পবিত্র কুরআন পড়ার ফযীলতের হাদিস সমুহ :
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২৭ নভেম্বর, ২০১৪, ০২:০১:২০ দুপুর
পবিত্র কুরআন পড়ার ফযীলতের হাদিস
সমুহ :
১। আবূ উমামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে,‘‘তোমরা কুরআন মাজীদ পাঠ করো।কেননা, কিয়ামতের দিন কুরআন, তারপাঠকের জন্য সুপারিশকারী হিসাবে আগমন করবে’’।
(মুসলিম ৮০৪)
২। নাওয়াস ইবনে সামআন (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে,‘‘কুরআন ও ইহজগতে তার উপর আমলকারীদেরকে (বিচারের দিন মহান আল্লাহর সামনে) পেশ করা হবে। সূরা বাক্কারাহ ও সূরা আলে ইমরান তার আগে আগে থাকবে এবং তাদের কারীদের সপক্ষে (প্রভুর সঙ্গে) বাদানুবাদে লিপ্ত হবে।(মুসলিম ৮০৫)
৩। উসমান ইবনে আফফান (রাঃ)থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ(সাঃ) বলেছেন,‘‘তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি সেই;
যে নিজে কুরআন শেখে ওঅপরকে শিক্ষা দেয়’’।
(বুখারী ৫০২৭)
৪। আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,‘‘কুরআনের (শুদ্ধভাবে পাঠকারী ও পানির মত হিফযকারী পাকা) হাফেয মহাসস্মমানিত পুণ্যবান লিপিকার
(ফিরিশতাবর্গের) সঙ্গী হবে। আর যে ব্যক্তি (পাকা হিফয না থাকার কারনে) কুরআন পাঠে ‘ওঁ-ওঁ’ করে এবং পড়তে কষ্টবোধ করে, তার জন্য রয়েছে দুটি সওয়াব।” (একটি তেলায়ত ও দ্বিতীয়টি কষ্টের দরণ)। (বুখারী ৪৯৩৭,
মুসলিম ৭৯৮)
৫। আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,‘‘কুরআন পাঠকারী মুমিনের হচ্ছে ঠিককমলা লেবুর মত; যার ঘ্রাণ উওম এবং স্বাদও উওম।আর যে মুমিন কুরআনপড়ে না তার উদাহরণ হচ্ছে ঠিক খেজুরের
মত; যার (উওম) ঘ্রাণ তো নেই, তবে স্বাদ মিষ্ট। (অন্যদিকে) কুরআন পাঠকারী মুনাফিকের দৃষ্টান্ত হচ্ছে সুগন্ধিময় (তুলসি) গাছের মত; যার ঘ্রাণ উওম কিন্ত স্বাদ তিক্ত। আর যে মুনাফিক কুরআন পড়ে না তার উদাহরণ হচ্ছে ঠিক মাকাল ফলের মত; যার (উওম) ঘ্রাণ নেই, স্বাদও তিক্ত।’’
(বুখারী ৫০২০,মুসলিম ৭৯৭)
৬। উমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,‘‘ মহান আল্লাহ এই গ্রন্থ (কুরআন মাজীদ)দ্বারা (তার উপর আমলকারী) জনগোষ্ঠীর ত্থান ঘটান এবং এরই দ্বারা (এর অবাধ্য)অন্য গোষ্ঠীর পতন সাধন করেন’’।
(মুসলিম৮১৭)
৭। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) কর্তক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,‘‘দুজনের ক্ষেত্রে ঈষা করা সিদ্ধ।(১) যাকে আল্লাহ কুরআন (মুখস্ত করারশক্তি) দান করেছেন, সুতরাং সে ওর
(আলোকে) দিবা-রাত্রি পড়ে ও আমলকরে।(২) যাকে আল্লাহ তাআলা মালধন দান করেছেন এবং সে (আল্লাহর পথে ) দিন-
রাত ব্যয় করে’’।(বুখারী ৫০২৫)
৮। বারা’ইবনে আযেব (রাঃ) হতে বর্ণিত,তিনি বলেন,
‘‘ একদা একটি লোক সূরা কাহাফ পাঠ করছিল। তার পাশেই
দু’টো রশি দিয়ে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল।ইতোমধ্যা লোকটিকে একটি মেঘে ঢেকে নিল।মেঘটি লোকটির নিকটবর্তী হতে থাকলে ঘোড়াটি তা দেখে চমকাতে আরম্ভ করল। অতঃপর যখন সকাল হল তখন লোকটি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর দরবারে হাজির হয়ে উক্ত ঘটনা বর্ণনা করল। তা (শুনে)তিনি বললেন, ‘ওটি প্রশান্তি ছিল,যা তোমার কুরআন পড়ার দরণ অবতীর্ণ
হয়েছে।’’ (বুখারী ৫০১১, মুসলিম ৭৯৫)
৯। আব্দল্লাহ ইবনে মাসাউদ (রাঃ)হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব ( রআনমাজীদ) এর একটি বর্ন পা ঠ করবে ,তার একটি নেকী হবে। আরএকটি নেকি দশটি নেকীর সমান হয়।আমি বলছি না যে, ‘আলিফ-লাম-মীম’একটি বর্ন; বরং আলিফ একটি বর্ন, ম
একটি বর্ন, মীম একটি বর্ন।’’ (অর্থাৎ,তিনটি বর্ন দ্বারা গঠিত ‘আলিফ-লাম-মীম’, যার নেকীর সংখ্যা হবে তিরিশ।)
(তিরমিযী ২৯১০, হাসান)
১০। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস(রাঃ) কর্তক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)বলেছেন,‘‘পবিত্র কুরআন পাঠক, হাফেয ও তার উপরআমলকারীকে ( কিয়ামতের দিন)বলা হবে, ‘তুমি কুরআন কারীমপড়তে থাকো ও চড়তে থাকো। আর ঠিক
সেইভাবে স্পষ্ট ওধীরে ধীরে পড়তে থাকো,যেভাবে দুনিয়াতে পড়তে। কেননা ,(জান্নাতের ভিতর) তোমার স্থান ঠিক
সেখানে হবে, যেখানে তোমার শেষআয়াতটি খতম হবে।”
আবূ দাউদ ১৮৬৮,
তিরমীযি ২৯১৪ হাসান)
-০- আলহামদুলিল্লাহ -০
একদা জিবরাইল (আঃ) নবী(সাঃ)-এরনিকট বসে ছিলেন। এমন সময় উপরথেকে একটি শব্দ শুনতে পেলেন।তিনি (জিবরাইল) মাথা তুলে বললেন,‘এটি আসমানের একটি দরজা, যা আজ
খোলা হল। ইতোপূর্বে এটা কখনওখোলা হয় নাই। ওদিক দিয়ে একজনফেরেশতা আবতির্ন হল। এইফেরেশতা যে দুনিয়াতে বতরণ করেছে,ইতোপূর্বে কখনও অবতরণ করেনি।
সুতরাং তিনি এসে নবী (সাঃ)-কে সালাম জানিয়ে বললেন,
‘‘আপনি দুটি জ্যোতির সুসংবাদ নিন।যা আপনার আগে কোন নবীকে দেওয়া হই নাই। (সে দুটি হচ্ছে) সূরা ফাতেহা ও
সূরা বাক্কারার শেষ আয়াতসমূহ । ওর মধ্যে হতে যে বর্নটিই পাঠ করবেন, তাই আপনাকে দেওয়া হবে।’’ (মুসলিম ৮০৬)
সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহুয়াকবার
বিষয়: বিবিধ
২১৭৫ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাযাকাল্লাহ।
ধন্যবাদ নিবেন আপু।
আমরা এখন সময়এর অযুহাতে কুরআন পড়া ছেড়ে দিচ্ছি কিন্তু আমাদের সময় এর অভাব হয়না নেটে কিংবা টেলিভিশনে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন