খুব মুল্যবান একটা শিক্ষনীয় হাদিস ।প্লিজ সবাই পড়ুন
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২০ জুন, ২০১৪, ১২:২৫:৪১ দুপুর
খুব মুল্যবান একটা শিক্ষনীয় হাদিস ।প্লিজ সবাই পড়ুন
মহানবী (সাঃ) একদিন মসজিদে বসে আছেন।
সাহাবীরা তাঁকে ঘিরে আছেন।
এমন সময় মহানবী (সাঃ) বললেন, “এখন যিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন, তিনি বেহেশতের অধিবাসী।”
একথা শুনে উপস্থিত সব সাহাবী অধীর আগ্রহে তাকিয়ে রইলেন মসজিদের প্রবেশ মুখে। সবার মধ্যে জল্পনা কল্পনা চলছে, হয়তো হজরত আবু বকর (রাঃ) বা হজরত উমর (রাঃ) অথবা এমন কেউ আসছেন যাঁদের বেহেশতের সুসংবাদ আল্লাহ পাক ঘোষণা করেছেন।
সবাইকে অবাক করে দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করলেন
একজন সাধারণ আনসার সাহাবী। এমনকি তাঁর নাম পরিচয় পর্যন্ত জানা ছিল না অধিকাংশের।
এরপরের দিনেও সাহাবীরা মসজিদে বসে আছেন নবীজি (সাঃ) কে ঘিরে। নবীজি (সাঃ) আবার বললেন, “এখন যিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন, তিনি বেহেশতের অধিবাসী।”
সেদিনও মসজিদে প্রবেশ করলেন সেই সাহাবী।
তৃতীয় দিন নবীজি (সাঃ) সাহাবীদের লক্ষ্য করে আবার ঘোষণা দিলেন, “এখন যিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন, তিনি বেহেশতের অধিবাসী।”
এবং সাহাবীরা দেখলেন সেই অতি সাধারণ
সাহাবী মসজিদে প্রবেশ করলেন।
পরপর তিনদিন এই ঘটনা ঘটার পর, সাহাবীদের
মধ্যে কৌতূহল হলো সেই সাধারণ সাহাবী সম্পর্কে জানার জন্য। তিনি কেন অন্যদের চেয়ে আলাদা তা জানতে হবে।
বিখ্যাত সাহাবী হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর আল আ’স (রাঃ) ভাবলেন, এই সাহাবীর বিশেষত্ব কী তা জানতে হলে তাকে নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
তিনি সেই সাহাবীর কাছে গিয়ে বললেন,
“আমার বাবার সাথে আমার মনোমালিন্য হয়েছে, তোমার বাড়িতে কি আমাকে তিন দিনের জন্য থাকতে দেবে?’’
সেই সাহাবী রাজী হলেন। হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ)
তাঁকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকলেন,
খুঁজতে থাকলেন কী এমন আমল তিনি করেন। সারা দিন তেমন কোন কিছু চোখে পড়ল না। তিনি ভাবলেন হয়তো তিনি রাত জেগে ইবাদত করেন। না, রাতের নামায পড়ে তো তিনি ঘুমাতে চলে গেলেন। উঠলেন সেই ফজর পড়তে। পরের দুটি দিনও এভাবে কেটে গেল।
হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ) কোন বিশেষ আমল বা আচরণ আবিষ্কার করতে পারলেন. না যা অন্যদের চেয়ে আলাদা। তাই তিনি সরাসরি সেই সাহাবীকে বললেন, “দেখ আমার বাবার সাথে আমার কোন
মনোমালিন্য হয় নি, আমি তোমাকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য তোমার বাড়িতে ছিলাম। কারণ নবীজি (সাঃ) বলেছেন, যে তুমি জান্নাতি।
আমাকে বল তুমি আলাদা কী এমন আমল করো?’’ সেই সাহাবী বললেন,
“তুমি আমাকে যেমন দেখেছ আমি তেমনই, আলাদা কিছুতো আমার মনে পড়ছে না।”
এ কথা শুনে হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ) তাঁকে বিদায়
জানিয়ে চলে যেতে থাকলেন। এমন সময় সেই
সাহাবী হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ) কে ডেকে বললেন,
‘আমার একটা অভ্যাসের কথা তোমায় বলা হয়নি –রোজ রাতে ঘুমাতে যাবার আগে আমি তাদেরকে ক্ষমা করে দেই, যারা আমাকে কষ্ট দিয়েছে, বা আমার প্রতি অন্যায় করেছে। তাদের প্রতি কোন ক্ষোভ আমার অন্তরে আমি পুষে রাখি না।”
হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ) একথা শুনে বললেন, “এ জন্যই তুমি আলাদা, এ জন্যই তুমি জান্নাতি”।
রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে মানুষের প্রতি দয়া করে না, আল্লাহও তার প্রতি দয়া করেন না।
[বুখারী ও মুসলিম]
এই হাদিসের শিক্ষা হিসাবে "আমরা সবাই সবাইকে আজ কেই ক্ষমা করে দিই "। তা হলে আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করে দিবেন ইনশাল্লাহ ইয়া গাফুরু ইয়া গাফুরুর রাহিম ।
বিষয়: বিবিধ
৩৯০০ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহতায়ালা যেন আপনাকে ও আমাকে এবং সকল মুমিনকে সেই কাতারে সামিল রাখেন [আমীন]
Click this link
Click this link
বিঃ দঃ- কোন ব্লগারকে ব্যক্তিগতভাবে জানিনা বা দেখার সভাগ্য আমার হয়নি। ব্লগে তাহাদের লেখা পড়েই বুঝতে পারা যাই কে কত উন্নতমানের লেখক।
অনেক ধন্যবাদ
''‘আমার একটা অভ্যাসের কথা তোমায় বলা হয়নি –রোজ রাতে ঘুমাতে যাবার আগে আমি তাদেরকে ক্ষমা করে দেই, যারা আমাকে কষ্ট দিয়েছে, বা আমার প্রতি অন্যায় করেছে। তাদের প্রতি কোন ক্ষোভ আমার অন্তরে আমি পুষে রাখি না। ''
০ সাধারণ একজন সাহাবী যাকে কি না অধিকাংশ মানুষই চিনে না তার সাথে প্রতিদিনই কেন কারও না কারও মনোমালিন্য হবে ফলে তাকে কষ্ট পেতে হবে ?
তার পরিবারের কারও সাথে কি তার মনোমালিন্য হয়, না বাইরের কারও সাথে হয় ?
যার সাথে কারও না কারও প্রতিদিনই ঝগড়াঝাটি তথা মনোমালিন্য হয় সে কি খুব বড় হয়ে গেল যে ঝগড়াঝাটির ফলে যে অন্যায় হয়েছে তা শুধু তার বিরুদ্ধেই হয়েছে অন্যপক্ষের উপর হয় নি ?
এধরনের মানুষ কি খুব সাধারণ মানুষ হয় ?
পবিত্র ক্বুরআনে মুসা ( আঃ) এর ঘটনা হতে আমরা জানতে পারি তার সম্প্রদায়ের একজনের সাথে আরেক সম্প্রদায়ের লোকের কথা কাটাকাটি হলে মুসা (আঃ) তার পক্ষ নিয়ে ঐ লোকটিকে ঘুষি মারলে লোকটি ততক্ষনাত মারা যায় । বেমক্কা এই ভুল কাজটি করার জন্য মুসা (আঃ) আল্লাহর কাছে মাফ চান । পরের দিন আবার একই লোকের সাথে আরেকজন লোকের কথা কাটাকাটি চলাকালে দেখেন যে এবার তার স্বগোত্রীয় লোকটি জুলুমকারী । তখন তিনি ঐ লোকটিকে তিরষ্কার করেন যে প্রতিদিন কেন তার সাথে অন্যের ঝগড়া লাগে ?
জ্বি ২৮.১০.২০০৬ এর ঘটনা এবং ০৫.০৫.২০১৩ এর ভিকটিমরাও তাদের প্রতি জুলুমকারীদের ক্ষমা করে দেওয়া উচিত , মনে ক্ষোভ ও প্রতিশোধের আগুন না পুষে ।
তাই আমার মনে হয় যেকেউই আললাহ ্ব আললাহোর রাসুলের প্রতি বিশ্বাসী হলে তিনি অন্যদের প্রতি ক্ষমার দৃষ্টি রাখা উচিত। আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইব সেই আমি অন্যকে ক্ষমা করতে পারব না । তা হলে আমার ক্ষমা আল্লাহর কাছে পাবার আশা কি ।আমার গত পোস্টে আমি আপনার মন্তব্যের জবাবে আপনার কাছে ক্ষমা চেয়েছিলাম আপনি এর জবাব আর দেন নাই । আমি সেই জবাব পাব বলে আশা রাখি ইনশাল্লাহ ।
''আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইব সেই আমি অন্যকে ক্ষমা করতে পারব না ।''
০ বান্দা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতেই পারে । মাফ করা না করা সেটা আল্লাহর একচ্ছত্র অধিকারে ।
আল্লাহ অসীম ক্ষমাশীল , আবার কঠোর শাস্তি দাতাও ।
'' যারা কুফরী করে আবার পরে মুসলমান হয় , আবার কুফরী করে আবার মুসলমান হয় , পরে কুফরীতে থেকে যায় তাদের জন্য প্রস্তুত রাখা আছে জাহান্নাম '' এরকম কথা পবিত্র ক্বুরআনে বলা আছে ।
এরকমও বলা আছে '' প্রতিশোধ গ্রহন কর ততটুকু যতটুকু অন্যায় তোমার প্রতি করা হয়েছে আর ক্ষমা করে দিলে সেটা আরও ভাল ''
সবাই তো ক্ষমা করে দিতে চায় না আবার সবাই ক্ষমার্হও না ।
''জ্বি ২৮.১০.২০০৬ এর ঘটনা এবং ০৫.০৫.২০১৩ এর ভিকটিমরাও তাদের প্রতি জুলুমকারীদের ক্ষমা করে দেওয়া উচিত , মনে ক্ষোভ ও প্রতিশোধের আগুন না পুষে । ''
০ এটাকে কি আপনারা ক্ষমার যোগ্য মনে করেন ?
ভাল পোস্টই শেয়ার করেছেন । তবে এটা কি মনে একটু খটকা লাগায় না - কেন এই সাধারন একজন সাহাবীকে প্রতিদিন এত্ত এত্ত জনকে ক্ষমা করতে হয় ?
এটা নবীজীকে মানায় কারণ উনার অনেক শত্রু ছিল । প্রধান প্রধান সাহাবী এবং খলিফারা হলে তাও একটা কথা ছিল কারণ নবীজীর পরে এরাই ছিল কাফেরদের টার্গেট ।
আর উনাকে অবজার্ভ করতে যাওয়া আবদুল্লাহ (রাঃ) ও তো তার দৈনন্দিন জীবনে এমন কিছু পান নি । কেউ যদি তার সাথে অন্যায় কিছু করতো প্রতিদিনই তাহলে তা তো তিনি এই কয়টা দিন দেখতেনই ।
কি এমন কারণ হতে পারে যে সেই অপরিচিত সাহাবী এত্ত এত্ত ক্ষমা করার চান্স পেয়েছিল যার ফলে নবীজীই বলেছেন তার বেহেস্ত লাভের কথা ?
কি কারণে কোন পোস্টে ক্ষমা চেয়েছিলেন ? লিংক প্লিজ।
Click this link
মন্তব্য করতে লগইন করুন