আসছে কাল বৈশাখী ।আসুন ঈমানের ঘরের চৌকাঠ মজবুত করেনি।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৭:০৫:০৬ সকাল
বসন্তের পরেই । তাই আসুন ঈমানের ঘরের চৌকাঠ মজবুত করেনি।
বসন্তের ফুল ফুটেছে । ঘুম না আসলেও বুঝা যাচ্ছে দক্ষিনের জানালা দিয়ে কি ধারুন এয়ার কন্ডিশনের হাওয়া প্রকৃতিতে বইছে । বাগানের গাছে গাছে নানান রঙের ফুল আর কলি দিয়ে সাজানো ডালা পাখায় নিয়ে অলিরা গুনগুন করে মনের আনন্দে প্রকৃতিকে নিমন্ত্রন করছে । কুকিলটাও মনের সকল বাধন খুলে মন মাতাল করা সুরে গান গেয়ে যাচ্ছে । শীত গ্রীষ্ম কারো মনের ব্যাথা হাসি কান্না কিছুই সে বুঝে না । আজ সে না বুঝে কুহুকুহু তানে কান্না বেজা শহিদ আর্মিদের জন্য মন কানছে তাদের আত্তীয়দের সাথে আমাদের সবার সেই দিকে খেয়ান নেই ।
বাংলাদেশে কারো জাচ্ছে পৌষ মাস আর কারো জাচ্ছে সর্বনাশ । কেউ আছে দৌড়ের উপর আর কেউই আছে জামাই আদরে । এক মা কান্দে আরেক মা খুসিতে নাচে । একবোন গুলি খাওয়া ভাইয়ের জন্য বিলাপ করে আরেক বোন ভাইদের আনন্দের জন্য মাইকে গলা ফাটাইয়ে গান গায় । এক বাবা ভাই পাখির মত গূলী কোরে মানুষ এড় লাশ জমা করে আরেক বাবা ভাই চোখের লোনা পানি দিয়ে লাস গোসল করায়ে কঠিন মাটি খুড়ে সেই লাস কবরে শোয়ায় । অন্যরা সবাই ছাত্র আর শিক্ষকের দায়িত্ব পালনে খুবই ব্যস্ত্য । কেউ শিখাচ্ছে বর্ন মালা আর তা দিয়ে বাক্য তৈরি ।যেমন ক তে - কাদের মোল্লা । কাদের মোল্লার ফাসি চাই । আবার কেউ ইমানের প্রথম স্তবক কলেমা আর এর ব্যাখ্যা শিখাচ্ছে । আর কেউ এই ব্যাখা এত বেশি বুঝে ফেলছেন তারা আবার এর বাধা হয়ে এর কারনেই আবার শিক্ষকদের ফাসির দাবি করছেন । না হলে গ্রেফতারের হুকুম দিচ্ছেন ।
আবার কেউ গ্রামের মত বসত্ত দেখেই আসন্ন কাল বৈশাখির জান মালের নিরাপত্তার জন্য ভয়ে আবহাও্যা বার্তার খবর জানার জন্য এই কিছুক্ষন থাকছে নেটে আবার দৌড় দিচ্ছেন টেলিভিশনের ডিসের বিভিন্ন চেনেলে । ঘুমেও আতকে উতছে এই বুঝি ঘুর্নিঝড় আর সাইক্লোন এসে মানুশ ঘর বাড়ি এমন কি শুখের রাজত্ব জান মাল সব কেড়ে নিবে না আবার সব কিছুর উপর কাল শনির রাশি ধাবা ফেলবে নাকি ।
দাওয়াতি সাপ্তাহ পালন বা পক্ষ পালন আসলে আমার এই রুটিন মাফিক বাসায় বাসায় গিয়ে গিয়ে সবার কাছে কাছে এই জামাতের নাম আর নেতা নেত্রীদের নাম আর কত প্রশ্ন এর উত্তরের মাঝে এই সংগঠনের পরিচয় তুলে ধরতে হত । আমার মনে হয় তারা এখন আমাদের দাওয়াতি কাজ টা অনেক এগিয়ে দিয়েছে ।তারা যত বিরোধীতা করছে তত আমাদের প্রতি মানুষের মনে অনেক বড় রহমত তৈরী হচ্ছে । আর কারা মুসলিম কারা মুনাফিক আর কারা নাস্তিক তা চিনার সুযোগ হয়েছে । আমলের মৌসুমের মত আমল করার সুযোগ হয়েছে । আগে আমরা অনেকেই মনে এত বার আল্লাহ কে স্মরন করত না বা স্বামী সন্তানের জন্য সাহায্য চাইতো না । দেশে বিদেশে সবাই এখন আল্লাহর কাছে দেশের সান্তির জন্য হাত তুলছেন। অশ্রু বিসর্জন দিয়ে শেস রাতে সাহায্য চেয়ে নিজেদের গুনাহ মাফ চেয়ে তাওবা করে রোযা রাখছেন ।
দেখবেন ইনশাআল্লাহ রাসুল সা এর মক্কার ঝড়ের মত এই ঝড় বৃষ্টি আর হাওয়াটা একটু পরেই ধামলেই রাতের আধার কেটে যাবে । আর সব ধর্মদ্রোহি আড় ণাশটীকেড় মরু উদ্যান হৃদয় গুলো ইসলামের সবুজ প্রান্তর আর ঘন বৃক্ষের বাগানে পরিনত হবে ইনশাআল্লাহ । কালবৈশাখী আসার আগেই কলেমার পতাকা কারী সব মুসল্মান রা এখন শুদু আমাদের ঈমানের চৌকাঠ টা মজবুত করতে হবে । জেন কালবৈশাখী আসলেও আমাদের ঈমানের আর আমলের জান্নাতী ঘর একটুও না নড়ে । প্রয়োজনে গুনে ধরা কিছু ফিলার বা আদল রুয়া দরজা জানালা তাওবা করে পুরান গুলো পালটা ইয়ে নতুন সেগুনের কাঠ লাগায়ে আরো মজবুত করে নিবো । ভয় হতাশা বা নিরাশা আমাদের কাছেও আসতে দিব না । শয়তানের শকল শড়যন্ত্র থেকে আল্লাহ ঈনশাল্লাহ এই বদরের বিজয় আমাদের জন্য খুব নিকট বর্তি করে দিবেন । আল্লাহ আমাদের এই ইমানের পরীক্ষাইয় উত্তীর্ন হয়ার তাওফিক দান করুন। আর আজকের এই ফিল খানার শহীদ দের জান্নাত বাসি করুন । ।আমীণ ।
বিষয়: বিবিধ
১২৪৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন