একজন স্বামী একজন স্ত্রীর সর্বোত্তম ও শ্রেষ্ট বন্ধু

লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ১৩ জানুয়ারি, ২০১৫, ১২:৩৩:৫১ রাত



শীত আসা মানে পিকনিক বা সফর গ্রুপের সাথে শহরের কোলাহোল ব্যাস্ততা ছেড়ে নিরব নিকুঞ্জ বনে বাদাড়ে পাখপাখালির সাথে ঘুরে বেড়াও।তার সাথে যুবক যুবতী/পুরুষ মহিলাদের বাধনহারা নানান রকমের আনন্দের ঢেউ আর নামীদামী রকমারী গাড়ি গয়না শাড়ি পোষাক পরিহিত চিত্তবিনোদনের এক বিশাল ভিআইপিদের রঙ্গসমাবেশে অংশ গ্রহন করা ।যা আমার মনের ও শরীলের পরিপন্থি ।

একজন স্বামী একজন স্ত্রীর উত্তম ওশ্রেষ্টবন্ধুঃ

সাহেব এর উনার সাথে সুপ্রিম কোটের ভিআইপিদের সফরে গেলাম না বলে এই বার আমাকে লোভ দেখাচ্ছে যে, আখিরাতের জন্য কিছু ভিআইপি বোনদের সাথে দেখা হবে ও যাদের কাছে ইসলামের সঠিক দাওয়াত দেওয়ার মাধ্যমে সফরের সুফল তুমি পাবে।আসলে আমার হৃদয় মাজারে প্রানপ্রিয় কিছু বোন আছেন ।যাদেরকে আমি আদর ভালবাসা দিয়ে সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে চালতে নিরলস ভাবে প্রানপন চেষ্টা করছি ও আল্লাহর সাহায্য চাচ্ছি।আল্লাহ কোরান কে আমার দেহগাড়ির হেড লাইটের মত ফিটিং করে নিলে আমার অন্ধকার হৃদয়ে চক্ষু দিয়ে সিরাতুল মুস্তাকিমের পথ চলতে পারব ইনশাল্লাহ।

স্বামীর স্বর্নলতার মত জড়ানো মাধুবী ভালবাসা দিয়ে স্ত্রীর হৃদয়ে আঙ্গিনায় ঝড়ায়ে থাকেন।একজন স্বামী পারেন কোমল মনের স্ত্রীর সকল কালো অমানিশার পর্দা সরায়ে সেখানে তাকওয়ার রাঙ্গা রবি সোনালী আলো ফূটিয়ে উঠাতে।একটুখানি ভালবাসার চুমু দিয়ে কপালে একে দিতে পারেন জান্নাতুল ফেরদাউসের একখানা সার্টিফিকেট।তখন মনে হয় আল্লাহ একজন উত্তম ওশ্রেষ্টবন্ধুর মত স্বামী নিয়ামত হিসাবে দান করে আমার জীবন স্বার্থক করেছেন।ালহামদুলিল্লাহ।

প্রভু!আমার সকল ভালবাসা তোমায় দিলামঃ

কেন বার বার ফোন কর?আলহামদুলিল্লাহ।আমি তোমার ও তোমার ছেলেদের জন্য কোন দুচিন্তা করছি না।কেন করব?আমি তো আমার সকল ভালবাসা সকল পেরেশানি সকল দুঃখ কষ্ট আমার মহান প্রতিপালক আল্লাহ রহমানুর রাহিমের নিকট সমার্পন করে দিয়েছি।

এর চেয়ে উত্তম অভিভাবক আমি আর কোথায় পাব?যিনি আমার সকল পেরেশানি দূর করে নিমিষেই আমাকে দান করেন প্রশান্তচিত্ত।আমি সংগ্রামী মুজাহিদাদের কাতারে শামিল হতে আরো কঠোর ঈমান এলেম আমল অর্জন করতে হবে।

সুখ ভালবাসাআর দুঃখ বিরহ ব্যাথা সবই পরীক্ষাঃ

স্বামী সন্তান ধন সম্পদ সুখ শান্তি বা অসুস্থ্যতা বিপদ আপদ বালা মসিবতের মাধ্যমে সকল কঠিন পরীক্ষায় তাক্বওয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে পরিসমাপ্তি করে অর্জন করতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি।তার জন্য সবরকারী হতে চেষ্টা করছি।

আল্লাহর গোলাম হিসাবে সঠিক গোলামী করার মত সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে আল্লাহ আমাদের সবাইকে সাহায্য করুন।আল্লাহকে ভয় করো, কেননা যে তাকে ভয় করে, সে কখনো একাকীত্ব অনুভব করে না।"-উমার ইবনুল খাত্তাব (রা)।তাই আমি কোন ব্যাথা ও একাকীত্বে অনুভব করি না।

হঠাৎ করে পাওয়া সুখ আর হঠাৎ করে আসা ভালোবাসা এই দুটো জিনিসের মধ্যে অনেক মিল, কারন দুটো জিনিসই বেশির ভাগ সময় ক্ষণস্থায়ী হয়।যেমনই হঠাৎ করে আসে তেমনি হঠাৎ করে জীবন থেকে হারিয়ে যায়,মাঝে শুধু রেখে কিছু

না ভুলতে পারার মত স্বৃতি।তাই এই দুই টার পিছে দৌড়ানো বোকামী ছাড়া আর কিছুই নহে।এই দুইটির জন্য কি আল্লাহ আমাকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন?এই দুই টি হারাবার ব্যাথায় অনেক সময় আমরা স্ফ্রীট ব্রেকারের মতই আমাদের দেহগাড়িটা থেমে না যায়।কারন বিপদাপদ দুঃখ কষ্ট থাকবেই আর তার সাথে সাথে সবরের মাধ্যমে থাকবে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও আসানী।আমার মনে হয় আল্লাহ রহমানুর রাহিম যদি আমাকে ঈমানদার হিসাবে পরীক্ষা করার মাধ্যমে মুত্তাকিন মুহসিনিন হওয়ার সার্টিফিকেট দেন তা হলে সকল পরীক্ষাই আমার জন্য একটি নিয়ামত।তার মানে ঈমানের স্টুডেন্ট হলে পরীক্ষার মাঝেই আসল সফলতা।এই পরীক্ষার মাধ্যমএই আল্লাহ দেখে নেন কে সত্যবাদী আর সাচ্চা মুমিন।ঈমানের পরীক্ষা ছাড়া.৮টি জান্নাতের কোনটিতেই যাওয়া যাবে না।

আল্লাহ আমাকে একজন আদর্শ স্ত্রী/মা হতে সাহায্য করঃ

আল্লাহ আমাকে হানজালা রাঃ স্ত্রীর মত মজবুত ঈমানী শক্তি দান কর।যিনি ভাসর ঘর থেকেই স্বামী কে ওহুদের যুদ্ধে পাঠাতে দ্বীধাবোধ করেন নাই।আর স্বামীও ওয়াদা দিয়েছিলেন জান্নাতে দেখা হবার।আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ মায়ের মত আদর্শ মা হবার মত যোগ্য সন্তান ও তাকওয়াবান চাই ।যিনি নিজের হাতে হাজ্জাজ বিন ইউসুফের সাথে যুদ্ধ করার জন্য বর্ম পরে যাবার সময় ছেলের গায়ের ্লৌহবর্ম খুলে সাধারন পোষাকে পাঠিয়ে দেন।

আলহামদুলিল্লাহ ,আমি মনে করি আমার স্বামী সন্তান আল্লাহর দান ও আমানত তাদের কে ইসলামেরপথে পাঠায়ে সেই পথে অবিচল থাকার জন্য মহিলাদের ধৈর্য্য ধারন করে শক্ত মনোবল নিয়ে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে থাকা উচিত ।আমার এই বিশ্বাস থাকতে হবে যে,আমেিক্ষতির ভয়ে আমার স্বামী সন্তানকে রাজপথে আল্লাহর বিধান কায়েমের জন্য উতসাহিত করে পাঠালাম না সেই ক্ষতি থেকে রক্ষা করার কোন ক্ষমতা আমার নেই ।আবার তাদের জন্য কোন কল্যানকর কিছু কয়ার ক্ষমতাও আমার নেই । কিন্তু এই সকল ক্ষমতার অধিকারী আল্লাহ রহমানুর রাহিম সর্বশক্তি দিয়ে আমার দুনিয়া ও আখিরাতের অকল্যান থেকে কল্যানকর ফয়সালা তিনি নিতে পারেন ।আর আমার এই চিন্তার লালন করে তা বাস্তবায়ন করাই আমার জন্য কল্যানকর ও আল্লাহর আমানত রক্ষার চুড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ন হবার চুড়ান্ত ফলাফল প্রাপ্তির স্থান আখিরাতের মুক্তির মাধ্যম হবে ইনশাল্লাহ ।

হেপ্রভু! আমাদের মুসলিম হিসাবে কবুল করুনঃ

"তার অবস্থা এই যে, যখন তার রব তাকে বললো, “মুসলিম হয়ে যাও ৷” তখনই সে বলে উঠলো, “আমি বিশ্ব-জাহানের প্রভুর ‘মুসলিম’ হয়ে গেলাম ।” সুরা বাকারা ১৩১

আমাকে আল্লাহর অনুগত হতে হবে ,আল্লাহকে নিজের মালিক , প্রভু ও মাবুদ হিসেবে মেনে নেয়, নিজেকে পুরোপুরি আল্লাহর হাতে সোপর্দ করে দেয় এবং দুনিয়ায় আল্লাহ প্রদত্ত জীবন বিধান অনুযায়ী জীবন যাপন করে সে-ই মুসলিম ।এ আকীদা-বিশ্বাস ও কর্মপদ্ধতির নাম 'ইসলাম' আর বাস্তবায়নকারীর নাম মুসলমান।আমি মুসলমান হতে পারব তখন যখন আমার মাঝে পরিবর্তন আসা শুরু করবে ।হালাল হারাম,সত্য মিথ্যা ,ন্যায় অন্যায় বুঝে আমি কোরান সুন্নাহর কাছে নিজেকে আত্নসমর্পন করা ।যে কোন সময় দূর্যোগের সামনে পড়তে হতে পারে তার জন্য দৃড় মনোবল নিয়ে প্রস্তুত থাকা।যে কোন প্রতিকূলতার সামনে সাহসী মুজাহিদ হিসাবে সাহস ধরে রাখা।

আল্লাহর উপর ভরসা রাখা যে ইসলামের বিধানের কোন কাজ পালন করা আল্লাহর রহমতে অসম্ভব নয় ।সব সময় ও সর্ব অবস্থ্যায় নিজের পরিবারের ও সমাজের পরিবর্তনের জন্য প্রচেষ্টা আমূত্যু পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া। এই প্রচেষ্টার ফলে আল্লাহ আমাদের সমাজের ও রাষ্ট্রের পরিবর্তন করে দিবেন,ইনশাল্লাহ।

হে আমাদের প্রতিপালক! যে বোঝা বহন করার সামর্থ আমাদের নেই , তা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়ো না ৷ আমাদের প্রতি কোমল হও, আমাদের অপরাধ ক্ষমা করো এবং আমাদের প্রতি করুণা করো৷ তুমি আমাদের অভিভাবক ৷ কাফেরদের মোকাবিলায় তুমি আমাদের সাহায্য করো৷"সুরা বাকারা ২৮৬



বিষয়: বিবিধ

১৪১৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File