জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন ,প্রতিদিন সকালে কোরান পড়া মা প্রধানমন্ত্রী হয়েও পর্দানশীল মেয়েদের হাতে হাত কড়া কেন?
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ১৯ জুন, ২০১৪, ০৮:৫৬:২৫ রাত
এক দেশে দুই আইন , এটা তো বড্ড বেআইন
এক দেশে দুই আইনের প্রথম পর্বঃ
সংসদে গানে গানে আলোচনা মমতাজের
সংসদ প্রতিনিধি:মঙ্গলবার ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন এই কণ্ঠশিল্পী।
মমতাজ বক্তৃতা শুরু করেন গান দিয়ে। অন্নদা শঙ্কর রায়ের ‘যতদিন রবে পদ্মা, যমুনা, গৌরি, মেঘনা বহমান/ ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান’ কবিতাটির কয়েকটি পংক্তি সুর করে গেয়ে ওঠেন মমতাজ।
নবম সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর এবং বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তব্যেও গান শুনিয়েছিলেন এই সংসদ সদস্য, তবে তা ছিল বক্তব্য শেষে।
এবার বক্তব্যের শেষে মমতাজ গাইলেন- “হায়রে বাঙালি, ওরে বাঙালি/ তোরা বুঝবিরে একদিন/ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকবে না যেদিন/শেখ হাসিনার জন্য আছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা/ তা না হলে ওসব কথা বলা যেত না।”
নিজ দলের সংসদ সদস্যের এই গানের সময় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হাসতে দেখা যায়।
মমতাজের জন্য নির্ধারিত সময় শেষ হলে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী তাকে সময় বাড়িয়ে দেন।
সমমতাজের গান শেষ হলে সংসদ সদস্যদের টেবিল চাপড়ে বাহবা দিতেও দেখা যায়।
তাজের জন্য নির্ধারিত সময় শেষ হলে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী তাকে সময় বাড়িয়ে দেন।
তারিখ:19 Jun,2014 06:00 PM
http://sylheteralap.com/category/politics/4534/#.U6LfWfZ4EO8.facebook
এক দেশে দুই আইনের ২য় পর্ব ঃ
পবিত্র মাহে রামাজান আগাম কোরানের প্রশিক্ষন উপলক্ষে রাজধানীর দক্ষিন গোড়ানের একটি বাসায় ঘরোয়া পরিবেশে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্হার কেন্দ্রীয় সভানেত্রী ও সেক্রেটারী সহ কিছু ছাত্রী কোরানের তালিম করছিল । এই তালিম থেকে আমাদের এই পর্দানশীল মেয়েদের গ্রেফতার করে খিলগাও থানার আওয়ামী পুলিশলীগ ।
সেখানে তারা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্হার কেন্দ্রীয় সভানেত্রী ও সেক্রেটারী সহ মোট ২৪ জনকে আটক করেছে
আপনাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন
প্রতিদিন সকালে কোরান পড়া মা প্রধানমন্ত্রী হয়েও পর্দানশীল মেয়েদের হাতে হাত কড়া কেন?
এই মা তো একজন মুসলিম দেশের মুসলমান মেয়ে যিনি সকালে কোরান না পড়ে জায়নামাজ থেকে উঠেন না।সেই মা কি এটা জানেন না যে,তারা মমতাজের মত সংসদে গিয়ে জনগনের কথা না বলে দেশ নেত্রী মানষকন্যার প্রশংসার গান গেয়ে হাসি ফুটালো প্রধানমন্ত্রীর মুখে , আর ঐ মেয়ে গূল দুনিয়ার গান না গেয়ে আল্লাহর কোরানের গান গাইতেই গিয়েছে। এটা কি তারা অপরাধ করেছে ।তারা দুনিয়ার বাহাবা পেতে নয় আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য । তাই তাদের গলায় ফুলের মালা না দিয়ে হাতে দিয়েছে হাত করা । দেশের কল্যানে বাবা মা হত্যা করা ঐশীর মত মেয়ে আর না হয় তাই তারা ইসলামের জ্ঞান দিয়ে সমাজের মেয়েদের ভাল পথে আনতে চেয়েছিলো আখিরাতে আল্লাহর পাকড়াও থেকে বাচার জন্য । কারন
আল কোরানে আল্লাহ বহু বার বলা হয়েছে,
ইকামতে দ্বীনের কাজ করা সবার জন্য ফরজ কাজ।
হাদিসে আছে" তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি যে নিজে কোরান শিখে ও অন্যকে শিখায় " বুখারী
হাদিসে আরো আছে"জ্ঞানার্জন করা প্রত্যেক মুসলিম নরনারীর উপর ফরজ" ইবনে মাজাহ
তাই যুগে যুগে নবী রাসুল রা এই কাজের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। আর উনাদের কাজে বাধা দিয়েছেন যারা তাদের নাম আমরা সবাই জানি । তাদের কি ধ্বংসাত্নাক পরিনতি হয়েছিল দুনিয়াতেই তাও আমরা সবাই জানি ।
আমাদের জান মাল আমাদের জান মাল বিক্রি করা আর বিনিময়ে জান্নাত কিনে নেওয়া । তাই ইনশাল্লাহ আমাদের কিছুই হবে না ।কারন আমরা কাদের উত্তর সুরী ?
তা দেখুন
আমরা ,ইসলামের প্রথম শহিদ সুমাইয়া রআঃ উত্তর সুরী।
যিনি মৃত্যু কে হাসি মুখে বরন করেছেন
তাও অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেন নাই ।
আমরা সেই প্রথম আল্লাহর ও রাসুল সা প্রেমে পাগল হওয়া ইসলাম গ্রহন কারীনি ও
আল্লাহর সালাম প্রাপ্ত হওয়া খাদিজা রাঃ উত্তরসুরী।
জান্নাতীদের নেত্রী মা ফাতেমার উত্তরসুরী।
রাসুল সাঃ যে জ্ঞানী মহিলার কোলে মাথা রেখে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আমরা বিবি আয়েশার উত্তরসুরী।
তাই আমরা আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে ভয়করীনা ।
ইসলাম আমাদের দিয়েছে সন্মান মর্যাদা শক্তি ।
যাবে যাক দেহ থেকে প্রান তাতেও
মোরা করব না আত্নসমার্প্ন।
তাই আমাদের নয়নমনি মেয়েদের ফিরিয়ে দিন ।
না হলে আল্লাহর আযাব কে ভয় করুন ।
বিষয়: বিবিধ
১৮১৭ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার মন্তব্যে আমি খুব মজা পাই তাই আমার সব লিখা একটা ধারালো লম্বা পিনমারা মন্তব্য চাই ই চাই । জাযাকাল্লাহু খাইরান ফিদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাত ।
যে সব কথা বলি তা বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই বলি , কারও কাছ থেকে ধার করে না । তাই খুব জোর করে বলতে পারি । অনেকের খারাপ লাগতেই পারে কারণ ,এসব কথা তাদের মুখের উপর ধরে রাখা ভাল/নেক মানুষীর মুখোশকে টানা শুরু করে ।
সংষ্কারের কি পজিটিভ কিছু আছে ? সবাইকে বলে দেওয়া আছে তাদের স্পেসিফিক দায়িত্ব ও কর্তব্য । এটা মেনে চললে এবং নিয়মের বাইরে না গেলে তো সমস্যা হয় না ।
কিন্তু ম্যাক্সিমামই চায় নিজের সুবিধা হাতিয়ে দেবার বেলায় নিয়ম করতে , যা অপর পক্ষের ন্যায্য পাওনা বন্চিত করে. ফলে সমাজ ও সংসারে অশান্তির সৃষ্টি করে।
''তাই আমার ব্লগে চালিয়ে যান । কিন্তু অন্যদের বেলায় একটু নরম নীতি অবলম্ভন করা উত্তম । ''
০ অপছন্দ হলে ব্লক করার অপশন তো আছেই । সোজা ব্লক করে দেবেন । আমি হয়ত একসময়ে কমেন্ট করতে এসে '' জবাব প্রকাশ করুন'' এ ক্লিক করে দেখবো You are blocked.
এই ব্লগেও বেশ কিছু ব্লগারের কাছে আমি ব্লকড্ । তাই আমার জন্য এটা নতুন কিছু না ।
বোন একএে হওয়া দরকার ছিল না। অতীত
থেকে শিক্ষ্যা নেওয়া উচিৎ ছিল। অতীতেও দ্বীনি বোনদের জাহেলী সরকার অত্যাচার চালিয়েছে।ইসলামী আন্দোলনের ভাই বোনদের মেধা এবং প্রজ্ঞা রয়েছে। ইসলামী আন্দোলন সম্পর্কে যথেষ্ট পড়াশুনা করেছে। সবকিছু ভেবে চিন্তে করতে হবে।
রসুলুল্লাহ(সা)-এর মক্কী জীবন ও মদীনা জীবনের মিশ্রনেই বর্তমানে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে এবং হিকমার'র ব্যবহার করতে হবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন