আমার শ্বশুর কেই প্রথম ও শেষ বাবা ডাকা

লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ১০ অক্টোবর, ২০১৪, ০১:৫৩:২২ রাত



দলবেধে কবুতর উড়তে দেখলে আমি আমার শৈশবে ফিরে যাই। বান্ধবীদের সাথে দলবেধে পুকুরে ঝাপাঝাপি করা আর স্কুলে যাওয়ায় কি যে মজা হত তা ভাষা দিয়ে বুঝাতে পারব না।প্রতিদিন শিশির ভেজা দূর্বাঘাসে ভরা ক্ষেতের আইল দিয়ে একদল চঞ্চল চপলা হরিনীর পাল হেলেদুলে যেত স্কুলের পানে ।ক্ষেত পার হয়ে রাস্তায় উঠলেই পাকা পু্ল।পাকা পু্ল থেকে তাকালে দূরে বাশঁঝাড় পর্যন্ত রাস্তা দেখা যায়।

আজও পাকা পু্ল থেকে দূরে তাকিয়ে দেখি বাশঁঝাড়ের পাশ থেকে বের হয়ে আসছে একজন পঞ্চাশউর্ধ্ব বয়স্ক ব্যক্তি। কাঁধে মাঝারি আকারের একটা লাউ আর একটা কাল ছাতা কাল মেঘের মত মাথার উপর মেলা।আরেক হাতে একটা বাজার ভর্তি থলে।হাটার গতি ছিল বর্তমান যুবকদের চেয়ে বেশি। তাই দুই বোনের ভাবনার সাগরে নুড়ি খোজ়ার মত ওনার পরিচয় বের না করতেই ওনার চেহারাটা আমাদের চোখের সীমানায় চলে আসল। ছোট বোনকে একটূ চিৎকার করে বলে উঠলাম “মুন্নু উনি তো মনে হয় গিয়াস ভাইয়ের আব্বা “।একটা নিস্তেজ চেহারা বানায়ে বোন উত্তর দিল, কেমনে বুঝলা? বোনকে উত্তর দেওয়ার সাথে সাথে ওনার হাস্যুজ্জল মুখ মণ্ডল শীতকালীন মিষ্টি রোদের আলোতে উজ্জল হয়ে ঊঠল। কালক্ষেপন না করে উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে ক্দমবুচি করে ফেললাম।কারন তখন এই ভাবেই মুরুভব্বিদের সম্মান জানানো হত। হাতের থলে আর লাউ রেখে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে আমার একটা ছোট খাটো ইন্টারভিউ নিয়ে নিলেন।ঐদিন আমি সালাম ও ইন্টারভিউ এর কোন ফলাফল জানতে পারি নাই। অবশ্য পরে শুনেছি আমার বিয়ের ব্যাপারে এই সালামের অনেক ফজিলত হয়েছে।

অচেনা অজানা জায়গায় শিশু যেমন অভিমানি চেহারায় লাল টুকটুকে ঠোট দুটো ফূলিয়ে ফুলিয়ে কান্না করে। আর চঞ্চল হরিনীর ন্যায় চোখ দুটো দিয়ে আপন জন কে খুজতে থাকে ।স্বামীর বাড়ীতে যাওয়ার প্রথম দিন আমার ঐ অবস্থা হয়ে ছিল ।অনেক বড় ঘোমটার ফাঁক দিয়ে উকিঁ মেরে ঘরের বাহিরে তাকাতেই চোখ গিয়ে পড়ল ছাতি মাথায় সেই সম্মানিত ব্যক্তির উপর ।খাট থেকে নেমে বর্ষাকালে রাস্তায় পানি থাকলে যেমন পরার কাপড় উঠায়ে ধরে আমিও তেমনি শাড়ী ঊঠায়ে দিলাম একটা ভৌ দৌড় । কারন আমি কিছুক্ষনের জন্য ভুলেই গিয়ে ছিলাম আমি এখানে নতুন বউ ।

উনাকে সালাম করতেই উনি আমাকে দুই বাহু দিয়ে বুকে জড়ায়ে নিলেন। তখন আমার কানটা উনার হৃদপিন্ডের কাছাকাছি থাকায় আমি শুনতে পেয়েছি , আমাকে ভিতর থেকে কেউ বলছে “যেই বাবার ডাক কোন দিন শুনতে পারনি ,যেই বাবার বুকে কোন দিন মাথা রাখতে পার নি ।আমিই তো্মার সেই হারানো বাবা। জ়ানিনা কেন জানি অবুঝ মন তখন ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠল ।

২য় রমজানে বিয়ে হওয়ায় ,আসর থেকে মাগরিব এই সময় সবাই ইফতারের ঝামেলায় থাকায় আমাকে পাহারা দেওয়ার দায়িত্ত পড়ে ছোট ছোট বাচ্চাদের উপর।এই সুযোগ কে কাজে লাগায়ে বেড়ার ছোট ছোট ছিদ্রগুলোর ফাকঁ দিয়ে বরকে দেখেছি ।কারন বিয়ের ২য় দিন পর্যন্ত আর বরকে দেখার সুযোগ পাই নাই।বাচ্ছাদের সাথেই ইফতার করলাম।সন্ধা যতই কাল অন্ধকারে রুপ নিতে লাগল আমার হৃদয়ের কম্পনের মাত্রা বাড়তে শুরু করল। রাত কাটানোর প্রলয়কারী ভয়ে আমার হৃদয় সংকোচিত হতে লাগল।নিজেই নিজেকে শান্ত না দিতে থাকলাম। যত দোয়া দুরুদ জানা ছিল সব পড়া শুরু করে দিলাম ।সবার খাওয়া দাওয়া শেষ ।তারপর সবাই দেখি আমি যেই ঘরে সেই ঘরে জড়ো হওয়া শুরু করল।নেতার দায়িত্ত পালন করছেন আমার সেই সন্মানিত ব্যক্তি।এতে মনে একটূ আসার আলো জ্বলে উঠলো ।

বনের মুক্ত আলো বাতাসে ছুটাছুটি করা আর খোলা আকাশে স্বাধীন ভাবে উড়ে বেড়ানো ময়নাটাকে পিঞ্জিরা বন্ধ করলে তার কাছে কেমন লাগে আমি সেই দিন বুঝে ছিলাম ।সবার মাঝখানে একটা চেয়ারে আমাকে বসান হয়ে ছিল।আমার কাছে মনে হয়ে ছিল আমি চিড়িয়াখানার জন্তু। আমার সেই সন্মানিত ব্যক্তিও সেখানে আছেন বলে আমার মনে হল।আমাকে বলা হল আমার সামনের জন কে সালাম করতে ।আমি কাল বিলম্ব না করে কদম বুচি করলেই আমাকে বললেন আমি তোমার বাবা । বড় ঘোমটা থাকায় কানে শব্দ এলেও চেহারা দেখতে পারিনি।তাই নিজেই সমস্ত ভয়কে তুচ্ছ মনে করে নিজের ঘোমটা সরায়ে আমার জীবনের প্রথম বাবাকে বাবা রুপে দেখে নিলাম।আর ভাবলাম ছাতা মাথার সেই সন্মানিত ব্যক্তিই আমার বাবা ছিল। বাবা আমাকে আমার বয়সের তুলনায় বড় বড় দেবর ননদের দিয়ে আমাকে সালাম করাল।আমি ভাবি হিসাবে তাদের ছোট বলে তারা যেন আমাকে অসম্মান না করে।একদিকে বাবা পাওয়ার আনন্দ অন্য দিকে এত বড় বড় দেবর দের থেকে পাওয়া সম্মান ।আমার কাছে ঐ মুহুত্যের অনুভুতি প্রকাশ করার মত ভাষা জানা নাই।

আমার পড়ায় যেন বেঘাত না ঘটে তাই বাবা আমার স্কুলে গিয়ে আমার পড়ার খোজ খবর নিতেন। কারন বাবা ছিলেন মানুষ গড়ার কারিগর ।বাবা বেতন পেলেই কিছু না কিছু নিয়ে আমার কাছে হাজির হতেন ।নিজের ছেলেকে শিখাতেন কি ভাবে আমার যত্ন নিবে।আমার মায়ের কাছে বেড়াতে গেলে আমার কিশোরী মন ভাল থাকবে ,এটা বাবার চেয়ে বেশি কেউ বুঝত না। আমি দেশে গেলে বাবা আমার আরামের জন্য আমার ছোট ছোট বাচ্চাদের সেবা যত্ন করতেন।আবার আমাকে সান্তনা দিয়ে বলত “আর কয়টা দিন কষ্ট কর দেখতে না দেখতেই ওরা বড় হয়ে যাবে”। বাবা খুব সুন্দর করে আমার নাম ধরে ডাকত ।আমি আজও আকাশে বাতাসে আমার বাবার সেই ডাক শুনতে পাই।

আমি জানতাম না মুড়ী মাংস ভাজি দিয়ে খায়।বাবা আমাকে বাচ্চার মত নোকমা ধরে তা খাওয়া শিখিয়েছেন।বাবার সাথে আমাকে খেতে বসতে হত ।ভাল ভাল সব খাবার বাবা আমার পাতে তুলে দিতেন ।অনেক খাবার খেতে ইচ্ছা করত না কিন্তু বাবা মনে কষ্ট পাবে তাই খেয়ে নিতাম ।এতে আমার বাবা কি যে খুশি হতেন ।বাবার শখ ছিল পানের সাথে আদা আর আখের গুড়ের শরবত খাওয়ার।হাজার ব্যস্ততার মাঝেও বুঝতাম বাবা কখন কি খাওয়ার জন্য ডাকছেন।তা নিয়ে হাজির হতাম।বাবা কোথাও বের হওয়ার আগে ধোয়া পাঞ্জাবীটা হাতে তুলে দিলে বাবা কি যে খুশি হতেন ওটা দেখতে আমার খুব আনন্দ লাগত। বাবার প্রিয় খাবার গুলো সামনে নিয়ে দিলে ছোট বাচ্চার মত একটা হাসি দিতেন।ঐ হাসিটা আমার মনের আয়নায় এখন প্রতিফলিত হয়। গোসলের আগে বাবা মাথায় ,হাতে ও পায়ে সরিষার তেল মাখাতেন। আমার মনে হত বাবা আমার বুড়ো ছেলে।

ইসলামের প্রতি ছিল বাবার অগাদ বিশ্বাস। আমাকে তিনি প্রথম শিখিয়েছেন যে, কোকিলের শুরে কোরান শুধু তেলয়াত না করে অর্থসহ বুঝে পড়তে। বাবা ছিলেন ন্যায়নীতিতে ব্জ্রকঠিন।পেশা ছিল শিক্ষতা।তাই তিনি একজন আদর্শবান শিক্ষক ছিলেন।উনাকে আমার মনে হত মানুষ গড়ার কারিগর।বাবার শত শত ছাত্র এখন বাবাকে শ্রদ্ধাকরে স্মরন করে।বাবার নয় ছেলে মেয়ের কাউকে অমানুষ হতে দেন নাই। তিনি কঠোর পরিশ্রমী হওয়ায় ছেলেমেয়েদের পরিশ্রমের শিক্ষা দিতেন।গ্রামের বিচার গুলোতে বাবা না গেলে হতই না।বাবা ছিলেন দয়ার সাগরের ঝিনুকের ভিতরের মুক্তা।গরীবের কষ্ট বাবা সহ্য করতে পারতেন না।তাদের বন্ধু হয়ে তাদের পাশে দাড়াতেন।একবার একটা কুকুরের পা ভেঙ্গে পচন ধরে।রাস্তা থেকে তাকে তুলে এনে নিজ হাতে তার সেবা যত্ন করে সুস্থ করেন।

বাবা ঢাকায় আমার বাসায় বেড়াতে আসলে বাবাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতাম।রমনা পার্কে নিয়ে আসলেই বাবা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতেন,”এত জায়গা খামাকা খালি ফেলে রেখেছে।আমার ছেলেকে একটূ জ়ায়গা দিলে একটা বাড়ি করতে পারত”।এখন আমার বাসা আলহামদুলিল্লাহ রমনা পার্কের পাশে কিন্তু বাবা কে তা দেখাতে পারলাম না।বাবাকে দেখাতে নিয়ে গেলামচিড়িয়াখানা।সেখানেও তিনি অনেক কষ্ট পেয়ে বললেন ,”নিরীহ পশুদের এই ভাবে আটকায়ে রেখে কষ্ট দেওয়ার মানে কি ?এখানে ওদের খুব কষ্ট হচ্ছে।“

১৯৮৯ সালের ১লা অক্টোবর সন্ধায় বাবা আমার কাছে এসে হাজির।উনাকে পেয়ে আমার মনে হল আমি পুর্ণিমার চাঁদ আমার হাতে পেয়েছি।খাওয়া দাওয়ার পর অর্ধেক রাত পর্যন্ত বাবার মনের সব লুকানো জমা কথা আমাকে বলল।পরের দিন উনাকে নিয়ে ওনার জন্য মার্কেটিং করলাম।ছেলে জাপান থাকাতে আমার এই দায়িত্ত পালন করতে হল।৩রা অক্টোবর বাবা আমাকে ডেকে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিলেন তিনি আর দেশে যাবেন না।জাপানের ছেলেকেও লিখে দিলেন,”আমি আর আমার মেয়ে আনন্দের সাথে সময় কাটাচ্ছি।তাই আমি আর দেশে যাব না।“

আমার ছেলেদের গোসলের সময় বাবা ছোট মাসুম বাচ্চার মত আমার বাথরুমের সামনে এসে বসে থাকত।চেয়ারে বসায়ে উনাকে গোসল করায়ে দিলে কি যে খুশি হত।অন্য ছেলেদের বলত এই রকম একেকটা গোসলের দাম ৫০০ টাকা।আমি শুধু ওনার দোয়াটাই আসা করেছি ।৮ম অক্টোবর সকালে নাস্তা খাওয়ার পর বাবা আমায় ডেকে আমার হাতে একটা চেকের পাতা ধরায়ে দিলেন।ভীত সন্ত্রস্ত মনে নরম গলায় বাবাকে জিজ্ঞাসা করলাম” বাবা এটা কি দিলেন?বাবা খুব গম্ভীর গলায় উত্তর দিলেন “তোমার একাউন্টে জমা দিও”।ওনার ছেলে ৫বছর পর জাপান থেকে আসলে আমি প্রথম এটা খুলে তার হাতে দিয়ে বলি “ধর এটা আমাদের দোয়ার সার্টিফিকেট” তত দিনে বাবার একাউন্ড শুন্য।

১০ অক্টোবর দিবা গত মাঝ রাতে আমার রুমের দরজায় বিকট আওয়াজ় শূরু হয়।ভাবলাম বাড়ীতে ডাকাত এসেছে।তড়িগড়ি খুলে দেখি তা না।দৌড়ে গেলাম বাবার রুমে,গিয়ে যা দেখলাম তা ভাবতে বা বলতে গেলে আমার দুই নয়নের লোনা পানির প্লাবন এখন ধরে রাখতে পারি না।আমার বাবার হাস্যুজ্জল চেহারাটা কি যেন এক কষ্টের বিষক্রিয়ায় নিলাভ রং ধারন করল।আমাকে দেখে বাবা শেষ বারের মত হৃদয়ে সমস্ত ভালবাসা মাখানো একটা ডাক দিয়ে বলল,”পারভীন আমার সময় শেষ,একটূ বূকে পিঠে তেল মালিশ কর।” আমি আমার জানা সব দোয়ার ভান্ডার উজার করে তেলের সাথে মিলিয়ে মালিশ করছি।বাবা ততই নিস্তেজ হয়ে পড়ছেন।

আমার মনে হল মৃত্যুদূত তখন আমার দিকে তাকায়ে হাসছে আর বলছে, “মিছে এই জ়ীবনের রং ধনুটা,মুছে যাবে একদিন জেনে নাও।থাকতে সময় খোদার রাহে নিজের জীবনটা সফে দাও।এই ধরার মিছে মায়া বন্ধন,ভালবাসা মিছে এই ক্রন্দন।ভেঙ্গে যাবে একদিন এই ঘর,থাকবে না চিরদিন এই বাসর।জীবনের এই পরিনতি সর্বদা সবখানে মেনে নাও।এই জীবনে এসেছে প্রভাত ,সন্ধার সাথে হবে মোলাকাত।এই জীবনে আসবে সমাপ্তি,বন্ধ হবে যত প্রাপ্তি।কত আর করবে গাড়ী বাড়ী, পড়ে রবে যত সব গহনা শাড়ি।মুছে যাবে সকল অহমিকা,যেতে হবে শুধু একাএকা।সব ভুলে রুজু হও খোদার পথে ,মুক্তির পথ যদি পেতে চাও।

বাবার নিস্তেজ,নিরব,নিস্প্রান দেহটা ধরে যখন বাবা বাবা বলে কান্দছিলাম তখন মনে হল কে যেন বলছে আমাকে আজই শেষ তোমার বাবা ডাক।সত্যি আমি আর আমার বাবাকে কোন দিন ডাকতে পারি নাই।শত শত মাইল দুর থাকা আমার ছেলেদের খবর নেওয়ার ব্যবস্থা আল্লাহ করে দিয়েছেন।কিন্তু আমার বুড়ো খোকাটা আমাকে ছেড়ে কবর দেশে নিঝুপ নিরালায় কেমন আসে তা আমি জানতে পারলাম না।আল্লাহর কাছে যখন মা-বাবার জন্য আল্লাহর শিখান দোয়াটা পড়ি কান্না করি তখন বাবার জায়গায় আমার এই বুড়ো ছেলেটার ছবি আমার হৃদয়ের আয়নায় ভেসে উঠে।ইয়া রাহমানের রহিম আপনি আমার বুড়ো ছেলে টাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেদিন।তাতে আপনার কোন ক্ষতি হবে না।সদ্গায়ে জারিয়া হিসাবে আমাদের দোয়া কবুল করে নিন। আপনারা ও আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।আমিন আমিন আমিন ।

বিষয়: বিবিধ

৪৫৫৯ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

272737
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০২:৩৪
অসহায় মুসাফির লিখেছেন : সত্যলিখন আপু, বুড়া মিয়া ভাইয়ার ব্লগে আপনার কমেন্ট পড়ে আপনার সম্পর্কে যে concept create হয়েছিল,আপনার এই লেখাটা পড়ে তা পূর্ণতা পেলো। আপনার আর আমার মা-বাবার মাঝে চমৎকার সাদৃশ্য খুঁজে পেয়েছি।আল্লাহ আপনার শশুরকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুক এই দোয়ায় রইল।
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৪:২২
216850
সত্যলিখন লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ ।আমি উনাদের মত কোন দিন হতে পারব না ।কারন আমি অনেক গুনাগার ।আল্লাহ উবাদের নেকহায়াত ও সুস্থ্যতা দান করুন ।আপনাকেও দুনিয়া ও আখিরাতে উত্তম প্রতিদান দান করুন ।
272738
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৩:২১
বুড়া মিয়া লিখেছেন : আপনেগো মতন শ্বশুর-শ্বাশুরীর সেবা করার মানসিকতার বউ পাইলে তো চুমাইয়া অস্থির কইরা রাখতাম আরও বেশি আনন্দিত রাখার জন্য!
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৪:১৮
216849
সত্যলিখন লিখেছেন : আমরা ভাই আদিম কালের ।এখন ডিজিটেল যুগে আরো উন্নত আচরন দেখবা । এখন কি আর আগের মত অজ্ঞ অশিক্ষিত মেয়ে পাবা?
১০ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৬:১১
216866
বুড়া মিয়া লিখেছেন : না পাইলে কি আর করার! এমনেই পার হইয়া যাবে জীবন ...
১০ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৩
216975
সত্যলিখন লিখেছেন : আপনি আমাকে গৃন্নির ফোন নাম্বার টা https://www.facebook.com/parvins3
আমার ফেইজবুকে মেসেজ বক্সে পাঠান ।আল্লাহর সাহায্য চেয়ে আব্বু বুড়া মিয়ার ভবিষ্যতের জন্য মা এর মাঝে ওয়াতওয়া সাওবিল হক্কে আর বাবার মাঝেওয়াতওয়া সাওবিল সবর এর কাজ টা করতে পারি কিনা । আল্লাহ রহমত দিলে সব ঠিক হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ ।
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৮:৫৯
217047
বুড়া মিয়া লিখেছেন : আপনার সহানুভূতি জেনে বেশ ভালো লাগলো; কেউ কাউকে বোঝাতে পারে না, নিজে চেষ্টা না করলেঃ তারা বুঝবে বলে আমার মনে হয়-নি! তাছাড়া তাদের জীবন তারাই গড়ে নিক!

দোয়া রাখবেন আমার জন্য।
272741
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৩:৫২
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : অসাধারন একটি বাস্তব স্মৃতি কথন! সত্যি আপনি ভাগ্যবতী এমনভাবে উনার সেবা করতে পেরেছিলেন! আল্লাহ আপনাদের কবুল করে নিন! আপনার শ্বশুরকে জান্নাতবাসী করুন! Praying

আপু,কত বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিলো আপনার? শাড়ি তুলে শ্বশুরের নিকট দৌড় দেয়ার ঘটনা পড়ে সত্যি হাসছিলাম আমি!

শুভকামনা ও দোআ রইলো আপনাদের প্রতি Praying Good Luck Rose Love Struck
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৪:১৪
216848
সত্যলিখন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।১২্ বয়স ক্লাস এইটে বিয়ে হয় । তার আগের মাসে ক্লাসমিট নেপুরের বিয়ে হয় ।আমি ওর থেকে বিয়ের বর্ননা শুনে আপু আজো দাদী হয়েও ভয় পাই। তাই শ্বশুরকে দেখে খুব প্রিয়জন মনে হয়েছে। তাই আর কারো দিকে তাকাই নাই । আমার বাবা বন্ধুর মত আমার সাথে সব কিছু আলাপ করতেন । বেতন পেলে আমার কাছে এনে জমা রাখতেন ।তাতে নাকি উনি টাকার অনেক বরকত পেতেন। আজ কেন জানি বাবার জন্য অনেক খারাপ লাগছে । আপু আমি এমন এক অভাগী যারা আমাকে বেশী ভালবাসে তারাই আমার থেকে হারিয়ে যায় ।আর আমার বুকে একটা ক্ষত রেখে যায় ।যেখান থেকে পেইন আর অশ্রু ধারা বইতে থাকে ।আল্লাহ তোমাকে উত্তম পুরুস্কার দান করুন আমিন ।
272743
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৪:০৬
কাহাফ লিখেছেন :

অসাধারণ নান্দনিকতায় স্মৃতির উপাখ্যান ফুটিয়ে তোলায় অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা.....
১০ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৮
216978
সত্যলিখন লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ ।আমার ব্লগে আসার জন্য আল্লাহ াপনাকে দুনিয়া ও আখিরাতে উত্তম প্রতিদান দান করুন ।আমিন


272749
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৪:৩৬
শেখের পোলা লিখেছেন : সুন্দর বেদনাময় স্মৃতি৷ ভাল না লেগে উপায় নেই৷ বাবাও যেমন তাঁর কন্যাটিও তেমন৷ এমন বাবা আর এমন কন্যায় আমার দেশ ভরে উঠুক, আর বিশ্ব চেয়ে দেখুক আমাদের সামজিক বন্ধন কত মধুর আর উন্নত৷ শুধু বাবার জন্য নয় আপনার জন্যও দোওয়া রইল৷ধন্যবাদ৷
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:১৮
217069
সত্যলিখন লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ ।আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

আপনার ধারনা আমার বাবার জন্য ১০০% ঠিক হলেও আমার জন্য তা একেবারেই ভুল ।এর চেয়ে হাজার হাজার গুন বেশী যোগ্যতা সম্পন্ন কন্যায় বাংলার পুরুষদের হৃদয় ও সংসার ভরে আছে । যারা প্রতিনিয়ত জোনাকীর মত আলোকিত করে রেখেছে স্বামী পদ্ম ফুলের মত বিকশিত হৃদয় ও স্বামীর সংসার ।আমাকে মা বলতেন বোকা মেয়ে ,স্বামী বলেন বোকা বউ ছেলেরা বলে আমাদের মা ব্যাক ডেটেট আর আমার সন্মানিত শিক্ষক দাদা আমাকে জ্ঞান দান করতে গিয়ে যখনি ক্লান্ত পরিশ্রান্ত হয়ে যেতেন তখন ডাকতেন পাগলী বলে ।এর পরেও কি বলবেন এমন কন্যায় দেশ ভরে উঠুক।

তবে আমি জানি না কাউকে স্বার্থের জন্য ভালবাসতে ।আমি জানি না কাউকে ভালবেসে ভুলে যেতে ।আমি জানি না আমাকে যারা নুন্যতম ভালবাসা দিয়েছে বা এখন ভালবাসে যার উপোযুক্ত আমি না সেই ভালবাসার ঋন শোধ করার মত পৃথিবীতে এর চেয়ে মুল্যবান কিছু আছে । তাই আমি জানি আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ভালবাসি আর নিশচইয় আল্লাহ আমার সাথে আছেন তাই তাদের সবার এই অমুল্যধন ভালবাসা আমাকে দেওয়ার জন্য এর বিনিময়ে আল্লাহ তাদের সবাই কে যেন দুনিয়া ও আখিরাতে জান্নাতুল ফেরদাউসের সুখে তাদের জীবন ভরে দিক । কমেন্টস বড় হয়ার জন্য ক্ষমাপার্থী। আবার আমার ব্লগ বাড়িতে আসার নিমন্তন রইল।



১১ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৮:০৫
217154
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনার ব্লগ বাড়িতে আমি নিয়মিতই আসি আর আপনাকে আপনার লেখার মাঝেই খুঁজে পেয়েছি৷ দুনিয়ার তাবৎ ভাল মানুষেরা অপরের কাছে বোকা বলেই পরিচিত হয়৷ তার পরও আমি চাই এমন বোকারাই দেশে ভরে থাক৷ আমার আফসোস হয় যদি আমাকেও সবাই বোকা বলত৷ ভাল থাকেন৷
272759
১০ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৬:০১
ওরিয়ন ১ লিখেছেন : আল্লাহ আপনাকে ও আপনার বাআবকে জান্নাত বাসী করুক, আমীন।
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৯:৩৫
217059
সত্যলিখন লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ ।আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

272768
১০ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৬:৪০
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : শ্বশুরের প্রতি আপনার অগাধ শ্রদ্ধা দায়িত্ববোধ দেখে আমি অভিভূত!!! শুধু উনার দোয়া আপনার জান্নাতের যাবার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে।

একজন আদর্শ পূত্র বধু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেলেন। দুঃখ করবেন না, আপনার বাবার সাথে নিশ্চই জান্নাতে দেখা হবে, দেখা হওয়া মাত্রই দৌড়ে গিয়ে কদম বুচি করে নেবেন, উনি যে কি খুশি হবেন, বুকে জড়িয়ে বলবেন, পাগলী মেয়েটা!

আসলে হয়েছে কি, আপনি এইসব না লিখলেও আমি জানি আপনি কেমন মানুষ! যতই শোনেছি আপনার সম্পর্কে ততই ভাল লেগেছে, কারো বিপদের মুহুর্তে গা পিছ না ভেবে তার সেবায় ছুটে যাওয়া, আপনার পক্ষেই সম্ভব!

আল্লাহ আপনাকে প্রত্যেক্টি কাজের যথাযথ প্রতিদান দিন। আমিন। আর হা আপনার বাবার সর্বোচ্চ পুরুষ্কার কামনা করছি।
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৯:৩৫
217058
সত্যলিখন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
আল্লাহ মাফ করুন । আমি পাপী নগন্য অজ্ঞ আলহামদুলিল্লাহ ।আল্লাহর এক গোলাম।আমার অনেক কিছু করা উচিত ছিল বলে আমার কাছেই আমাকে আজ কেমন অপরাধী ্লাগছে। আল্লাহ আপনার অন্তরের গভীর থেকে আসা দোয়া আমার জন্য আপনার জন্য আমাদের মা বাবার জন্য ও সকল মুমিন মুমেনার জন্য কবুল করে নিক ।Praying Praying Praying Praying Praying
১২ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:১৫
217526
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : ওয়ালাইকুম সালাম। আমিন
272807
১০ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১১:১৫
শিশির ভেজা ভোর লিখেছেন : পড়ে আবেগআপ্লুত হয়ে পড়লাম। চোখের কোনার সামান্য লোনা জল খেলা করলো। Sad Sad আল্লাহ আপনাকে ও আপনার বাবাকে বেহেশতের সর্বোচ্চ বাসী করুক, আমীন।
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৯:২৬
217057
সত্যলিখন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ.. আপনাকে আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে উত্তম প্রতিদান দান করুন ।

272818
১০ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ১২:০৬
চেয়ারম্যানের বউ লিখেছেন : খুব ভাল লাগল আপু।
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৯:২৪
217056
সত্যলিখন লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ ।আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

১০
272845
১০ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০১:৪০
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

আগেও কোথায় যেন পড়েছিলাম মনে হয়!


ইয়া রাহমানুর রহিম আপনি আমার বুড়ো ছেলে টাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেদিন। ..সদ্কায়ে জারিয়া হিসাবে আমাদের দোয়া কবুল করে নিন। আমিন আমিন আমিন ।

সবার বাবা-মার জন্য দোয়া রইল .. Praying Praying
১০ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৯:২১
217055
সত্যলিখন লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম । ঠিক বলেছেন ।আরেকবার সোনার বাংলা ব্লগে দিয়েছিলাম।


Praying Praying Praying
১১
273047
১১ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৬:৪২
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : নিরীহ পশুদের এই ভাবে আটকায়ে রেখে কষ্ট দেওয়ার মানে কি ?এখানে ওদের খুব কষ্ট হচ্ছে।“নিরীহ পশুদের এই ভাবে আটকায়ে রেখে কষ্ট দেওয়ার মানে কি ?এখানে ওদের খুব কষ্ট হচ্ছে।'- চিড়িয়াখানায় পশুদের বেঁধে রাখার ব্যাপারে আমারও একই অভিমত, একই মত পৃথিবীর জীবনটার ব্যাপারেও। এপাড়ে শুধু পরীক্ষা আর পরীক্ষা- আল্লাহর পরীক্ষা, মানুষের পরীক্ষা। এদিকে যত তাড়াতাড়ি শেষ করে ওদিকে চলে যাওয়া যায় ততই ভাল।
আপনি ভাগ্যবতী, ভাল বাবা পেয়েছেন। তিনি বেঁচে থাকতে তাঁর জন্য যা করার করেছেন, এবার তাঁর জন্য দু'আ করুন, বাবার জন্য মেয়ের দু'আ আল্লাহ কবুল করে নিন Praying Praying Praying
আমার কথাগুলো আপনি আসলেই গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন এবং কথায় কাজে প্রতিফলিত করছেন, আপনাকে আন্তরিক ধনযবাদ আপা Happy
ফাতিমা মারিয়াম আপার সাথে কি আপনার ব্যাক্তিগত পরিচয় রয়েছে?
১২
273753
১৩ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০২:০৫
সত্যলিখন লিখেছেন : আপু আমি কোন দিন প্রাইভেট শিক্ষক এর কাছে টাকা দিয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারি নাই ।যেই সামান্য এক কনিকার চেয়েও নগন্য জ্ঞান নিতে চেষ্টা করেছি জ্ঞানীদের কাছে বার বার গিয়ে গিয়ে বিরক্ত করে। আমার স্কুলের এক স্যার আমাকে দেখলেই বলত আজ আবার কি কি শিখবি মনে করে দেখ।

আপু তোমাকে যেই উদাহরন দিলাম ।তাতে বুঝে পেলেছ আমি যে তোমার ছাত্রী হয়ে গেছি । এখন আমার প্রাইভেট খরচ সারা তোমার থেকে বিরক্ত করে করে নিব কিন্তু ইনশাল্লাহ। আমাকে এই লিখার জগতে আনা আমার সন্মানিত শিক্ষক দাদার মত বিরক্ত হয়ে পালান ছাড়া আমি তোমার পিছু ছাড়ব না। আমি অন্দকারের থেকে তোমাদের আলো থেকে একটু আলো নিয়ে দুনিয়ার সিরাতুল মুস্তাকিমের পথ টা পার হয়ে যেতে চাই । এই ছাড়া আর কোন কিছুর লোভ নেই আমার ।

আমার সন্মানিত বোন ফাতিমা আপুর সাথে আমার ফোনে কথা হয় । অনেক জ্ঞানী একটি বোন । আল্লাহ তোমাদের দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যানকারীদের সাথে শামিল করে উত্তম পুরুস্কার দান করুন ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File