দ্বীন কায়েমের কাজ ফিল্ডে সহজ না নেটে সহজ ?
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ১০ জুলাই, ২০১৪, ০৫:০২:০৫ বিকাল
দ্বীন কায়েমের কাজ ফিল্ডে সহজ না নেটে সহজ ?
ময়দানে তৃনমূল পর্যায়ে দ্বীন কায়েমের চেষ্টা করা আর নেটে বসে দ্বীন কায়েমের চেষ্টা করার মাঝে অনেক প্রার্থক্য আছে । দ্বীন কায়েমের কাজ ফিল্ডে বা নেটে কোথায়ও সহজ না আবার কোথায়ও কঠিন না । দুই খানেই আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য করে যেতে হবে । কারন শয়তানদের সাথে ময়দানে ও সাইবারে দুই খানে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে ।
ময়দানে আপনাকে তৃনমূল পর্যায়ে দ্বীন কায়েমের চেষ্টা করার সময় ব্যক্তির দেহ মন ও বিবেক বুদ্ধির অবস্থ্যা বুঝে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের মত আপনার দেহমন ও বিবেক বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে হয়। এখানে নানান জ়নের নানান রকমের প্রশ্ন কথায় গরম না হয়ে চরম ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিতে হয়। সত্য প্রচার করতে গেলে সবর অবলম্বন করতে আল্লাহ সুরা আসরে নির্দেশ দিয়েছেন । আর এই সময় বাতিলের মুকাবিলায় জান মাল দুইটাই আল্লাহর হেফাজতে দিয়ে দিতে হয়।
নেটে দ্বীন কায়েম করতে ইসলামের অনেক মেধা প্রয়োজন। কারন এই জগত টা অনেক জ্ঞানী পন্ডিত ও সুশীল জনের সমাবেশ। অল্প সময়ের মধ্যে এক সাথে বহু লোকের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌছান যায় । দাওয়াত দানের উপস্থাপনা ভাল না হলেও অন্য দ্বীনি ভাই বোনেরা সমলোচনা করে আপনাকে সঠিক পথ দেখায়ে দেন। এই খানে নাস্তিক ফ্রেন্ড হলে ব্লক করবে । মুনাফিক ফ্রেন্ড হলে হাতে মারতে না পারলেও মুখে মারবে এর আনফ্রেন্ড করে দিবে । তাতে মন খারাপ না করে দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করে যেতে হবে । কারন দ্বীন কায়েমের কাজ করা ফরজ।
"হে ঈমানদানগণ! সবরের পথ অবলম্বন করো, বাতিলপন্থীদের মোকাবলায় দৃঢ়তা দেখাও, হকের খেদমত করার জন্য উঠে পড়ে লাগো এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাকো৷ আশা করা যায়, তোমরা সফলকাম হবে৷" সুরা ইমরানে ২০০
এর দু'টি অর্থ হয়।
এক, কাফেরেরা তাকে কুফরীর ব্যাপারে যে দৃঢ়তা ও অবিচলতা দেখাচ্ছে এবং কুফরীর ঝাণ্ডা সমুন্নত রাখার জন্য যে ধরনের কষ্ট স্বীকার করছে আমরা তাদের মোকাবিলায় তাদের চাইতেও বেশী দৃঢ়তা অবিচলতা ও মজবুতী দেখাতে হবে।
দুই, তাদের মোকাবেলায় আমাদের ঈমানের দৃঢ়তা অবিচলতা ও মজুবতী দেখাবার ব্যাপারে আমরা পরস্পরের ধৈর্য্য ও কাজের প্রতিযোগিতা করতে হবে।
"হে আমাদের মালিক! আমরা একজন আহবানকারীর আহবান শুনেছিলাম৷ তিনি ঈমানের দিকে আহবান করছিলেন৷ তিনি বলছিলেন, তোমরা নিজেদের রবকে মেনে নাও৷ আমরা তার আহবান গ্রহণ করেছি৷ কাজেই, হে আমাদের প্রভু! আমরা যেসব গোনাহ করছি তা মাফ করে দাও ৷ আমাদের মধ্যে যেসব অসৎবৃত্তি আছে সেগুলো আমাদের থেকে দূর করে দাও এবং নেক লোকদের সাথে আমাদের শেষ পরিণতি দান করো৷"সুরা ইমরানে ১৯৩
বিষয়: বিবিধ
২১৪৪ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ লিখার জন্য ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন