মেয়েরা তিন জনের ভালবাসা কে কখনো উপেক্ষা করতে পারে না ।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২৮ আগস্ট, ২০১৪, ০৮:১৯:২৮ সকাল
আমার মনে হয় , মেয়েরা তিন জনের ভালবাসা কে কখনো উপেক্ষা করতে পারে না ।
১। কন্যা হিসাবে বাবার ভালবাসা কে কখনো মনে হয় কোন মেয়ে উপেক্ষা করতে পারে না। যার বাবা আছে আমার মনে সে স্বামীর পরিবারে ও সারা বিশ্বে সেই মেয়ে রাজকুমারী ।আমি বাবা কে শিশু কালে হারিয়েছি তাই এই পর্বটা আমি জানি না । তবে অনেক বান্ধুবীদের কথা শুনে ও ব্লগে বাবা নিয়ে লিখা অনেক পোস্ট পড়ে আমি বুঝেছি । বাবার আদর কেমন হয় তা আজ বুঝি নি।
২। জীবনের শ্রেষ্ট্য বন্ধু স্বামীর ভালবাসা কে কোণ মেয়ে উপেক্ষা করতে পারে না কারন স্বামীর ভালবাসা পেলে মেয়েরা দুনিয়ার সব কিছু্র মোহ ছেড়ে ছিড়া কাপড় আর খালি পেটে গাছ তলায়ও জান্নাতী সুখে বসবাস করতে পারে । এটা একটা মেয়ের গুপ্ত ধনের চেয়েও মুল্যবান ধন । খুব কষ্ট ও ধৈর্য্যের বিনিময়ে এই ধন অর্জন করতে হয় । আবার খুব যত্ন করে হৃদয়ের গভীর মনি কোঠরে ভালাবাসার সিন্ধুকে অতি যতনে রেখে পরিচর্যা করতে হয় ।
৩। একজন মেয়ে মা হিসাবে সন্তানের ভালবাসা কোন সময় উপেক্ষা করতে পারে না । মা হওয়া আল্লাহর সেরা উপহার । মা ডাকটা শুনলে বুকের ভিতর এর সব কষ্ট এক নিমিষেই ধুয়ে মুছে এক জান্নাতী সুখের অমৃত ঝর্ণার পবিত্র নহর বইতে থাকে । যা একজন মা ছাড়া আর কেউই তা অনুভব করতে পারে না । আমার যে সব বোনেরা বিয়ের ১২/১৩ বছর পর মা না হতে পারার কষ্টের ব্যাথা আর হাহাকার তখন মনে হয় মাতৃত্বই মনে হয় আসল পরিচয় । চোখের আড়ালে থাকা সন্তানকে বুকের মাঝে পেলে মনে হয় পৃথিবির শ্রেষ্ট্য মুল্যবান অলঃকার পাওয়ার চেয়েও বেশি আনন্দিত হন ।
এটা মেয়েদের আবেগ না দুর্বলতা তা আমি জানি না। আমার কাছে মনে হয় এটা আল্লাহর দেওয়া সব চেয়ে বড় ৩টা নেয়ামত । যার কোন বিকল্প বা এর চেয়ে মুল্যাবন আর কিছু এই পৃথিবীতে নেই ।আর যে মেয়ে এই ৩ টি নেয়ামত পেয়েও তার মর্যাদা দিতে জানে না ।সেই দু,জাহানের হতভাগী।
আল্লাহ সবার বাবা মা স্বামী/স্থী সন্তান কে নয়ন জুড়ানো ও চক্ষু শীতলকারী হিসাবে কবুল করে নিক।
বিষয়: বিবিধ
৫৩৪৫ বার পঠিত, ৪৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
Click this link
থাকলে তো আওয়াজ দিতো
তোমার বিয়া হপে কপে...
দাওয়াত খাইতে মোন চাচ্ছে
উপহার হিসেবে তোমার জন্য একটা তেলাপোকা আনা হবে আতিক খানে বাসাথেকে
তেলাপোকাকে আমি ভয় পাইনা...... বৃত্তমণিই ভয় পাই। উনি নাকি তেলাপোকার ভয়েই বৃত্তের বাইরে চলেগেছে
Click this link
স্বামীর ভালবাসা পেলে মেয়েরা দুনিয়ার সব কিছু্র মোহ ছেড়ে ছিড়া কাপড় আর খালি পেটে গাছ তলায়ও জান্নাতী সুখে বসবাস করতে পারে ।
এই অপেক্ষা সারা জীবনেও শেষ হবে না ।সূর্যের পাশে হারিকেন ভাইয়া @
@পবিত্র --- আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর দোআর জন্য। আল্লাহ্ যেন আপনার দোআটা কবুল করেন। আল্লাহ আপনার সহায় হোন। আমীন।
স্বামীর ভালবাসা পেলে মেয়েরা দুনিয়ার সব কিছু্র মোহ ছেড়ে ছিড়া কাপড় আর খালি পেটে গাছ তলায়ও জান্নাতী সুখে বসবাস করতে পারে
শুধু এটা ঠিক না তাই বলতে চেয়েছি ।
সূর্যের পাশে হারিকেন ভাইয়া @
স্বামীর ভালবাসা পেলে মেয়েরা দুনিয়ার সব কিছু্র মোহ ছেড়ে ছিড়া কাপড় আর খালি পেটে গাছ তলায়ও জান্নাতী সুখে বসবাস করতে পারে
একথাটার অর্থ হলো স্বামীর সুখ-দুঃখ, বিপদ-আপদ সর্বাবস্থায় সাথে থাকে। দুঃসময়ে ছেড়ে না যায় এবং স্বামীকে উৎসাহ দিয়ে মনোবল বাড়িয়ে দেয়। আল্লাহর কাছে স্বামীর মঙ্গলের জন্য দোআ করে। যত্তদুর সম্ভব স্বামীকে সাহায্য করে।
আফরা লিখেছেন : অভাব যখন দুয়ারে আসে ভালবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়।
এটা কক্ষনো ভালো দ্বীনদার-পরহেজগার মেয়ের কাজ হতে পারে নাহ্! এরা মেয়ের নামে কলন্ক!
তবে ইসলামে নারীদের আদর্শ আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা কোরআনে তিনজনকে দিয়েছেন...
১) মরিয়ম..ইসা (আ) এর মা।
২) হাজেরা..ইসমাইল (আ) এর মা।
৩) আসিয়া..ফেরাউনের স্ত্রী।
জাজাকাল্লাহ।
আমি খারাপ দুআ করি নাই। একটু ফাজলামি করছিলুম।
আল্লাহ তোমাকে দ্বীনদার মুত্তাকী পরহেজগার স্বতী নারী দান করুন যা তোমার নয়ন শিতল কারীনী হবে। আমীন।
আপনার কথাগুলো ঠিক তবে তা আধুনকি মনা পাশ্চাত্য দর্শনের মেয়েদের জন্য প্রযোয্য। খাটি মুসলিম নারীদের জন্য নয়।
(সুরা লোকমান)
সুন্দর একটি লেখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো।
বাবা , স্বামী ও সন্তানের ভালোবাসা উপেক্ষা করা যায় না । মায়েরটা উপেক্ষা করা যায় কি ?
নাকি নিজেরাই আজ বাদে কাল মা হবে , তাই মায়ের ভালোবাসা উপেক্ষাই করা যায় ।
আর শাশুড়ির টা ?
আল্লাহ তার মনোনিত বান্দাদের এসব কঠিন দুনিয়াবী সমস্যা থেকে আগলে রেখেছিলেন । সাধারণ মানুষরা উনাদের মত এত সৌভাগ্যবান না।
নেককার স্ত্রী যেমন নবী (সা) এর সময় ছিলো এখনো আছে থাকবে।
যারা নেককার আল্লাহ তাদেরকে নেককার স্ত্রীই উপহার দেন। আর যারা বদকার তাদের দেন লাক্সফটোজেনিকদের মতো।
এ ব্যাপারে কোরআনেও একটি আয়াত আছে।
“দুশ্চরিত্রা নারী দুশ্চরিত্র পুরুষের জন্য এবং সচ্চরিত্র পুরুষ সচ্চরিত্রা নারীর জন্য”।
(সূরা নূর, আয়াত: ২৬)
এই হাদীস সবার জন্যই প্রযোয্য তবে পুরুষকেও হতে হবে সচ্চরিত্রবান।
খারপ কাজ করলাম আর বউ চাই ১০০%ভালো তাহলে তো খাইছে...
স্বামীর ভালবাসা পেলে মেয়েরা দুনিয়ার সব কিছু্র মোহ ছেড়ে ছিড়া কাপড় আর খালি পেটে গাছ তলায়ও জান্নাতী সুখে বসবাস করতে পারে
একথাটার অর্থ হলো স্বামীর সুখ-দুঃখ, বিপদ-আপদ সর্বাবস্থায় সাথে থাকে। দুঃসময়ে ছেড়ে না যায় এবং স্বামীকে উৎসাহ দিয়ে মনোবল বাড়িয়ে দেয়। আল্লাহর কাছে স্বামীর মঙ্গলের জন্য দোআ করে। যত্তদুর সম্ভব স্বামীকে সাহায্য করে।
আফরা লিখেছেন : অভাব যখন দুয়ারে আসে ভালবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়।
এটা কক্ষনো ভালো দ্বীনদার-পরহেজগার মেয়ের কাজ হতে পারে নাহ্! এরা মেয়ের নামে কলন্ক!
--------------------------
আপনি যদি এমন মেয়ে আশা করেন তাহলে তো সারা জীবন অপেক্ষাই করতে হবে তাই না.....।
দুইটা বিষয়েইতো আল্লাহই ভালো জানেন, যেহেতু তিনিই সব কিছুর খবর রাখেন।
অনেক লম্বা একটা কমেন্ট লিখছিলাম উপরের দুইটি কথার ব্যাপারে নিজের অবস্থান নিয়ে ও নিজেকে ডিফেন্ড করে। কথা বাড়ালে অনেক কথা আসবে। আমি চাইনা পাবলিক প্লেসে এসব বিষয়ে কথা বাড়াতে। তাছাড়া আমি ব্লগের সব বোনদেরকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করি। তাই নিজের অসম্মান হলেও বোনদেরকে সম্মান দিলাম।
আল্লাহ্ আমাদের সহায় হোন।
তবে বউ যদি হয় আফরার মতো দ্বীন দার তাহলে পবিত্রর কথা ঠিক।
বউ যদি পাখি ড্রেস নাপেয়ে আত্বহত্যা করে তাহেল আফরা ঠিক।
বউ যদি স্বামীর যা আছে তাতেই খুশি হয়ে বলে আলহামদুলিল্লাহ তাহলে পবিত্র ঠিক।
আমি আমার বউয়ের উদাহরন দিতে পারি আলহামদুলিল্লাহ! সে আমার সাথেই ছিলো আমার দুঃখের সময় এবং সুখের সময়। তার চাওয়া খুবই কম। আমাকে ছাড়া কিছুই চায় না। আমি বিদেশে যাবো শুনলে কান্নার শেষ থাকে না।
আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাকে আমার মতোই দিয়েছেন।
তাই মেয়ে যদি হয় আফরার মতো তাহলে ভালোবাসা জানলা দিয়ে কখোনোই পালাবে না এবং ছেড়া কাপড়ে হলেও স্বামীর সাথে সেলাইকরে পড়বে কিন্তু স্বামীকে ছেড়ে যাবে না। (উদাহরন: মরিয়ম/হাজেরা/আসিয়া (রা)দের মতো হবে ইনশাআল্লাহ।)
(এই কমেন্টটি আমার বউ ই আমাকে করার জন্য হেল্প করেছে।)
না, আমি মনে কিছু রাখিনি। কষ্টও পাইনি। ইট্স ওক্কে বরঞ্চ আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই কারনে যে.... আপনি যদি ওই প্রতি-মন্তব্যটা না করতেন, আমিও একটু অভিমানের সূরে জবাবটা দিতাম না। তখন "পবিত্র" আপুনিও এত্ত সুন্দর ব্যাখ্যাটা লিখতো না। তো....... আমরা সবাই এই সাংক্ষেতিক কথাটার বাস্তবিক ব্যাখ্যাথেকে বঞ্চিত হতাম। ....... কি? হতাম না?
তাই আপনাকে ও পবিত্র আপুনিকে আমার প্রিয় হাতুড়ি ফুল দিলুম.... এই নিন হাতুড়ি ফুল খুব সুন্দর ফুল, তাইনা?
-----------------------------------
@ইমরু দাদা..... তোমার ব্যাখাওতো মা শা আল্লাহ্ এক্কেবারে কন্টেম্প্রারি বিষয় নিয়ে... সাথে ভাবিমণির এ্যাডভার্টাইজমেন্টও পেলাম ফ্রিতে তাই তোমার জন্য ফুল বিহীন হাতুড়ি, এই নাও
সবার জন্য হাতুড়ি ফুল আর আমার জন্য ফুলবিহীন হাতুড়ি...
ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন