দুনিয়া আখিরাতের শষ্য ক্ষেত্র। বিশ্রামের স্থান নয়।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ১৭ জুন, ২০১৪, ০৯:২৬:২৮ সকাল
দুনিয়া আখিরাতের শষ্য ক্ষেত্র। বিশ্রামের স্থান নয়।
অসহ্য যন্ত্রনা দায়ক এলার্জির স্থান;
ডাক্তার , হসপিটাল , মার্কেট ও আনন্দ কোলাহলে পরিপুর্ন অনুষ্টান,দুনিয়াবী মোহে দুনিয়াবী আলিশান ভবন ও সেখানেই জান্নাতী সুখ খোজা ব্যক্তি গুলো সহ এই জিনিস গুলো অসহ্য যন্ত্রনা দায়ক এলার্জির মত মনে হয় । তাই অনেক আত্নীয় অনাত্নীয়দের দৃষ্টিতে ামি তাদের কাছে সনাজের জন্য অসামাজিক । আমি দুনিয়ার জীবন কে যদি পরীক্ষার হলের ঐ ক্ষুদ্র সময়ের চেয়েও ক্ষুদ্র মনে করি তা হলে খাতায় লিখে সময় কাজে লাগাবার জন্য দামী আর অল্পদামী কলমের কথা ভেবে সময় নষ্ট করে খালি খাতা বা ১০০ মার্কের প্রশ্নের ৫০ মার্কও যদি লিখে খাতা জমা দেই তা কি আমার জন্য ভাল ফলাফল বয়ে আনবে। তার চেয়ে ৫ টাকার কলম দিয়ে সময় মার্কের সাথে ভাগ করে নিয়ে ১০০ মার্কের উত্তর লিখার চেষ্টা করা করে রিভিশান দিয়ে সময় শেষ হবার ঘন্টা বাজার সাথে সাথে খাতা বন্ধ করে জমা দেওয়াই ভাল ছাত্রের কাজ। এর পরে সে বাসায় এসে বিশ্রাম নিবে। তেমনি একজন ুসলমানের জীবন ঐ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা হলের সময় এরমত।
কেন অসহ্য বলেছি শুনবেন?
১ম)সবাই না কিছু কিছু ডাক্তার আছেন কসাইএর চেয়েও জঘন্য।ডুকার আগেই পেক্সিপ্সান লিখার খরচ, পরীক্ষা নিরিক্ষা এক বস্তার করতে দিয়ে সেই কমিশন নিয়ে উনাদের আরেক জ্ঞাতী ভাইয়ের কাছে রেফার করে।সেখানে আবার বার বার বকের গলার মতএকই ফাদের কলে আটকে যাওয়া।গলা ছুটাতে পারলেও ঔষধ পথ্য কিনার টাকা আর পকেটে থাকবে না।২য়)হসপিটালে ভর্তি হলেন তো স্বেচ্ছায় কারাগারে ডুকলেন।কারন যা হুকুম যে ডাক্তার করবে তাই সাথে করে ফেলতে হবে।আর আইসিইউ নামের রিমান্ডে ডুকেছেন।জমি জমা শেষ করেও বিল পরিশোধ করে লাস বের নিতে হয়।৩য়)মার্কেট ইসলামের দৃষ্টিতে খারাপ জায়গা।সত্যিই তাই।যা যা মোহনিও করে রাখা হয়েছে নফসের তাড়নায় সব নিয়ে আসার চেষ্টা করতে গিয়ে স্বামীর মানি ব্যাগ আর স্ত্রীর ব্যানিটি ব্যাগ সব খালি করে এসে দারয়ান থেকে নিয়ে রিক্সা/সিএনজি ভাড়া দিতে হয়।৪র্থ)বিয়ে/জন্মদিন/মেরিজ ডে এই সব অনুষ্ঠানে দুনিয়ার সাজসজ্জার প্রতিযোগিতা আর দেশি প্রতিবেশি গানের শব্দ দুষন সহ পুরাপরিবেশটা মনে হবে এর চেয়ে বন্যপশুদের চিড়িয়াখানা আরো ভাল।৫ম)আলিশান গাড়িবাড়ি সহ এমন ভাবে ডেকোরেশন করে মনে হয় জীবনে আর কবরে যাবে না বা গেলেও আল্লাহর কাছে আর জান্নাত চাইবে না।মানুষ গুলোর আচরন দেখলে আল্লাহর কাছে বলি আল্লাহ আপনি সুরা তাকাসুর মানুষের জন্য এমনে পাঠান নাই।
সবাই কি বুঝে যে বলেন ,বিশ্রামে থাকেনঃ
সবাই কি বুঝে যে বলেন ,বিশ্রামে থাকেন না হলে ক্ষতি হবে।কিন্তু উনারা কেন বুঝেন না মুসলমানদের জন্য দুনিয়া টা কি বিশ্রামের জায়গা? আর্মিদের ক্যান্টেনমেন্টে আর্মিরা কি নিদিষ্ট সময় ছাড়া বিশ্রাম নিতে পারে?বব্রং তাদের কে সেই ভাবেই ট্রেনিং দেওয়া হয় তারা যেন অতিরিক্ত বিশ্রাম কথা চিন্তাও না করতে পারে।তেমনি তো মুসলমানদের জীবন।তারা আল্লাহর কোরানের আর্মি।একমাস রমজানের ট্রেনিং এর মাধ্যমে একজন মুসলমানকে আল্লাহর কোরানের সৈনিক হিসাবে গড়ে তুলাহয়।বাকি ১১মাস যেন এই প্রশিক্ষন অব্যাহত থাকে।
“আমি জীন ও মানুষ জাতিকে আমার ইবাদত ছাড়া অন্য কোন উদ্দ্যেশে সৃষ্টি করি নাই” (সুরা আয যারিয়াহ ৫৬)
দুনিয়া আখিরাতের শষ্য ক্ষেত্র।
হাদিসে পেয়েছি দুনিয়াটা আখেরাতের শষ্যক্ষেত্র ।কৃষক শীত রোদ বৃষ্টি ঝড়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসলের গোলা ভরার জন্য ফসলের মৌসম ধান কাটার মাস পৌষ মাসে ব্যস্ত হয়ে গোলা ভরে।যেন সারা বছর তা দিয়ে চলে যান।একজন মুসলমান দক্ষ কৃ্ষক এর মত ।তাই আমাদের কোরানের জ্ঞানে জ্ঞানী হয়ে আবাদি অনাবাদি সকল জমিনের মত হৃদয়ে ইসলামের বীজ বপন করে আখেরাতের জন্য আমলের গোলাটা ধানের গোলার মত ভরায়ে ফেলতে এই রামাদান মাসে ।বলেন ইনশাল্লাহ আমরা পারবেন।
জীবনটা হল একটা বড় রকমের রণক্ষেত্রঃ
তাই জীবন যুদ্ধে ঘাত-প্রতিঘাত,বাধা-বিপত্তি,সংঘাত আর প্রতিকূলতার বা অসুস্থ্যতা বালামসিবত্র মাঝেও ইসলামের ফরজ কাজ তাই ময়দানে ঠিকে থাকার জন্য ইসলামী জ্ঞানের অর্জনের খুব প্রয়োজন। তা না হলে রাখালকে যেমন অজ্ঞ গরুটা অন্ধবিশ্বাস করে তাই তাকে কি মাঠে নিচ্ছে না কসাইয়ের বাড়িতে নিচ্ছে তা না জেনে বিপদে পড়ে ।আমাদের কেও শয়তান সেই ভাবে ভুল পথে নিয়ে জাহান্নামে ফেলে দিবে।
সময় কোথায় পাব বিশ্রামের?
বেশ কিছু দিন থেকে আল্লাহর নেয়ামত নতুন অনেক গুলো অসুস্থ্যতার খবর এসেছে।আলহামদুলিল্লাহ।আমি মনে করি এই গুলো আখিরাতের মিসকল।ধৈর্য্য ও কাজের গতি বাড়াইয়ে আরো বেশি করে আনলের বোঝা বাড়াতে হবে।তাই মাঝে ঠেলাগাড়ির মত দেহটা চলছে।কারন আমাদের যে এখন অনেক কাজ বাকী । এখনো সময় আসেনি যে বিশ্রামের ।ইসলামের সুনির্মল বাতাসে কলেমা কচিত ইসলামের পতাকা না উড়ানো পর্যন্ত আমরা বিরতি নিতে পারি না।সাত দিন টানা তুফান মেইলে ডোর টু ডোর দৌড়ালে সব ঠিক হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ । কারন পেইন দিয়েই পেইন সারতে হয় । সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অন্যায়ের অবিচার গুলো টিউমার এর মত জেগে উঠেছে।তাই এই গুলোকে অপারেশন করে ফেলে দিয়ে সুস্থ্য সমাজ গড়ে ইনশাল্লাহ কবরের গিয়ে বিশ্রাম নিব।ইনশাল্লাহ আল্লাহ আমাদের কে দুনিয়াতেও তাকওয়াবান মুমিন মা ফাতিমা রাঃ এর মত ইমানী এলেমী ও আমলী যোগ্যটা দান করুন।ইনশাল্লাহ আখিরাতেও জান্নাতুল ফেরদাউসে উনাকে আমাদের নেত্রী হিসাবে দান করবেন।
আমি আপনাদের কাছে ক্ষমাপার্থি।
আমার মনের কথা গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলে আমার মনটা অনেক সুস্থ্য থাকে। আলহামদুলিল্লাহ।আমার কাছে অনেক সময় মনে হয় আপনারা আমার কলিজার টুকরা সন্তান/আপন ভাই-বোনের চেয়েও বেশি আত্নার আত্নীয়।কারন আপনাদের মাঝে আমি ইসলামের যে শিক্ষা ও অন্তরের নিঃস্বার্থ ভালবাসা পাই যা অনেক আপনজনদের মাঝেও খুজে পাই না।তাই আমার কাচা হাতের লিখা পড়ে কেউ ব্যাথা পেলে আমি আপনাদের কাছে ক্ষমাপার্থি।আমার মনের কথা গুলো আমার অভিজ্ঞতা ও মনেরদর্পন ছাড়া ার কিছুই নয়।আমি আমার ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেছি মাত্র।তাই আমার লিখায় কেউ মনে কষ্ট ফেলে ক্ষমা করে দিবেন।
ইয়া আল্লাহ আমি অনেক অসুস্থ্য আপনি আমাকে সুস্থ্যতা দান করেন আপনার দ্বীন কায়েমের কাজ করার জন্য ।
দেহ পরিচালনার জন্য আমার হার্ড ও ব্রেইন দুইটাতে সুস্থ্যতা দান করুন ।এই দেহ এর মাঝে যে কষ্ট গুলো তা তুমি দূর করে দাও ।তা না হলে আমি তো ঠিক ভাবে তোমার গোলামী করতেও পারছি না ।তুমি অন্তরযামী তাই আমার দেহ ও অন্তরের কঠিন রোগ তুমি সহজে দূর করে দাও । ডাক্তারদের চেয়ে বড় মহান ডাক্তার তুমি । তাই দয়া করে আমাকে সুস্থ্যাতা দান করুন ।
আন্দোলনের কাজে ময়দানে সবার দুয়ারে দুয়ারে যাওয়ার জন্য আমার সমস্ত রোগ দূর করে সুস্থ্যতা দান করুন । আমার টিউমার লিভারের সমস্যা সহ যত অসুস্থ্যতা সব আপনি নিমেষে দূর করে দিন।কারন আপনি দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ট্য দয়ালু তাই আমাকে দয়া করুন।
ইয়া আল্লাহ কোন রোগ ছোট না তাই যত রোগী যত খানে আছেন সবাইকে সুস্থ্যতা দান করুন ।
হে ক্ষমাকারী !আমাদের কে ক্ষমা করে দিন আর আমাদের রমজান পর্যন্ত আমাদের নেকহায়াত পাবার জন্য রহমত দান করুন ।
বিষয়: বিবিধ
২৯৭৩ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কবে আমাদের এ বোধদয় হবে, কি জানি। ধন্যবাদ সুন্দর লিখার জন্য।
দুনিয়া কর্মস্থল, কর্মফল নয়।
জাজাকাল্লাহু খাইরান।
মন্তব্য করতে লগইন করুন