"জাগো জাগো খোদার প্রেমিকরা ঘুমাইও না আর

লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ০৬ মে, ২০১৪, ০৪:০৮:০৪ রাত

""জাগো জাগো খোদার প্রেমিকরা ঘুমাইও না আর ''



১ । "হে বস্ত্র মুড়ি দিয়ে শয়নকারী,২ওঠো এবং সাবধান করে দাও,৩। তোমার রবের শ্রেষ্টত্ব ঘোষনা করো, ৪।তোমার পোষাক পবিত্র রাখো" ।

সুরা মুদ্দাসির ১-৪

এই আয়াত গুলোর শিক্ষা ঃ

এখানে তাওহিদ রিসালাত ও আখিরাতে বিশ্বাসী

একজন দায়ীকে দাও্য়াত প্রদানের কাজের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।

কলেমার ধারক বাহক রা আল্লাহ রাহমানুর রাহিম কে ভালবেসে চাদর জড়িয়ে আরাশ আয়েশে শুয়ে অলস সময় কাটাবার জন্য আমাদেরকে আল্লাহ দুনিয়াতে সৃষ্টির শ্রেষ্ট জীব হিসাবে সৃষ্টি করেন নাই।আল্লাহ আমাদের কে খলিফা বা আল্লাহর কোরানের প্রতিনিধি হিসাবে দুনিয়াতে প্রেরন করেছেন।তাই আমাদের কে দায়ী হিসাবে একটি মহৎ কাজের গুরুভার দায়িত্ব অর্পন করা হয়েছে।এই দায়িত্ব পালন করার জন্য অত্যন্ত ঈমানী এলেমী আমোলী যোগ্যতা নিয়ে আমাদের কে অত্যন্ত দৃড়তার সাথে কোমরে মজবুতি উঠে দাড়াতে হবে। ইসলাম কায়েম করা ঈমানের অপরিহার্যদাবী।

হযরত নূহ আলাইহিস সালামকে নবুওয়াতের পদমর্যাদায় অভিষিক্ত করার সময় যে আদেশ দেয়া হয়েছিল এটাও সে ধরনের আদেশ। হযরত নূহ আলাইহিস সালামকে বলা হয়েছিলঃ“তোমার নিজের কওমের লোকদের ওপর এক ভীষণ কষ্টদায়ক আযাব আসার পূর্বেই তাদের সাবধান করে দাও।" (নূহ,১)

এখানে আল্লাহ আমাদের চারপাশে আল্লাহর যেসব বান্দারা অবচেতন পড়ে আছে তাদের জাগিয়ে তোলার দায়িত্বর্পন করেছেন।আর তা না করে আমরা যদি আমাদের দুনিয়াবী আরাম আয়েশে মত্ত থাকিএ অবস্থার অবশ্যম্ভাবী পরিণতির সম্মুখীন আমাদের হতে হবে।সে সম্পর্কে আমাদের সাবধান করে দেওয়া হয়েছে।আমরা "মগের মুল্লুকে" বাস করছে না যে, যা ইচ্ছা তাই করে যাব, অথচ কোন কাজের জন্য আল্লাহর কাছে আখিরাতে জবাবদিহি করতে হবে না।

ঘোড়াশালে অনেক ঘোড়া থাকে ।কিন্তু মালিক রেইস বা ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগীতায় সব গুলো ঘোড়া থেকে তেজদৃপ্ত, দৃঢ় ও তাগড়া ঘোড়াকে পছন্দ করে বাছাই করে নেন ।কারন ময়দানে অন্য দশটা মালিকের ঘোড়ার সাথে বিজয়ী হয়ে যেন তার মনিবের সন্মান বহু গুনে যেন বৃদ্ধি করে দেন।তাই মনিব সেই রেইস খেলা্র ঘোড়াকে রেস্ট দেন না।বার বার রিয়ার্সেল হিসাবে তাকে সারাদিন দৌড়ের উপর রাখে ।

তদরুপ আল্লাহ আমাদের কে আখিরাতের সফলতার জন্য দুনিয়ার বিশাল মানব জাতি থেকে বাচাই করে এই কোরানের গুরুভার দায়িত্ব দিয়েছেন।তাই আল্লাহ আমাদের কে শয়তানের দালাল নাস্তিক মুনাফিকদের সাথে দুনিয়ার জীবনের রেইস খেলায় জিতে আসার জন্য কোরান সুন্নাহর আলোকে বার বার রিয়ার্সেল করতে হবে এবং তাগুত শক্তির মুকাবিলায় আল্লাহর শ্রেষ্টত্ব ,প্রতাপ ও সকল স্বার্বভৌম ক্ষমতার ঙ্গধিকারী । ইসলামের বিজয় চিনিয়ে আনতে হবে। শয়তানের শইয়তানি শক্তির মুকাবিলায় ঈমানের জযবা নিয়ে শয়তানদের মুকাবিলায় সীসা ঢালা প্রাচীরের ন্যায় অটুট থাকতে হবে।তাই এখানে জ়েগে ওঠো,জেগে ওঠো, হে তৌহিদি জনতা!

আমাদের আল্লাহূ আকবার ধ্বনির প্রলংকারী শ্লোগানেম কেঁপে ওঠুক জালিমের মসনদ ! ভয়ে গর্তে লোকাক, আল্লাহ ও তার প্রিয় নবীর দুশমন নাস্তিকেরা শাহবাগ থেকে পালিয়েছে ।এই বার আমাদের ঈমানী শক্তির কাছে পরাভূত হয়ে বাংলার মাটি ছেড়ে পালাবে ইনশাল্লাহ জালিমের পোষা বাহিনী। আর এতেই আমাদের দুনিয়ার শান্তি আর আখিরাতের মুক্তি।

তার জন্য আমাদের পোশাক ও চরিত্র ইসলামের মডেল হিসাবে সাজাতে হবে।আল্লাহ তাওহীদ রিসালাত আখিরাতের উপর পুর্ন বিশ্বাস নিয়ে প্রতিটি মানুষের হৃদয়ের দরজায় বার বার নক করে ইসলামে প্রবেশ দ্বার উন্মুক্ত করতে হিবে।এই জন্য আপনাকে প্রচন্ড ঠাট্টা বিদ্রুপ, খুন গুম জেল জুলুম এমন কি আপনাকে বাসাবাড়ি ছাড়াও হতে পারে।তাও দায়ী ইলাল্লাহ এর কাজ থেকে সরে যাওয়া যাবে না ।যত আপনি নিজে একজন মুসলমান হয়ে অন্য মুসলমান কে খারাপ চিন্তা , খারাপ কাজের শরীকদার বা ইসলামের ক্ষতি করে কাজে লিপ্ত বলে ইসলাম থেকে দূরে সরে যাবেন না।কারন আপনার দ্বারা যেমন ইসলামের বা আআমলের ক্ষতিকর কাজ করা অসম্ভব তেমনি আরেকজন মুসলিম ভাই বা দলের পক্ষে তা অসম্ভব।যারা এই সব করছে তারাই ইসলামের ক্ষতির জন্য এই অপপ্রাচার চালাচ্ছে।আল্লাহর ও আল্লাহর রাসুল সা; এর মহব্বতে আমরা আমাদের উত্তম চরিত্র,আন্তরিকতা ভালবাসা ,বিনম্রতা ও বন্ধুভাবাপন্ন ও সররের মাধ্যমে তার জবাব দিব ইনশাল্লাহ।

আমি এমন এক বোন তোমাদের জন্য এর চেয়ে বেশি আর কিছুই করে পারি নাইঃ

আমার অনেক ভাই এই সময় এখন মারা গেছেন। প্রিয়জনরা কেউই তাদের প্রিয় জনের লাশের পাসে বসে কাঁদতে দেয় নাই ।কেউই তাদের প্রিয়জনের লাসের কবর তৈরি করতে হয় নাই। কিছু লোক গিয়ে কাফনের কাপড় আনতে হয় নাই। কোন লোক লাশকে ঘর থেকে বের করে আনতে হয় নাই। কেউ গিয়ে গরম পানি করতে জয় নাই। আবার লাশটাকে গোসল করাতে হয় নাই । লাশকে কাফনের কাপর পরানোহয় নাই।খাটিয়ার উপর না রেখে কভার ব্যানে করে লাশটাকে দূর দুরান্তে ফেলে রাখা হলো। খাটিয়া ধরা দূরে থাক লাস দেখার সুযোগ পাননি । জানাযার মাঠে গিয়ে জানাজা পড়তে হয় নি । কবরে নামাতে হয়নি ।

৬ইমের রাতের আমার ভাইদের জন্য আমার অনেক খারাপ লাগছে । তাই শারিরিক অনেক কষ্ট নিয়েও কলম ধরেছি । আল্লাহ আমার এই লিখার দ্বারা যদি একজননের হৃদয়েও একটা আচড় লাগে তা হলে সেই নেক আমল টুকু আমার এই রাতের শহিদ ভাইদের রুহের উপর পৌছায়ে দেন । আর আমার সকল শহিদ ভাইদের কে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন ।ইয়া আল্লহ আমাদের সবাইকে মৃত্যুর কথা চিন্তা করে বেশি বেশি নেক আমল করার তৌফিক দান করুন, জানা অজানা গুনাহ মাফ করে আমাদের হেদায়াত দান করুন । আমীন।

বিষয়: বিবিধ

১৯৬৯ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

217988
০৬ মে ২০১৪ সকাল ০৫:৩০
শেখের পোলা লিখেছেন : "ঘোড়াশালে অনেক ঘোড়া থাকে ।কিন্তু মালিক রেইস বা ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগীতায় সব গুলো ঘোড়া থেকে তেজদৃপ্ত, দৃঢ় ও তাগড়া ঘোড়াকে পছন্দ করে বাছাই করে নেন ।কারন ময়দানে অন্য দশটা মালিকের ঘোড়ার সাথে বিজয়ী হয়ে যেন তার মনিবের সন্মান বহু গুনে যেন বৃদ্ধি করে দেন।তাই মনিব সেই রেইস খেলা্র ঘোড়াকে রেস্ট দেন না।বার বার রিয়ার্সেল হিসাবে তাকে সারাদিন দৌড়ের উপর রাখে ।"
অত্যন্ত চমৎকার উদাহরণ৷ বোনেদের এমন লেখাই ভায়েদের প্রেরণা যোগাবে ইনশাআল্লাহ৷"আদ্দাল্লো আলাল খাইরে কা ফায়েলিহি" ধন্যবাদ৷
১৩ মে ২০১৪ সকাল ১০:০৫
168427
সত্যলিখন লিখেছেন : Click this link
218004
০৬ মে ২০১৪ সকাল ০৯:০১
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : চমৎকার
১৩ মে ২০১৪ সকাল ১০:০৫
168428
সত্যলিখন লিখেছেন : Click this link
218016
০৬ মে ২০১৪ সকাল ১০:০০
১২ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৫২
168253
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : আপু, চমৎকার লেখা। আশা করি আল্লাহ আপনার হাতকে গতিশীল করবেন।
১৩ মে ২০১৪ সকাল ১০:০৫
168429
সত্যলিখন লিখেছেন : Click this link

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File