ইসলামীক সোনালী সমাজ কায়েমের কাজ দেরী হচ্ছে আমার আর আপনার কারনে।

লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:০০:৩২ দুপুর



ইসলামীক সোনালী সমাজ কায়েমের কাজ দেরী হচ্ছে আমার আর আপনার কারনে।



ব্যবসায়ী তার পুজি /পন্য বাজারে ছেড়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করেন ।

আর একজন মুসলমান তার ঈমানের পুজি নিয়ে ময়দানে এসে আল্লাহর বিধান মাফিক কাজ করেই আল্লাহর খাটি গোলাম হতে পারে।মসজিদের কোনায় আর ঘরের কোনায় বসে ঈমানের পুজি বৃদ্ধি পায় না ,বরং তা আস্তে আস্তে গুন পোকার কাঠ খাবার মতো খেয়ে উপরের লেবাস ছাড়া আর ভিতরে কিছুই রাখে না।



আপনি যত বার আল্লাহকে মুখিক স্বাক্ষী ঘরে বসে স্মরন করছেন তত বার গিয়ে বাস্তবস্বাক্ষী কি আল্লাহর সৈনিক হিসাবে ময়দানে গিয়ে "অতোয়া সাওবিল হাক্কের" কাজ টা কি করে এসেছেন। কৃষক মাঠে গিয়ে বীজ বপন না করে ফসল পাবে কি ভাবে? আর আপনি দুনিয়াতে ঈমানের বীজ ময়দানে অন্যের হৃদয়ে বপন না করে আখিরাতের ফসল পাবেন কিভাবে ।তাই হাদিসে আছে দুনিয়া টা তো আখিরাতের শস্যক্ষেত্র ।



আল্লাহর রাসুল সাঃ এর কাছে কোরান আসার পর কোরানের দক্ষ সৈনিক তৈরীর কাজে ময়দানে ঝাপিয়ে পড়েন । আর হেরাগুহায় বসে বসে ইসলামের কাজ করেন নাই । আর তাই জালিমদের দুর্বল চিত্তের মাঝে ভীতির সঞ্চার হওয়ায় উনাকে কঠোর নির্যাতনের মাধ্যমে মক্কা ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয় ।



আপনি ভেবে দেখুন কোন ফরজ কাজ একা একা পালন করা সম্ভব নয় । ইসলামী সমাজ কায়েমের মাধ্যমে আপনি ফরজ কাজ গুলো পালন করা সম্ভব । যেমন ঘুষ দেওয়া নেওয়া হারাম কিন্তু আপনি তাই করছেন। কারন আপনি তা না দিলে ফাইল এক টেবিল থেকে আরেক টেবিলে নড়ছে না। অনেক অপেক্ষার পরে মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিয়েই তা করতে বাধ্য করা হয়েছে।



এই ভাবে সমস্ত কাজই আপনি ইচ্ছা আর অনিচ্ছায় করে মুমিন থাকতে পারছেন না। আপনার প্রানপন চেষ্টা ও আন্তরিকতা থেকেই আল্লাহর সাহায্যে ইসলামীক সোনালী সমাজ কায়েম হবে ।ইনশাল্লাহ । তা বহুত দেরী আছে ভাবছেন ।ইসলামীক সোনালী সমাজ কায়েমের কাজ দেরী হচ্ছে আমার আর আপনার কারনে। আমরা আল্লাহর গোলাম হিসাবে আল্লাহর কাজের গুরুত্ব না দেওয়ার ও য়াল্লাহর সৈনিক হিসাবে দায়িত্ব পালন না করার কারনেই হচ্ছে । আপনার আমার কাজ ময়দানে যত বাড়বে ততই তাড়াতাড়ি দ্বীন কায়েমের কাজ এগিয়ে যাবে। আপনার পরবর্তী যেনারেসান একটা সুন্দর সোনালী যুগ উপহার পাবেই ।



মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন।

“কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা” [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

বিষয়: বিবিধ

৩৫৭৩ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

263644
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৩
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৯
207239
সত্যলিখন লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ।আল্লাহ কিভাবে যে আপনার কাছে ভাল লাগাল । আমি ইসলামী পোস্ট দেই শুধু আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য । কারন আমি জানি আমার এই পোস্ট কারো কাছে ভাল নাগাটাই স্বাভাবিক । এর মধ্যে আপনি প্রথম মন্তব্য কারী ।তাই আল্লাহ আপনাকে দুনিয়া ও আখিরাতের উত্তম পুরুস্কার দান করুন ।
263676
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:০৩
মামুন লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ!!
খুব সুন্দর একটি পোষ্ট। আল্লাহপাক আমাদেরকে এই লিখনির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য্য অনুধাবন করার শক্তি দান করুন এবং সেই অনুযায়ী আমল করারও তৌফিক এনায়েত করুন-আমীন।
সুন্দর পোষ্টটির জন্য আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা।
জাজাকাল্লাহু খাইর। Rose Rose Rose Good Luck
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:০৯
207340
সত্যলিখন লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ । আপনার প্রেরনা মুলক মন্তব্য আমাকে লেখার প্রতি আরো উতসাহীত করল। এর বিনিময়ে আল্লাহ আপনাকে হেদায়াত সহকারে নেক হায়াত ও আখিরাতের উত্তম আবাস দান করুন । Praying Praying Praying
263721
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৭
আবু সাইফ লিখেছেন :
একজন মুসলমান তার ঈমানের পুজি নিয়ে ময়দানে এসে আল্লাহর বিধান মাফিক কাজ করেই আল্লাহর খাটি গোলাম হতে পারে।মসজিদের কোনায় আর ঘরের কোনায় বসে ঈমানের পুজি বৃদ্ধি পায় না ,বরং তা আস্তে আস্তে গুন(ঘূণ) পোকার কাঠ খাবার মতো খেয়ে উপরের লেবাস ছাড়া আর ভিতরে কিছুই রাখে না।


বিষয়টি প্রত্যেকেরই ভেবে দেখা উচিত,
নিজের পূঁজির হেফাজত করা উচিত

Praying Praying Praying
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:০৩
207337
সত্যলিখন লিখেছেন : এই দুনিয়াই এখন তো আর সেই দুনিয়াই নাই । মানুষ নামের অমানুষের খোসায় দুনিয়াই বোঝাই।
মানুষের নিরেট পাথরের মনে ভাবেনা সে অতীত।
কিভাবে বুঝিবে সে স্বার্থেরটানে হারাচ্ছে সে সব পুজি ।
263774
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:১৫
শেখের পোলা লিখেছেন : কড়া নাড়তে থাকুন, দরজা একসময় খুলবেই৷
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৫৭
207335
সত্যলিখন লিখেছেন :

আসসালামুয়ালাইকুম ।ইনশাল্লাহ আমি তাই করে যাবো ।অনেক দিন পরে আপনি আমার ব্লগে বেড়াতে আসলেন। কি দিয়ে যে আপ্যায়ন করব তা বুঝে উঠতে পারছি না। আমার কোন অজানা অপরাধের কারনে মনে কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমাপার্থী।আল্লাহ আপনাকে দুনিয়া ও আখিরাতের সমস্ত কল্যান পুরুস্কার হিসাবে দান করুন














263803
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৪৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
আমরা এখন সবাই আগে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার চিন্তায় ব্যাস্ত।
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:২৭
207504
সত্যলিখন লিখেছেন : প্রকৃত সত্য কথাটা তুলে ধরেছেন । আবার এই চিন্তাকে জায়েজ করে এই বলে , "এটা এখন আমাদের হিকমত " আমার মাথায় আসেনা ইসলামের কাজ বা আল্লাহর ফরজ কাজ না করাকে কিভাবে হিকমত বলে ।হিকমত মানে তো যেই পন্থায় কাজটা করতে ছিলাম সেই পন্থায় বাধা এসেছে তাই বিকল্প পথ খুজে কাজ আগায়ে নিয়ে যাওয়া ।
263872
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:০০
ইমরান ভাই লিখেছেন : উপরের একটা ছিব আছে তাতে লেখা আছে কোরআনের আয়াত...সুরা আনফাল-৩৯
এখানে যে ফিতনার কথা বলা হয়েছে সেটা কি?? মানে সেটা কোন ফিতনা?
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:২৮
207506
সত্যলিখন লিখেছেন : ফিতনার অস্তিত্ব থাকবে না, গোমরাহী ও বিশৃংখলা নির্মূল করাকে বুঝানো হয়েছে ।
আর এর নৈতিক উদ্দেশ্য এবং এ উআদেশ্যে যুদ্ধ করা মুমিনদের জন্যে শুধু বৈধই নয় বরং ফরযও। এ ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্য যুদ্ধ করা জায়েয নয় এবং মুমিনদের জন্যে তা শোভনীয়ও নয়।

আবার 'ফিতনা' বলতে এমন অবস্থাকে বুঝানো হয়েছে যখন 'দীন' আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন সত্তার জন্য নির্দিষ্ট হয়ে যায় এবং এ ক্ষেত্রে যুদ্ধের একমাত্র উদ্দেশ্যই হয় ফিতনাকে নির্মুল করে দীনকে একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট করে দেয়া

ামার বুঝায় ভুল থাকলে আমাকে আরো ভালভাবে জানার সুযোগ করে দিবেন ।
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:১৯
207529
ইমরান ভাই লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ!
আমি কি বলবো তাফসির ইবনে কাসিরে দেখেন...এই ফিতনার মানে শির্ক কে নির্মুল করানোকে বোঝানো হয়েছে...



তাওহীদের ঝান্ডা দার করাতে বলা হয়েছে। এক মুসলিম অপর মুসলিমের সাথে যুদ্ধ করবেনা সেটাই বুঝানো হয়েছে।
263974
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৫২
রিদওয়ান বিন ফয়েজ লিখেছেন : খুব ভালো লাগল । ধন্যবাদ .।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File