ভাবীর মেয়ের ঈদের থ্রী পিসের দাম আটাশ হাজার টাকা
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২৪ জুলাই, ২০১৪, ০১:০৮:৫২ রাত
ভাবীর মেয়ের ঈদের থ্রী পিসের দাম আটাশ হাজার টাকা
আজকের প্রোগ্রামের আলোচ্য বিষয় ছিলো ত্রী পিসের দাম আটাশ হাজার টাকা ।
আমি গিয়েই দেখি প্রোগ্রাম শুরু না করে দ্বীনি বোনেরা খুব আলোচনয়া মগ্ন। আরো আপা আসবেন তাই অপেক্ষায় করছি আর শুনছি । বুঝতে পারছিলাম না কি বিষয়।
রোজী আপা উঠে বললেন ,"পারভীন আপা , ৬য় তলার ভাবীর মেয়ের ঈদের থ্রী পিসের দাম আটাশ হাজার টাকা। আমি শুনে থ হয়ে গেলাম ।আমার মাথায় আসছিল না কি বলা উচিত । শুধু বললাম আপা , এই টাকায় ৫০ জনকে খুশি করে ঈদ করা যেত তা হলে আখিরাতে এর চেয়ে মুল্যবান পোষাক আল্লাহ দিতেন ।"
ইসলাম প্রিয় মেয়ে ও বোনদের বিনীত ভাবে বলছি
আমরা অনেকেই কেউ স্বামী আবার কেউ বাবার বা ভাই এর সংসারে কেউ স্ত্রী বা কেউ মেয়ে বা বোন হিসাবে আছি । সেই পুরুষদের মাধ্যমেই আল্লাহ আমাদের রিযিক এর ব্যবস্থ্যা করে থাকেন । ওনারা আমাদের মুখে সুখের হাসি ফুটানোর জন্য মাথার ঘাম পায়ে পেলে উপার্জন করেন । দুনিয়াবী ভোগ বিলাস আরাম আয়েশের কাছে কখনো কখনো মনে হয় খুবই তা সামান্য । কিন্তু যখন মনে হয়, হারামে পেট ভরে খাবার চেয়ে হালাল খাবার অল্প খাওয়া্র মাঝেও অনেক আনন্দ ।
এই আয়ের মাঝে যখন কোন বাড়তি চাপ (বিয়ে, জন্মদিন , ডাক্তার খরচ বা ঈদের আনুষ্টানিকতা )আসে তখন সেই সীমিত আয়ের সংসারের কর্তা মশাই পেরেশান হয়ে যান। তখন আমাদের মহিলাদের নমনীয়তা বা সচেনতা ওনাকে দেয় অনেক মানুষিক প্রশান্তি ।
ঈদ মানে আনন্দ । আর আনন্দ শুধু ভোগে নয় ত্যগের মাঝে থাকে অনেক বেশি । ভোগের আনন্দ ক্ষনস্থায়ী আর ত্যাগের আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী।
আপনি পাড়া প্রতিবেশির সাথে প্রতিযোগীতা বা মার্কেটে মনোহরী অনেক পন্য দেখে তা কেনার জন্য মন পেরেশান হয়ে উঠেন। সারা বছরের একটা কিনা কাটার ঈদ বলে কথা ।
তা ছাড়া বন্ধুবান্ধব বা আপন জনের কাছে বুক ফুলায়ে দাম বলে দামী পোশাক পোড়ে হাটতে মজা পাবেন অনেক । কিন্তু যিনি সারা মাস খেটে আয় করা পকেটের টাকা বের করে আপনার সামান্য শখ পুরোন করতে গিয়ে পকেট খালি করে বাসার গেটে এসে দারোয়ান থেকে রিক্সসাভাড়া দিচ্ছেন ওনার মানুষিক অবস্থ্যা টা কি একবার ভেবে দেখেছেন আপুমনি । উনার বুকের ধুকধুকানি আবার শুরু হয়ে গেছে কারন উনি ১তারিখে ঈদ হবার পর মাসের বাকী দিন গুলো এর খরচ কিভাবে চালাবেন। কার কাছে ঋন করার জন্য হাত পাতবেন।
আমরা কি পারি না আমাদের চাহিদা কমায়ে আমাদের ছেলে মেয়ে বা ছোট ভাই বোন্দের কে বুঝায়ে উনার উপর থেকে মানুষিক চাপ টা কমাতে ? উনার সাথে বসে আমাদের আয় ব্যয় অনুসারে ঈদের বাজেট করতে ? উনাকে হালাল পথে চলতে সাহায্য করতে ?আমাদের বরন পোষনের যেই দায়িত্ব উনি মাথায় নিয়েছেন তা একটুও যেন উনার কাছে বোঝার মত মনে না হয় তা লাগব করতে । ঈদ বার বার আসবে । কিন্তু তাই বলে আমাদের সংসারের মাঝে সারা বছরের জান্নাতী আনন্দ এর মাঝে যেন বাটা পড়ে না যায় । সেই দিকে গভীর খেয়াল রাখতে হবে ।
আপু একমুখ স্বর্ন দিয়েও ভরা যায় । আর দশ মুখ ছাই দিয়েও ভরা যায় না । তাই আপনার পক্ষের আত্নীয় স্বজনদের ঈদের গীফট দেওয়ার জন্য চাপাচাপি করবেন না । আগে ঘরে চেরাগ জ্বালাতে দিন তারপর মসজিদে । তাই আল্লাহর সাহায্য চেয়ে সবর করুন । অল্প তে তুষ্ট থাকুন । যেই বোন টা পথের পাশে বা বস্তি তে আছে সে যে পুরান কাপড় গুলো এখন থেকে ধুয়ে ঈদ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তার কথা ভাবুন । একটা কিছু এনে দিলে তাতে হাসি মুখে উনাকে অভিনন্দন জানান ।
আপনি ২০০ টাকার একটা ওয়রনা পেয়ে অনেক খুশি হয়েছেন তা উনাকে দেখান । আর হাজার হাজ়ার টাকা রোজগার করেও নিজের জন্য কিছুই নিতে পারেন নাই । উনাকে আপনার তিল তিল করে জমানো টাকা দিয়ে একটা পাঞ্জাবী কিনে দিইয়ে দেখেন কি খুশি হয়ে সারা বছর তা পরবে আর মিষ্টি হাসি দিয়ে আপনার কোপালে এসে একটা চুমু দিবে । তখন মনে হয়, আমার ঈদ সারা বছর এর জন্য আলহামদুলিল্লাহ । যখন শুনি অনেক দামী শাড়ি বা থ্রীপিচ পেয়েও মেচিং করা কস্মেটিক বা চুড়ির জন্য স্বামী স্ত্রী ঝগড়া করে সকালে ঈদের সেমাই রান্না হয় নাই বাসায় ।তখন কষ্টে খুব কান্না আসে ।
রাসুলের সেই হাদিস টা মনে করুন বেশি করে " দুনিয়ার ভোগ বিলাস আর আরাম আয়েশের দিকে তাকালে নিচের দিকে তাকাতে আর আখিরাতের দিকে তাকালে আপনার চেয়ে যিনি বেশি আমল করছেন তার দিকে তাকান ।
আল্লাহ আমাদের জান্নাতী রমনীদের মাঝে স্থান পাও্যার
বিষয়: বিবিধ
২৩১৮ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুন্দর বলেছেন। অধিকাংশ স্ত্রীই আজকাল তাদের স্বামীদের কাজে কর্মে সন্তুষ্ট থাকে না। তাকওয়া ও তাওয়াক্কুল ও সবরের বড়ই অভাব। জাজাকাল্লাহু খাইরান।
আসসালামুয়ালাইকুম। পিজ পড়ে দেখুন ।মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতের ভয়াবহ ধ্বংস থেকে বাচার উপায়ঃ
[url href="http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/2662/sottolikhon/50152#.U9QOAEAm-1s" target="_blank"]Click this link[/url
Click this link
সবসময় ছেষ্টা করি নিচের দিকে তাকাতে। দোয়া করবেন,,,,,,,,,,,,,,,
Click this link
Click this link
এরকম পরিস্থিতি থেকে কিন্তু আপনিও মুক্ত নন যদি তার কথামত তাকে লাক্সারী না দিতে পারেন ।
এসব কোন মজা করার জিনিসও নয় , কারণ একটা জিনিস কিনতেই যখন ২৮,০০০ টাকা লাগে তখন সারা মাসের বাকী খরচ কিভাবে মেটাবেন তা কি মাথায় আসে ?
আর আপনার যদি অগাধ টাকা থেকে থাকে যার কোন হিসেবই নেই - তাহলে ঠিক আছে অন্যের সাফারিংস নিয়ে যে হালকা মজা করেছেন ।
Click this link
বিষয়টি নিয়ে এভাবে নাড়া দিবেন চিন্তা করা হয়নি।
আমার লেখায় ইবনে হাসেম ভাই কষ্ট পেয়ে থাকলে; আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
বাস্তবেও আসলে আপনারা এমন কি না আল্লাহ-ই জানে। তবে এমন হইলে জামাই খুশী সেটা নিশ্চিত।
এড়িয়ে গেছেন ঝগড়া করবেন না বলে ।
উনারা সবসময়ই এরকম পরিস্থিতি পিছলিয়ে যান ।
Click this link
মেয়েদের ভরণপোষন খুবই এক্সপেনসিভ এবং মেয়েরা এসব ব্যাপারে খুবই সেনসিটিভ হয় । পাখি ড্রেস না পেয়ে একজন আত্মহত্যা করেছে , আরেকজন তার প্রাণপ্রিয়(!) স্বামীকে ডিভোর্সও দিয়েছে ।
ছেলেদের জিনিস হাতের নাগালেই থাকে এবং তারা এতটা ক্রেজি থাকে না যতটা মেয়েরা থাকে এসব ব্যাপারে ।
এসব মেয়ে যদি কোন সত + নামাজী ছেলের সংসারে যায় তাহলে তার জীবনটাই তছনছ করে দেবে ।
২৮,০০০ টাকায় যদি একটা থ্রি পিস সে নেয় তার স্বামীর কাছ থেকে , তাহলে স্বামী বেচারাকে এর ধাক্কা মিনিমান ২ মাস বয়ে চলতে হবে । প্রায়ই দেখা যায় স্ত্রীর বেহিসাবী লাক্সারীর কারণে তাকে তার নিজের জিনিসের ব্যাপারে কম্প্রোমাইজ করতে হয়।
যে বাবা মা মেয়েকে এত দামী জিনিস কিনে দেয় ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে , তারা তো মেয়ের খারাপই করছে বলবো । এই মেয়ে যখন তার স্বামীর সংসারে একই পেসে সব পেতে চাইবে তখনই তো সমস্যা বাঁধাবে ।
এখনকার মেয়েরা কি স্বামী তার সামর্থ্য অনুযায়ী স্বামী যা খাওয়াতে চায় তাতেই সন্তুষ্ট থাকে ? তার একটা শার্ট ও একটা প্যান্টের দামের সমান কোন থ্রি পিস পেলে সে কি খুশী হয় ?
আমল করছে।
Click this link
আল্লাহ আমাদের এটা মেনে চলার তৌফিক দিন ।আমীন !
Click this link
বেশী দাম বললে মেয়ে মহলে সবাই তাকে সমীহের দৃষ্টিতে দেখবে ।
Click this link
মন্তব্য করতে লগইন করুন