আমার সন্মানিত পেয়ারী আপা কে আজো পরম ধৈর্য্যশীলও স্বাভাবিক দেখে এলাম,
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৫:০১:২৪ সকাল
আমার পেয়ারী আপা কে আজও স্বাভাবিক দেখলামঃ,
আমার কষ্ট বুঝানোর জ্ঞানটাও নেই,েই টুকু বুঝতে পারছি ভিতরে হৃদপিন্ডটা কেউ মনে হচ্ছে ছিড়ে নিয়ে যাচ্ছে,বার বার স্মৃতির এলবামের পাতা গুলো ঝড়হাওয়া ঊল্টে পালটে গত বছরের ঐ দিন সময় কঠিন মুহুর্তের কঠিন পেইনফুল সময়ের কথা মনে হচ্ছে। কেন ামাদের ভালবাসার ও সন্মানিত নিরোপরাধী প্রিয়ব্যক্তি হারাবার ব্যাথায় আজ আহত পাখির মত ছটপট করছে প্রানপাখিটা ।পদ্মপাতার উপরের স্বচ্ছশিশির বিন্দু ন্যায় নয়ন কোন থেকে গড়িয়ে পড়ছিল সেই নীলাভ কষ্টের পানি।শুক্রবার সবাই বাসায় থাকে আবার ইবাদতের দিন। সবার খাবার ও অন্যান্য চাহিদা পুরন করে তাও সময় করে আল্লাহর রাহে জীবন দেওয়া আল্লাহর কোরানের ভাষায় জীবন্ত শহীদ মোল্লা ভাইর স্ত্রী ,আমার প্রানের ভালবাসা ও অন্ধচক্ষুমান হৃদয়ের আলোর জ্যুতি পিয়ারী আপার কাছে ছুটে গেলাম।
আমি আমার বোন পিয়ারী আপার ঘরে ডুকে সেই গত বছরের এই দিনে গিয়ে যেমন দেখেছি আজো তেমনি স্বাভাবিক দেখলাম।আপার পরশে গেলে আমার বুকের জড়ায়ে নেওয়ার মাঝে কি যে এক প্রশান্তি আমি খুজে পাই।আলহামদুলিল্লাহ ।আমি সেই সময় অনুভুতি ব্যক্ত করার ভাষা আমার জানা নেই।
তখন আমার কান্না আসছিল এই ভেবে যে আমার বোন কিভাবে ঐ মহিলা সাহাবীর মত বলেন পারভীন আপা আলহামদুলিল্লাহ আমি ভাল আছি কিন্তু আমাদের ভাই ও ছেলে মেয়েদের কষ্ট এর কথা শুনলে খারাপ লাগে ।তখন মনে পড়ে গেল রাসুল সাঃ এর যুগের সেই মহিলা সাহাবীর কথা যিনি স্বামী ওসন্তান শহীদ হওয়ার পর জোর গলায় বলেছেন আমার রাসুল কেমন আছেন?আজ আমি সন্মানিতা বোনের মাঝে ও ওনার পরিবারের অন্যদের কাছে সেই ধৈর্যেরও ঈমানের দাবীতে কোরানের জীবন্ত উদাহরন দেখে এলাম।সবাই সবার কাজ কর্ম স্বাভাবিক ও ইসলামের নিয়মের মধ্যে চালিয়ে যাচ্ছে।
পিয়ারী আপা আমার ভালবাসা্ ও প্রেরনার আলোকউজ্জ্বলবাতি
আমি লেখিকা বা কবি কোন কিছু না ।বার বার মাথা অসুস্থ্য হওয়ার পর আমার মাথা্য এখন তলাবিহীন ঝুড়ির মত জ্ঞানের অবস্থ্যা ।তাও মনে হয় সবাই কত বড় বড় জ্ঞানের বাক্স মাথায় নিয়া কত সুন্দর করে কত জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে।আর য়ামি শুধু চালের দাম বাড়াচ্ছি।তারচেয়েএকটু কিছু আবর্জনা আমার বিডিটুডে স্ট্রোর রুম ব্লগে রেখে দেই।যদি কোন দিন অন্যকোন আমার মত অজ্ঞ মুর্খের কাজে আসে।আমি আল্লাহর সাহায্য চেয়েনি তিনি যেন আমাকে কিছু সত্যলিখার তাওফিক দান করুন।
আমার মনের পৃথিবীর আকাশের তারা গুলোর মধ্যে একটা দ্রুবতারা হল আমার পিয়ারী আপা।আমার এলাকা ছিলো হিংস্র জীবজন্তুর ভরা গহীন আমাজান অরন্য।পিয়ারী আপা মাত্র আ্মি ,মনা আপা ও ইয়াসমিন আপাকে হাতে নিয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করে এই অরন্য পরিস্কার করে আল্লাহর কোরানের বীজ বপন করা শুরু করলেন ।আবার তার পাশাপাশি আমাদের কে কোরানের প্রশিক্ষন দিতে আসতেন সপ্তাহের আরো অন্যদিন গুলো তে।আপা দক্ষ ডাক্তার, র্দার্শনিক,মনোবিজ্জানীর মত সব মুনাফেকী রোগ বুঝে ফেলতেন।সেই অনুসারে কোরান হাদিসের আলোকে এন্টিভাইরাস দিয়ে কঠিন ধ্বংসাত্তক ভাইরাস দূর করে দিতেন।আজ ইসলামের কঠিন সময়ে আল্লাহর উপর ভরসা করে নির্ভিক ভাবে ময়দানে বা তাগুক শক্তির সামনে কথা বলতে আলহামদুলিল্লাহ বুক হাটু কাপে না।আমার তখন মনে পিয়ারী আপা আমার ভালবাসা্ ও প্রেরনার আলোকউজ্জ্বলবাতি। তাই আমি বার বার আপার কাছে গিয়ে মেলে ধরি আমার ছাতি।
পিয়ারী আপার মুখে স্বামীর প্রশংসাঃ
আপার বিয়ে হয় ১৯৭৬সালের২৪ শে রমজানে।তখন মোল্লা ভাই,রাইফেলস স্কুলের প্রধান শিক্ষক। আপাকে নিয়ে সেখানেই একটা ছোট বাসায় ঊঠেন।ভাই তখন ঈমানের জযবায় অনুপ্রানিত হয়ে আন্দোলনের মজবুত ঈমানের মুজাহিদ ও একজন আদর্শ শিক্ষক।দুনিয়ার সুনাম ও সরকারী আরাম আয়েশকে জলাঞ্চলী দিয়ে আন্দোলনের কাজকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন ।ইসলাম কায়েমের জন্য কোন রকমের আপোষ তিনি করেন নাই ।ইসলামী আন্দোলনকে আরো গতিশীল করার জন্য আল্লাহর সকল ফয়সালাকে হাস্যুজ্জোল বদনে মেনে নিয়েছেন। আল্লাহ ছাড়া কোন দিন কারো কাছে মাথা নত করেন নাই । আল্লাহ তাই মাথা উচ্চ মর্যাদায় শামিল করেছেন ।
আমাদের সমাজ এর অনেক পুরুষ্ আছেন যারা বাহিরে জীবিকার তাগিদে সময় দিয়ে অগ্নিস্ফুটিত হয়ে বাসায় গিয়ে অফিসের সব কর্মের তেজ স্ত্রী উপর দিয়ে উঠায় । স্বামীর টকজ্বাল মেজাঝ দেখতে দেখতে হার্ড উইক হয়ে যায়।স্ত্রী বেচারনী সারা দিন খেটে নানান কাজ কর্মের পর কোথায় মিষ্টি ভালোবাসা আশায় বুক বেধে ছিলেন সেখানে এই কি পেলাম ।
আর মোল্লা ভাই ছিলেন তার উল্টো স্বভাবের।আপা বলেন ভাই ঘরে এসে বাসার সবাই কে এমন আনন্দে আর হাস্যুজ্জোল রসিকতায় রাখতেন সবার সারা দিনের না পাওয়ার হাহাকার আর কাজের ক্লান্তি নিমিষে দূর হয়ে যেত ।কোণ সময় আপার পারিবারিক ভাবে কোন কাজ কর্মে নিয়ে কোন দোষ ধরতেন না।সংসারের খরচের টাকা টা দিয়ে বলতেন আল্লাহ আমাকে এই রিজিক দিয়েছেন এর ভিতরে তুমি তোমার সংসার যেই ভাবে চালায়ে নিতে পার।আমার শুধু একটু ডাল আর পেপে বাজি /উস্তা বাজি হলেই হল।
আমাড় খুব প্রিয় কিছু প্রানপ্রিয় বোন আছেন ।যারা আমাকে আদর ভালবাসা দিয়ে সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে চলতে ্নিরলস ভাবে প্রানপন চেষ্টা করে ছিলেন।গাড়ির হেড লাইটের মত উনারা আমাকে আজো আমার অন্ধকার হৃদয়ে দেখায়। স্বর্নলতার মত ভালবাসার মধু মাধুবীলতা্য আমার হৃদয়ে উনারা ঝড়ায়ে আছেন। উনাদের কাছে গেলে মনে হয় ,মনের সকল কালো অমানিশার পর্দা সরে গিয়ে তাকওয়ার আলোর রাঙ্গা রবি ফুটে উঠে।তখন মনে হয় আমার সফর স্বার্থক হয়েছে।
আল্লাহকে ভয় করো, কেননা যে তাকে ভয় করে, সে কখনো একাকীত্ব অনুভব করে না।"-উমার ইবনুল খাত্তাব (র
আল্লাহ মোল্লা ভাইকে শহিদী মর্যাদা দিয়ে প্রশান্ত আত্তাদের সাথে মিলিত করুন।উনার পরিবার কে আরো ধৈর্য্য দান করুন ।আমীন
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৯ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
সুন্দর লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমিন ছুম্মা আমিন।
আজ সময়ের বিবর্তে মোল্লাভাই শহীদ হয়েছেন। ফেইস বুকে লাখো যুবকের প্রোফাইল ছবিতে মোল্লা ভাই হাস্যোজ্জ্বল হয়ে আছেন, দেখতে খুব ভাল লাগে। এমন সৌভাগ্যবান আর কয়জন হতে পেরেছে? ধন্যবাদ। মোল্লা ভাবীকে আল্লাহ ধৈয্য ধরার তৌফিক দান করুণ। আমিন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন