এক জন স্বামী হতে পারেন একজন স্ত্রীর পৃথিবী ।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২১ নভেম্বর, ২০১৪, ০৩:৩৩:০৬ দুপুর
এক জন পুরুষ যখন স্বামী হন ।
আলহামদুলিল্লাহ ।
আমার দাদা ভাই একজন পুরুষ
নামাজ অবস্থ্যায় আছেন
এক জন পুরুষ যখন বাবা হন ।
তখন তার হৃদয় রাজ্যের বিশাল রাজ প্রাসাধে থাকে একটা মেয়ে রাজকুমারীর মতো বাবার হৃদয় জুড়ে থাকে । বাবা বন্ধুর মত মেয়ের মনের না বলা কথা গূলো না বললেও বুঝে ফেলেন।ইসলামের আলোকে মেয়েকে গড়ে তুলে দুনিয়া ওঁ আখিরাতে জান্নাতের ঠিকানা তৈরী করে নেন।
এক জন পুরুষ যখন ভাই হন ।
তখন সেই ভাইটির হৃদয়ে একটি বোনের জন্য সেই ভাইটি অতি প্রিয় অতি আপনজন হয়ে যায় । বোনটির সকল মঙ্গল জনক কর্মগুলি সে বোনের মাঝে সৃষ্টি করে তার সুখে নিজে সুখি।
এক জন পুরুষ যখন মুমিন মুত্তাকিন বন্ধু হন ।
তিনি ইসলামের আলো ছড়ানোর সময় দ্বীনি বোন দের কেও সেই আলোকে আলোকিত করেন। নিজের জানের ক্ষতি হোক তাও তার দ্বীনি বোনদের ইজ্জত আব্রুর ক্ষতি মেনে নিতে পারেন না । তাদের এই ভালবাসার বন্ধন শুধু আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য ।অন্য কোন স্বার্থে নয়।
এক জন পুরুষ যখন ছেলে হন
তখন সে একজন মায়ের নয়নমনি ,কলিজার টুকরা মায়ের নাড়ি ছিড়া রাজকুমার । আর সেই মা তার জন্য দুনিয়া ওঁ আখিরাতের জান্নাত।যেই সন্তানের হৃদয়ের কষ্ট কেউ না জানতেই আগে জানেন মা।গর্ভে থেকে বয়স্ক হলেওঁ সে মায়ের কাছে থাকে সব সময় একটা ছোট খোকা ।
এক জন পুরুষ যখন স্বামী হন ।
তখন তিনি হয়ে যান একজন নারীর পৃথিবী।পৃথিবীতে এতো সুখ নেই যা স্বামীর মধু মিশ্রিত ভালবাসায় আছে। সে স্ত্রীর মনের সিংহআসন দখল করে সারা চিরস্তায়ী রাজা হয়ে যায় । ভালবাসার সুঘ্রানের ফুলের রেনু ছড়ায়ে নারীর সারা অঙ্গে ছড়ায়ে ফুল ফাগুনের খেলায় বিভোর করে রাখে । তখন একজন নারী চিৎকার করে বলে উঠতে ইচ্ছে করে নাইবা থাকুক দেশে রাজা আমিই রাজরানী ।
একজন পুরুষ একজন নারীকে কত ভালবাসে তা সে অনেক সময় অমৃত প্রানের তৃপ্তির মত বুঝাতে পারবে না। একই খাচার মাঝে দুই পাখি প্রান এক হয়ে যায় । সেই খাচা ভেঙ্গে একজন বের হতে চাইলে আরেক জন এর প্রান টা কেড়ে নিয়ে যায় । চোখের মনি চোখে না থাকলে চোখ কি আলো পায় ।জীবন টা অন্ধকারে হাতড়ায়ে মরে। একা একা অন্ধকারে পথ চলা দুই জনের জন্য দুর্ভিসহ হয়ে যায় । কারন স্বামী স্ত্রী কে আল্লাহ একে অপরের পোষাকের বানিয়েছেন। একজন স্বামী ভালবাসার নাটাই ঠিক ঘূরাটে জানলে কখন নারীদের মন ঘুড়িটা অন্যের নাটাইয়ের ঘুড়ির সাথে প্যাচ খায় না আর ভালবাসার বন্ধন থেকে ছুটে যায় না'।
আজ আমার একমাত্র ভাইছা বোনকে নেওয়ার তারিখ করল । ভাইছা বোনের স্বামী থেকে অনুমতি নিল অনেক বুঝায়ে ,আমিও মহানগর মহিলা বিভাগীয় সেক্রেটারীর অনুমতি নিলাম । আমার দায়িত্ত অন্যদের বুঝায়ে দিলাম। কিন্তু আমার যাবার দিন যত এগিয়ে যাচ্ছে আমার পৃথিবীর আকাশে তত কালো মেঘের ঘনঘটা ঝড় হয়ে লাগল। গতকাল যেই মানুষ চেম্বার থেকে রাতে আসে সেই মানুষ ৩টায় এসে ডুকেই "পারুমনি ,আমার পক্ষে এক ঘন্টার জন্যওঁ তোমাকে দেশে যেতে পারব না ।আমি তোমার ভাইছা মানা করে দিয়েছি ।তুমি বোকা রয়ে গেলে ।তুমি বুঝোনা কেন আমার মানিবেগে ৩৩ বছর থেকে তোমার ছবি রাখি ।বুঝনা বাসায় এসে তোমাকে না দেখলে আমার কি অবস্থ্যা হবে । আমার কলিজা ব্যাথা করেছে । যতবার আমি ভেবেছি আমি ঘরে ডুকে আমার বঊ এর হাস্যোজ্জল চেহারা দেখব না। না আমি এটা সইতে পারব না ।ভাইছা আমার মনের অবস্থ্যা বুঝেছে তাই তিনি তোমাকে নিতে আসবে না বলেছে। "
মায়ের কবরের কাছে দাড়ানো আর বাবার বাড়ির বেড়ানো জন্য আমার গোছানো ব্যগটা খুলে সব আবার রেখে দিতে প্রথম কষ্ট লাগলে পরে মনকে শান্তনা দিলাম ।আমার ভালবাসার পৃথিবী ছেড়ে আমি অন্য কোথাও গিয়ে কি আমি সুখি হতে পারব ।আল্লাহ আমার জন্য এতো বড় সুখের জান্নাত দুনিয়াতে রেখেন আর আমি সেই জান্নাত পেলে কোথায় যাবো ?আল্লাহ কি আমাকে মাফ করবেন ?আমি জানি না ।আমার ৩৩ বছরের দাম্পত্য জীবনে আমি বাবার বাড়ি বেড়াতে তাকে নিয়ে দুই /এক ঘন্টা ছাড়া তাকে রেখে আমি কোন দিন বেড়াতে যেতে পারি নাই । কারন এই ভালবাসার পৃথিবীটা আমাকে সারা ক্ষন ভালবাসার মাধুবী লতা দীয়ে আমার হৃদয়টা কে ঝড়ায়ে রেখেছেন । আমি এই ভালবাসার প্রাচীর ভেঙ্গে বের হতে পারি নি ।মা মন খারাপ করলে বলতাম ,মা আমি যদি স্বামীর কাছে সুখে থাকি তাতেই তুমি সুখি থাক।
আমার আজ কোন ব্যাথা বা কষ্ট নিয়ে এই লিখা নয় ।আমার লিখাটা হোলো আমাদের হাতের কাছে জান্নাত দুনিয়াতে দাম্পত্য সুখের মাঝে । আপনি পুরুষ নানা্নরুপে । তাই বলে আপনি শাসিত আর শোষিত না হয়ে আপনাকে সবাই বন্ধু হিসাবে পেলে সবাই সুখি । আমরা মেয়েরা আপনাদের সুভাকাঙ্গি , শত্রু নয়। আমাদের থেকে পুরুষদের কাছে সমাজের পরিবারের শান্তির চাবিকাঠি ।আপনি মেয়েদের রোবট না ভেবে একজন মানুষ ভাবেন । ভালবাসার স্বপ্ন দীয়ে সবার মাঝে একটা শান্তির বন্যা প্রবাহিত করতে পারেন । আপনার ভালবাসার সাগরের উত্তাল ঢেউ এর তোড়ে মা বোন স্ত্রী সবাই জান্নাতী সুখে হাবুডুবু খাবে।
আপনি পুরুষ হয়ে যখন মা ,বোন ,স্ত্রী মেয়ে এদের কে ইসলামের আলোকে পরিচালিৎ না করে তাদের সবাইকে অন্ধকারে ঢেলে দেন ।আর তারা অন্যায়ের সাগরে আপনাকে নিয়েই ভাসতে থাকে তখন আর আপনাদের মেয়েদের ভাল লাগে না । মা বাবার হয় বিচ্ছেদ। বোন যায় বিজ্ঞাপনের পন্য হয়ে । স্ত্রী যায় আপনার ক্লোজ বন্ধুর সাথে পরোকীয়ায় মত্ত হয়ে । মেয়ে হয়ে যায় ঐশী হয়ে আপনার গলায় বা মায়ের গলায় চুরী চালায়ে হত্যা কারী । না হয় ভালবাসা দিবসের সোনার ছেলেদের ধর্ষনের সেঞ্চুরীর স্বীকার ।
আমি বলব, এই সব কিছুর জন্য আপনি পুরুষ নামের কাপুরুষ হওযায় জন্য দায়ী । গুনে কাঠ খায় আস্তে আস্তে এক সময় পুরো ঘর খেয়ে পেলে ,তেমনি আপনার অইসলামীক কার্যকলাপ এর কারনেই আজ কের সমাজের গুনে ধরেছে ।আপনি সঠিক কর্নধার হলে আজ আপনার জন্যি সমাজে কিছু সামাজিক সভ্যতা সংঙ্কৃতি উন্নতি হত । হাজার মেয়ে নারী নির্যাতন থেকে বেচে যেত । সুমনের মা সুমনের আর তার বউ খাবার না দীয়ে দীয়ে কান্না করে ঘর ছেড়ে এসে বলত না , পারভিন আপা ,সুমনের বাবা আরেক বিয়ে করার পর ভেবেছি সুমন আসে তাকে বুকে রেখে বড় করলে সেই আমার দুখীর অন্ধের যষ্ঠী হয়ে কাজ করে খাওয়াবে ।তাই আর যৌবনে ভাইরা বিয়ে বসতে বলাতেও বিয়ে বসিনি । এখন কেন মনে হচ্ছে তখন কি ভুল করেছি লাম। সুমি এসে বলে , খালাম্মা আমি বাদল কে ভালবেসে বিয়ে করে মা বাবার বাড়ি হারালাম ।তাতে দুখ করিনী বাদল পাশে আছে ভেবে। এখন সেই বাদলের প্রচন্ড অত্যাচারের আঘাতে আমার দুই টি চোখ হারাতে হয়েছে । পারভীন খালাম্মা , বলেন তো আমার ছেলে কেমন দেখ তে ,সবাই বলে অনেক সুনদর । খালাম্মা কোথায় ভর্তি করলে সে বাদলের মত হবে না । মা বউ সবাইকে সমান অধিকার দীয়ে ভালবাসবে ।
আমার কষ্ট হয় এই সমাজের মেয়েদের কষ্ট দেখে ।তাতে নিজেকে পাপী মনে হয় । মনে হয় ইসলামের দাওয়াত সবার ঘরে পোছে দিতে পারি নাই বলে আজ আমারদের সমাজ তসলিমা নাসরিন ,তানিয়া আমিন রা ভরে যাচ্ছে। কেন তাও আমরা ঘরে বসে আসি ।
আপনি আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসী পুরুষ হন , আমাদের ওঁ পরিবারের সমাজের ভিতর থেকে নাস্তিক ওঁ মুনাফিকত্ব মনোভাব বর্জন করি। ঐক্য বদ্ধ ভাবে সমাজের অন্যায় অবিচার শোষন জুলুম নির্যাতন বন্ধ করে আল্লাহর বিধান মোতাবেক আমাদের সমাজের সভ্যতা ওঁ সংস্কৃতি গড়ে তুলি আর আমরা পরিপূর্ণ ঈমানদার হিসাবে উত্তম চরিত্র অর্জন করা
আল্লাহ আমাদের দুনিয়া ওঁ আখিরাতের সকল কল্যান লাভ করার তাওফিক দান করুন ।আমাদের স্বামী /স্ত্রী ছেলে মেয়েদের মুত্তাকিনদের ইমাম বানিয়ে আমাদের কে মুত্তাকিনদের নেতা বানিয়ে দিন । আমীন ।
অনেক দিন পরে লিখায় হাত দিয়েছি তাই কোন ভুল বা বেয়াদপি হলে ক্ষমা পার্থই।
আমার দাদুমনি একজন মেয়ে ।
বিষয়: বিবিধ
১৬২৬ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অসাধারণ লিখেছেন। অসম্ভব ভালো লাগলো। জাযাকিল্লাহু খাইরান।
মন্তব্য করতে লগইন করুন