শেষ পর্যন্ত লাভলীর প্রবাসী স্বামী আজ তালাকনামা পাঠাল
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১১:৪৮:১৮ রাত
লাভলীর প্রবাসী স্বামী আজ তালাকনামা পাঠাল
ডাক্তারের সব কথা সব সময় মানা যায় না।আর শিক্ষকের সব আদেশ সব সময় পালন করা যায় না।আমার সন্মানিত শিক্ষক দাদার সব আদেশ আমি আজ মেনে চলতে প্রানপন চেষ্টা করি।কিন্তু দাদার আদেশ ছিল,প্রতি দিন কিছু না কিছু লিখতে তা না হলে লিখার অভ্যাস গড়ে উঠবে না।এটা আমার মত বিবেক বুদ্ধিহীণ বেক্কেল আর রুগীদের জন্য এক রকমের জুলুম।কারন ইঞ্জিন না চললে বহু দামী গাড়ি অচল।আর মন না চললে বহু দামী কলম অচল।তাও বসলাম মনকে জোরে থাক্কা দিয়ে যতটুকু নেওয়াযায়।
আমার দ্বীনি বোন রহিমা আপার একমাত্র মেয়ে লাভলী।অতি আদরেই মা বাবা অনেক স্বপ্ন দেখে মেয়েকে নিয়ে।দেশে বেড়াতে যায় বাবা মা সহ।প্রবাসী হেলাল দেশে সেই সময় বেড়াতে আসে আর লাভলীকে দেখে পছন্দ হয়ে যায়।লাভলীর মামা কে হেলাল রাজী করায়ে দিন তারিখ করে লাভলীদের জানায়।রহিমা আপা বড় ভাইর উপর আর কথা বলতে দেন নাই স্বামীকে।প্রাবাসী ছেলে শিক্ষা লাভলীর ছেয়ে কম হলেও বড় লোকের ছেলে আবার জাতের দিক থেকে গ্রাম্যসমাজে নাম ডাক ভালো।লাভলীর মতামত না নিলেও স্বল্প শিক্ষিতহেলালের ভালবাসায় উচ্চ শিক্ষিত হয়েও মেয়েটি অভিভাবকদের উপর আর কোন আপত্তি তুলেন নাই।
রহিমা আপার পরিবারে আনন্দের মহা ধুম ধাম,হাস্যুজ্জোল লাভলীর কথার মাঝে মাঝে লাভন্যময়ী হাসির সাথে হেলাল এর নাম।হাতে মেহেদী গায়ে হলুদের ঘ্রান ২ মাসে না শুকাতেই আল্লাহর রহমতে রহিমা আপা সুংবাদ দিলেন মেয়ে অন্তঃসত্তা।আনন্দের সাথে আলহামদুলিল্লাহ জানালাম।একমাস পরেই হেলাল প্রবাসে চলে যায়।প্রথম প্রথম খুব যোগাযোগ করলেও পরে আস্তে আস্তে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।আর হেলাল তার পরিবারের সবাইকে বলে দেয় সব গয়না শাড়ি রেখে কৌশলে যেন ঢাকা লাভলীর বাবার বাসায় তাকে পাঠায়ে দেয়।তারা নিষ্টুর ভাবে লাভলীকে এক কাপড়ে পাঠায়ে দেয়।
একজন ফুটফুটে মেয়ের মা হিসাবে লাভলী কোন খরচ বা খবর হেলাল থেকে না পেয়ে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে তারা এই বাচ্ছা তাদের ছেলের বাচ্ছা না।তাই তারা এই বাচ্ছা ও মাকে গ্রহন বা বরন পোষন বহন করতে পারবে না।কারন দেশের হিসাবে ঢাকায় লাভলীদের তেমন কিছু নেই ।কারন তার বাবা একজন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মজীবি ।বাসা হেলালের কাছে তেমন পছন্দ হয় নাই। আবার সেই ভাবের আশা অনুরুপ আসবাবপত্র বা যৌতুক পায় নাই । অজুহাত হিসাবে দাড় করিয়েছে কে বা কাহারা হেলাল কে বলেছে লাভলীর বিয়ের আগে অন্য ছেলের সাথে প্রেম ছিলো।যা হেলাল ঢাকায় লাভলীদের বাসায় বেড়াতে আসার পরে এলাকার কোন ছেলে তাকে প্রাবাসে যাওয়ার পরে জানায়।আর সব যোগ বিয়োগ করে আজ লাভলীর ও তার ফুলের মত নিষ্পাপ মেয়ের জীবনে কাল হয়ে দাড়িয়েছে।ফুটফুটে মেয়েটার বয়স প্রায় ২বছর পুরা তার বাবার ফটোকপি।তার ছবি দাদা দাদী চাচা ফুফু দেশের সবাই দেখে অবাক হয়েছে।
আজ যোহরের নামাজের সময় মাত্র অজুর দুই রাকাত নামাজ শেষ না করতেই ফোনে ৩টা কল বাজতে বাজতে মিসকল হয়ে গেছে।আমি ভেবেছি মনে হয় মামনি লাভলীর আজ বেশি মন খারাপ তাই ফোন দিয়েছে বিকালে তাদের বাসায় যেতে বলবে।মা মেয়ের (রহিমা আপা ও লাভলীর)মন বেশী খারাপ থাকলে আমাকে প্রায় ফোন দিয়ে নিবে।এতে নাকি অনেক শান্তি পায় তারা।
আমি আবার তাকবির না পড়তেই আবার ফোন।ধরলাম আর মা মেয়ের কান্নার জন্য আর কোণ কথাই আমি বলতে পারলাম।আমি অনেক কষ্টে নিজে শক্ত থেকে মা মেয়েকে বুঝাতে চাইলাম। মেয়ে একটাই কথা “আন্টি আমার কি অপরাধে?সে আমার এই ভালবাসার রশি কেটে দিল।আমার মেয়েকে কেন বাবা হারা করল।আমি তো তাকে বলেছি তুমি আরেকটা বিয়ে কর আমি দাসীর মত কাজ করে খাব।শুধু এর বিনিময়ে আমার মেয়েটাকে বাবা ডাকার অধিকার টূকূ দিও।আন্টি আপনি আংকেলকে বলেন আমার এখন কি করার আছে?”আল্লাহ অবশ্যই তাদেরকে এর উত্তম প্রতিদান দেবেন ইনশা আল্লাহ।
আল্লাহ তোমার সন্তুষ্টি পাবার জন্য দ্বীনি ভাই বোনদের এত ভালবাসি আর সবার মনের ব্যাথা শুনতে গিয়ে আমার মনের বেদনা অশ্রুবারি আর থামে না।সব কষ্টরা এসে একসাথে মিছিল শুরু করলে আমার কষ্ট গুলো শেয়ার করি আমার প্রানপ্রিয় বন্ধু স্বামীর কাছে।তারপর দুই জনেই কয়েক বার লাভলীর সংসার টা যেন না ভাঙ্গে তাই তার আব্বা আম্মা সহ বসে মিমাংসার জন্য কয়েক বার পদক্ষেপ নিলাম।আর আল্লাহর কাছে ধৈর্য্য ধরে নামাজের মাধ্যমে সাহায্য চাইতে বললাম।তাই শুরু করল মা বাবা ও মেয়েটা।
আমার আজ দুই খানে প্রোগ্রাম ছিল আমি কোথাও যেতে পারলাম না।আমার এখন মনে হচ্ছে আমার কলিজাটা কেউ টেনে ছিড়ে ফেলে দিচ্ছে।আমি নামাজে আল্লাহর কাছে অনেক কেদেছি।আল্লাহ মেয়েদের কেন এতো বড় পরীক্ষা গুলো দিতে হয়।আগে মেয়েটা পর্দা করত না পরে তাও শুরু করল।কোন দিন যে মেয়ে কাজ করে খায় নায় সেই মেয়ে রাস্তায় রাস্তায় টিউশনি করে নিজের পড়ার ও বাচ্ছার খরচ সব বহন করা শুরু করেছে।গ্রাম্য পঞ্চাতকমিটিতে ২ মাস আগে বিচার হল ছেলে মেয়ের জন্য আনিত অভিযোগ এর কোন প্রমান দিতে পারে নাই তাই ছেলে প্রবাস থেকে না আসা পর্যন্ত খরচ দিবে।কিন্তু তা দেয় নাই তাও মেয়ে কোন অভিযোগ করে নাই।মেয়েটা তাও চেয়েছে থাক একসময় তার ভুল ভেঙ্গে গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
আমার আপনাদের বিবেকের কাছে প্রশ্নঃ
হেলাল বিয়েতে মোহরানা দিলে কি বিয়ের করার সাহস করতে পারত।মোহরানা দিতে হয় না মাফ চেয়ে নিলেই মাফ হয়ে যাবে।এই চিন্তার লালন করছে বাংলাদেশের ৮৫% হেলালরা ।যার কারনে মেয়েদের মর্যাদা বিয়ের পরে সঠিক ভাবে স্ত্রী হিসাবে লাভলীরা পাচ্ছে না।মেয়েকে বিয়েতে দেওয়া জিনিস গুলো কী রেখে দেওয়া তার পরিবারের উচিত হল। এই গুলো তো তার পাপ্য অধিকার।এই টাও আজ কাল অনেকের পরিবার করছে।তার বাচ্ছার ওস্ত্রীর বরন পোষন না দিয়ে কি সে ঠিক কাজ করেছে।তাদের বরন পোষন দেওয়া তো ইসলাম তার জন্য ফরজ করে দিয়েছে।একজন আইনজীবীর স্ত্রী হিসাবে বাচ্ছার বয়স ১২ না হওয়া পর্যন্ত সে দিয়ে যেতে বাধ্য।
মেয়েটার ওপর পবিত্রতার সবরকম অধিকার চাই, ছেলেটা যে সেই রকম তা প্রশ্ন করার কি মেয়েটার কোন প্রকার অধিকার নেই? ইসলাম কি সব অধিকার শুধু ছেলেদেরকেই দিয়েছে? আমরা কেন যুগ যুগ থেকে মেয়েদের কে সমাজের চাপিয়ে দেয়া কতগুলো রীতি রেওয়াজকে ইসলাম এর আদেশ বলে মেয়েদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছি।যেখানে ইসলামের ন্যায় ও নীতির মানছে না সেখানে কেন ইসলাম জানা লোকেরা সমাজের সন্ত্রাসীদের ভয়ে ন্যায় ও ইসলামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কথা কেন বলে না।আমার আপনার নীরবতার কারনে কত শত লাভলীদের জীবন আর আমাদের নতুন প্রজন্ম সন্তানের সম্ভাব্য উজ্জ্বল জীবনের ক্ষতির কথা বিবেচনা না তালাক দিয়ে দেবেন।
বাংলাদেশে আজ এতো ডিভোজ আর দাম্পত্য কলোহ কেন। পচা ফল থেকে ভাল বীজ নেওয়া যায় না তেমনি দাম্পত্য বিচ্ছেদের পরে সেই মা বাবার সন্তানেরা ভবিষ্যত বংশধরের হিসাবে সমাজের জন্য ভাল কিছু বহন করে আনবে না। ইসলাম চায় মানুষে মানুষে সহমর্মিতা। তাহলে একজন নারীকে নিয়ে তার পরিবার কেন আজ নিজেদের বেদনা লুকিয়ে সমাজের সবার কানা চোখের দৃষ্টিকোন সহ্য করে হেয় পতিপন্ন হয়ে বসবাস করতে হবে। আপনারা অনেক জ্ঞানী এবং অনেক অভিজ্ঞ মানুষ।
আমরা আসুন আমাদের পরিণত বুদ্ধি এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে মানুষকে ইসলামের আলোকে এইসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে উদ্বুদ্ধ করি।এই মেয়েটা আমার মেয়ে না হয়ে যদি আপনার মেয়ে বা বোন হত তা হলে আপনি কি এই এসব অন্যায় সমর্থন করতেন? তাহলে নিন্ম মধ্য বিত্তরা কার কাছে গিয়ে সুবিচার আশা করবে?আমিআপনাদের কষ্ট দেয়া আমার উদ্দেশ্য না। লাভলীর কষ্টের কথাগুলো আমার হৃদয়ের মনি কোঠরের ভেতর তালাবদ্ধ করে রাখতে পারলাম না। আমরা আজ সবাই সবার স্বার্থ নিয়ে এতোই ব্যাস্ত আমাদের সমাজের লাভলীদের কথা বলার বা শুনার মানুষ নেই।আর তারা নিরবে কেদে নিজেদের কষ্টের কথা অন্য কারো কাছে বলেনা ।আর আমরা বোকারা বলি তাদের নিশ্চয়ই কোন কষ্ট নেই।
আমারমনে হয় পৃথিবীতে এমন কেউ নেই যার জন্য আল্লাহ নির্ধারিত পরীক্ষা দিয়ে পাঠাননি। আজ হয়ত লাভলী একভাবে পরীক্ষা দিচ্ছেন, একইভাবে আমি আপনি বা আপনার আশেপাশে প্রত্যেকেই যার যার পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছে, কেউ প্রকাশ করে কেউ করেনা। এখানে যে অন্যায় করবে সে শাস্তিপ্রাপ্ত হবে, কিন্তু যে অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেনা সে কি আল্লাহর ক্রোধ থেকে রক্ষা পাবে? একটা সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজন স্যাক্রিফাইস এবং কম্প্রোমাইজ। আমার একমাত্র প্রশ্ন হোল, সেটা একপাক্ষিক হবে কেন? কেন একজন নারী তাঁর বৈবাহিক সম্পর্কে পূর্ণতা অনুভব করার পরিবর্তে অসহায় বোধ করবেন? হয়ত লাভলীরা নিজের ক্ষেত্রে প্রতিবাদ করতে পারেননি, হয়ত লাভলীদের হয়ে প্রতিবাদ করতে কেউ এগিয়ে আসবেনা, ফলে এই সমাজের লাভলীরা অমানুষিক কষ্ট করবে - শারীরিক এবং মানসিকভাবে, যার ফলে আজ এই বয়সেই তাদের মন ওশরীরে নানাবিধ রোগব্যাধী বাসা বাধবে।
আজ কি ইসলাম জানা সবার উপর আজ এটা দায়িত্ব নয় কি? তার মেয়ে বা বোনকে তাঁর ইসলাম প্রদত্ত অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা, আজ কেন লাভলীদের প্রতি অন্যায় হতে দেখলে তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবেননা, কেন তাঁর জীবনটা তেমন হতে দে্বেন যেমন টা যেমন টা আপনার মেয়ে বা বোনের হলে আপনি সহ্য করতেন না?আমার মনে অবস্থ্যা দেখে আজ আমার আইনজীবি স্বামী সন্তানরা তাদের পাশে দাড়ায়ে বলে “আপনাদের কোন খরচ লাগবে না ।আইনের আশ্রয়ের মাধ্যমে এই কেইস নিয়ে আমরা লড়ে যাব।এতে বাবাটা আমার সাহেব কে বলে “ভাই আপনি যে আমার বাসায় এতো বার এসে আমাকে এতো টুকু সাহস দিয়েছেন এতেই আমি আল্লাহর কাছে অনেক শুক্রিয়া জানাই।“
আমার কথায় আমার প্রান প্রিয় কোন ভাই/ছেলে যেন মনে কষ্ট না পায় ।কারন সবাই খারাপ না আবার সবাই ভাল না। ভাল রাই এই সমাজের উন্নয়নের জন্য এগিয়ে আসবে। ইসলামে আমাদের যে অধিকার দেয়া হয়েছে সেটা না দেওয়াটাই তাদের কাছে ইসলামবিরোধী কাজ, নীচু মানসিকতার পরিচায়ক। আমরা যারা মানুষকে ইসলামের কথা বলি আমরা যদি নিজেদের ইসলামের ছাঁচে ঢেলে সাজাতে সচেষ্ট না হই, তাহলে মানুষ কিভাবে অন্যদের পরিবর্তে আমাদের আদর্শ ভাবতে আগ্রহী হবে? আমার কথায় কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি মাফ চেয়ে নিচ্ছি। আপনার বোনটিকে বিবেক বুদ্ধিহীণ ৩ বার ব্রেইন স্ট্রোকের রুগী হিসাবে অবুঝ ভেবে ক্ষমা করে দিবেন। আসলে আমি চাই না যে হাজার হাজার পরিবারের যে ভাবে ভাঙ্গন ধরছে আর ভুগত ভুগী হচ্ছে সন্তান রা।আবার এই মেয়েটাকে সমাজের মানুষ নামের শিয়াল কুকুর গুলো শান্তিতে বসবাসও করতে দিবে না।উচ্চ শিক্ষা দিয়ে যে নিজের পায়ে দাঁড়াবে আর সন্তান্টাকে মানুষ করবে তাও শকুনদের কাল দৃষ্টির জন্য পারবে না।
অজান্তে কষ্ট দিয়ে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।আল্লাহ আমাদের সবাইকে শয়তানএর ওয়য়াস ওয়াস থেকে রক্ষা করে সুস্থ্য ভাবে বাচার তাওফিক দান করুন।
বিষয়: বিবিধ
৫০৬৭ বার পঠিত, ৩৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি লেখার জন্য।
অনেক শুভেচ্ছা।
আর লাভলি কে এও বলবেন সে যেন তার সন্তানের জন্য নিজের ভবিষ্যৎ নষ্ট না করে কারণ আজ থেকে ১০-১৫ বছর পরে যখন তার মা-বাবা জীবন যৌবন কিছুই থাকবে না সে আরও অসহায় হয়ে পড়বে।
তার সন্তানের জন্য আল্লাহ আছেন সে নিজে আছে ও তার নানা-নানি আছে।
আর মনে রাখবেন এমন কষ্টে থাকা নারীদের থেকেও কিছু সুযোগ সন্ধানী কুকুর সুবিধা নিতে বসে থাকে সহমর্মিতার আড়ালে! তাই বুঝে শুনে, আবেগহীন ও বাস্তব সিদ্ধান্ত নিয়ে বলবেন বোনটিকে।
ঘটনার আড়ালে আরো ঘটনা থাকে। আল্লাহু আলাম কী ঘটেছিলো তাদের সংসারে। ওহ্ আল্লাহ্ তুমিই ন্যায় বিচারকারী। তুমিই করো এই বিচার।
এভাবে প্রতারিত হয় অনেকেই। আর এজন্য অভিভাবক দেরও যথেষ্ট দোষ আছে। প্রবাসি পাত্র শুনলেই অনেক অভিভাবক তার চরিত্র বা অন্যান্য যোগ্যতা বিবেচনা না করেই মেয়ে বিয়ে দেওয়ার জন্য পাগল হয়ে যান। আর এই ধরনের ঘটনার স্বিকার হয়ে ও তথাকথিত সমাজ এর ভয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন থেকে বিরত থাকেন।অথচ যে সমাজ তাদেরকে সমালোচনা করবে সে সমাজ কিন্তু তার সন্তানটির ভরনপোষন এর ব্যাবস্থা করবেনা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন