নন্দিত নরনারীর নিন্দিত আচরনে নির্যাতিত সমাজ

লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০২:৫৪:০৭ রাত

নন্দিত নরনারীর নিন্দিত আচরনে নির্যাতিত সমাজ

যৌতকের জন্য স্ত্রীর প্রতি এই নিষ্টুর আচরন



্দাম্পত্য জীবনের কলহের এক পর্যায়ে স্ত্রীর হাতে ্নির্যাতিত স্বামী ।

কি হচ্ছে এই সব

তাসলিদের আচরনে কেন বাবুলেরা মৃত্যুতে ক্ষমা পায়:

আমি কোন লেখিকা নই ।কারন আল্লাহ আমাকে সেই রকম প্রতিভা বা জ্ঞানবুদ্ধি দেন নাই।আপনাদের মাঝে এসে শুধু আপনাদের সময় নষ্ট করার আমার কোণ ঈচ্ছা ছিল না।আমি লেখি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ।২য় আমার প্রান প্রিয় সন্মানিত শিক্ষক দাদার অনুরোধের কথা মনে হলে ৩য় চার পাশের ঘটা ঘটনা গুলো আমাকে যখন খুব কষ্ট দেয় তা থেকে মুক্তি পাবার জন্য।শিক্ষক দাদা বলেছেন”লেখা হলো লেখিকার মনের স্বচ্ছদর্পন”।কিন্তু আমার মন স্বচ্ছ থাকবে আমি যখন সমাজের সবার কথা আমি ভাবতে শিখব।আমি মা /বোন আমার কাছে ছেলে মেয়ে/ভাই বোন দুই সমান ভালবাসার দাবী রাখে।আবার অন্যায়ের শাসনের বেলায় একই ক্ষমতা আমার থাকবে।ছেলে একটা আস্ত মুরগী আর মেয়েকে পায়ের বা গলার হাড় দিব ।তা হবে না।আমার একচোখা নীতি থাকবে না।তেমনি লেখার ক্ষেত্রেও শুধু মেয়ে/বোনদের নিয়ে লেখব আর ছেলে/ভাইদের ব্যাথা কষ্ট পেটের খুদা মনের খুদা আমি যদি না বুঝতে চেষ্টা তা হলে এই ছেলে/ভাই রা কাল আল্লাহর কাঠ গড়ায় আমাকে পাকড়াও করবে।আমি তাদের মনের কথা বুঝার চেষ্টা কেন করিনি।

আমার রসিক পুরুষটা ঘরে ডুকার সময় সালাম বিনিময়ের সময় উত্তর দেওয়ার ভঙ্গিমা দেখেই বুঝেনি আজ সারা দিন উনার বাহিরে কেমন কেটেছে।?াজ দেখেই বুঝেছি উনার মন বা শরীল কোনটা খারাপ।আর সব এসেই আমাকে বলে উনার শান্তি ।তুমি জান তাসিলির আগের স্বামীটা মানে বাবুল আজ মারা গেছে।(ইন্নালিল্লাহে…।) শুনে এতো কষ্ট লেগেছে তাই কষ্টের থেকেই বলেছি বাবুল মৃত্যুর মাধ্যমে বেছে গেছে।সাহেব সাথে আমাকে বলল ,"কি বললে এটা?"আমি বললাম তোমার কাছে শুনতে খারাপ লাগলেও আমি সত্যটাই বলেছি।তুমি বাবুলের জায়গায় নিজেকে দাড় করাও।আর বাবুলের কষ্টটা নিজের উপর দিয়ে ভাব ।বাবুল দীর্ঘ ভালবাসার পর মা বাবার অমতে তাসলিকে খুশি করার জন্য বিয়ে সুখের নীড়ে জান্নাতী সুখে থাকা শুরু করলাম।দুইটা ছেলেমেয়ে হওয়ার পর তাসলির পরামর্শে বাচ্ছাদের মানুষ করা আর সুখের সাম্রাজ্য বড় করার জন্য বাবুল বিদেশে পাড়ি জমায়।মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যা টাকা আয় করত সামান্য কিছু নিজের জীবন বাচানোর জন্য রেখে বাকী সব টাকা তাসলির একাউন্টে রাখতে থাকে।ফোনে খোজ খবর বউ বাচ্ছার নিতে থাকে।

না বাবলুর হৃদয় সাম্রাজ্যের সুখ ছেড়ে সাম্রাজ্ঞী অন্যের ঘরের সাম্রাজ্ঞী হয়ে গেল।বাবলু যার সুখের আশা মিটাতে প্রাবাসী হলো সেই যখন তার সব আশা খেলা ঘরের মত ভেঙ্গে দিল।তখন সে রঙ্গিন স্বপ্ন,বর্নবিহীন বেদনা আর দুই নয়নের ঘোর বর্ষা নিয়ে দেশে ফিরে আসে।বাবুলের জীবনে ভাবনার নদীতে উজানের দিকে বেয়ে চলা জীবন তরীটা চুপিস্বরে অভিমানে বাইতে শুরু করে।বাবলু আশায় আশায় বিরহের সময় কাটায় আর অপেক্ষায় থাকে তাসলি মনে হয় আবার সেই খাচা ভেঙ্গে তার মনের ভাঙ্গা খাচায় পূর্নিমার চাদের আলো হয়ে মনের সব কালো ব্যাথার মেঘ সরায়ে দিবে।আর বাবলু ভীরু ভীরু নয়নে রুপের মাধুরী মিশানো তাসলির মনপাগল করা দুইটি চঞ্চল আখির দিকে চেয়ে থাকবে।তাই দূর হতে কস্তুরী মৃগয়া তাসলির ঘ্রান পাবার জন্য একই এলাকায় বাসা নেয়।বাবুল যা চেয়েছে তা পায়নি যা পেয়েছে তা চায়নি।

তাসলির সাথে পুরানঢাকায় থাকাকালীন থেকে সম্পর্ক।তাই তার বোনের উকিল মা হওয়াতে আমাদের কাকা/কাকী ডাকে।অন্য এলাকায় চলে আসার পরও তাসলি ফোন দিত।আমরা স্বামীস্ত্রী মাঝে মাঝে আমাদের অতীতের স্মৃতি জড়ানো স্থান গুলো ঘুরে ঘুরে স্মৃতিচারন করি।তখন তাসলির সাথে দেখা।তাস্লি কেমন আছো?তাসলি হা হা করে হেসে দিয়ে বলল, কাকী অনেক সুখে আছি আর নানি হয়েছি।আমি জানতে চাইলাম ,বাবুল কেমন আছে?অমনি মুখটা শরতের এক খন্ড কালো মেঘ হয়ে গেল।আর বলল “কাকী ঐ নেশা খোরের কথা বাদ দেন”আমি তখন বুঝতে পেরেছি ছেলেটা ভ্রমরের মত আর কোন ফুলে ফুলে গুঞ্জন না করে স্মৃতি তাড়না থেকে মুক্তি পেতে এই পথ বেছে নিয়েছে।আর তাসলি অনেক সুখি আরো ৩ জনের মা হয়েছে।বাবুল মৃত্যুর মাঝে হয়ত দুনিয়াবী যন্ত্রনা থেকে বেছে গেছে।আল্লাহ তাকে যেন আখিরাতের যন্ত্রনা থেকে মুক্তি দেয়।

কেন মেয়েরা এমন করছে?

আমি কিছু দিন থেকে খুব খেয়াল করছি যে বর্তমানে ছেলেরাও মেয়েদের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে।তাদের দেখে অনেক ছেলে বিয়ে করার চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিচ্ছে।অনেকে ছেলে ভয় পাচ্ছে।অনেকে আবার বিয়ে করেও নিজের আগের সঞ্চিত আত্নসম্মান সব হারাচ্ছে।কারন স্ত্রীর চাহিদা পুরন করার সামর্থ নেই তাই হারাম পথে রুজি করতে গিয়ে নফসের গোলামী করে নিজের সন্মান হারাচ্ছে।আবার এতো দীর্ঘ সময় ধরে ভালবাসা এরপর বিয়ে করে বাঘের গলার কাটার মত না গিলতে পারে না ফেলতে পারে।অনেক ছেলে বিয়ের পরে প্রবাসে গিয়ে এসে আর বউএর চেহারা তো দূরে থাক একটা ফোন পর্যন্ত ধরে না।আবার সামান্য তর্কবিতর্ক্তে স্বামীর গায়ে গরম তেল ঢেলে পুড়ে ফেলছে।আবার এক সাথে অনেকের সাথে প্রেম করছে।আজকাল মেয়েরা স্বামী কে নিয়ে একক পরিবারে বাস করার জন্য বেশি পেরেসান।যা একটা ছেলে প্রথম রাজি হয়না তাই প্রথম শুরু অশান্তি।

উচ্চ শিক্ষিত মেয়েরা কেন এমন করছে?

আজকাল উচ্চ শিক্ষিত মেয়েরা যত শিক্ষিত হচ্ছে তাতে তো আরো বেশি পারিবারিক সামাজিক সুস্থ্যতা বেশি থাকার কথা।আগে আমাদের মা চাচীরা অশিক্ষিত সহজ সরল ছিলো তাতেও উনাদের পারিবারিক বন্ধন অটুট ছিলো।এখন তো মেয়েরা উচ্চশিক্ষার ফলে তাদের জ্ঞান বুদ্ধি বিবেক দিয়ে কিভাবে একজন পুরুষ ওতার পরিবারকে নিজের সুন্দর শিক্ষার আলোকে সাজাতে পারাইতো একজন আদর্শ গিন্নির পরিচয় ।আরে বোন আপনি যার কাছেই সুখ কিনতে যাবেন তারা সবাই পুরুষ।শাড়ির দোকানের সব শাড়ি পছন্দ হয়ে যায় বলে তো সব কিনা যায় না ।একটাই কিনেই মনকে বুঝায়ে ঘরে ফিরে আসতে হবে।তেমনি একজন স্বামীর মাঝেই সুখের সন্ধান করতে থাকেন।স্বামী অন্যায়কারী হলে ইসলামের আপনার জন্য কয়েক ধাপে ধাপে আগানোর ব্যবস্থ্যা করেছেন।আর ভালবাসার নাটাই এর রশি আপনার হৃদয়ের সাথে বাধা থাকলে আর ঠিকভাবে সেই ঘুড়ি উড়াতে জানলে কিভাবে আরেকজনের মনের ঘুড়ির সাথে প্যাচ খাবে।আর যদি খায় তা তো আপনার ব্যর্থতা ।তাই আপনার ভালবাসার বিশ্বাস অটুট রাখুন।বিশ্বাসের ঘরে আগুন ধরাবেন না।তা হলে দুনিয়া আখিরাত সব পুড়ে শেষ।সন্দেহ থেকে দ্বন্দ আর দ্বন্দ থেকে একটা সুখের সোনার সংসার শেষ।

ছেলেরা দিন দিন বোকা হচ্ছে কেন?

ছেলেদের তো মেয়েদের থেকে আল্লাহ দ্বিগুন দিয়েছেন সম্পদ বিদ্যা বুদ্ধি শক্তি প্রজ্ঞা সব কিছু ।সেখানে একজন মেয়ে মানুষ কে কিভাবে সুখি করা যায় তা কি ভাবা উচিত নয়।তুমি যাকে ভালবাস সে তোমাকে ও তোমার পরিবার কে কিভাবে কিরুপ ভালবাসা দিবে তার কায়দা কানুন তো তাকে জানানো দরকার।তাও যদি তার ভালবাসা না পান তাহলে একটা মহা ঔষধ দিলাম।পৃথিবীতে সাইডএফেক্টহীন এমন একটা ঔষধ আছে ,যা একে অন্যকে যত বেশি ডোজ খাওয়াবে তাতে দুই জনই খুব দ্রুত সুস্থ্য হয়ে যাবে। তা হল ভালবাসা । এই টা দিয়ে শুধু বউ না সারা বিশ্ব আপনার হয়ে যাবে । তবে তা ১০০% গেরেন্টি সহ সফলতা পাবেন যদি তা আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য হয় সেই ভালবাসা।

বাবুলরা মরে যাবে কেন?

আপনাকে আপনার বাবা জন্ম দিয়েছেন মা ্দশ মাস গর্ভে রেখেছেন।দুই জনের অনেক কষ্টের বিনিময়ে আজ আপনি ভালবাসার মত হৃদয় পেয়েছেন।আকাশের সব তারা পূর্নিমার চাদ হয়না।তেমনি সবার দাম্পত্য জীবন সুখি হয় না।আল্লাহ আপনাকে শুধু একটা দায়িত্ব দিয়ে দুনিয়াতে পাঠান নাই।অনেক দায়িত্ব পালন করার জন্য দুনিয়াতে এসেছেন।কাল হাশরের মাঠে কি জবাব দিবেন।সব মেয়ে খারাপ নয়,তারা অনেক ভাবে স্বামী সন্তান নিয়ে সুন্দরের মধ্যে বসবাস করছে।

নন্দিত নরনারীর নিন্দিত আচরনে নির্যাতিত সমাজ

ছেলেরা আমাকে বিকালে বাসায় দেখে বলেই ফেলল,আম্মু আজকে আর নফসের সাথে জিহাদ করে আর বের হতে পারলে না”।শয়তানের কাছে হেরে গেলাম।তাই ছেলের কথা মেনে না নিয়ে যুক্তি দেখালাম,শুন আব্বু, হাদিসে মেয়েদের জন্য ৪টা কাজ করলে আটটা জান্নাত দেওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন।আলহামদুলিল্লাহ তা করার প্রানপন চেষ্টা করছি।হাদিসটা হলোঃ।

রাসূল (ছাঃ) বলেন, যেকোন স্ত্রী(১) নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায়করে(২) রামাযানের ছিয়াম পালন করে।(৩) লজ্জাস্থানের হেফাযত করে এবং(৪) স্বামীর আনুগত্য করে,সে জান্নাতের যেকোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে।(আবু নঈম, মিশকাত হা/৩২৫৪, )।

আম্মু তা হলে বলেন,

এই চারটা কাজ করা মেয়ে তৈরী করবে কারা?

চিন্তা করে দেখলাম আসলে তো কথা ঠিক।আমরা যদি এই চারটা কাজ করার মত মা তৈরী না করি তা হলে ঐ মা তো সেই রকম মেয়ে ছোট বেলা থেকে তৈরী করবে না।আমাদের এই রকম ঘরে বসে থেকে ইসলামের কাজ গুলো না করার ফলে ঐ ৪টা কাজ করা মেয়েদের সংখ্যা খুব দ্রুত কমে যাচ্ছে।এতে করে আমাদের পারিবারিক জীবনে সুষ্ঠতা, সুস্থ্যতা,শান্তিওশৃংখলা এবং পবিত্রতা ও মাধুর্য সম্পর্ক দিন দিন নদনদীর ভেঙ্গে এক মহা বিপর্যরের দিকে প্লাবিত হচ্ছে।এই বিপর্যয় থেকে পারিবারিক জীবনের পুর্নগঠনের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় উপায় আর কার্যকর ব্যবস্থ্যা নিতে হবে।তা না হলে বিধর্মী প্রাচাত্য দেশ গুলোর মত য়ামাদের দেশেও বিয়ে ও দাম্পত্য জীবন টা একটা পুতুল খেলার মত হয়ে যাবে।সামান্য দুর্বলতা আর নুন্যতম অসামঞ্জস্যতা দেখা দিলেই বিশাল ইমারতের মত ভালবাসার সুউচ্চ অট্টালিকার দাম্পত্য জীবন নিমিশেই চোখের পলকে ভেঙ্গে চুরমার হয়ে পড়ছে সন্তান,দুই পক্ষের পরিবার ওআত্নীয় স্বজন সহ সমাজের উপর।

সমাজের অনাকাঙ্গিত আচরনের জন্য দায়ী কারাঃ

একটি মানব সমাজের শান্তি শৃংখলা,স্থিতিশীলতা,অগ্রগতি ,সুস্থ্যতা ওদৃঢ়তা ইত্যাদির মৌল ভিত্তির ইউনিট হলো একটি পরিবার।আর এই পরিবারিক জীবনের কাঠামো গড়ে উঠে স্বামী স্ত্রী মা বাবা ভাই বোন সন্তান ওআত্নীয় স্বজন নিয়ে।সুখি সুন্দর পরিবার ও পারিবারিক জীবন গঠনের স্বপ্নে আমরা সবাই বিভোর। এই পারিবারিক জীবনে সবার মাঝে ভালবাসা নড়বড় আর ভারসাম্যহীন হয়ে গেলে পুরো সমাজের সভ্যতা নষ্ট্য হয়ে যায়।কারো মতে এর জন্য প্রথমে স্বামী দায়ী আবার কারো মতে স্ত্রী দায়ী। আমার মতে সবার মাঝে ইসলামের বিধান ও রাসুল সা; এর সুন্নাহ মাফিক গনতান্রতিক মনোভাব থাকলে আর কেউই দোষী হয় না।

ছেলেমেয়েরা কেন আজ নির্যাতিতঃ

মেয়েরা কি চায়?আপনাদের কাছে ছোট্ট একটু ভালবাসা ।আর সেই ভালবাসার উপর ভিত্তি করে অনেক স্বপ্ন দেখে আর আনন্দে প্রজাপতির মত আপনার চার পাশে ঘুরতে থাকে আর খেলা করতে থাকে আপনার ভালবাসার সবুজ উদ্যানের সদ্য ফোটা ফুলে ফুলে নিজের মনের আনন্দের কথা গুলি গুন করে বলতে থাকে।দুনিয়ার মোহে অনেক কিছু পাবে সেই টা মনে আসে না শুধু চায় ময়ুরপঙ্গি হয়ে আপনার নয়ন ভুলাবে।সে চায় দুনিয়া আখিরাতে তার মনের মত করে আপনাকে আর আপনার সংসার টাকে সাজাবে।কারন সে আপনাকে অনেক ভালবাসে।আপনাকে নানান ভাবে সে বিনোদন দিতে চায়।আপনার বিরোহে আপনি জানে না একজন প্রবাসি স্বামীর স্ত্রী দীর্ঘ দিন রাত মাস বছর অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকে।আপনার সুখের জন্য নিজের সুখকে কোরবানী করে দিতেও সে দ্বিধাবোধ করে না।কারন একজন স্বামী একজন স্ত্রীর মাঝে ২৪ঘন্টা বসবাস করতে থাকে।স্বামীর ভালবাসা কে কেন্দ্রে রেখেই সে প্রানপন ছুটতে থাকে সংসার ও সন্তানের পিছনে।আর একজন পুরুষ চায় সারাদিন পরে ঘরে এসে একজন নমনীয় নারী নিয়ে সুখে থাকতে।আর স্ত্রী পুরুষের মত ব্যবহার করলে চুম্বকের সমমেরুতে বিকর্ষন আর বিপরীত মেরুতে আকর্ষন ভালবাসায় দাম্পত্য জীবনে এসে যাবে।

আপনি যদি বাহিরের চাকচক্যে আধুনিক খ্যাতিনামা রূপবানদের অবস্থানে একটা ঘরের বধুকে চান যে রকমারি মজাদার খাবার ,চমৎকার পোশাক ঠিক তেমনি যেমন সুন্দরী কমলাদের নাচ ও আপনাকে আনন্দ বাহিরে দিয়েছিল। এ ক্ষেত্রে আপনার স্ত্রী হয়ে যায় অবজেক্ট। সাবজেক্টের লক্ষ্য চলে যায় বেগানা নারী রা।তখন একটা মেয়ে আপনাকে ভালবাসার কারনে আপনার থেকে পাওয়া সকল ব্যাথা মধুর মত মনে করে চুপ থাকে।কারন সে জানে আপনার চোখের কুয়াশা কেটে যাবে ভোরের আলোর মত ইসলামের জ্ঞান পেলেই চলে যাবে।সব ভুল তখন ভেঙ্গে গিয়ে সম্পর্ক ফুলের পবিত্র হয়ে যাবে।

অসুস্থ্য সমাজ থেকে বাচার উপায়ঃ

বিবাহ মানবজীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মানবসভ্যতার প্রাণকেন্দ্র যে পরিবার, তার ভিত্তি হচ্ছে বিয়ে বা বিবাহ। মানবজাতির ধারাবাহিক অস্তিত্ব এই বিবাহ প্রথার ওপর নির্ভরশীল।তাই ১ক্ষমাশীল ও একে অন্যের দোষত্রুটি ভুলে যান: যখন হজরত মুহাম্মদ সা: তাঁর সাহাবীদের জিজ্ঞেস করলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করে দিন, এটা কি তোমরা কামনা করো?’ তারা বললেন, হে আল্লাহর নবী সা:, অবশ্যই। তিনি বললেন, তাহলে একে অপরকে ক্ষমা করে ২নমনীয় ওবিশ্বস্ত আর ন্যায়ানুগ হওয়া সাধারণত যখন আমরা রেগে যাই কিংবা অসন্তুষ্ট হই, তখন আমরা আর ন্যায়সঙ্গত আচরণ করি না।৩চিত্তবিনোদন ও আমোদপ্রিয় হওয়া : বিবাহিত জীবনে রোমান্স বজায় রাখার একটি নিশ্চিত উপায় হলো, নিজ স্বামী বা স্ত্রীর সাথে হাসি-তামাশা করা। দিলদরিয়া হওয়া ও সহায়তাকারী হওয়া: দম্পতির একে অন্যের প্রতি সৎ না হলে ভুল বোঝাবুঝি হয়। রাসূল সা: উপদেশ দিয়েছেন, ‘জীবনসঙ্গী বা সঙ্গিনী হিসেবে একজন ধর্মভীরু মুসলমানকে খোঁজ করবে।’ আমাদের অবশ্যই এই উপদেশ মেনে চলতে হবে। এর কারণ হলো, তাদের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান লক্ষ্য আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি। ৪ভুলের স্বীকৃতিদাতা ও প্রশংসাকারী হওয়া : সদুদ্দেশ্যে প্রশংসা করা হলো আপনার স্বামী বা স্ত্রীর মন জয় করার খুবই সস্তা একটি উপায়। ‘আমরা কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে নই’। তা মনে রাখা।আকৃষ্ট হওয়া ও অনুভূতির ব্যাপারে সতর্ক হওয়া : নবী করীম সা: বলেছেন, ‘আমরা যদি তওবা করি, আল্লাহ সব গোনাহ মাফ করে দেবেন। তবে যেসব গোনাহ করা হয়েছে একে অন্যের বিরুদ্ধে যেমন অপরের অনুভূতিতে আঘাত দেয়া তা মাফ করা হবে না; যে পর্যন্ত না ওই ব্যক্তি আগে মাফ করে দেয়।যৌতুক বিহীন দাম্পত্য জীবন গড়ে তোলা একজন্য স্ত্রীকে অত্যাচার করে কোন পুরুষ বড় কিছু হয় নাই।

কোরান একজন নরনারীকে মুমিন মুত্তাকিন মুহসিনিন সন মিলিয়ে একজন অল রাউন্ডার মুসলমান বানায় । যার উদাহরন সাহাবায়ে কেরাম আমাদের জন্য শিক্ষা হিসাবে রেখে গেলেন । আপনিও ইচ্ছা করলে বেটিং ফিল্ডিং সবই কিছুতে দক্ষতা দেখায়ে মাঠ ছেড়ে যাবার সময় ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হয়ে আখিরাতে চলে যেতে পারবেন ইনশাল্লাহ ।

বিষয়: বিবিধ

৩১৬৪ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

268819
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৩:০২
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : অসাধারণ।।।
০২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০২:১৬
214618
সত্যলিখন লিখেছেন :
268828
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৪:১১
কাজী লোকমান হোসেন লিখেছেন : পুরো পোস্ট পড়ার এই টুকু বলতে চাই , সামাজিক অবক্ষয় দূর করতে না পারলে এবং ছেলেমেয়েদের নমনীয় মনোভাব হতে না পারলে যুগে এমন ঘটনা দেখতে হবে পড়তে হবে , আর পরিবার , সংসার নিয়ে উপদেশ গুলো মাথায় রাখার চেষ্টা করবো , অসাধারন লিখেন আপনি , তারপরেও বলেন আমি লেখিকা নই , প্রিয় তে নিয়ে গেলুম , Rose অনেক ভালো লাগলো Rose , এই রকম লেখা আরও চাই , ধন্যবাদ Rose
০২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০২:০৫
214615
সত্যলিখন লিখেছেন :
268895
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:১৬
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : সময় না থাকলেও আপনার লিখা কষ্ট করে হলেও পড়ার চেষ্টা করি!!!! যথেষ্ট ভাল লেগেছে লিখাটি। আপনাকে অনেক ধন্যোবাদ। আরো কিছু লিখতে ইচ্ছে মৌলিক কিছু, কিন্তু পারছিনা হাতে সময় নেই
০২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০২:১৫
214617
সত্যলিখন লিখেছেন :
268924
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:২১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ভালো লাগলো অসাধারন লিখাটি।
আমারা এখন জিবনের গভিরতা কে অনুভব করতে চাইনা। কেবল অর্থ আর সন্মান এর পিছনে ছুটি। আর ভুলে যাই স্রষ্টাকে।
০২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০২:০৬
214616
সত্যলিখন লিখেছেন :
270627
০১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:২৪
বিন হারুন লিখেছেন : جـــزاك الــلـــه خـــيــــر
০২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০২:১৬
214619
সত্যলিখন লিখেছেন :

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File