় উতশৃখল ।এই খানে কাকে দাই করব তা বুঝা কঠিন ।
কি আসমা আপা , নাতী নিয়ে বারিন্দায় পায়চারি করছেন নাকি? না ,আপা করছি না করাচ্ছে। ছেলের বৌ বলেছে, সে এখন ঘুমাবে আমি যেন নাতী নিয়ে বারান্দায় থাকি ।না হলে, বাচ্ছা কান্দলে বৌ এর ঘুম ভেঙ্গে যাবে।আর ছেলের বৌ না ঘুমাতে পারলে আমার আর আমার ছেলের বারটা বাজায়ে ছাড়বে । ওর দাদা মরে বেচে গেল আর আমাকে দাসীর মত বাকীদের হুকুমের গোলাম করে গেল ।
সাহেব পার্কের থেকে দেরীতে ফিরতে দেখে ভয় পাচ্ছিলাম।কারন ডায়বেটিজের রুগী খাবার টা দেরী করে
খেলে গা কাপতে থাকে।তাই দেরীর কারন জানতে চাইলাম। শুধু জানালেন আরে জহির সাহেবের দুঃখের কথা শুনতে শুনতে এতো দেরী। স্ত্রী মারা যাবার পর থেকে ড্রইং রুমে হল আবাস।আর রিটার্ড করার পরে দায়িত্ব দিলো ছেলেরা তাদের ছেলে মেয়েদের দেখা শুনা ও স্কুলে আনা নেওয়া করার । না হলে তারা গ্রামে পাঠায়ে দিবে । যেখানে ভাল একটা ঘরও নেই । কারন হালাল পথে চলেছি আর তাদের মানুষ করেছি আর বাড়তি কিছু করি নাই ।তাদের মায়ের জন্য পেনশানের ্টাকা একসাথে তুলে এই এপার্ট্মেন্ট কিনি ।এখন আমিই তাদের কাছে বোঝা হয়ে দাড়ালাম ।
এই ভাবে আরো হাজার পরিবার তুষের আগুনে পুড়ে খান খান হয়ে যাচ্ছে। হয়ত স্বামী স্ত্রী দুই জন কোলাহলে লিপ্ত সংসারে মায়ামমতা ভালবাসা বালির বাধের মত নিমিষে ধুয়ে যাচ্ছে।।আর বাচ্ছা গুলা অসহায়ের মত কান্দতে থাকে ।আর মা বাবা এতো নিষ্ঠূর যে কেউই এই বাচ্ছাদের বুকে টেনে নেয়না । এই সমাজের পরবর্তি সমাজ কি আসবে বা কি আসছে । তারা কি হয়ে যাচ্ছে । যারা কার প্রতি কেউই কোন মানবতা রাখে না । সংসার করে পুতুল খেলার মত । যৌথ সংসার গুলো ভেঙ্গে খান খান হয়ে যাচ্ছে । সেখানে তৈরী হচ্ছে এক বিশাল ধংসস্তুপ। আর সব দায় ভার গিয়ে পড়ে ঘটকের উপরে । ঘটক কি জানত তাদের মাঝে যে এতো আবর্জনা ছিলো । তাই আমি সবাই কে জানাচ্ছি আমাকে এই বিয়ের ব্যাপারে কেউই দায়িত্ব দিবেন না। মাফ চাই দোয়া চাই ।
বিষয়: বিবিধ
১৯৫৫ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই লেখা পড়ে ভাল লাগল। ডাক্তারের কাজ মহামারী এলাকা থেকে পালানো নয়।
শেষ কথাটা বলে খুব চিন্তায় ফেলে দিলেন ।
সবাই এখন নিজেকেই মনে করছে পৃথিবি। আর কূপমন্ডুক হয়ে একটু আকাশ কেই মনে করছে সে গ্লোবাল ভিলেজ!
মন্তব্য করতে লগইন করুন