মনে রেখো হে মুসলমান! এ ঋণ শুধতেই হবে। আজ নয় তো কাল!!
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ০৪ আগস্ট, ২০১৪, ১০:১২:৫১ সকাল
মনে রেখো হে মুসলমান! এ ঋণ শুধতেই হবে। আজ নয় তো কাল!
একদিন দু‘দিন নয়, এক বসর দু‘বসরও নয়। কিংবা নয় একটি বা দু‘টি যুগ। বরং বলা চলে, যুগের পর যুগ ধরে, প্রায় একটি শতাব্দী ধরে ফিলিস্তিনী নারী পুরুষ শিশুরা বুকের রক্ত দিয়ে, নিজেদের জান মাল দিয়ে, জীবনের সমস্ত কিছু দিয়ে বিশ্বের দেড়শত কোটি মুসলমানের বুকের ধন বায়তুল মুকাদ্দাস আমানত হিসেবে রক্ষা করে চলেছে।
মনে আছে কী সেই হতভাগা অন্ধ বৃদ্ধের কথা যার চার চারটি সন্তান দখলদার ইসরাইলের জেলে আবদ্ধ ছিলো! অন্ধ, অক্ষম ও বয়সের ভারে পঙ্গু বৃদ্ধের জীবন জীবিকার সকল পথ নি:শেষ হয়ে গেছে। শ্রম বেচে খাবে, সে সামর্থটুকুও নেই তার। বৃদ্ধের শেষ সম্বল ভিটে মাটিটুকুই তার মাথা গোঁজার একমাত্র আশ্রয়। অথচ দখলদার ইসরাইলী সেনাবাহিনী ও উগ্রপন্থী ইহুদি এক রৌদ্রোজ্জল সকালে বাড়ীর দরজায় এসে হাজির। বৃদ্ধকে উগ্রপন্থী ইহুদি বসতী স্থাপনকারীদের একজন বলে উঠে; ‘বুড়ো, তোমার বাড়ীর জমিটা আমাদের কাছে বেচতে হবে। বেচে দাও।’
বুড়ো সব হারিয়ে নি:স্ব। কোন মতেই সে তার পৈত্রিক ভিটে মাটিটুকু বিক্রি করতে রাজী নয়। বাড়ীটা বিক্রি না করলে তার চার চারটি ছেলেও কেউই আর জেল থেকে ছাড়া পাবে না, সে কথাটাও হুমকির সুরে বুড়োকে জানিয়ে দিতে ভুলে না ছোকরা ইহুদিরা। কিন্তু বুড়োর তাতেও কোনে ভ্রুক্ষেপ নেই। সে কোনো মতেই ভিটেটুকু বিক্রি করবে না।
ক্রমাগতভাবে অস্বীকার করার কারণে উগ্র ইহুদি সন্ত্রাসীরা ধৈর্যহারা হয়ে উঠতে থাকে। তারা এবারে বুড়োর সামনে একটা চেক বই মেলে ধরে। বুড়ো তো চোখেই দেখতে পায় না, তাই ঐ ইহুদিদের একজনই তাকে ব্যখ্যা করে বুড়োর হাতটি টেনে ঐ চেক বই‘র উপরে এনে তা দেখিয়ে বলে উঠে;
‘এই যে চেক বই রাখলাম। কত টাকা দাম চাও, বলো, যতো ইচ্ছা লিখে নাও, বা কাউকে দিয়ে লিখিয়ে নাও। কিন্তু জমিটুকু আমাদের চাই‘ই।’
বুড়ো মাথা নেড়ে এবারেও অস্বীকার করে বসে। না, যত দামই দেয়া হোক না কেন, সে বাড়ী বিক্রি করবে না। এক ছোকরা ইহুদি সন্ত্রাসী এগিয়ে এসে বৃদ্ধের বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে বলে উঠে;
‘এই ব্যাটা, আমরা কী ঠকিয়ে তোর বাড়ী নিচ্ছি? তোর ইচ্ছা মত তুই দাম নে, তবুও সই কর!’
বলেই বৃদ্ধের হাতটি টেনে তাতে একটা কলম ধরিয়ে দিতে চাইলে বৃদ্ধ সজোরে তার হাতটি টেনে সরিয়ে নেয় আর বলে উঠে;
‘এই জমিতে বাড়ী করে আছি বটে, তবে এর প্রতিটি ইঞ্চি জমির মালিক বিশ্বের সোয়া কোটি মুসলমান। আগে তাদের সই ঐ চেক-এর উপরে নিয়ে আসো, তার পরেই আমি সই করবো। তার আগে নয়।’
কট্ট্র উগ্র ইহুদিদের কী আর সে কথা সহ্য হয়? তাদের দরকার ছিলো জমিটুকু মাত্র। এত যুক্তি আর আবেগের ধার ধারে না তারা। কোনো চোর ডাকাতই কোনদিন এসব আবেগের ধার ধারে না। ইহুদিরা বুড়োর জমিটুকু ঐ দিনই নিয়েছে।
না, এর জন্য তাদের কোনো অর্থই খরচ করতে হয় নি একটা মাত্র বুলেট ছাড়া! ঐ একটামাত্রও বুলেট মাথায় ধারণ করে বৃদ্ধ তার দূর্বল শরীরের সমস্ত রক্তটুকু ফিলিস্তিনের মাটিতে ঢেলে দিয়ে বিদেয় নিয়েছেন। বিদেয় নিয়েছেন, তারপরেও তিনি আমানতের খেয়ানত করেন নি। নিজ হাতে ইহুদিদের কাছে পবিত্রভূমি বায়তুল মুকাদ্দাসের এক চিলতে জমি বিক্রি করেন নি। রক্ষা করার চেষ্টা করেছেন বিশ্ব মুসলমানদের আমানতটুকু জীবনের বিনিময়ে হলেও!
আমরা বিশ্ব মুসলমানরা এর বিপরিতে কী করছি? ফিলিস্তিনী ভাই বোনদের কাছে বিশ্বের দেড়শত কোটি মুসলমানের এই যে সীমাহীন ঋণ, তা কিন্তু আমাদের শুধতেই হবে!
আজ হোক বা কাল, ঋণ অবশ্যই আমাদের শুধতে হবে, এ থেকে কোন মুসলমান নিস্তার পাবে না।
(সংগ্রহিত করা হয়েছে ফেইসবুক থেকে)
বিষয়: বিবিধ
১২৮৯ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আসিতেছে সেই দিন
যুগে যুগে বহু বাড়িয়েছে দেনা
শুধিতে হইবে ঋণ!
মনে রেখো হে মুসলমান! এ ঋণ শুধতেই হবে। আজ নয় তো কাল!!
লিখেছেন লিখেছেন হককথা ০৩ আগস্ট, ২০১৪, ০৫:৫৯:২১ বিকাল
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/2910/hero/50562#.U96ZnGN7QtU
আর নেটে কিছু ছাড়া মানেই হলো সবার উপকারে ছাড়া। আপনার জিনিস অন্যে নিলে ব্যাথা পেলে তা মনের সিন্ধুকে তালা দিয়ে রেখে দিবেন । আর সব পোস্ট গুলো নিয়ে আপনার ব্লগ বা আইডিতে পোস্ট করে আমার দাওয়াতী কাজ করে দিবেন। কারন ইসলামের শাশ্বত সত্যেরবানী হাজার জন পোস্ট করলেও আপনার আমলের ঘাটতি হবে না বরং আরো বেড়ে যাবে । শুধু দরকার মনটা উদার করা।
'
সুবহানাল্লাহ! আমি সবিনয়ে জানিয়েছিলাম কেবল এতটুকুই যে, লেখাটা আমার। লিংকও দিয়েছি। এর বেশী একটা কথাও বলিনি, মন্তব্যও করিনি। আর তার বিপরিতে আপনি যে তির্যক ও তীক্ষ্ণ মন্তব্যটুকু করলেন, তা আমাকে অবাক করেছে বলতেই হবে। মন্তব্য করার আগে আমি এক পলক আপনার ব্লগে বেড়িয়ে এসেছিলাম।
আপনি অনুমান করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন এই মর্মে যে, আমার লেখাটা কেউ একজন ছাপিয়েছে দেখে আমি কষ্ট পেয়েছি! আমি তো বরং খুশীই হয়েছি এটা দেখে! আল্লাহ পাকই ভালো জানেন।
লেখা লেখির পেছনে আমার উদ্দেশ্যটা কী, সেটাও একমাত্র আল্লাহ পাকই জানেন। সে বিষয়ে এখানে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
তবে একটা কথা না বলে পারছি না। লেখাটা আমার না আপনার সেই বোনের, তা আপনি জানেন না। কে হকের উপরে আছে? সেটাও আপনি জানেন না। আমি তার লেখা নিয়েছি, না, তিনি আমার লেখা নিয়েছেন, সেটাও আপনি জানেন না। এসব কথার কোনোই দরকার ছিল না এখানে! আপনার কথাগুলো অবশ্য সবই ঠিক আছে। প্রতিটি কথাই সত্য, আঈন ও যুক্তির মার প্যাঁচে একেবারে নিঁখুত।
তবে ইসলামি দাওয়াতের ক্ষেত্রে কেবল আঈন ও যুক্তির কথাই শেষ কথা নয়, এর উপরে আরও একটা বিষয় আছে, তা হলো, নৈতিক ক্ষেত্রে 'স্ফটিক স্বচ্ছতা' Crystal Clarity । সবিনয়ে বলে রাখি, একজন দায়ী ইলাল্লাহর জানা থাকা দরকার, নৈতিক এই স্বচ্ছতাটুকুই মানুষের মন, হৃদয়কে আলোড়িত করে।
আপনি দয়া করে 'মনটাকে বড় করা'র জন্য যে পরামর্শ দিয়েছেন, তার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহ যেন সেটা মেনে চলার তওফিক দেন।
আমি আপনার মুল্যবান অনেক সময় নষ্ট করেছি, এ জন্য দু:খিত। সাবধান থেকেছি, যেন আমার কোনো কথায় আপনি মনে কষ্ট না পান। তার পরেও যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন, তা হলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
মন্তব্য করতে লগইন করুন