একজন নির্যাতিতা কাশ্মীরী মুসলিম বোনের হৃদয় বিদারক চিঠি:-

লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ০৮ মে, ২০১৪, ০১:০১:০৮ রাত



এই মেয়েটি আপনার বোন নয় তাই আপনার খারাপ লাগবে না কিন্তু আমি মুসলমান তাই আমার খারাপ লাগছে আপনার ও লাগবে যদি আপনিও মুসলমান হয়ে থাকেন আর মুশরিকদের সন্তান হলে পোষ্ট পড়ে মজা নিয়ে লুঠিয়ে চলে যাবেন ।

একজন নির্যাতিতা কাশ্মীরী মুসোলিম বোনের হৃদয় বিদারক চিঠি:- “আমিও হযরত হাওয়া আলাইহাস সালাম উনার কন্যা। পৃথিবীর ভূস্বর্গখ্যাত কাশ্মীর উপত্যকার রাজধানী শ্রীনগর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে আমার বাড়ি। আমি ছাড়া আমার স্বামী আব্দুর রশিদ ও একটি ছোট ছেলে খালেদুর রশীদ। এ তিনজন নিয়েই ছিল আমাদের ছোট সাজানো-গোছানো সংসার। আমাদের বাড়ির চতুর্দিক ছিল কাশ্মীরী আঙ্গুর ও আপেলের বাগানে ঘেরা। সবুজ নয়নাভিরাম নৈসর্গিক সুন্দরের প্রাচুর্য ছিল সারাটা এলাকা জুড়ে, যার জন্য কাশ্মীরকে বলা হতো পৃথিবীর ভূস্বর্গ।

হে মুসলিম ভ্রাতৃবৃন্দ! আমার মত হাজারো নির্যাতিতা বোন আপনাদের দিকে চেয়ে আছে; আপনাদের সহযোগিতার আশা করছে। আল্লাহ পাক না করুন, এমন অবস্থা যদি আপনাদের হাজারো বোনের হয়ে যায়, তাহলে ঠিকই আপনাদের ঘুম ভাঙ্গবে, চেতনাও জাগবে।

আল্লাহ পাক উনার কসম! নিজেদের শত মতবিরোধ পেছনে ফেলে ঐক্যবদ্ধ হোন। জেগে উঠুন। সিংহ শাবকদের ভীরু শৃগালের মত কাপুরুষোচিত জীবন শোভা পায় না।

জালেম ব্রাহ্মণ্যবাদের ভন্ডামির আড্ডায় ‘মুহম্মদ বিন কাসিম রহমতুল্লাহি আলাইহি’ উনার মত গর্জে উঠুন, ওদের কুঠারাঘাত হানুন । এখনো সময় আছে, আপনার মুসলিম বোনদের ইজ্জত রক্ষা করুন। এ দুর্যোগেও যদি আপনার ঘুম না ভাঙ্গে, আপনার পৌরুষত্বের ধমনীতে আগুন না লাগে, ব্যাঘ্র হুংকার দিয়ে বেরিয়ে আসতে না পারেন তাহলে আপনার এ অচেতনতা, মনের দিবানিদ্রা কোনদিন ভাংবে না। বোধোদয় হবে না কোনদিন। হে মুসলিম বিশ্বের শেরদিল ভ্রাতৃবৃন্দ! আপনার এক নির্যাতিতা ভাগ্যাহতা বোনের নির্মম কাহিনী আপনাদের কাছে বিধৃত করছি।

১৯৯৩-এর ১৫ জুলাই। আমি আমার ছোট্ট নিষ্পাপ শিশু খালেদকে কোলে নিয়ে উঠানে বসেছিলাম। আমার স্বামী আব্দুর রশীদ বৈঠকখানায় তার এক বাল্য বন্ধুর সাথে আলাপ করছিলেন। তার বাল্য বন্ধুটি পুরো এক বছর গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়ে আমাদের বাড়ি বেড়াতে এসে আমার স্বামী আব্দুর রশীদকে জিহাদী প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা শুনাচ্ছিল। এমন সময় আমার ছোট ভাই ঘরে প্রবেশ করে কুশল বিনিময়ের পর খালেদকে কোলে নিয়ে সোহাগ করতে লাগলো। খালেদ তার মামার কোলে খেলতে লাগলো।

মাগরিবের নামাযান্তে আমার স্বামী আব্দুর রশীদ এবং গোলাম মুহিউদ্দীন বৈঠকখানার ঘরে অনেক রাত পর্যন্ত আলাপ করে ইশার নামায পড়ে সেখানেই খাবার খেয়েছিলেন। অধিক রাতে শুয়েও সবাই আযানের অনেক আগেই উঠে ফযরের নামাযের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আমিও অযু করে মাত্র আল্লাহ পাক উনার দরবারে সিজদা দিচ্ছি। এমন সময় পাশের বাড়ি থেকে ভেসে এল মেয়েদের কান্নার রোল। ভারতীয় জঙ্গী বর্বর হায়েনারা পুরো গ্রাম অবরোধ করে লুট, সম্ভ্রম হরণ, হত্যা আর অগ্নিসংযোগে অল্পক্ষণের মধ্যে ভূস্বর্গ তুল্য গ্রামটিকে নরকে পরিণত করে ফেললো। কয়েক শ’ বাড়িতে আগুন ধরিয়ে বিশজন মেয়ের শ্লীলতাহানি করে ৩০ জন মানুষকে হত্যা করার পর যখন আমাদের ঘরে প্রবেশ করলো; তখন প্রথম তাদের উন্মত্ততায় বাঁধা পড়ল। আমার দিকে হাত বাড়াতেই দেখতে দেখতে চারজন ভারতীয় সৈন্য গোলাম মুহিউদ্দীনের ক্লাশনিকভের নিশানায় পরিণত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আমার স্বামীর হাতে ছিল পিস্তল। আর ভাই আব্দুল হামিদ ক্লাশনিকভের ম্যাগাজিন ভরে দিচ্ছিল। গোলাম মুহিউদ্দীনের প্রতিটি গুলিতে একাধিক ভারতীয় জক্সগী বর্বর হায়েনা জাহান্নামের অতল গহ্বরে চলে যাচ্ছিল। আমি তখন শিশুপুত্র খালিদকে বুকে জড়িয়ে তাদের পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এমন সময় অকস্মাৎ একটা গুলি আমার ভাই আব্দুল হামিদের মাথায় বিদ্ধ হলে সে পড়ে গেল। সাথে সাথে সে শহীদ হয়ে গেল। এ সময় ভারতীয় জানোয়ারগুলো এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে লাগলো। কিছুক্ষণের মধ্যে স্বামী আব্দুর রশীদও চিরদিনের মত আমাদেরকে ছেড়ে জান্নাতে চলে গেলেন । গোলাম মুহিউদ্দীন খালিদকে নিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে আমাকে পালিয়ে যেতে বললেন, কিন্তু আমার পা এক ইঞ্চিও নড়লো না। দশ-বারোটা হায়েনা একসাথে ঘরে ঢুকে গোলাম মুহিউদ্দীনের বুকে কয়েকশ’ বুলেট বিদ্ধ করলো। আমার চোখের সামনে বিদায় হয়ে গেলেন সবাই। বর্বর পাষ- জঙ্গী হায়েনারা আমার কোল থেকে শিশুপুত্র খালিদকে ছিনিয়ে নিয়ে বুটের আঘাতে পিষে ফেললো, আর ঘরের সমস্ত মাল সম্পদ লুটে নিল। চোখে অন্ধকার নেমে এলো । ইজ্জত রক্ষার্থে প্রাণপণ চেষ্টা করলাম। কিন্তু চারটি ভারতীয় হিংস্র জানোয়ার একসাথে আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো।

প্রাণপ্রিয় মুসলিম ভাইয়েরা! এরপর কী হতে পারে তা শুনলে আপনাদের চেতনায় অবশ্যই আঘাত লাগবে। ভিজে যাবে চোখের পাতা।

বিশ্ব মুসলিম ভ্রাতৃবৃন্দ! কাশ্মীরের হাজারো বিপন্ন অসহায় বোন আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে। যদি আপনাদের সাহস না থাকে, যদি আপনাদের মধ্যে গাজী সালাহুদ্দীন আইউবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জজবার অভাব হয়, মুহম্মদ বিন কাসিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দীপ্ততেজ জমে গিয়ে থাকে, ভীরুতায় যদি আপনারা বুযদিল হয়ে থাকেন, তাহলে আমাদের হাতে ট্যাংক-অস্ত্র দিন; যেন আমরা নিজেরাই আমাদের ইজ্জত রক্ষা করতে পারি।”

এতো মাত্র একজন মজলুম বোনের আর্তনাদ। এমন হাজারো কাশ্মীরী বোন আজ লাঞ্ছিতা, নির্যাতিতা। বর্বর পাষন্ড ভারতীয় সন্ত্রাসী হায়েনাদের মুসলিম মা বোনদের সম্ভ্রমলুট, হত্যা-নির্যাতনে সন্তানহারা মা, স্বামী হারা বিধবা বোন, আর নিপীড়িতা অসহায় রমণীর ফরিয়াদে কাশ্মীরের বাতাস ভারী হয়ে গেছে। তারা আজ খাদ্য চায় না, বস্ত্র চায় না, চায় অস্ত্র। নিজেদের ইজ্জত বাঁচিয়ে রাখার জন্য তাদের শুধুমাত্র একটু সাহায্যের প্রয়োজন। কাশ্মীরী নির্যাতিতা হাজারো বোনের এ নিষ্করুণ আর্তনাদ আপনাদের কর্ণ কুহরে প্রবেশ করবে কী, প্রভাব ফেলবে কী আপনাদের মনে ? আমরা অসংখ্য নর্যিাতিতা মুসলিম বোন চেয়ে রইলাম আপনাদরে আগমন অপক্ষোয়...

— feeling Angry at Munafiq Muslim !!!

কালেকটেড

বিষয়: বিবিধ

৪২১২ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

218835
০৮ মে ২০১৪ রাত ০২:২৩
সত্যলিখন লিখেছেন : ামার শ্রদ্ধেয় প্রান প্রিয় মুসলিম ভাই বোনেরা ,আপনি কি কিছু চিন্তা করতে পেরেছেন ? আমার মনে হলো আমার কাশ্মীরের নির্ক্সাতিত বোনের চিঠি আর বাংলাশের সাতক্ষীরা থেকে নির্যাতিত বোনের লিখা বোনের চিঠি একই রকম ।এই হায়নারা সবাই একই বনের ক্ষুদার্থ নরপুশু । এরা ক্ষুদার্থ হয়ে একেকবার একেক মুসলমান এলাকায় ডুকে তাদের ক্ষুদা নিবারন করছে । আমরা কলেমার নামধারীরা এদের ভয়ে যদি ঘরে বা মসজিদের কোণে ডুকে যাই তা তারা আর বেশী এঈ ভাবে আজ় আমার কাল আপনার মা বোনের ইজ্জত লুন্ঠিত করে যাবে । তাই আপনি ২ টি চিঠি পড়ে ভাবুন আপনার মুসলমান হিসাবে এখন কি করা উচিত ।

http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/2662/sottolikhon/36793#.U2qSVqLKO1s


218836
০৮ মে ২০১৪ রাত ০২:২৪
218837
০৮ মে ২০১৪ রাত ০২:৩১
সত্যলিখন লিখেছেন : ামার শ্রদ্ধেয় প্রান প্রিয় মুসলিম ভাই বোনেরা ,আপনি কি কিছু চিন্তা করতে পেরেছেন ? আমার মনে হলো আমার কাশ্মীরের নির্ক্সাতিত বোনের চিঠি আর বাংলাশের সাতক্ষীরা থেকে নির্যাতিত বোনের লিখা বোনের চিঠি একই রকম ।এই হায়নারা সবাই একই বনের ক্ষুদার্থ নরপুশু । এরা ক্ষুদার্থ হয়ে একেকবার একেক মুসলমান এলাকায় ডুকে তাদের ক্ষুদা নিবারন করছে । আমরা কলেমার নামধারীরা এদের ভয়ে যদি ঘরে বা মসজিদের কোণে ডুকে যাই তা তারা আর বেশী এঈ ভাবে আজ় আমার কাল আপনার মা বোনের ইজ্জত লুন্ঠিত করে যাবে । তাই আপনি ২ টি চিঠি পড়ে ভাবুন আপনার মুসলমান হিসাবে এখন কি করা উচিত । Click this link
218843
০৮ মে ২০১৪ রাত ০২:৫০
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : আজ প্রথিবীর লক্ষ্য লক্ষ্য বোন নির্যাতিত হাজার হাজার ভাই নির্যাতিত। এই মুহুর্তে আমাদের যা করার তা হলো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য প্রাণ পন চেষ্টা করা।
আল্লাহ আমাদের সকল মজলুম ভাই বোন দের হেফাজত করুন ,আমাদের ক্ষমা করুন ,,,আমিন
১২ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৫৬
168193
সত্যলিখন লিখেছেন : Click this link
218844
০৮ মে ২০১৪ রাত ০৩:০৬
সত্যলিখন লিখেছেন : আপনি ২ টি চিঠি পড়ে ভাবুন আপনার মুসলমান হিসাবে এখন কি করা উচিত । Click this link
একজন নির্যাতিতা কাশ্মীরী মুসলিম বোনের হৃদয় বিদারক চিঠি:-
Click this link
218845
০৮ মে ২০১৪ রাত ০৩:০৭
সত্যলিখন লিখেছেন : আপনি ২ টি চিঠি পড়ে ভাবুন আপনার মুসলমান হিসাবে এখন কি করা উচিত ।


একজন নির্যাতিতা কাশ্মীরী মুসলিম বোনের হৃদয় বিদারক চিঠি:-
Click this link

সাতক্ষীরা থেকে নির্যাতিত এক বোনের চিঠি পড়ুন
Click this link
220462
১২ মে ২০১৪ রাত ০২:১০
স্বপন২ লিখেছেন : আপু, দু,চোখ দিয়ে পানি এসে গেল।
১২ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৫৬
168195
সত্যলিখন লিখেছেন : Click this link
১৩ মে ২০১৪ সকাল ১০:০৭
168430
সত্যলিখন লিখেছেন : Click this link

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File