বাদশা ফয়সালের শ্রমিক দিবসে জন্মদিন তাই এক শ্রমিক মায়ের উপহারঃ
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ০২ মে, ২০১৪, ০২:০৩:০৯ রাত
বাদশা ফয়সালের শ্রমিক দিবসে জন্মদিন তাই এক শ্রমিক মায়ের উপহারঃ
শ্রমিক কথাটা শুনতে অনেকের কাছে ঘৃনার অবেহেলার আবার অনেকের শাসক আর শোষকের শিল আর পাটার ঘষাঘষির মাঝামাঝিতে মরিচের করুন অবস্থার মত একজাত।আর এক শ্রেনী মানুষের মাথার ঘাম পায়ে ফেলার শ্রম এর সাথে মিশানো উপরের কর্তার কর্তাগিরির কিছু বিষাক্ত স্মৃতি কে মাস শেষে কিছু কাগজের খসখসানির আড়ালে লুকিয়ে রাখা।দুততুরি কি লিখতে গিয়ে কি লিখছি।
এক মা কি একজন শ্রমিকের চেয়েও নিন্মমানেরঃ
ভাই আপনার স্ত্রীকি করেন?আরে ভাই পড়া লেখা করেছে কিন্তু বেকার।এই তো ঘরে বাচ্ছাকাচ্ছা নিয়ে পড়ে থাকে।আরে ভাই মহিলা মানুষ এই টা দিয়ে আর কি কাজ করাব? চারটা ভাত রাধে খায় আর বাচ্ছা দের দেখা শুনা করেন।ধরে নেন ভাই গৃহিনী।আরে মনি কেমন আছিস? রোকেয়া হলের ক্যান্টিনে আর লাইব্রেরীতে তোর পড়ার ডিস্ট্রাব হয় বলে বলে আমাদের সাথে আড্ডাতে থাকতি না।এখন কি করিস? কিভাবে সময় কাটাস?
হেলেনের একসাথে সব কথার উত্তর দিল।এই তো স্বামী সন্তান আর যৌথ সংসার নিয়ে আছি।আরে তুই যে বেকার তা তো আমি জানতাম না।আমি তো বাংলাদেশ ব্যাংকে ভালো পোস্টে আসি।আমার গাড়ি বাড়ি সব তো হয়ে গেল।আমি তো তোকে ডুকাতে পারতাম।আমার হাতে খালু মামা আছেন?
তোর জন্য আফসুস হয়। কিছুই জীবনে করতে পারলি না।"
মনি, বান্ধুবীর সামনে নিজেকে একটুও ছোট মনে করেনি।হেলেন তোকে কে বলেছে আমি বেকার।আমি তো ভোরে উঠে নামাজ পড়েই আমার স্বামী সন্তান আমার দেবর বাশুর ননদ জা সহ সবার নাস্তা বানায়ে তাদের কে খাওয়াইয়ে সবাইকে স্কুল কলেজে ও অফিসে পাঠায়ে দেই। সাথে সাথে তারা দুপুরে এসে কি খাবে তা রান্নার প্রস্তুতি নিয়ে রান্না শেষ করে ফেলি।দুপুরে সবার খাবার শেষ হলে নিজের বাচ্ছাদের গোসল খাবার পড়ানো সব করায়ে রাতের খাবারের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে সবার আবার খাবার দেওয়া শেষ করায়ে বাচ্ছা ঘুম পাড়ায়ে আবার পরের দিনের ভোরের নাস্তার সাথে দেওয়ার জন্য সবজি রাতেই তৈরী করে রাখি।বাচ্ছা স্কুলে আনা নেওয়া পড়ার খোজ খবর রাখা ,তাদের সহ সংসারের সবার অসুখে বিপদেয়াপদে যে দৌড়াতে হয় ।
এরপরও কি হেলেন, তুই আমাকে বেকার বলবি?
য়ামি মাসে মাইনে পাই না ।এটাই দিয়েই আমার বিচার হবে।১৮৮৬ সালের পয়লা মে শ্রমজীবিদের আত্নহুতিকে স্মরন করে তাদের সন্মানে কত কিছু কর।আর নারীদের ঘরে বাহিরে যে ত্যাগ তারপরও তারা স্বামীর কাছে পরিবারের কাছে সমাজের কাছে বেকার হিসাবে চিহ্নিত হয়ে গেল।তা হলে কি তোর মতে এক মা কি একজন শ্রমিকের চেয়েও নিন্মমানের।
এক শ্রমিক মায়ের কিছু স্মৃতিঃ
মনি গ্রাম থেকেই মনি ভালবাসার কেন্দস্থল স্বামীর ছোট্ট একটা ভালবাসায় ভরপুর কুটিরের একটা রুমে তাদের দাম্পত্য জীবন যুদ্ধের প্রথম সংগ্রাম শুরু হয়। রুমটা কবুতরের বাসার মত, ছিল না জানালা, এই রুমেই আবার মাঝখানে পার্টিশান করে এক পাশে বাচ্ছা সহ মনিরা আর অন্য পাশে বাকীরা সবাই।সিড়ির নীচের অন্ধকার কোঠরে এক চুলায় ৪/৫ সিরিয়ালে দাড়ায়ে থেকে রান্না করতে হত।মহিলাদের কাজ হাসের কাজের মত সারাদিন পানি লাগে।আর সেই পানি তুলতে হত অনেক গভীর এক কুয়া থেকে রশি দিয়ে বালতি ফেলে ফেলে। বাচ্ছা পেটে নিয়েও সেই পানি তুলতে নিজের আত্নার পানি বের হয়ে যাবে মনে হত।কুয়ার পাড়েই গোসল খানা ও টয়লেট।গোসল খানাইয় কোন দরজা নেই ও টয়লেট এর সামনে একটা চাঊলের পাটের বস্তা ঝুলানো। গোসল ট্যলেট সব সিরিয়ালে সারতে হত।রান্না ,গোসল,টয়লেট সব কিছুতে পরের জনের জন্য সময় দিয়ে দিতেন এর মধ্যেই জায়গা ত্যাগ করতে হত।আপনি হাসছেন নাকি অবাক হছেন?
মনির স্বামী তখন ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্র।মনিদের দাম্পত্য জীবন এমন মধুর মেলায় সাজানো ছিলো তাই এই সব কিছুই মনির কাছে কষ্টের বা অসস্তির মনে হয়নি । কিশোরি মনির একটাই ভাবনার জাল বুননে ব্যস্ত ছিল যে, তার তাকয়াবান স্বামীকে পড়া শেষ করায়ে হালাল পথে নিজের পায়ে দাড়ানোর আগ পর্যন্ত তাকে যে কোন ত্যাগ কষ্ট হাসি মুখে বরন করে নিতে হবে।সন্তানের সুখের জন্য স্বামী স্ত্রী ত্যাগ করার মন না থাকলে একটা সংসার গড়ে তুলা যায় না।আল্লাহ যখন যেই ভাবে যেখানে রাখেন তাতেই সব সময় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছি ।বাবুই পাখিরা নিজের বাসা বানানোর জন্য কত কষ্ট করে তা থেকে বর্তমান ুগের ছেলে মেয়েদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।মনি সেই সময় বহু দিন ১০টাকার মধ্যেও বাজার করে দিন কাটিয়েছে।আর সেই বাসায় ৬ বছর কাটানোর মাঝের সময় তার স্বামী M.A.L.LB পাশ করেন ও ৩ ছেলের বাবা হন।সেই ভালবাসার বন্ধন মনির জীবনের অতীত হয়ে আজো প্রেরনা যোগায়।আলহামদুলিল্লাহ।
বাদশা ফয়সালের জন্মদিনেঃ
একটুখানি তন্দ্রা আসতে না আসতেই শিশু দুই ছেলেই একসাথে কেদে উঠল তাদের খুদা লেগেছে।ঘরে তাদের দেবার মত তেমন কোন খাবার নেই।আবার তাদের জন্য যে মা দৌড়ে গিয়ে অন্য কিছু খাবার রান্না কববে তা করার মত শারিরিক অবস্থ্যাও তাদের গর্ভবতী মায়ের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাড়াল।না সন্তানের আত্নচিতকার কোন মায়ের কান সহ্য করতে পারে না।তাই মনি অনেক কষ্ট করেই তাদের খাবার রান্না করল।সাহেব এসে ঘরে ডুকেই মনির চেহারা দেখে কষ্ট বুঝল আর ৩য় সন্তানের ডেলিবারীর সময় খুব সন্নিকটে তাই আর্থিক অবস্থ্যার কথা ভেবে পরের দিন(২৬/৪/১৯৮৭) গ্রামে নিয়ে যায়।তার L.LB পরীক্ষা থাকায় পরের দিনই ঢাকা চলে আসে।
আল্লাহ আমার কাছে সে চলা আসার পর থেকে এক একটা দিন একটা কিয়ামতের মত মনে হল।শ্বশুড় বাড়ি ২বছরের বড় ছেলে ১ বছরের মেঝে ছেলের সেবা যত্ন আর আমার শ্বাশুড়ির উপর যেন বাড়তি কষ্ট না হয় সেই দিকে খেয়াল রেখে সংসারের কাজ কর্ম সাথে সাথে করতে প্রানপন চেষ্টা করতাম।২য় রমজান থেকে একদিকে বৈশাখ মাসের তীব্র তাপদাহের রোযা তার সাথে প্রসব পেইন।কাউকে প্রথম দিন বুঝতে দেই নাই।২য় দিনও আরো প্রচন্ড পেইন সহ রোযা রাখলাম আল্লাহর উপর ভরসা করে কারন শুক্রবার এর ফজিলত টা যেন না হারাতে হয়।আমার পেইনের সাথে সাহেবের ভালবাসার পেইন শুরু হয়ে যায় তাই সে সেই দিন বিকালে হাজির।আলহামদুলিল্লাহ।অনেক কষ্ট তাকে কাছে পেয়ে কম মনে হল।কারন ছেলেদুইটা কে আর তখন আমার কষ্ট নিয়ে সেবাযত্ন করতে হয় নাই।পরের দিন(১/৫/১৯৮৭)যোহরের আজানের সময় একটা চাদের চেয়েও সুন্দর ফুটফুটে ছেলে আল্লাহ দুনিয়াতে পাঠালেন।
আলহামদুলিল্লাহ।নয়ন্মনির দুই নয়ন দেখে আর কোন কষ্ট রয় নাই।নদীর জোয়ার বাটা যেমন পাশাপাশি থাকে তেমনি আনন্দের সাথে দুঃখ ওতপ্রোত ভাবে জড়িত থাকে।শ্বাশুড়ি আম্মা লাকড়ি নামাতে গিয়ে কাড়ের উপর থেকে পড়ে কোমর ভাঙ্গেন।আমি আমার দায়িত্ব অনুভুতিতে রজাদারদের খাবার রান্না সহ সব দায়িত্ব পালন করতে শুরু করি। ওর জন্মের পরের দুই বস্তা চাল ঝেড়ে ভাত রান্না করি। আমি যে প্রসুতিমাতা তা আমি ভুলে যাই।আর নবজাতক আলহামদুলিল্লাহ খুব ধৈর্য্যশীল হও্যাতে কান্নাকাটি করত কম।তাই মাকেও কাছে পেত কম। একসময় তারা মায়ের কোলের জন্য তিন জন খুব কান্না করত ।আমার যখন কোলে নেওয়া উচিত ছিল তখন কাজ় আর কাজ় টাঈ কলে নিতে পারতাম না। এখন কোলে নিতে কত সময় পাই বুকটা খা খা করে কিন্তু বুকের মানিকদের কে এখন আর কাছে পাই না।হায়রে সময়,তুমি বড় নিষ্টুর,। নবজাতকের যেমন চেহারা তেমন মাশাল্লাহ লম্বা স্বাস্থ্যবান।আমার মনে হল আমার ভাঙ্গা হৃদয় ঘর আলোকিত করতে কোন বাদশা এল। তাই নাম দিলাম বাদশা ফায়সাল। যে শুধু আমার নয় বাদশা হয়ে সবার হৃদয় আলোকিত করবে।
বাদশা ফয়সালের জন্মদিনে মায়ের উপহারঃ
প্রায় একই বয়সের ৩ ভাই।তাতে কি!খাবার দাবার খেলাধুলা দুষ্টামি কাউকে খুব অল্প সময়ে ভালবাসা ফয়সাল সব কিছুতে দুই জনকে টপকায়ে আগে আগে থাকে।জামা কাপড় জুতা সব ফয়সালেরটা বড় লাগে।ইউনিভার্সিটি ল্যাবরটরী শিক্ষক শিক্ষিকা কর্মচারী সহ মাটিও ফয়সালের নাম জানে।ফয়সালের নামে বিচার আসার ভয়ে ইউনিভার্সিটির ক্লাস এর ফাকে ফাকে এসে ফয়সালকে পাহারাদেই।দুষ্টের শিরমনি হওয়াতে মায়ের হাতের কত লাঠিপিটা এখনো ফয়সালের গায়ে আছে।নটরডেম কলেজের আমাকে নিয়ে যায় কলেজ দেখাবে।আমি তো মহাখুশিতে সাথে গেলাম।ফাদারের রুমে নেওয়ার আগে বলল,আম্মু তুমি আমরা একজন স্যারের সাথে দেখা করব।উনি কিছু বললে উত্তর দিওনা।চুপ করে থাকিও।গেলাম রুমে।স্যার বলেন,”আপনার বোনের ছেলে তো অনেক দুষ্ট কিন্তু মাধাবি।আপনি খালাম্মা তাই বাকী সময়টা একটু খেয়াল রাখবেন”।দাক্তারের কাছে আমাকে নিয়ে গেল ।সেখানে বলে আমি তার বোন।ডাক্তার যেন ভালভাবে ঔষধ দেয়।দেশে নিলাম বেড়াতে ওর এক দাদা খেতে দেওয়ার জন্য স্যার পলিথিনের ব্যাগে করে আনছিলো তার নীচে দিয়ে আঙ্গুল ডুকায়ে ফুটাকরে সব রাস্তায়।এর নাম বাদশা ফয়সাল।
একজন দ্বীনি বোণ বলেছিলেন একট ছেলে পালা আর ১০টা মেয়ে পালার চেয়েও কঠিন।তাই ভয়ে প্রথম শিশু থেকেই ফুলকুড়িতে দিলাম।যেখানে তাদের প্রোগ্রাম হত সেখানেই নিয়ে গিয়ে দিয়ে আমি ওরা প্রোগ্রাম শেষ হলে যেই পথে বের হবে সেই পথে দাঁড়িয়ে থাকতাম।ইন্টারন্যাশাল হলের চাদে মসজিদেই বেশি প্রোগ্রাম হত।সেখানে দিয়ে রাস্তার ফুটপাতে বসে থাকতাম আর আল্লাহকে বলতাম “ইয়া আল্লাহ আমি দুনিয়ার সোনাদানা বালাখানা গাড়িবাড়ি কিছুই চাইনা তুমি শুধু আমার ছেলেদের কোরানের সৈনিক বানাও”।আজো সেই একই প্রাথনা করি।দুই ভাই আন্দোলনের শপত নিল।ফয়সাল তো পারছেনা।আল্লাহর কাছেসাহায্য চেয়ে কান্দি।নীচের ফ্লাটের রাসেলের আম্মার খুব ইচ্ছা আমার ছেলেদের মত তার ছেলে নামাজ পড়ুক।ফয়সালকে বললাম তুমি নামাজে যেতে নীচের রাসেলকেও নিয়ে যাও।আল্লাহ তোমাকে এর ফজিলত দিবে।কয়দিন পর ফয়সালকে বলি ফয়সাল তুমি এখন আর আগের মত আজানের সাথে সাথে নামাজে যাওনা কেন?ফয়সাল একবারের সুন্দর করে উত্তর দিল “আম্মু আপনার রাসেলকে নামাজী বানাতে গিয়ে আমিই বেনামাজী হয়ে যাচ্ছি”।আসতাগফেরুল্লাহ ।
ফয়সালের জন্য আল্লাহর কাছে অনেক সাহায্য চাচ্ছি।মায়ের দোয়া বিফল হয় না এই ভরসায়।আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমার ফয়সাল কে দ্বীনের পথে কবুল করে ফিরায়ে আনলেন এবং শপত নেওয়ার তাওফিক দিলেন।আজ সে তার জন্ম দিনের বাজেট দ্বীনি ভাইদের সেবায় বিলিয়ে দিতে বলল।আজ ফয়সালের জন্মদিনে মা হিসাবে আমার একটাই তাকে দেওয়ার মত উপহার। তা হল আল্লাহর রাসুল সাঃ এর মাধ্যমে মানব জাতির হেদায়াতের জন্য যেই কোরান দিয়েছেন ।আমি সেই কোরান টাই তোমাকে উপহার হিসাবে দিলাম ।আল্লাহর রাসুল সাঃ উম্মত এর জন্য আমি এর চেয়ে মুল্যবান আর কিছু খুজে পেলাম না ।
বাবা সুদূর প্রবাসে মা তো তোমাদের একবার নয়,কয়েকবার নয় হাজার বার ভুলে থাকতে চেষ্টা করি।এই অলস দুর্বল হৃদয় ক্লান্ত পরিশ্রান্ত হয়ে বার শ্রাবনের বারি ঝরায়।তাও ধৈর্য্য ধরে থাকি।য়ামি ভাবি এই সব আমার জন্য আল্লাহর আমানত ।তাই বাবা আল্লাহর কোরানের ডাকে সাড়া দেবে সর্বদা। না হলে আলোর অভাবে অজ্ঞতাবশঃত কাঁটাভরা গর্তে পড়ে আর্তনাদে অস্থির ভারে বিক্ষিপ্ত মনটা হাহাকার করে কান্দবে।মার অপার মমতা ভালবাসা সব সময় তোমাদের সাথে থাকবে ইনশাআল্লাহ।তবে বাবা তোমারা হেদায়াত ওনৈতিকতার পথে থাকবে।আল্লাহ তোমাকে মুত্তাকিনদের ঈমাম বানিয়ে দিক তা হলে মা ইনশাল্লাহ তোমার জন্য একজন মুত্তাকিন নয়ন শীতলকারীনি লালটুকটুকে মনের মত বউ খুজে দেখব।যা হবে তোমার জন্য শ্রেষ্ট্য উপহার ।ইনশাল্লাহ আমার এই লিখার উদ্দেশ্য বর্তমান সময়ের ছেলে মেয়েরা যেন ধৈর্য্যশীল হয়ে সংসার জীবন শুরু করে , অল্পতেই যেন তারা ভেঙ্গে না পড়ে । দুনিয়ার সব কিছু থেকে ভালবাসার প্রাধান্য বেশি দেন । দুনিয়ার সুখ সামান্য কয়দিনের আখিরাতের সুখ অনেক বেশি । তাই আমরা যেবন এতে ভয় না পাই । বয়স বেশি পর্যন্ত বিয়ে না করার কারন অনেক টা আর্থিক অস্বচ্ছলতা । এতে করে আমাদের সন্তানরা আরো খারাপ কাজের দিকে বেশি জুকে পড়েছে ।।আমিন
বিষয়: বিবিধ
২০২৯ বার পঠিত, ২৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার জন্য এবং আপনার বাদশাহের জন্য অনেক দোয়া রইলো।
এসেছি ভাইয়া @প্যারিস থেকে আমি
অনেক দিন পরে বেড়াতে আসলেন তাই
[img]http://www.onbangladesh.org/blog/bloggeruploadedimage/sottolikhon/1399033019.jpg[/img
অনেক দিন পরে বেড়াতে আসলেন তাই
[img]http://www.onbangladesh.org/blog/bloggeruploadedimage/sottolikhon/1399033019.jpg[/img
[img]http://www.onbangladesh.org/blog/bloggeruploadedimage/sottolikhon/1399033019.jpg[/img
সে পোস্ট দিনে-রাতে, ছোট-বড়,
রাজনীতি বা কবিতা-
যা-ই হোক-
আপনি তাদের একজন,
আপনার পোস্টে কিছু পাইনি/শিখিনি বা
পূরণো শিক্ষার নবায়ন হয়নি-
এমনটা মনে করতে পারছিনা!!
তবে ব্যস্ততা ও সময়সংকটের কারণে সবটায় মন্তব্য করা হয়ে ওঠেনা !!
পারতঃপক্ষে টুডে/টুমরো-ব্লগের নবীন-প্রবীন সকলের সব লেখাই আমি পড়ি, এজন্য সপ্তাহে দু-একদিন ঘুমের বাজেটেও কাটছাঁট করতে হয়!!
আল্লাহতায়ালা আপনাকে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী আত্মীয়-বন্ধু-প্রিয়জনসহ আল্লাহতায়ালার প্রিয়ভাজনদের অন্তর্ভূক্ত করে নিন!
আমীন!!
আপনি ক্ষমাকারী তাই এই পাপীদেরকে ক্ষমা করেন।
হে আল্লাহ আপনি মহা দয়ালু তাই এক মুহুর্তেই আমাদের ক্ষমা করতে পারেন।
তাই আমাদের কে চিরস্থায়ী জান্নাতুল ফিরদাউস দান করেন।
হে প্রভু দয়াময় আপনি আমাদের দুয়ার জীবনের সকল পরিক্ষাকে সহজ করে দেন।
হে সন্মানিত রিজিক দাতা আমাদেরকে অতি উত্তম রিজিক ও স্বচ্ছল রাখেন।
হে শ্রেষ্ট অভিভাবক আমাদের উত্তম বন্ধু বান্ধব ও জীবনসঙ্গী দান করেন।
হে সন্মানিত মর্যাদাদানকারী, কাফেরদের মুকাবিলায় সকল সময়ে আমাদের কে মর্যাদাশলিী দের সাথে দৃড় ইমানে রাখেন।
হে মুক্তকারী জালিমের কারাগার থেকে মুত্তাকিন সকল মজলুম কে মুক্তি করে দিন ।
হে কোরানের স্রষ্টা কোরানের সৈনিকদের রাজপথে কাজ করার জন্য সাহস ও ঈমানী এলেমী আমোলী জ্ঞান দান করুনম্নহগ
।
হে প্রভু দয়াময় রহমানুর রাহিমের নিকট আমি সবার পক্ষ থেকে দরখাস্ত পেশ করেছি। হেক্ষমাকারী দয়ালুদের মধ্যেও শ্রেষ্ট্য দয়ালু আমাদেরসবার একই মনের আকুতি শুধু আমাদের জন্য নয় আমাদের বাবা মা ও সারা বিশ্ব জাহানের মুসলিম উম্মাহের জন্য তা কবুল করে নাও ।
তুমি ছাড়া আর কেউ যে আমাদের মনের ফরিয়াদ শুনার মত নেই
তাই দয়া করে দোয়া কবুল মঞ্জুর করুন ।
আমিন সুম্মা আমিন ইয়া রাহমানুর রাহিম ।
একজন নির্যাতিতা কাশ্মীরী মুসলিম বোনের হৃদয় বিদারক চিঠি:-
Click this link
মন্তব্য করতে লগইন করুন