মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতের ভয়াবহ ধ্বংস থেকে বাচার উপায়ঃ
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২৭ জুলাই, ২০১৪, ০২:০৫:০০ রাত
আলহামদুলিল্লাহ।প্রথমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে লাখো শুকরিয়া জানাই যিনি মানবজাতির সর্বাঙ্গিন কল্যান ও মুক্তির উদ্দেশ্যে এ রমযান মাসেই কুরআন নাযিল করেছেন , যা মানব সমাজের জন্য পথের দিশা এবং এমন দ্ব্যর্থহীন শিক্ষা সম্বলিত, যা সত্য –সঠিক পথ দেখায় এবং হক ও বাতিলের পার্থক্য সুস্পষ্ট করে দেয় ।সালাম আমাদের প্রিয়নবী ও সর্বশ্রেষ্ট্য নেতা মুহাম্মদ সাঃ প্রতি,যিনি প্রাণান্তকর সাধনা ও চেষ্টা সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদেরকে আইয়্যামে জ়াহিলীয়া্তের অন্ধকার যুগের পরিবর্তে একটি সোনালী সমাজ উপহার দিয়েছেন।
তার সাথে সাথে আমি আমার আন্তরিক ভালবাসাও শ্রদ্ধামিশ্রিত সালাম জানাই সেই সব আলোকিত ভাইবোন ছেলেমেয়েদের প্রতি,যারা মধ্যমপন্থী উম্মত হিসাবে ইসলামের কঠিন বা সহজ সকল অবস্থ্যায় ইসলামী সমাজ কায়েমের জন্য তাগুতের সকল ষড়যন্ত্র নসাত করে জান মালের কোরবানী করে ফিল্ডে ও নেটে দুনিয়াতে শান্তি ও আখিয়াতের নাজাতের জন্য প্রাণান্তকর সাধনা ও অকুতভয় চেষ্টা সংগ্রাম করেই যাচ্ছেন।বিডিটুডের আমার প্রানপ্রিয় ইসলামী চিন্তাবিদ ওজ্ঞানীব্লগার ভাইদের রমজানের সিলেবাসে আল্লাহ আমার নাম ও সুরা আসর আলোচনা করাতে দেওয়ায় সিক্ত নয়নে হৃদয়ের কম্পন নিয়েই আল্লাহর সাহায্য চেয়ে আলোচনা শুরু করছি।
সর্বজয়ী,সর্বজ্ঞানী মহান অদৃশ্য আল্লাহর দৃশ্য বানী, অফুরন্ত জ্ঞান ভান্ডার,সত্য অণির্বান ও পাষান হৃদয় কাপিয়ে দেওয়া কোরআনের দুনিয়ার মহাসত্যের আলোতে ভরপুর ও সহজ ভাবে বুঝার মত একটি সুরা হলো সুরা আসর।এই সুরায় মানবজাতির জীবন দর্শন ও জীবন পদ্ধতি হিসাবে মানুষের সফলতা ও বিফলতার পথ কোনটি?তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে আল্লাহ দেখায়ে দিয়েছেন।আমরা সবাই সূরা আল আসর পাঠ ও মুখস্থ করেছি। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছি ছোট এই সূরাটির মধ্যে আল্লাহ তাআলা কতগুলি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা রেখেছেন। কত চমৎকার হেদায়েত রেখেছেন ক্ষুদ্র এ সূরাটির মধ্যে। ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির স্পষ্ট সনদ রেখেছেন আল্লাহ মাত্র তিন আয়াত বিশিষ্ট এ সূরার মধ্যে।সবাই ব্যস্ত পাঠক।তাই এর বিশদ আলোচনায় না গিয়ে আমি শুধু সংক্ষেপে এর শিক্ষাটাই আলোচনা করব।
দুনিয়া ও আখিরাত জীবনে মানুষ ভয়াবহ ধ্বংস থেকে বাচার উপায়ঃ
সাহাবায়ে কেরামের অনেকের সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, তারা যখন একজন অপর জনের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাত করতেন তখন সূরা আল আসর পাঠ করে শুনাতেন।(তাবরানি, হায়সামি ফি মাজমাআয যাওয়ায়েদ
ইমাম শাফেয়ী রহ. বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা যদি কুরআনে অন্য কোনো সূরা নাযিল না করে শুধু সূরা আল আসর নাযিল করতেন তাহলে এটা মানুষের হেদায়াতের জন্য যথেষ্ট হত।’(মিফতাহুস সাআদাহ : ইমাম শাফেয়ি)
যদি কেউ এ সূরায় গভীরভাবে দৃষ্টি দেয় তাহলে সে তাতে একটি উন্নত, সুন্দর, শান্তিময়, পরিপূর্ণ এবং সবার জন্য কল্যাণকর সমাজের চিত্র দেখতে পাবে।
(আদওয়াউল বায়ান : ৯/৫০৭)
এই সুরার শিক্ষাঃ
প্রথমেই আল্লাহ তাআলা এ সুরার গুরুত্বের প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই বলেছেন, ‘ওয়াল আসর’ – শপথ সময়ের।জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত অগনিত কত গুলো সময়ের দলবব্ধতাই আমাদের জীবনের আসল মুলধন।এই মুলধন বরফ বিক্রেতার মুলধনের মত।আয়ুটা বরফের মত গলে নিঃশেষ হয়ে গেলে পুরা পুজিটাই শেষ হয়ে যাবে।আর আল্লাহর দেওয়া নিদিষ্ট হায়াতটা আল্লাহর দেওয়া বিধান মোতাবেক চলে আল্লাহর প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আল্লাহর সন্তুষ্টির মাধ্যমে পরকালের সফলতা অর্জন করতে হবে।কারন আল্লাহ মানুষ ও জীন জাতিকে সৃষ্টি করেছেন প্রভূর গোলামীর জন্য।তাই সময়কে অন্যায়-অপকর্ম ও অসত কাজে ব্যয় করে আখিরাতের ভয়াবহ ক্ষতি করা যাবে না।না হলে পুরো মানবগোষ্ঠি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা সকলে ধ্বংসের দিকে স্রোতের বেগে ধাবিত হচ্ছি। তবে আমাদের মধ্যে যাদের পরবর্তী আয়াতে চারটি গুণ আছে তারা ব্যতীত। এ চারটি গুণের অধিকারীরা কখনো ক্ষতিগ্রস্ত নয়। তারা সর্বদা লাভবান হবে ইহকাল ও পরকালে।
দুনিয়া ও আখিরাত জীবনে মানুষ ভয়াবহ ধ্বংস থেকে বাচার মাত্র ৪টি উপায়ঃ
অস্থায়ী দুনিয়ার কল্যানের চেয়ে চিরস্থায়ী আখিরাতে মানুষ ভয়াবহ ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়ে আরো অধিক কল্যানকর করে গড়ে তোলার জন্য ৪টি কাজের মধ্যে দুইটি ব্যক্তিগত পর্যায়ের কাজ (ঈমান ও সৎকাজ বা আমালে সালেহ।)এবং দুইটি সামাজিক পর্যায়ের কাজ(অন্যকে সত্যের পথে আহবান ও অন্যকে ধৈর্যের উপদেশ দান),যা আমাদের সবাইকে করতে হবে।
ব্যক্তিগত পর্যায়ের ২টিকাজ (ঈমান ও সৎকাজ বা আমলে সালেহ।)
ঈমান হল :
অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করা, মুখ দিয়ে স্বীকার করা আর অঙ্গ-প্রতঙ্গ দিয়ে তা বাস্তবায়ন করা। নিষ্ঠাবান পূর্ণ ঈমানদার/তাকওয়াবান মুত্তাকিন হিসাবে জীবনের প্রতিটি মুহুর্ত আল্লাহর নজরদারীতে আছি।তাই এই পবিত্র রমজানের মতই নিজেদেরকে বাকী ১১ মাস খাটি মুসলমান ও রাসুল সাঃ এর উম্মত হিসাবে তাওহিদ রিসালাত ও আখিরাতের উপর বিশ্বাসী হিসাবে পরিচালিত হতে হবে।
“প্রকৃত ঈমানদার তারাই যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের ওপর ঈমান এনেছে এবং এ ব্যাপারে পরে আর কোন সন্দেহ পোষণ করেনি৷ তারপর প্রাণ ও অর্থ-সম্পদ দিয়ে জিহাদ করেছে৷ তারাই সত্যবাদী।”সুরাহুজরাত-১৫
সৎকাজ বা আমলে সালিহঃ
ঈমান ও সৎকাজের সম্পর্কে বীজ ও বৃক্ষের মতো। বীজ মাটির মধ্যে না থাকা পর্যন্ত কোন বৃক্ষ জন্মাতে পারে না। কিন্তু যদি বীজ মাটির মধ্যে থাকে এবং কোন বৃক্ষ না জন্মায় তাহলে এর অর্থ দাঁড়ায় মাটির বুকে বীজের সমাধি রচিত হয়ে গেছে। ঈমান ছাড়া আমল গ্রহন যোগ্য নয়,আবার আমোল ছাড়া ঈমান গ্রহন যোগ্য নেয়।অজু ছাড়া নামাজ যেমন হয়না আর নামাজ ছাড়া অজু কোন কাজে আসে না।তাই আমলে সালেহ মানে হলো“ঈমানের তাগিদে আল্লাহ ও রাসুলের কোরআন ও সুন্নাহর হিদায়াতের অনুসারে নিজের জীবন পরিচালনা করা”।
উম্মুল মুমিনিন আয়েশা রা. কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চরিত্র সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তর দেন:‘তাঁর চরিত্র ছিল আল কুরআন।’ (মুসলিম)
কারণ রাসুলুল্লাহ সাঃকুরআনকে নিজের জীবনের পাথেয় হিসেবে নিয়েছিলেন। তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণা করেছেন এবং নিজ জীবনে তা পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়ন করেছেন। আমরা রমাজানে কুরআন পাঠ করি কিন্তু তা আমাদের জীবনে কোনো প্রভাব ফেলে না। আমাদের জীবনাচারে পরিবর্তন সূচিত করে না। কারণ আমরা কুরআনের মর্ম নিয়ে কোনো চিন্তা-ভাবনা করি না।
আলী রা. বলেছেন, ‘যে কুরআন পাঠে চিন্তা-ভাবনা নেই, সে পাঠে কোনো কল্যাণ নেই।’কোরান সুন্নাহের আলোকে এবং আল্লাহ সন্তুষ্টির উদ্দেশ্য ছাড়া কোন কাজই দুনিয়া ও আখিরাত এর কল্যান বয়ে আনে না।কুরআন মজীদে যতগুলো সুসংবাদ দেয়া হয়েছে তা এমন সব লোকদেরকে দেয়া হয়েছে যারা ঈমান এনে সৎকাজ করে।মানুষকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাবার জন্য ঈমান আনার পর সৎকাজ করতে হবে কারন সৎকাজ ছাড়া নিছক ঈমান মানুষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারে না।
সামাজিক পর্যায়ে কাজ দুইটিঃঅন্যকে সত্যের পথে আহবান ও অন্যকে ধৈর্যের উপদেশ দান
. অন্যকে সত্যের পথে আহবানঃ
একজন মুসলিম শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবে না। নিজের সুখে সন্তুষ্ট থাকে না। যেমন সে নিজের দুঃখেই শুধু ব্যথিত হয় না। অন্যের কথা চিন্তা করতে হয় তাকে। অন্যের কল্যাণে কাজ করতে হয়। অন্যের দুঃখে দুঃখী ও অন্যের সুখে সুখী হওয়া তার কর্তব্য। এজন্য এ চারটি গুণের প্রথম দুটো গুণ নিজের কল্যাণের জন্য আর পরের গুণ দুটো হল অন্যের কল্যাণের জন্য। প্রথম গুণ দুটো দ্বারা একজন মুসলিম নিজেকে পরিপূর্ণ করে, আর অপর দুইগুণ দ্বারা অন্যকে পরিপূর্ণ করার প্রয়াস পায়।
অন্যকে ধৈর্যের উপদেশ দান:
ঈমান ও সৎকাজ বা আমলে সালেহ ব্যক্তিগত গুন ২টি ব্যক্তি অর্জন করার পর তা রক্ষা করার জন্য দু'টি গুণ থাকতে হবে। ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে তাদের পরস্পরকে হক কথা বলার ও হক কাজ করার এবং ধৈর্যের পথ অবলম্বন করার উপদেশ দিতে হবে।ঈমানদারের সৎকাজ নিয়ে একটি সমাজ গড়ে তুলবে। এই সমাজ যাতে ভেঙ্গে না যায় সে দায়িত্ব সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তিকে উপলব্ধি করতে হবে। হককে সমর্থন করতে ও তার অনুসারী হতে গিয়ে যেসব সমস্যা ও বাধা - বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয় এবং এপথে যেসব কষ্ট ,পরিশ্রম ,বিপদ - আপদ ক্ষতি ও বঞ্চনা মানুষকে নিরন্তর পীড়িত করে তার মোকাবেলায় তারা পরস্পরকে অবিচল ও দৃঢ়পদ থাকার উপদেশ দিতে থাকবে । সবরের সাথে কিছু বরদাশত করার জন্য তাদের প্রত্যেক ব্যক্তি অন্যকে সাহস যোগাতে থাকবে ।এটা প্রত্যেক মুমিনের সামাজিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।আমরা মুসলিম।আমাদের আভির্ভাব ঘটানো হয়েছে তো বিশ্ব মানবের কল্যাণের জন্য। আর এ জন্যই তো মুসলিমরা শ্রেষ্ঠ জাতি।
আল্লাহ তাআলা তো বলেই দিয়েছেন :‘তোমরা হলে সর্বোত্তম জাতি, যাদেরকে মানুষের জন্য বের করা হয়েছে। তোমরা ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে, আর আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে।’ (আলে ইমরান : ১১০)
‘
হে আমার প্রিয় বৎস, সালাত কায়েম কর, সৎকাজের আদেশ দাও, অসৎ কাজে নিষেধ কর এবং তোমার ওপর যে বিপদ আসে তাতে ধৈর্য ধর। নিশ্চয় এগুলো অন্যতম দৃঢ় সংকল্পের কাজ।‘ (লুকমান : ১৭)
যুগে যুগে নবী রাসুলরাও বাতিলের মুকাবিলা না করে সমাজে হক ও ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠা করতে পারে নাই।সমাজকে ঈমানদারদের দিয়ে চাষাবাদ করে বারো মাস ভাল ফলন পাবার জন্য একে অন্যকে হক/সত্য পন্থায় চলার মাধ্যমে বাতিল শক্তির মুকাবিলা করতে হবে।বাতিলের মুকাবিলা করার সময় তাগুক শক্তির যতো প্রকার বাধা বিপত্তি দুঃখ কষ্ট আসুক না কেন ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার মাধ্যমে সাফল্য লাভের জন্য পরস্পরকে সবরের উপদেশ দিয়ে ঈমান মজবুতী নিয়ে মুকাবিলা করতে হবে।সবর না থাকলে তাগুক শক্তির যতো প্রকার বাধা বিপত্তি দুঃখ কষ্ট দেখে আমরা বিরক্ত বা অধৈর্য্য হয়ে ঘরের ডুকে বসে বাতিলের নিকট পরাজয় বরন করার নাম সবর নয়।সবর মানে ইসলামের সকল অবস্থ্যায় ঈমানের জযবা নিয়ে ময়দানে সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় সুদৃঢ় ভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাগুতের মুকাবিলা করা।শয়তানের যত বাধা আসুক ।আল্লাহ সবরকারীর সাথে আছেন তাই দুনিয়াবী কোন শক্তিকে পরওয়া না করে ঈমান ও আমলে সালেহের মাধ্যমে হকের পক্ষে সব অবস্থ্যায় সবর করে লড়ে যাওয়া।এর জন্য জান মাল যাই ত্যাগ করতে তা হাসি মুখে ত্যাগ করা।
প্রকৃত সবর বা ধৈর্য তিন প্রকার :
(ক) আল্লাহর আনুগত্যে ধৈর্য ধারণ করা। তাঁর আদেশ নির্দেশগুলো মানতে গিয়ে অধৈর্য না হওয়া। (খ) আল্লাহর অবাধ্য না হওয়ার ব্যাপারে ধৈর্য ধারণ করা। আল্লাহ তাআলা যা কিছু হারাম করেছেন সেগুলোর (গ) উপস্থিত বিপদ-মুসিবতে ধৈর্য ধারণ করা।”
অতঃপর সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়, যারা ঈমান এনেছে এবং পরস্পরকে উপদেশ দেয় ধৈর্যধারণের, আর পরস্পরকে উপদেশ দেয় দয়া-অনুগ্রহের। তারাই সৌভাগ্যবান।’ সূরা আল বালাদঃ
আহবানঃ
আমার প্রান প্রিয়ও ইসলাম প্রিয় ভাইবোন ও ছেলেমেয়েরা আসুন,এ সূরার মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম যে, চারটি বিষয় অর্জন করা আমাদের জন্য জরুরি :
এক. ইলম বা জ্ঞান অর্জন। ইলম ব্যতীত ঈমান স্থাপন সম্ভব নয়। ঈমানের জন্য কমপক্ষে তিনটি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
(ক) আল্লাহ তাআলাকে জানতে হবে। (খ) তাঁর রাসূলকে জানতে হবে। (গ) তাঁর প্রেরিত দীন-ধর্মকে জানতে হবে। এগুলো জানার পরই আমাদের আল্লাহর ওপর ঈমান আনা সম্ভব।
দুই. ইলম অনুযায়ী কাজ করি। তিনটি বিষয় -আল্লাহ, রাসূল ও দীন সম্পর্কে ইলম অর্জন করে আল্লাহর প্রতি ঈমান স্থাপন করার পর সেই ইলম বা জ্ঞান অনুযায়ী আমল করতে শুরুকরি।
তিন. অন্যকে এই ইলম ও আমলের দিকে আহবান করতে হবে বা দীনে ইসলামের দিকে দাওয়াত দিতে হবে।
চার. ধৈর্য ধারন করা। ইলম, ঈমান, আমল ও দাওয়াত দিতে গিয়ে যে সকল বিপদ-মুসীবত, দুঃখ কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়, তাতে ধৈর্য ধারণ করতে হবে ও অন্যকে ধৈর্য ধারণের উপদেশ দিতে হবে। এছাড়া সকল প্রকার বিপদ মুসিবতে, দুর্যোগ-দুর্বিপাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে ও অন্যকে ধৈর্য ধারণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।একজন মুমিন যেমন নিজে ধৈর্য ধারণ করে ও অন্যকে ধৈর্য ধারণের উপদেশ দেয়, তেমনি সে নিজে দয়া অনুগ্রহ করে ও অন্যকে দয়া অনুগ্রহ করতে উদ্বুদ্ধ করে।কোরআন জানা ফরজ মানা ফরজওধৈর্য্য ধারন করে অন্যকে জানানো ফরজ।
আল্লাহ আমাদেরকে সূরা আল আসরের শিক্ষাসমূহ বাস্তবায়নের জন্য তাউফিক দান করুন।
বিষয়: বিবিধ
৫৩৩১ বার পঠিত, ৩৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
Click this link
আপনি মহিলা মানুষ হয়ে আমাদের যে দাওয়াত এবং অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন, তার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
Click this link
Click this link
Click this link
Click this link
হে বন্ধু! সত্যিই কি তুমি চলে যাচ্ছ ?
Click this link
হে বন্ধু! সত্যিই কি তুমি চলে যাচ্ছ ?
Click this link
হে বন্ধু! সত্যিই কি তুমি চলে যাচ্ছ ?
Click this link
হে বন্ধু! সত্যিই কি তুমি চলে যাচ্ছ ?
Click this link
হে বন্ধু! সত্যিই কি তুমি চলে যাচ্ছ ?
Click this link
জাযাকিল্লাহ খাইর!
আমিতো ইতিমধ্যেই অনেকের কাছে ইমেইলে কপি পাঠিয়ে দিয়েছি- আপনার অনুমতি না চাওয়ার অধিকার আছে - এমনটাই বিশ্বাস করি!!
প্রায়শঃই সময়সংকটে মন্তব্য করতে পেরে উঠিনা!
আমার এ অক্ষমতা/সীমাবদ্ধতায় কষ্ট পাই- আশা করি অন্যেরা সেটা বুঝবেন!
দোয়া চাই/করি
হে বন্ধু! সত্যিই কি তুমি চলে যাচ্ছ ?
Click this link
মন্তব্য করতে লগইন করুন