মুসলমান এক ভাইয়ের দোসর আরেক ভাই , যে না বুঝে ,সেই হতভাগার কেউ নাই ।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২২ আগস্ট, ২০১৪, ০৯:২০:৫৩ রাত
মুসলমান এক ভাইয়ের দোসর আরেক ভাই ,যে না বুঝে ,সেই হতভাগার কেউ নাই ।
"মু’মিনরা তো পরস্পর ভাই ভাই ৷ অতএব তোমাদের ভাইদের মধ্যকার সম্পর্ক ঠিক করে দাও৷ আল্লাহকে ভয় করো, আশা করা যায় তোমাদের প্রতি মেহেরবানী করা হবে৷" সুরা হুজরাত ১০
শিক্ষা ঃ
এ আয়াতটির মাধ্যমে পরম করুনাময় আল্লাহ তালা দুনিয়ার সমস্ত মুসলমানকে এক বিশ্বজনীন ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে দিয়েছেন । আমরা পৃথিবীর অন্য কোন ধর্মের আদর্শ ও পথের অনুসারীদের মধ্যে এমন কোন ভ্রাতৃত্ব বন্ধন পাওয়া যায় না যা মুসলমানদের মধ্যে পাওয়া যায় । এটাও এ আয়াতের বরকতে সাধিত হয়েছে ।
এ নির্দেশের দাবী ও গুরুত্বসমূহ কি, বহুসংখ্যক হাদীসে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা বর্ণনা করেছেন । ঐ সব হাদীসের আলোকে এ আয়াতের আসল লক্ষ ও উদ্দেশ্য বোধগম্য হতে পারে ।
নবী ( সা) বলেছেনঃ পারস্পরিক ভালবাসা, সুসম্পর্ক এবং একে অপরের দয়ামায়া ও স্নেহের ব্যাপারে মু'মিনগণ একটি দেহের মত । দেহের যে অংগেই কষ্ট হোক না কেন তাতে গোটা দেহ জ্বর ও অনিদ্রায় ভুগতে থাকে । ( বুখারীও মুসলিম) ।
একটি হাদীসে নবীর ( সা) এ বাণীটি উদ্ধৃত হয়েছে যে, মু'মিনগণ পরস্পরের জন্য একই প্রাচীরের ইঁটের মত একে অপরের থেকে শক্তি লাভ করে থাকে ।
( বুখারী, কিতাবুল আদব, তিরমিযী-কিতাবুল বিরর-ওয়াস সিলাহ । )
হযরত জারীর ইবনে আবদুল্লাহ বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার থেকে তিনটি বিষয়ে, "বাইয়াত" নিয়েছেন । এক, নামায কায়েম করবো । দুই, যাকাত আদায় করতে থাকবো । তিন, মুসলমানদের কল্যাণ কামনা করবো ।
( বুখারী -কিতাবুল ঈমান । ) ।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ বর্ণনা করেছেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ মুসলমানকে গালি দেয়া ফাসেকী, এবং তার সাথে লড়াই করা কুফরী । ( বুখারী-কিতাবুল ঈমান ও মুসনাদে আহমাদ)
হযরত আবু হুরাইরা ( রা) বর্ণনা করেছেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অপর মুসলমানের জান, মাল ও ইজ্জত হারাম" ( মুসলিম -কিতাবুল বিরর, ওয়াসসিলাহ, তিরমিযী-আবুওয়াবুল বিরর ওয়াসসিলাহ) ।
হযরত আবু সাঈদ খুদরী ( রা) ও হযরত আবু হুরাইরা ( রা) বলেন, নবী ( সা) বলেছেনঃ এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই । সে তার ওপরে জুলুম করে না, তাকে সহযোগিতা করা পরিত্যাগ করে না এবং তাকে লাঞ্ছিত ও হেয় করে না । কোন ব্যক্তির জন্য তার কোন মুসলমান ভাইকে হেয় ও ক্ষুদ্র জ্ঞান করার মত অপকর্ম আর নাই । ( মুসনাদে আহমাদ) ।
হযরত সাহল ইবনে সা'দ সায়েদী নবীর ( সা) এ হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, ঈমানদরদের সাথে একজন ঈমানদারের সম্পর্ক ঠিক তেমন যেমন দেহের সাথে মাথার সম্পর্ক । সে ঈমানদারদের প্রতিটি দুঃখ-কষ্ট, ঠিক অনুভব করে যেমন মাথা দেহের প্রতিটি অংশের ব্যথা অনুভব করে । ( মুসনাদে আহমাদ)
আজ আমাদের মাঝে এই ভ্রাতৃত্তবোধ আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে ।আমরা দুনিয়ার মোহে পড়ে নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য আজ অন্ধ হয়ে যাচ্ছি । আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য আমরা একে অন্যকে ভালবাসার তাগিদ রাসুল সা দিয়েছেন । আর তাতে আমরা এই পবিত্র ভালবাসার জন্য কাল হাশরের ময়দানে আল্লাহর আরশের নিচে স্থান পাবো ইনশাল্লাহ।
মুসলমান এক ভাইয়ের দোসর আরেক ভাই ,যে না বুঝে ,সেই হতভাগার কেউ নাই ।
এই ভালবাসা মায়া মমতা সহমর্মিতা ও ঐক্য অটুট থাকলে ইসলামের কোণ অপশক্তি আমাদের মাঝে প্রবেশ করতে পারবে না । তাতে ইসলামের ফিলার উত্তরোউত্তর মজবুত হতে থাকবে । এতে ইসলামের বিজয় খুব তাড়াতাড়ি হবে।
আসুন আমরা সকল মনের ব্যাথা ভুলে সবাই ইসলামের জন্য সিরাতুল মুস্তাকিমের এক কাতারে শামিল হই।তাতে আল্লাহ আমাদের জন্য সকল রহমতের ভাণ্ডার দান করবেন। আল্লাহ আমাদের হেদায়াতের পথে পরিচালিত করে মুত্তাকিন হিসাবে কবুল করুন।
বিষয়: বিবিধ
৩৯৩৭ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিন্তু আমি যে বউ না পাইয়া কষ্টে আছি, সে কথা যে আপনারে কইলাম, তাতে কিন্তু একটুও কষ্ট লাগে নাই আপনার আপা! আরও মজা করছেন – আমার কষ্ট লইয়া – তাও -হাদীস-কুর’আন দিয়াই! এবং আমার কষ্ট-লাঘবে কিন্তু আপনাদের কোন মেয়ে একটুও কষ্ট করতে চাইবে না বলেই আমার মনে হইছে।
তারপরেও আপনাদের এ ব্লগে আছি, কেননা এখানে যে বিষয়ে (ইসলাম) আমার তেমন কোন জ্ঞান নাই, তা অন্তত অর্জন করতে পারি অনেক জ্ঞানী ভাইদের এবং আপনাদের কাছ থেকেও।
আমাকে মাফ করে দিবেন । আপনার কষ্ট না বুঝার জন্য । আশা করি আবার আমার ব্লগে বেড়াতে আসবেন ।
এরকম ইসলামিক-মাইন্ডেড মেয়ে থাকলে আল্লাহ ইসলামীক-পুরুষদের আর কি অবস্থা করবে? আগে তো ঐ মাইয়াদের-ই সাইজ করবে, কেননা ঘর-আহল ঠিক না কইরা নবী(সাঃ) মদীনায় গিয়া যুদ্ধ করে নাই!
আরেকটা কথা শিক্ষার জন্য বলা উচিৎ, এরকম খিটখিটে মেজাজের যুবাইর(রাঃ), মারধর করা নামীদামী সাহাবীদের(রাঃ) এর অনেক বউ ছিলো, ওরা আপনাদের চাইতে ইসলাম ভালোই বুঝতো এবং এ ধরনের সাহাবী(রাঃ) এর সম্বন্ধেও রাসূল(সাঃ) খুব ভালৈ জানতেন। ঐরকম জামাইদের সেবা করে যেতো নিবেদিত প্রাণ হিসেবে সেসব সাহাবীদের(রা বউরা, এমনকি রাসূল(সাঃ) এর স্ত্রীগণও।
যতোদিন নিজেদের চরিত্র পরিবর্তন না করতে পারবেন, আপনাদের মতো মেয়েদের শিক্ষা বা বয়ান কোন কাজে আসবে না, কেনো না – আপনারা নিজেরাই মানেন না, যা আপনারা কন! এক বউ লইয়া পাগল হউনের ব্যাপার হিন্দু-ধর্মের বিষয়, ইসলামের না!
আপনার দেখা দুনিয়ার হিসেবে তো আমারে অভাগা কইলেন, এখানে আপনাদের মনোভাব দেখতেছি আমি এবং ইসলাম বিষয়ও শিখতেছি একই সাথে। আমার মতো অভাগার অবস্থা-অবস্থান আল্লাহ এখন যেরকম রাখছেন – এ অবস্থায় বিয়া করতে চাইলে ডজন খানেক খাড়াইয়া যাবে এবং সময় যদি সেরকম হয়েই যায় আমার জন্য, ইনশাআল্লাহ ওইরকম অনেক থেকে বেছেই নেবো আমিও, তবে অবশ্যই আপনাদের মতো হুজুর মেয়ে আমি নিবো না, কেননা – আপনাদের মন দেখি এখানে, যাতে প্রমাণ হয়; ঐসমস্ত সাধারণ মেয়েদের সাথে মানসিকতার বিন্দুমাত্র পার্থক্য আপনাদের নাই! খালি লেবাসে কোন কাম ইসলামে হয় বলে আমার জানা নাই!
অবশ্যই আপনার ব্লগে আসবো ব্লক না করলে, জ্ঞানের বিষয়ে গভীরতা অর্জনের জন্য!
শুনেন বুড়ামিয়া ,মুখে রুচি থাকলে এক তরকারিতেই খাওয়া শেষ করা যায়। আর মুখে রুচি না থাকলে ১০ তরকারী সামনে থাকলেও কোন টাই রসনা তৃপ্ত করতে পারে না তাই পেটে খুদা থেকেই যায়। এই অরুচি ও ক্ষুদার কারনে মন মেঝাজ থাকে খিটখিটে ও মারমুখী ,তখন রাধুনি সহ সবাইকে খারাপ লাগে । ভাল কথাও তখন নিমপাতার চেয়েও তিতা লাগে।আমাদের স্বামীরা আলহামদুলিল্লাহ রুচিশীল তাই এক তরকারিতে রসনাবিলাসী। তাই আমরাও আলহামদুলিল্লাহ স্বামীর জন্য এক পায়ে খাড়া। বর্তমান পুরুষরাও ইসলামের আদর্শে সাহাদের মত নয় তাই তারা শুধু মহিলাদের দোষ খুজে মরে । আর গুনটা স্টিলের চশমা পরে থাকার কারনে দেখতেই পাচ্ছে না। তাই বর্তমানে এই ব্লগ থেকে এক ঝাক সোনালী পায়রার মত মেয়ে ব্লগাররা লিখা বন্ধ করে দিয়েছে । আমি আমার বোনদের সাথে শামিল না হয়েও বুড়ামিয়াদের আক্রমনাত্তক কথা শুনার জন্য ব্লগে আসছি। আল্লাহ ভাল জানেন টিকে থাকতে পারব কিনা । আল্লাহ আমাদের সবাইকে এলার্জি মুক্ত সুস্থ্য মনের অধিকারী হওয়ার তাওফিক দান করুন ।
ইসলামের ইতিহাসে তো দেখি সাহাবীরা উম্মত জন্ম দেয়ার জন্য দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ বিয়ার এরাদা করতো এবং তা বাস্তবায়ন করতো। এবং তাদের এ রুচী প্রায় সবারই। লিষ্ট আছে আপনার কাছে যে কতোজন সাহাবী এক তরকারী দিয়া জীবন শেষ করছিলো আর কতোজন সাবাহী একের অধিক তরকারী খাইছে? দেহেনতো একটু খুইয়া ইসলামের ইতিহাসের রুচীতে স্কোর বেশী কোনদিকে? আর লিষ্ট-টা এইখানে দিয়া আমগোও একটু জানান! আপনেগো ঐরকম রুচীশীল জামাই তো ইসলামের ইতিহাসে দেহি না আমি, এইরকম রুচী ইসলামের নামে কেমনে পছন্দ হয় আপনাগো? এও ইতিহাস থাকা সত্বেও!
নিজেগো পরিবারেই যখন ইসলামের ইতিহাসে অনুসরনীয় রাসূল(সাঃ) সাহাবী(রাঃ) এর রুচীর বহঃপ্রকাশ বাস্তবায়নের হিম্মত নাই, সমাজে ইসলামের নামে কি প্রতিষ্ঠা করতে চান? আগে পরিবার গইড়া দেখান যে ইসলামের রুচী আপনাদের জামাই এবং আপনাদেরও পছন্দ, আর ইসলামের পারিবারিক রুচী যদি আপনাদের পছন্দই না হয় – তাইলে আপনাদের বয়ানে ইসলাম কারই বা পছন্দ হবে, আর কেনোই বা আশা করেন!
আমার রুচী আরেকটা বিয়া করা, আপনাদের রুচী হয় এমন? না হইলে অনুসরনীয় সাহাবীদের লিষ্ট করা আমারে দেখান – কার রুচী ঠিক!
শুনেন, এখনও দ্বিতীয় বিয়া করি নাই, ঘটনা শেষ হোক, যখন করে ফেলবো তখন হয়তো কর্মজীবনের ব্যস্ততায় সময় হয়ে ঊঠেবে না অত! তখন আপনাদের রুচীশীল পায়রাদের উড়ু উড়ু মনের বহিঃপ্রকাশ দেইখেন দিন-রাত ভইরা!
ঘরের ভিতর বউ-পাগলা জামাই পাইলেও, এখানে আপনি সবাইকে ঐরকম মাইয়া-পাগলা পাবেন-না, এটা স্বাভাবিক। আপনারা মেয়েরা চলে যাওয়া মানে এটা প্রমাণ করবে যে আপনারা মানসিক-বিকারগ্রস্ত; কেউ মেয়েদের লেখায় পাগলা না হলে (যা খুশি তা বলবে কিন্তু কেউ কোন আর্গুমেন্ট দিতে পারবে না) কেনো তারা চলে যাবে? কি ধরনের মন লালন করেন আপনারা? সুস্থ মস্তিস্কে এগুলোতো চিন্তাও করা যায় না; আর আপনি যে বলছেন – সেটা বলা তো অসম্ভব!
লিখবেন, আলোচনা হবে, যুক্তি হবে, খন্ডন হবে – এটাইতো এখানে কাম্য; তাই আশা করবো “সবাই আমার লেখায় পাগল হোক, আর না হইলে চললাম আমি!” এ ধরনের মানসিকতা থেকে বের হয়ে স্বাভাবিক মানুষের মতো আচরণ করুন, আক্রমনাত্নক মন্ত্যব্য খন্ডনে যুক্তিভিত্তিক প্রতিমন্তব্য করুন! আমার যতদূর মনে পড়ে – আপনাদের মতো কোন মেয়েকে আমি গালি-গালাজ করি নাই! প্রশ্ন রাখতেই পারি, পারলে উত্তর দিয়েন – না পারলে নাই!
Click this link
আলহামদুলিল্লাহ ।আল্লাহ আপনাকে দুনিয়া ও আখিরাতের জান্নাতী সুখের জন্য সব পিলাচ গুলো কবুল করে নিন ।
আপনার পোস্টগুলোতে জ্ঞানের খোশবু ছোটে
জাযাকিল্লাহ..
সকল প্রকার রোগ ও অসুস্থতা অক্ষমতা আল্লাহতায়ালার নিয়ামাত- এতে থাকে গুণাহ থেকে মুক্তি এবং দ্বীনের উপর চলার প্রেরণা
মন্তব্য করতে লগইন করুন