“হে রাক্ষুসী ফুল !তুমি আর মনোলোভা রং রুপে ফুটে আমাদের স্বর্বনাশ করোনা”।

লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২২ জুলাই, ২০১৪, ১০:৫৯:৫৮ সকাল



সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে "ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর" এই সতর্কবানি সব কোম্পানীকে লিখতে বাধ্য করা হয়।তাই তারা লিখছে । কিন্তু জনগন কে এই আদেশ পালন করতে বা মেনে চলতে বাধ্য করা হচ্ছে না।এটা স্বাস্থ্য ও জীবন নাশক তা জেনেও জনগন সামুয়িক আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে বৃষ বৃক্ষের ফলের মত খেয়ে যাচ্ছে। কারন সরকার প্যাকেটের গায়ে লিখার আদেশ দিয়েছেন কিন্তু তা বাস্তবায়নের খত্রে কোন পদক্ষেপ নেন নাই।আর এর সাথে আরো ভয়ংকর মারাত্তক মাধক নেশায় আসক্ত হয়ে মরন নেশায় পাগল পোকা মাকড়ের মত আগুনের কুপে ঝাপ দিচ্ছে ।

আজ আমাদের চোখের সামনে সবাই দেখতে পাচ্ছি বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশের নিরোপরাধী মুসলমানদের উপর ইহুদি খ্রীস্টানরা নির্বিচারে হত্যা যজ্ঞ চালাচ্ছে।মুসলমান দেশ গুলোর সরকাররা কোন প্রতিবাদ না জানায়ে আর হেসে খেলে নেচে গেয়ে আনন্দে দিন কাটাচ্ছে।মানবাধিকার সংস্থ্যা গুলো কানে তুলা নাকে তেল আর চোখে লোহার গ্লাসের চশমা দিয়ে ঘুমাচ্ছে।মুসলমানদের মনোবল জনোবল ও অর্থনৈতিক শক্তি সব মনে হচ্ছে হারিয়ে ্যাচ্ছে। মুসলমানদের ঈমানের অবস্থ্যা হয়েছে সেই অবস্থ্যা সরিষার মথ্যেই ভূত ডুকলে ভুত তাড়াবে কারা?

এতে ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে মুসলিম পরিবার গুলো।পর্দানশীল মেয়েদের গ্রেফতার আর লাঞ্চনা দেখে অন্য মেয়েরা হয়ে যাচ্ছে বেপর্দা।মুসলিম জনগনের উপর নির্যাতন দেখে জনগন হয়ে যাচ্ছে ইসলামের প্রতি উদাসীন।্তাতে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক হয়ে যাচ্ছে তাসের ঘরের মত। গ্রেফতারী পরওয়ানা ,জেল জুলুম,গুম খুন সব মিলিয়ে এক একটা পরিবার হয়ে আছে মিনি কারাগার। দেশের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড হয়ে যাচ্ছে ঘুনে ধরা কাঠের মত দূর্নীতির কুঠারাঘাতে ভঙ্গুর।দেশের মানুষ হয়ে যাচ্ছে উচ্চভিত্ত আর নিন্মভিত্ত এই দুই শ্রেনীতে বিভক্ত । সার্বক্ষনিক দুশ্চিন্তায় ও অশান্তির মাঝেও মানুষ স্বত্তিতে একটি নিশ্বাস ফেলার জন্য বিকবেদিক ছুটছে।

““হে রাক্ষুসী ফুল !তুমি আর মনোলোভা রং রুপে ফুটে আমাদের স্বর্বনাশ করোনা”।

ইসলামমুখি সচেতন সাহসী নাগরিক রা এই সব অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে সোচ্চার হলেই স্বৈরাচার সরকার তাদের উপর মারমুখি হয়ে তাদের উপর নানান অতাচার চালাচ্ছে।বাংলাদেশ ৯০%মুসলমানের দেশ হলেও ইসলাম বিরোধী অনেক কর্মকাণ্ডে ইসলামের লেবাস পরা অর্ধেক মুসলমান নিরব ভুমিকা পালন করছে।তারা শয়তানের কর্মকান্ডে নিরবতা পালন করে যে শয়তানকে তার কর্মকান্ডে সম্মতি দিয়ে মসজিদ কেন্দ্রিক হয়ে আরো ইসলামের দেশের দশের ক্ষতির রায় ঘোষনা দিচ্ছে তা তারা আদৌ বুঝতেছেনা।এতে করে মুসলমানরা বার বার তথা কথিত রাক্ষুসী ফুলের রং রূপে পাগল হয়ে তার শিকারে নিজেকে নিজেই বিলিয়ে দিচ্ছে।

আফ্রিকার গহীন বনের একটা ফুলের নাম রাক্ষুসী ফুল।সারা বন আলোকিত করে সে তার মনোলোভা রং রুপ শতদলে মেলে ধরে কীটপতঙ্গ কে পাগল করে তার ফাদে ফেলে।বকা কীটপতঙ্গ মধু আর সুখের রেনু ছড়ানোর আশায় সেই মরিচিকায় প্রতারিত হইয়ে রাক্ষুসী ফুলে এসে বসে।রাক্ষুসী ফুল বোকা কীট পতঙ্গের এই দূর্বলতাকে কালবিলম্ব না করে কাজে লাগায়ে তাদের গিলে ফেলে।বার বার রাক্ষুসী ফুল পূর্বের চেয়ে আরো রূপবতী হয়ে বন আলোকিত করে ফুটে আর বোকা কীটপতঙ্গ গুলোকে শিকার করে করে সাবাড় করে।কিছু কীটপতঙ্গ বুঝতে পারে রাক্ষুসীর কুমতলব।কিন্তু নিজেদের জ্ঞাতী গুষ্টিকে তা বুঝাতে না পেরে তারা দলবেধে রাক্ষুসী পুলের কাছে গিয়ে কাকুতী মিনতী করে জানায় “হে রাক্ষুসী ফুল,তুমি আর মনোলোভা রং রুপে ফুটে আমাদের স্বর্বনাশ করোনা”।চোরে নাহি শুনে ধর্মের কাহিনী। তাই তাদের সকল চেষ্টা ব্যর্থ হল।

আজ মুসলিম জাতিও মনোলোভা দুনিয়াবী সুদৃশ্য কারুকার্য খচিত অট্রালিকা আর আরাম আয়েশে মত্ত হয়ে মনোহরী হয়ে নিজেদের কোরান সুন্নাহ থেকে দূরে সরে বোকা কীটপতঙ্গের মত শয়তানের তাবেদারী করছে।আর আর শয়তানও রাক্ষুসী ফুলের মত কালবিলম্ব না করে তাদের গ্রাস করে ফেলছে।ভেঙ্গে তছনছ করে দিচ্ছে মুসলিমদের ঐতিহ্যবাহী সভ্যতা ,সংস্কৃতি ও সিসাঢালা প্রাচীরের মত মুসলিম ঐক্যের বন্ধন।আজ তাই মুসলমানরা ভুলে যাচ্ছে তাদের অতীত।কারন তারা ইসলাম মুল উতস কোরান ও সুন্নাহ থেকে দূরে সরে গিয়ে বোকা কীটপতঙ্গের মত মরিচিকা রকমারী মনভোলানো তবসির দানার ভিতরে অনাবিল শান্তির জান্নাত খুজছে।শয়তান এর দালালরা তাই তাদের কাজে কোন বাধা দিচ্ছে না।

হে মুসলমানরা জাগো!ফিলিস্তিনের ভাই বোনেরা বুক ফেটে আর্তনাথ করে ডাকছে।

অতীতে মুসলমানরা যে আঘাত পেত তা তাদের হিম্মত ও সাহসকে দমিত এবং মনোবলকে নিস্তেজ করার পরিবর্তে তাদের সংকল্প ও কর্মোন্মদনার জন্য তা চাবুকের মত কাজ করেছিল। তারা আহত সিংহের মতো গর্জে ওঠে তাগুতের সকল পরিকল্পনা নসাত করে দিত। তাদের ক্রমাগত প্রচেষ্টা, সংগ্রাম ও আত্মদানের ফলে সমস্ত ইসলাম বিরোধী শক্তির দর্প চূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। মুসলমান তাদের ওপর সবসময় যে ইহুদী /খ্রীস্টান বিপদ শকুনির মতো ডানা বিস্তার করে রেখেছিল কিন্তু তাদের অশুভ পাঁয়তারার অবসান ঘটায়েছিল চিরকালের জন্য।

ইসলামের শক্তিকে দমন করার জন্য কুরাইশরা সর্বশেষ প্রচেষ্টা চালিয়েছিল খন্দকের যুদ্ধে। এতেও তারা শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়। তাই ইসলামের ও আন্দোলনকে খতম করার সাধ্য দুনিয়ার আর কোন শক্তির নেই। ইসলাম এখন আর নিছক একটি আকীদা-বিশ্বাস ও আদর্শের পর্যায় সীমিত থাকার মত ধর্ম নয়। ব্যক্তির মাঝে শুধু নিছক মন ও মস্তিষ্কের ওপরই তার রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত থাকবে না। বরং ইসলাম পরিবার সমাজ ও পরাক্রান্ত রাষ্ট্রীয় শক্তিতে পরিণত অতীতে হয়েছে ইনশাল্লাহ এখনো আমাদের তা করতে হবে ।মুসলমানরা এতটা শক্তির অধিকারী যে, যে চিন্তা ও ভাবধারার ওপর তারা ঈমান এনেছে সে অনুযায়ী স্বাধীনভাবে নিজেদের জীবনকে গড়ে তোলার এবং সে চিন্তা ও ভাবধারা ছাড়া অন্য কোন আকীদা-বিশ্বাস, ভাবধারা, কর্মনীতি অথবা আইন-বিধানকে নিজেদের জীবন ক্ষেত্রে অনুপ্রবেশ করতে না দেয়ার পূর্ণ ইখতিয়ার মুসলমানদের মাঝে থাকতে হবে।তাই আমার মনে হয় আমরা এখনো সময় থাকতে না জাগলে ফিলিস্তিনের মত আমাদেরকেও রাক্ষুসী ফুলের শিকারে পরিনত হতে হবে।হে মুসলমানরা জাগো!ফিলিস্তিনের ভাই বোনেরা বুক ফেটে আর্তনাথ করে ডাকছে।

তাই আমরা বোকা কীটপতঙ্গের মত দল বেধে গিয়ে বলব না যে ““হে রাক্ষুসী ফুল,তুমি আর মনোলোভা রং রুপে ফুটে আমাদের স্বর্বনাশ করোনা”।আমরা রাক্ষুসী গাছের কান্ড গোড়া মূল সহ তুলে ফেলে দেব।তা হলে সব রাক্ষুসী ফুলেরা আর কাউকে শিকারে পরিনত করতে পারবে না। আর এর ফলে আমরা প্রকৃত নাজাত পাবো।বনের সিঙ্ঘের সামনে যেমন অন্য প্রানী সাহস করে আসতে পারে না তেমনি আমাদের সামনেও আর শয়তানের দালালরা আসার সাহস পাবে না।



বিষয়: বিবিধ

২৭৫৮ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

247101
২২ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:৫০
আফরা লিখেছেন : অনেক ভাল লাগল আপু ।
২২ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০১:০১
191884
সত্যলিখন লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম । আপু তোমার নামটা আমার প্রান প্রিয় ও আমার জীবনের শ্রেষ্ট্য সন্মানিত শিক্ষকের বড় মেয়ের নাম। ার তোমার বাবা নিয়ে লিখাটা আমার জীবনের সাথে ৭০% মিলে যায় তাই আমি "তোমাকে অনেক ভালোবাসি"। আপু এই কথাটা আর কাউকে বলো না। কারন আমি যাকেই ভালবাসি আল্লাহ উনাকে বেশি ভালবাসার জন্য সেটা আমার থেকে দূরে সরায়ে নিয়ে যান ।প্রথম মন্তব্যকারী হিসাবে আল্লাহ তোমাকে দুনিয়াতে ওয়াখিরাতে শ্রেষ্ট্য পুরুস্কার দান করে উনার শ্রেষ্ট্য নেক্কারদের কাতারে শামিল করুন ।
২২ জুলাই ২০১৪ রাত ০৯:০০
192003
আফরা লিখেছেন : আপু আপনার কথা শুনে মনটা ভরে গেল ।আর হায়াত- মৃত্য তো আপু আল্লাহর হাতে । আল্লাহ আপনার দুয়া কবুল করুন আপনার ও আমার জন্য । আমীন !
247120
২২ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০১:৩১
বিদ্যালো১ লিখেছেন : MaShaAllah.
Khub valo laglo likhati.

Modudeer proti ai likhati Stiki korar onurudh thakhlo.
২৭ জুলাই ২০১৪ রাত ০২:৪৫
193064
সত্যলিখন লিখেছেন : আসসালামুয়ালাইকুম। পিজ পড়ে দেখুন ।মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতের ভয়াবহ ধ্বংস থেকে বাচার উপায়ঃ

Click this link
247214
২২ জুলাই ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো
আমরা এখন পৃথিবির জন্যই আকর্ষিত।
০২ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১০:৫৮
194373
সত্যলিখন লিখেছেন : আসসালামুয়ালাইকুম।সহমত।
247645
২৩ জুলাই ২০১৪ রাত ১১:২২
বাজলবী লিখেছেন : মাধুর্যযুক্ত লেখনি পড়ে ভালো লাগলো।জাযাক অাল্লাহ খাইর।
২৭ জুলাই ২০১৪ রাত ০২:৪৫
193065
সত্যলিখন লিখেছেন : আসসালামুয়ালাইকুম। পিজ পড়ে দেখুন ।মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতের ভয়াবহ ধ্বংস থেকে বাচার উপায়ঃ

Click this link
252242
০৮ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০২:০৯
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : অনেক অনেক ধন্যবাদ অতীব সুন্দর একটা লিখা উপহার দেয়ার জন্য। আপনার শব্দ চয়নগুলো চমতকার হয়েছে। এতো সুন্দর করে ভাবতে পারেন! আপনার লিখা পড়ে অনেক বিপথগামী মুসোলমান সঠিক পথে আসার অনুপ্রেরণা পাবে সন্দেহ নেই।
০৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:০৪
196743
সত্যলিখন লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ ।আপনার মনটা অনেক সুন্দর তাই অসুন্দরকেও সুন্দর করে ভাবতে জানেন । তাই আল্লাহ আপনাকে দুনিয়া ও আখিরাতের উত্তম পুরুস্কার দান করুন ।







Click this link

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File