জামতলার পর্দানশীল মেয়েরা শিউলি তলার শিউলিদের কুড়ায়ে মালা গাথে
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২০ জুলাই, ২০১৪, ০২:৩৩:৪০ রাত
দুর্দান্ত সাহসী শিউলি
শিউলি বাগানের ফুল নয়। শিউলি ৫ জন মুক্তি যোদ্ধা চাচার পরিবারের ও নিজের ডাক্তার বাবা আর উচ্চ শিক্ষিত ৪ ভাইয়ের হৃদয়ের বাগানে একমাত্র ফোটা একটি মেয়ের নাম।যার রুপ গুন চঞ্চলতা আত্নীয় স্বজন সবাইকে এক নজরে পাগল করা।নাটক নাচ গানে মানে সাংস্কৃতিতে স্কুল কলেজে মাতানো শিউলির নাম ডাকে ।হাক ডাক দিয়ে নেতৃত্বেও শিউলির ভয়ে স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা কেপে উঠে।আত্নীয় স্বজন বাবা ভাইদের কোন বারন নেই শিউলির আচার আচরন শখ আহল্লাদের উপর।শিউলি যেমন মেধাবী তেমনি জেদি তাই দশ পাড়ার শেয়ানা ছেলেরাও সাহস করে শিউলীর দিকে তাকানো বা কিছু বলার সাহস নাই।
জামতলার পর্দানশীল মেয়েরা কি বলছেঃ
কলেজের কোথায়ও বসার সুযোগ না পেয়ে জাম তলায় কয়দিন পর পর গুটি কয়েক মেয়ে এক সাথে বসে কি জানি আলোচনা করে আর অন্য ছেলে মেয়েরা তাদের বার বার নানান প্রশ্ন করে করে বিরক্ত করছে।শিউলি কয়দিন দেখার পর য়াজ নিজেই জাম তলায় গেল।সবাই কে কোলাহোল হট্রগোল না করে চুপ থাকতে বলল।শিউলির ভয়ে সবাই চুপ হয়ে বোরকা পরা মেয়েরা কি বলছে তা শুনলো।শিউলির মনের মাঝে কথা গুলো সাইক্লোনের বেগে ঝড় তুফান তুলল। কি এক অজানা জাদুর পরশে শিউলির হৃদয়ের কালো রেখা গুলো সরে গিয়ে প্রভাতের সোনালী আলোর রেখা দেখা দিল।শিউলি জানল এরা কারা এই ভাবে এতো সুন্দর করে কোরানের মর্মকথা তুলে ধরে আজ তার মাঝে কুরানের মহাসত্যের আলো ছড়িয়ে দিলেন।যা শিউলির দীর্ঘ চলার পথ, জীবন দর্শনের ওজীবন যাপন পদ্ধতির সম্পুর্ন বিপরীত।
শিউলি ঈমান আর আমোল একসাথে শুরু করলেন:
ঈদের শিউলিকে জামা কাপড় ও মনমত কসমিটিক্স কিনার জন্য বাবা ভাই যে টাকা দিলো শিউলি তা দিয়ে বোরকা হিজাব সহ ইসলামের কালচারের পোষাক কিনে নিলেন।পর্দার বিধান ,কোরানের বিধান রাসুল সা এর সুন্নাহমত জীবন যাপন শুরু করে দিলেন।ঈদ পূর্নমিলনীতে সব সময় নেচে গেয়ে সবাইকে ৩/৪ ঘন্টা আনন্দের সাগরে ভাসিয়ে রাখা শিউলি নেকাব পরে সবার সামনে এসে আর এই সব সে করবে না জানায়ে দিল।বাবা চাচা ভাই বোনেরা সবাই শিউলির উপর যারপর নেই কষ্ট পেল।আর সবাই শিউলির মাঝে পরিবর্তন দেখে বলা বলি শুরু শিউলি শিবিরে যোগ দিয়েছে।কারন শিউলির পরিবারের ২ ডজন মুক্তিযোদ্ধারা জানে না শিবির কারা করে? তারা কি ছেলে না মেয়ে?
বাবা ভাইকে শিউলি যা বুঝালেনঃ
শিউলি তার পরিবারের সবাইকে বুঝালো ইসলামী ছাত্র শিবির কারা করে? আর তার অশান্তির আর তাগুতের অন্ধকার ভ্রান্তিরভেড়া জালের জীবন থেকে যারা শান্তি ,মুক্তি ও কল্যানের একমাত্র গ্যারেন্টি এনে দিয়েছে তারা হল ইসলামী ছাত্রী সংস্থ্যা।তারা যা করেছেন আল্লাহর কোরানে তা বলেছেন,
“আল্লাহর (পক্ষ থেকে)তোমাদের কাছে এসেছে এক আলো রাসুল(সাঃ),এবং একটি সত্য ও সঠিক পথ প্রকাশকারী কিতাব,যার দ্বারা আল্লাহ তার সন্তোষ সন্ধানকারীদের শান্তি ও নিরাপত্তার পথ দেখান এবং নিজের ইচ্ছায় তিনি তাদের বের করে আনেন অন্ধকাররাশি থেকে আলোর দিকে,আর তাদের পরিচালিত করেন সরল পথের দিকে।(সুরা আল মায়েদা ১৫-১৬)
শিউলি পরিবারের সবাইকে বুঝলেন যে ,মুসলমানদের কোরান জানা মানা জানানো সব ফরজ করে দিয়েছেন আল্লাহ।আর এই কোরানের এই সকল ফরজ দায়িত্ব পালন করা আমাদের সবার ঈমানী দায়িত্ব।আর মুসলমান হলো কিন্তু কোরান জানলোনা বুঝলোনা মানলোনা জানালোনা তা হলে তো সেই ব্যাক্তির নিকট আলো আধার সবই আধার।হৃদয়ের কপাট খুলে কোরানের আলোকে হৃদয়ে আসার সুযোগ করে দিতে হবে সহজ ভাবে।এর জন্য মাওলানা হাফেজ আর মুদাসসির হতে হবে না।কারন কোরান আল্লাহ সহজ করে দিয়েছেন,আল্লাহ বলে্ন,
“তারা কি কুরআন নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করেনি, নাকি তাদের মনের ওপর তালা লাগানো আছে ?”সুরা মুহাম্মাদ ২৪
“আমি এ কুরআনকে উপদেশ গ্রহনের সহজ উৎস বানিয়ে দিয়েছি৷ উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি?”সু;কামারঃ৪০
আবার শিউলি সাংস্কৃতি ও নেতৃত্ব এর দায়িত্ব পেলেনঃ
আগে যে শিউলি গানের সুরে যৌবনের সুড়সুড়ি ছিল আজ সেই শিউলির গলায় ইসলামের গান মানুষের হৃদয়ে ঈমানের জযবা বাড়াচ্ছে ও কলেজের ছাত্রীদের শিক্ষক হয়ে গানের মাধ্যমে মেয়েদের কে ইসলামে প্রবেশ করান।যে শিউলি উচু ঢালের মানুষ ছাড়া মিশত না সেই শিউলি গাছ তলায় এসে উচু নিচু ভেদাভেদ ভুলে সবার মাঝে ইসলামের ঘ্রান ছড়িয়ে একাকার হয়ে যায়।তাই বহু উচু নিচু বিয়ের পাত্রদের থেকে খুব সাদাসিদে একজন তাকওয়াবান পাত্রকে জীবন সাথী হিসাবে বেচে নেন।সে পাত্র পরিবার মেনে নিতে কষ্ট হয়।কিন্তু শিউলি বলেন সে রাজরানীর থেকেও জান্নাতী সুখে আসেন।কারন তিনি একজন মুমিন আদর্শ পুরুষ হিসাবে শিউলিকে স্ত্রীর মর্যাদা দিচ্ছেন।আজ প্রবাসি স্বামীর সন্তান সহ সব দায়িত্ব পালন করেও জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ কাজও করে যাচ্ছে।শিউলি বলে,আমরা মহিলা স্বামীকে সব ব্যাপারে সাহায্য করব।যেন তাকে নিয়ে দুনিয়াতেও জান্নাতী সুখ আবার আখিরাতেও জান্নাতে যেন একসাথে থাকা যায়।কোন অজুহাত দিয়ে এই পথ থেকে কাজ না করে মুক্তির চিন্তা করা কারো জন্য কল্যান বয়ে আনবে না।
শিউলির সুঘ্রানে কেন নয়নে ঝরছে শিশির বিন্দু ?
প্রোগ্রামটা আমি শুরু করলেও আস্তে আস্তে সব দ্বীনি বোনদের কে কথা বলার সুযোগ দিয়েছি।যখন আমার প্রান প্রিয় দ্বীনি বোন শিউলি আপার থেকে উপরের কথা গুলো শুনার সময় আমি আমার হৃদয়ে শান্তির যে ঠান্ডা বাতাস পাচ্ছিলাম তা কিছুক্ষনের মধ্যে দেখি তুষার কনা হয়ে জমে শিশির বিন্ধু হয়ে আমার দুই নয়ন ভাসায়ে শিউলি তলায় পড়ছে।শিউলি ফুলের ঘ্রানের চেয়ে উত্তম ঘ্রান আমি আমার বোনের হৃদয় থেকে পেয়েছি।তখন আমার মনে হলে শিউলি তলার সব শিউলি গুলো কুড়ায়ে আমরা এই ভাবে কোরান সুন্নাহর রশি দিয়ে ইসলামের মালা বানাতে হবে।তা হলে আমাদের সমাজের আর কোন শিউলি অন্যায় অবিচার ধর্ষন বেপর্দা ইপটিজিং ইত্যাদির কারনে ঝরে শিউলি তলায় আর কেচোর মত পদদলিত হতে হবে না।আর তাসলিমা নাসরিন, ব্যারিস্টার তানিয়া আমিন দের মত ভাইরাস বহনকারী মেয়েদের সংখ্যা কমে যাবে। ছেলেরাও আর বিয়ে করার জন্য বলতে হবে না “ বিয়ে করব খালাম্মা। কিছুই চাই না শুধু একটা তাকওয়াবান মেয়ে দেন ।
আমার তখন কান্না আসছিলো এই ভেবে যারা বিনয়ী নম্র ভদ্র মেয়ে ছেলে স্বামী স্ত্রী বানায়ে দুনিয়াতেই জান্নাতী সুখ দিতে চায় তাদের কে কেন বার বার জেল ঝুলুম হত্যা ঘুম খুন করছ ।আর সেই সব সোনার ছেলে মেয়ে রা ধর্ষনের সেঞ্চুরী করছে তারা দেখি জামাই আদরে সমাজে একের পর এক অন্যায়ের গডফাদার হচ্ছে ।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে নাজাত দান করুন ,তার সাথে সাথে দেশের দশের ও সারা বিশ্বের মুলমানদের নাজাত , জুলুম ও শইয়তানের ষড়যন্ত্র থেকে আল্লাহ রক্ষা করুন ।আমিন ।
বিষয়: বিবিধ
২০০২ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
Click this link
০ স্বামী একটা বিশেষ পর্যায়ে গিয়ে তার স্ত্রীকে প্রহার করতে পারে - এটাও কি আপনারা মানেন ?
০ আপনার অনুমতি ব্যতিরেকে আপনার স্বামী আরেকটা বিয়ে করতে পারে - এটা জানেন ?
০ সম্পত্তিতে আপনার ভাই আপনার দ্বিগুন পাবে - সেটা জানেন ? কেন পাবে তাও কি জানেন ?
০ আপনাদের কাছে চাকরি + ক্যারিয়ার বড় না স্বামীর সংসার বড় ?
আশা করি সত্যলিখন এ ব্যাপারে সত্যটাই লিখবে ।
১। রাসুল সাঃ স্বামী হিসাবে স্ত্রীদের জন্য যেমন কর্তৃত্বকারী ছিলেন তেমন আদর্শবান স্বামী হলে অবশ্যই মানব ।
২। অবশ্যি মানব যদি সেই স্বামী তাওকয়াবান হন।আর শাসন সেই করতে পারে যে জন সোহাগ করতে জানে।
৩। এটা জানি ।আরো জানি তিনি যেন দুই জনের মাঝেই রাসুল সাঃ এর মত ন্যায়নীতি আচরন করতে হবে।
৪। ভাইরা তো দ্বিগুন না বোনদের পুরাটাই ভোগ করেন। বোনদের টা বোনরা চাইলে আরো রাগ করেন ।
৫। আমি মনে করি একজন মেয়ের স্বামীর সংসার ও তার বাচ্ছাদের লালন পালন করার জন্য এলেম ও ক্যারীয়ার দরকার আছেন। তা ছাড়া একজন উচ্চশিক্ষিত ছেলে একজন শিক্ষিত স্ত্রীকে বেশী প্রাধান্য দেন। স্বামীর অনুমতি ক্রমে সংসারে স্বামীর সহকারী হিসাবে বাড়তি আয়ের মাধ্যমে যদি বর্তমান ব্যয়বহুল সমাজে ঠিকে থাকার জন্য স্ত্রী যোগ্যতা থাকলে সে সংসার গুছায়ে পর্দার সাথে চাকরী করলে সুবিধাই হয়।
আল্লাহ মাফ করুন ।জানি না আমার উত্তর গুলো আপনার মনোপুত করেন কিনা ।তবে আমি আমার বাস্তব জীবন থেকেই উত্তর দিলাম ।আর আমার স্বামী চায় নাই বলে আমি চাকরি না করে আমার সব সার্টিফিকেট স্টোর রুমে রেখে দিয়েছি।
তাহলে স্বামী যদি বলে যে, বউ যদি আয়েশা (রাঃ) মত হয় তাহলে তাকে অবশ্যই দেন মোহর দেব এবং ভরনপোষণও করবো । আপনার কথা অনুযায়ী এটাও কিন্তু চলে আসে ।
বাস্তবতা হল : আপনারাই স্বামীদের উপর শরিয়ত পরিপন্থী বসিং করেন । মুসলমান পরিবারের শতকরা ৯০ ভাগেই মহিলারা স্বামীদের উপর কর্তৃত্ব ফলায় ।এটা যে শরিয়ত পরিপন্থী সেটা মহিলারা জেনেও উপভোগ করে যায় এই অপ্রত্যাশিত কর্তৃত্ব ।
২. আমি বলেছি একটা বিশেষ পর্যায়ে গিয়ে , এটার কারণ মনে হয় আর বলে বোঝাতে হবে না ।
আর স্বামী যদি তাকওয়াবান না হয় তাহলে কি কারণে মানবেন না যেখানে আপনাকে সে শরিয়ত মোতাবেক যা যা ছিল তা ফুলফিল করে বা করার অঙ্গীকার করে বিয়ে করেছে ?
তাকওয়াহীন স্বামীর কাছে তো তাহলে ভরনপোষন ও দেন মোহরও চাইতে পারেন না যদি তার প্রহার তাকওয়াবান না হলে নাই মানেন ?
বাস্তবতা হল : স্বামী যতই তাকওয়াবান হোক না কেন , প্রহার করলে তার নামে মনুষ্য সৃষ্ট নারী নির্যাতনের মামলা ঠুকে দেয় ।
৩. আবার এরকমও বলেছেন যে, দুইজনের মধ্যে যদিও সাম্যবস্হা বজায় রাখতে মানুষ কতই না চেষ্টা করে তারপরেও সেটা অনেক কঠিন ।
যার সামর্থ্য আছে সে দুইজনকেই তুষ্ট রাখার মত ব্যবস্থা করতে পারবে বলেই করে । তবে এই সমাজে একজন বৌই জীবন ফানা ফানা করে দেয় , দুটো হলে তো কথাই নেই !
বাস্তবতা হল : যেখানে আল্লাহই অনুমতি দিয়ে দিয়েছেন সামর্থ্য থাকলে ৪ টা পর্যন্ত বিয়ে করতে , সেখানে মনুষ্য আইনে স্ত্রীর অনুমতি নেওয়া লাগে যেটা আল্লাহর সাথে সুষ্পষ্টভাবে শিরক । এটাও মেয়েরা জেনে বুঝেই করে থাকে এবং মনুষ্য প্রদেয় শরিয়ত পরিপন্থী এই ক্ষমতা ভালই এনজয় করে ।
৪. তাই বুঝি বোনেরা সম্পত্তিতে সমান অংশ নেবার আন্দোলন করছেন যেটাও শরিয়ত পরিপন্থী ? ভাইয়েরা দেয় না বলে (অন্যায় করে বলে ) সে জন্য কি শরিয়ত পরিপন্থী পথ বেছে নিতে হবে ?
৫. এটা আমি আপনাদের মহিলাদের প্রায়ই প্রশ্ন করে থাকি , কিন্তু সবাই সচেতন ভাবেই এড়িয়ে যান.
আপনার প্রতিষ্ঠান কি তাদের প্রাইম টাইমে আপনাকে আরেক প্রতিষ্ঠানে একই সময়ে কাজ করতে অনুমতি দেবে ?
ধরুন, আপনি সোনালী ব্যাংকে কাজ করেন । সকাল ১০ টা থাকে বিকাল ৬ টা । আপনি ইসলামী ব্যাংকেও একই সাথে কাজ করতে চাইছেন এবং তাদেরও সময়ই ঐ একই , ১০-৬ টা ।
এখন আপনার আগের প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংক কি আপনার ইসলামী ব্যাংকে কাজ করা সহজ ভাবে নেবে ?
এখানে হয় তারা আপনাকে ছাড়বে অথবা আপনি তাদেরকে ছাড়বেন ? বৈবাহিক জীবনেও এরকম অপশন আছে ।
স্বামীর সহকারী হিসেবে মানে কি ? স্ত্রী যে টাকা ইনকাম করবে তা সে সংসারের খরচে স্বামীর সাথে শেয়ার করবে ? স্ত্রীর আয়ে কি স্বামীর হক আছে ?
Click this link
মন্তব্য করতে লগইন করুন