আল্লাহর দিদার লাভ করার সুবর্ন সুযোগ
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২৭ জুন, ২০১৪, ০৪:২৫:০১ বিকাল
আল্লাহর দিদার লাভ করার সুবর্ন সুযোগঃ
রমজান তাকওয়াবান /মুত্তাকিন হওয়ার মাসঃ
"এটি আল্লাহর কিতাব, এর মধ্যে কোন সন্দেহ নেই,এটি হিদায়াত সেই ‘মুত্তাকী’দের জন্য"বাকারা ২-৩
হে ঈমানদাগণ! তোমাদের ওপর রোযা ফরয করে দেয়া হয়েছে যেমন তোমাদের পূর্ববর্তী নবীদের অনুসারীদের ওপর ফরয করা হয়েছিল ৷ এ থেকে আশা করা যায়, তোমাদের মধ্যে তাকওয়ার গুণাবলী সৃষ্টি হয়ে যাবে ৷বাকারা ১৮৩
১+১+১=১ (রোজাদার এই ৩ এর সমষ্টি তে এক আল্লাহর দিদার লাভ করা )
দেহ +মন+ধন(এই সব কিছু একমাত্র আল্লাহর) =তাকওয়াবান /মুত্তাকিন/মুহসিনিন
সর্বদা আল্লাহ বান্দার সাথে আছেনঃ
আর হে নবী! আমার বান্দা যদি তোমার কাছে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে, তাহলে তাদেরকে বলে দাও , আমি তাদের কাছেই আছি ৷ যে আমাকে ডাকে আমি তার ডাক শুনি এবং জবাব দেই, কাজেই তাদের আমার আহবানে সাড়া দেয়া এবং আমার ওপর ঈমান আনা উচিত একথা তুমি তাদের শুনিয়ে দাও, হয়তো সত্য-সরল পথের সন্ধান পাবে ।
বাকারা ১৮৬
সকল অবস্থ্যায় নামাজ ও ধৈর্য্যশীল হওয়াঃ
"হে ঈমানদারগণ ! সবর ও নামাযের দ্বারা সাহায্য গ্রহণ করো , আল্লাহ সবরকারীদের সাথে আছেন ৷"বাকারা ১৫৩
ইসলামের কঠিন দায়িত্বরে বোঝা বহন করার জন্য আমাদের দু'টো আভ্যন্তরীন শক্তির প্রয়োজন । একটি হচ্ছে, নিজের মধ্যে সবর, ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতার শক্তির লালন করতে হবে। আর দ্বিতীয়ত নামায পড়ার মাধ্যমে নিজেকে শক্তিশালী করা।এটা মুত্তাকিনদের সমস্ত সাফল্যের চাবিকাঠি ।
আল্লাহর সাথে যথার্থ সম্পর্ক বৃদ্ধি করাঃ
পূর্ণনিয়মানুবর্তিতার সাথে মৌলিক (ফরজ/ওয়াজিব)ইবাদতসমূহ পালন করাঃ
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান ও পরাক্রমশীল আল্লাহ্ বলেছেন, “আমার কোন বান্দা অন্য কোন প্রিয়বস্তু দ্বারা আমার নিকট প্রিয় হয় না যে পর্যন্ত সে আমি তার প্রতি যা ফরজ করেছি, তা আদায় না করে।” হাদিসে কুদসী এ হাদীসটি আলী (রাঃ থেকে সংগ্রহ করেছেন।
অদৃশ্য আল্লাহর দৃশ্যমান কুরআনঅর্থসহ বুঝে পড়ার মাধ্যমে হৃদয়কে পরিচালিত করা , সিহাহুসিত্তার হাদীস থেকে হাদিস অধ্যয়ন করা এবং নফল নামাজের উপর যথসম্ভব গুরুত্বারোপ ও সার্বক্ষনিক দোয়া ও যিকির
আল্লাহর ভয়ে অন্তর কোমল রাখা ঃ
আল্লাহর ভয়ে মৃত্যুকে স্মরণ করে অত্যাধিক তাওবা এবং অশ্রুফেলে দোয়া প্রার্থনা করা।কোরান সুন্নাহর আলোকে নেক কাজ করে বাস্তবে মুসলিম হিসাবে তার প্রমান দেওয়া।
মুমিনের ডাক’ আল্লাহর খুব প্রিয়:
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- নিশ্চয় বিশ্বাসী মু’মিন বান্দা আল্লাহকে ডাকে, অনন্তর আল্লাহ্ তা পছন্দ করেন। অতঃপর তিনি বলেন, “হে জিবরাঈ’ল আমার (মুমিন) বান্দার এ প্রয়োজন পূরণ কর এবং তা সাময়িক রেখে পেছনে ফেল, কারণ আমি তার কন্ঠস্বর শুনতে ভালবাসি।” আর নিশ্চয় (গুনাহগার) বান্দা আল্লাহকে ডাকে কিন্তু আল্লাহ্ তা ঘৃণা করেন। অতঃপর মহান আল্লাহ্ বলেন.“হে জিবরাঈ’ল আমার বান্দার প্রয়োজন পূরণ কর এবং তার জন্য তা জলদি কর। কারণ, আমি তার কন্ঠস্বর শুনতে ভালবাসি না।” ইবনু আসাকির এ হাদীসটি আনাস (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
আল্লাহ আমাকে আপনাদেরকে ও সকল মুমিন মুমেনাকে রমজানের মাধ্যমে গুনামাফ করে নেওয়ার মত নেকহায়াত ও ইমানী্,এলেমী ও আমোলী যোগ্যতা অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
বিষয়: বিবিধ
৩৬০২ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একজন বুদ্ধিমান রাজার গল্প।(শিক্ষনীয় গল্পটি পড়ে দেখুন)
Click this link
Click this link
মন্তব্য করতে লগইন করুন