সারা রাত সাপ মেরে কাহিল ।সকালের আলোতে দেখে তা পাট এর রশি ।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ০১ জুলাই, ২০১৪, ১২:১৮:৫৩ রাত
প্রতি বার তারাবীহ নামাজের আগে বার বার হুজুর কে বলে আসি। হুজুর আপনি কোর আন অর্থ সহ বুঝে পড়ার প্রতি মুসল্লিদের উপদেশ দিবেন । কারন , কোরআন জানা ফরজ মানা ফরজ আর অন্য কে তা জানানো ফরজ । তাই রমজানে এক ফরজে সত্তর ফরজের সওয়াব আল্লাহ দিবেন। আর তা আমাদের জীবনের , পরিবারে ,সমাজে ও রাষ্ট্রে তা বাস্তবায়ন করে তাওবা করার মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের কে হুদাল্লিন মুত্তাকিন হওয়ার সুযোগ করে দিবেন ইনশাল্লাহ ।আর রাইয়ান নামক জান্নাত পাওয়া যাবে ।
হুজুর আজ মুনাজাতের আগে মাইকে জানায়ে দিলেন , রাসুল সাঃ বলেছেন," তারাবীহতে এক খতম কোরান শুনলে ১০০ খতমের সওয়াব এর চেয়ে বেশি আমল আল্লাহ দিবেন"।
উনাকে বললাম পরে , হাদীস টা সিহাহুসিত্তার কোন হাদী্স গ্রন্থ্য থেকে বলেছেন । তিনি বললেন তিনি কোণ হুজুরের কাছে শুনেছেন।
আমি মনে মনে ভাবলাম,সারা রাত সাপ মেরে কাহিল ।সকালের আলোতে দেখে তা পাট এর রশি ।
সমাজের ইমাম বা নেতারা আমাদের কি শিক্ষা দিচ্ছেন ?
যাদের কে বুঝালাম , কোরান রমজানে নিজে নিজে অধ্যায়ন সহ বুঝে পড়েন । শুধু তেলওয়াতে এর মাধ্যমে আমরা কখন বুঝতে পারব না জীবন বিধান হিসাবে আমরা মুসলমানদের করনীয় কি আর বর্জনীয় কি? একটা দেশের সংবিধান জানা যেমন জরুরী তেমনি মানব জাতির আল্লাহর দেওয়া বিধান জানা আরো বেশী জরুরী। আর তা এতো বেশি জরুরী । কেননা কোরানের জ্ঞান না থাকলে মুসলমানদের মেরুদন্ড হীণ প্রানী কেচো হয়ে শয়তানদের পদলীত হয়ে জীবন যাপন করতে হবে। আর আজ মুসলমানদের এই জন্য শয়তানরা মার দিতে সাহস পাচ্ছে ।
আরবী আমাদের রাসুল সাঃ এর মাতৃভাষা । তাই কোরান আরবী ভাষায় আল্লাহ পাঠালেন আর আমাদের মাতৃভাষা বাংলা তাই আমাদের এই কোরান আরবী তেলয়াতের সাথে সাথে বাংলা তে অনুবাদ পড়ে হৃদয় দিয়ে তা উপলদ্ধি করে আল্লাহর আদেশ নিষেধ পালন করে নিজের জীবনের , পরিবারে ,সমাজে ও রাষ্ট্রে তা বাস্তবায়ন করে কলেমার মুখিক ও বাস্তব স্বাক্ষী পেশ করতে হবে।
যিনি ৩ খতম গতবার দিয়েছেন ।তিনি এই বার এই কথা গুলো শুনে এই শুধু অর্থ পড়া শুরু করলেন । কারন উনাদের কথা হলো "পারভীন আপা , অর্থ সহ খতম পড়তে গেলে এক খতমও দেওয়া যাবে না। "উনাদের কে বুঝালাম আপা , ৩ খতম দিয়ে নামাজে পড়ার মত ৩ টা সুরার অর্থ জানলেন না । আর বুঝে পড়ে খতম না করতে পারলেও অন্তত ১১৪ সুরার মধ্যে ১৪টা সুরার অর্থ জানলেন মানলেন ও অন্যকে জানালেন সেই টা আরো অনেক ভালো । এই ১৪ টার মহব্বতে পরের মাসে আরো ২৮ টা পড়া ইনশাল্লাহ হয়ে যাবে। রাসুল সাঃ কে এই কোরান ২৩ বছরে আল্লাহ আস্তে আস্তে দিয়েছেন আর তিনি তা দিয়ে একটা আলোকিত সমাজ ও রাষ্ট্র আমাদের উপহার দিয়েছেন।তাই সাবেহ কে বাসায় আসার পরে বললাম এতো জন তোমরা মসজিদে ছিলে কেউ কিছু বললা না । জানতেও চাইলে না এটা কোন দলীলের উপর ভিত্তি করে একজন ইমাম বলেছেন। কেউ কিছু বলল না তো মানে নিরবতা সম্মতির লক্ষন ।
আমার বিবেকের প্রশ্ন ? তা হলে আমাদের সমাজের ইমাম বা নেতারা আমাদের কি শিক্ষা দিচ্ছেন ?
বিষয়: বিবিধ
১৬০৮ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল -কুরআন এবং আল -হাদিস থেকে জানতে হবে ইসলাম সম্পর্কে।
অনেক মূল্যবান পোস্ট ,ধন্যবাদ
হুজুর আমাকে বলেন ,"খালাম্মা,আপনি জানেন না ,উনি অনেক বড় মসজিদের ইমাম।" তখন আমি বললাম যে,উনি কি আমার রাসুল সাঃ এর চেয়ে বড় ইমাম হয়ে গেছেন?(নাউজুবিল্লাহ)
Click this link
অর্থ সহ কয় আয়াত পড়েছেন তা কেউ বলেনা!!!!!!
একজন বুদ্ধিমান রাজার গল্প।(শিক্ষনীয় গল্পটি পড়ে দেখুন)
Click this link
Click this link
আবার অনেক হুজুরদের কারনে সঠিক জানতে পারছে।
Click this link
ক্বুরআন পাঠে তাড়াহুড়ো করতে নিষেধ করেছেন আল্লাহ । সেটা নামাজেও , আবৃতিতেও ।
আরেকটা বিষয় হচ্ছে - জুম্মার খুতবার সময় । দেশের বেশীর ভাগ মসজিদেই এই খুতবা হয় আরবীতে । ফলে ওয়াজিব জিনিসটা যেহেতু ভিনদেশী ভাষা সেহেতু না বুঝার ফলে না শুনে বেশীর ভাগ আগত-মুসল্লীরা সে সময়ে গল্প গুজবে মশগুল থাকে ।
একজন বুদ্ধিমান রাজার গল্প।(শিক্ষনীয় গল্পটি পড়ে দেখুন)
Click this link
একজন বুদ্ধিমান রাজার গল্প।(শিক্ষনীয় গল্পটি পড়ে দেখুন)
Click this link
মন্তব্য করতে লগইন করুন