মরহুম অধ্যাপক গোলাম আযম ভাষা সৈনিক হিসাবে জাতীয় ইদগাহে জানাজা পড়ার ও রাষ্টীয় মর্দায় বিদায় দেওয়ার ব্যবস্থ্যা করা হোক
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২৪ অক্টোবর, ২০১৪, ১০:০৫:৪৯ রাত
আলহামদুলিল্লাহ ।আল্লাহ সুস্থ্যতা ইসলাম কায়েমের জন্য দান করেছেন .তাই হাজেরা আপা আর সুলতানা আপার মরহুম স্বামীদের জন্য দোয়ার মাহফিলের দাওয়াত কবুল করেছি ।আলহামদুলিল্লাহ । আপাদের আমাকে নেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল উনাদের সব আত্নীয়দের মাঝে ইসলামের সঠিক দাওয়াত টা যেন দিয়ে দেই ।
সূরা ফাতিহার আলোচনা করছিলাম ।
আল্লাহ আমাকে সহজ সরল পথে পরিচালিত করুন। এই আলোচনার কথা বলার সময় একজন মেহমান বোন বললেন ,আপা "সরল পথ এখন আর নেই ।এতো দিন ইসলামের কথা বলছে এখন মরল যুদ্ধোপরাধী হিসাবে। আজ তার বিচার এর রায় ফাসি দেওয়ার আগেই আল্লাহ নিয়ে গেছেন। মরল গ্রেফতার অবস্থায়। সে তো পাকিস্থানী ।আমাদের দেশে তার লাস কবর না দেওয়ার উচিত । পাকিস্থানে কবর দেওয়া উচিত ।"সাথে আরো কয়জনও সারা দিলেন।
আমি কিছু বলার আগেই আমার দ্বীনি বোন মিনারা আপা ,বললেন আপা মৃত ব্যক্তির জন্য ভাল বলা উচিত ।খারাপ বলা নিষেদ। কে ভাল আর কে খারাপ তা আল্লাহ ভাল জানেন । বাদ দেন কোরানের কথা সুনেন ।আর আল্লাহ উনাকে জান্নাত নসিব করুক এই দোইয়া করেন।
আল্লাহ কে বললাম ফেতনা থেকে পানাহ চাই ।সাথে সাথে ভাবলাম বিজ্ঞানের সভ্যতার যুগে কিভাবে মানুষ প্রাচীন কালের অসভ্য মানুষের মত কথা বলে ?
৩০-৩৫ জন সবাই তো ভুলের মাঝেই ।সঠিক কীছু তুলে ধরা উচিত। না হলে তো আমি সত্য গোপন কারী হিসাবে পাকড়াও হব আল্লাহর কাছে।
তাই বললাম ,আপা চিলে কান নিচে শুনে চীলের পিছে না দৌড় দিয়ে আগে কাণে হাতঁ দিয়ে দেখেন।
১।মরহুম অধ্যাপক গোলাম আযম সাহেব বাংলাদেশের নাগরিক । অধ্যাপক ছিলেন রংপুর লালমাই কলেজের নিজ দেশের অধ্যাপনার সার্টিফিকিট ছাড়া অধ্যাপক হতে পারতেন ।
২।তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের চৌকশ সৈনিক ছিলেন ।পাকিস্থ্যানি হলে তিনি কি বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলন করতেন।
৩।তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর মেম্বার ছিলেন।
৪। দালাল নির্মুল কমিটির ইমাম (নেত্রী) জাহানারা ইমাম উনার নাগরিত্ব নিয়ে আইনের আশ্রয় নেন। তাতে হাইকোর্ট রায় মরহুম অধ্যাপক গোলাম আজম পক্ষে দেন ।আর জাহানারা ইমাম নিজেই নির্মুল হল।
৫।কেয়ার টেকার সরকারের রূপকার ।আর সেই পথ ধরে এই সরকার জীবনে না দেখা স্বপ্ন ক্ষমতায় প্রথম আসেন । তখন এই অধ্যাপক তাদের অনেক প্রিয় ব্যক্তি ছিলেন ।
৬।তখন ক্ষমতায় এসেই কেন এই বিচার করার চিন্তা করেন নাই । এখন কেন প্রায় শত বর্ষিয়ান এই বৃদ্ধের মৃত্যু পর্যন্ত কষ্ট দিয়ে মানুষীক ও শারীরিক অবস্থ্যার এই জুলুম এর স্বীকার হয়ে আল্লাহর কাছে গেলেন।
৭।উনি তো তাবলীগ জামাত থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তে যোগ দেন। কারন তিনি সেখানে কোরানের বাহক ও শিক্ষক হিসাবে রাসুল সাঃ এর কোরানের বাস্তব জীবনী মক্কী ও মাদানী জীবনের মিল খুজে পান নাই। বরং নিজেদের মন গড়া ২-৪ টা বই এর সীমিত জ্ঞানের মাঝে আবদ্ধ রাখেন নিজেকে ।
আচ্ছা আপনারা তো জানেন রাসুল সাঃ মক্কায় জন্ম নেন ।তিনি কেন মদিনা যেত হল ? কেন উনাকে নানান অপবাধে ও অত্যাচারে জর্জরিত করলেন মক্কাবাসী। পৃথিবীর অন্য সকল মুসলিম দেশে কেন আজ মুসলমানদের উপর এতো নির্যাতন চলছে । সেখানে কি যুদ্ধপোরাধী আছেন?
আসল কথা হল ইসলাম অগ্রযাত্রা। কোরানের সৈনিক বৃদ্ধি পাওয়া । তাদের অন্যায় জুলুম শোষন বোকা বাঙ্গালী ইসলামের আলোকে চালাক হয়ে সব বুঝে ফেলে । তাই ইসলামের গুরুদের হাতে পায়ে মুখে ডান্ডাভেড়ি পরায়ে রিমান্ড জেল জুলুম ফাসি দিতে থাকলে শিষ্যরা বোকা অজ্ঞ বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি হয়ে থাকবে। তারা আসলে জানে না যারা আল্লাহকে প্রভু মনিব মালিক নিরাপত্তা ও বিধানদাতা হিসাবে মেনে নেয় তাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট । তারা নির্ভিক নিরভয়ে জীবনের উপর আসা সব বাধা বিপত্তি মেনে নিয়ে জীবন কোরবানী দিতে কাপে না হৃদয় ।
আপনি আল্লাহ কে ভালবাসেন তার প্রমান কি? আপনি মানুষকে ভালবেসে উপহার দেন তা কত মুল্য তা কেউ জানতে চায় না । কারন ভালবাসা ব্যক্তির থেকে পাওয়া উপহারের মুল্য তুলনা হীন ।আল্লাহকে ভালবাসলে আল্লাহ আমাকে যখন যেই ভাবে যেই নিয়ামত উপহার হিসাবে দেন তাই আমার দু'জাহানের সব কিছুর চেয়ে মহামুল্যবান । তা সুখ হোক আর দুঃখই হোক না কেণ।
তাই আল্লাহ মানব্রচিত মতবাদের রায় থেকে আল্লাহর রায় দিয়ে উনার মেহমানকে উনার সন্মানোক স্থানে নিয়ে পৌ ছে দিক তাই আমরা কামনা করব। সরকারের সাহস থাকলে উনাকে ভাষা সৈনিক হিসাবে জাতীয় ইদগাহে জানাজা পড়ার ও রাষ্টীয় মর্দায় বিদায় দেওয়ার ব্যবস্থ্যা করা উচিত ।
সেই সাহস হবে না ।কারন তারা ভীরু কাপুরুষ । এই ময়দানে জায়গা দিয়ে কুলাতে পারবে না ।তা আজকের চিটাগাং এর পেরেড ময়দানের টা দেখে আক্কেল গুড়ুম হয়ে গেছেন ।আপনারা সবাই উনার জন্য দোয়ার মাহফিল করে সেখানে নতুন প্রজন্মকে উনার উপর ভুল ধারনার অবসান করে সঠিক ধারনা তাদের সামনে তুলে ধরুন । না হলে কাল আল্লাহর কাছে সত্য জেনেও গোপন করার দায়ে আপনি দায়ে অভিযুক্ত হবেন।
বিষয়: বিবিধ
১৭০৯ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আসলে যুগে যুগেই চলে আসছে এসব।
আসলে আমরা অনেকেই শিক্ষিত হয়েও শিক্ষিত হতে পারলাম না। কোরআান আর সুন্নাহ্ র প্রতি যার কোন দখল নেই সে কখনই নিজেকে শিক্ষিত বলে দাবী করতে পারে না।
হায় আফসোস্ তারা যদি জানতো:
সত্য সাক্ষ্য গোপন করা যেমন বড় ধরনের জুলুম, তেমনি মিথ্যা সাক্ষ্যদান শিরকের সমতুল্য বড় গুনাহ। একজন মিথ্যা সাক্ষ্যদানকারী আর ইসলামের সীমার মধ্যে থাকে না; সে হয়ে পড়ে মুশরিক। রাসূল সা: সতর্ক করে বলেন, ‘তোমরা কেউ তোমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে আমার কাছে মিথ্যা নালিশ নিয়ে এসো না। আমি তোমাদের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে রায় দিয়ে থাকি।’ রাসূল সা: বলেন (আবদুুল্লাহ ইবনে উমর রা: বর্ণিত), ‘সবচেয়ে বড় মিথ্যা হলো, মানুষ তার দুই চোখকে এমন জিনিস দেখাবে যা এ দুটো চোখ দেখেনি’ (সহিহ বুখারি)। যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়, মিথ্যা সাক্ষ্যদানে উদ্বুদ্ধ করে এবং জেনেবুঝে এর পক্ষাবলম্বন করে এরা সবাই জালেম এবং দাউ দাউ করে জ্বলা আগুনই তাদের ঠিকানা।
হে প্রিয় দ্বীনি বোন আমার, আপনার শারিরীক অবস্থা এখন কি রকম? আপনার পোষ্টটা পড়ে বুঝতে পারছি যে মহান করুনাময়ের দয়ায় এখন সুস্থতা লাভ করে দ্বীনের খেদমতে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ্! আমার কথা জাগ্রত চৌরঙ্গীই বলে দিয়েছে, আসলেই কোরআান আর সুন্নাহ্ র প্রতি যার কোন দখল নেই সে কখনই নিজেকে শিক্ষিত বলে দাবী করতে পারে না।
কারন তারাতো কখনই জানতে পারে না যে,
যারা আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভের আশায় তাঁর দ্বীন প্রতিষ্ঠার পথে চেষ্টা-প্রচেষ্টা চালায় তাদের এ প্রচেষ্টারই নাম জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ।
আজ বিশ্বব্যাপী ইসলামপন্থীরা সর্বপ্রকার মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত এবং তাদের ওপর সীমাহীন জুলুম-নির্যাতন করা হচ্ছে। যে রাষ্ট্রযন্ত্র তার নাগরিকদেরকে জুলুম থেকে রক্ষা করবে আজ সেই রাষ্ট্রযন্ত্রকে জুলুমের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। ওদের অপরাধ হলো আল্লাহর ভাষায় ‘ওরা পরাক্রমশালী আল্লাহর ওপর ঈমান এনেছে’ (সূরা বুরুজ)। যেকোনো বিচারে ঈমানদাররা নীতি-নৈতিকতা, আচার-আচরণ, অফিস-আদালত-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন ও ব্যবসায়িক লেনদেনে সর্বোত্তম ব্যক্তি। ইসলামে বিশ্বাস ও তা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা-প্রচেষ্টাই তাদের অপরাধ। নেশার জগতে ওরা দাবি করে যে, তারা শতভাগ নেশামুক্ত। আল্লাহ পাক তাঁর বান্দাহদের ওপর জুলুম কখনোই সহ্য করেন না। সাধারণত তিনি শাস্তিদানের জন্য তাড়াহুড়ো করেন না, তিনি তাঁর বান্দাহর মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করেন যে, সে ফিরে আসে কি না। আল্লাহ বলেন, ‘যারা কুফুরি করেছে এবং আল্লাহর পথে চলতে বাধা দিয়েছে আল্লাহ তাদের সব কাজকর্ম ব্যর্থ করে দিয়েছেন’ (সূরা মুহাম্মদ)। তিনি আরো বলেন, ‘যারা মুমিন পুরুষ ও নারীদের ওপর জুলুমপীড়ন চালিয়েছে, তারপর তা থেকে তওবা করেনি, নিশ্চিতভাবে তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আজাব এবং জ্বালাপোড়ার শাস্তি। আর যারা ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে নিশ্চিতভাবেই তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতের বাগান, যার নিম্ন-দেশে ঝরনাধারা প্রবাহিত। এটিই বড় সাফল্য’ (সূরা বুরুজ, ১০-১১)।
আল্লাহ সকলকে দ্বীনের সঠিক জ্ঞান দান করুন এবং সকলকে কবুল করুন।
জাযাকাল্লাহ খায়ের
সত্য মানুষ ঠিকই জানে। দেশের প্রতিটি এলাকায় তার প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা দেখা যাচ্ছে।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> রায়হান রহমান লিখেছেন : আর, গেল ১৪০০ বছরে মোস্লিমরা মানুষ হইতে পারে নাই।মন্তব্য করতে লগইন করুন