অন্ধকার হিয়ার মাঝে জোনাকীরা জ্বলে থাকে দিবারাতে প্রথম পর্ব
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ৩০ এপ্রিল, ২০১৪, ০১:৩২:১৪ রাত
অন্ধকার হিয়ার মাঝে জোনাকীরা জ্বলে থাকে দিবারা্তে
কলি গুলো মেলে ধরতে প্রথম পরিচর্যা করে ছিলেন যিনিঃ
মনিকা সংসার জীবনের প্রথম সূচনা লগ্নে আল্লাহর নেয়ামত স্বরূপ পেলেন পুরান ঢাকায় এক বোনকে । ।মা ও ভাই বোনের অগাধ ভালবাসার কোল ছেড়ে গ্রাম থেকে শহরে এসে আপাকে মায়ের মত কাছে পেয়ে ভালবাসার তৃষ্ণার্ত হৃদয়ের তৃষ্ণা নিবারন করত।তা মনে হয় আপা বুঝত।সে ছিল আপার মেয়েদের বয়সের থেকেও ছোট বা কাছাকাছি হওয়াতে তিনি কখন মায়ের মত আদর সহানুভুতি দিতে কাপর্ন্য করেননি,যার ফলে মনিকা সাতার না জেনে জীবনে প্রথম অথৈই নদী পার হতে প্রতিকুল ঢেউসামলাতে পেরেছিলো । আবার বন্ধু হয়ে আন্তরিক উষ্ণতা দিয়ে তার প্রথম জীবনের আশা ভরসার কলি গুলো শতদলে মেলে ধরতে সাহায্য করে ছিলেন। আপা তাকে এতই ছোট মনে করতেন যে,কিশোরী মা বাচ্ছা সামলায়ে রাস্তা পার হতে বা হাটতে পারবে না মনে করে তার বাচ্ছাদের ওনার মেয়েদের কাছে রেখে তাকে ইসলামী প্রোগ্রামে নিয়ে যেতেন।আবার স্বযত্নে তার বাসায় দিয়ে যেতেন।আর বার বার ভারাক্লান্ত হৃদয় নিয়ে বলতেন,এত ছোট মেয়ে কে কিভাবে বিয়ে দিল?
আপা যাত্রাবাড়ি চলে যাওয়ার পর দীর্ঘ দিন যোগাযোগ বন্ধ ছিল । মনিকাও দীর্ঘ মরুপথ পাড়ি দিয়ে নিজের কিনা এপার্টমেন্টে উঠে অনেক পরে একদিন হঠাত আপা কোথার থেকে ঠিকানা নিয়েতার কাছে মায়ের মত হাজির হন।আপা এসেই হারানো ধন পাওয়ার মত তাকে বাহু বন্ধনে ঝড়ায়ে বুকে টেনে নিল। সেইদিনও তার হৃদয় াপার ভালবাসার মাঝে শীতল ছায়া খোজে পেয়েছিল।কিন্তু সেইদিন আপাকে দেখে তার বুঝতে বাকি রয় নাই যে ,আজ আপা অনেক দুর্বল হয়ে শীতের পাতা ঝরা বুড়ো বটবৃক্ষের ন্যায় নুয়ে পড়েছেন।
মনিকার বসন্ত বয়সের কালবৈশাখীর দিনে যিনি হাত খানি চেপে ধরে ছিলেনঃ
দীর্ঘ সময় প্রবাসে স্বামী রেখে যখন ছোট ছোট৩ বাচ্ছা নিয়ে মনিকা যখন জীবন বাচানোর সংগ্রামে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত দেহওমন নিয়ে পরাজিত সৈনিকের মত হেরে ময়দান ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা শুরু করেছিল তখন কালবৈশাখী রাতের অমানিশা অন্ধকার কেটে যাওয়ার পর ভোরের সোনালী সূর্যের মত আল্লাহ রহমানুর রাহিম তার পাশে দাড় করালেন আরেক বোনকে। প্রবাসী স্বামীর স্ত্রীরা বাচ্ছা সহ কত অসহায় ভাবে থাকে তা মনিকা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিল ।তিনি মনিকার আত্নার সাথে এমন ভাবে মিশে যান আপন আত্নীয়দের চেয়েও আপন।কারন তিনি গাছের ফল ,ভাল খাবার, শীতের পিঠা বা কিসে তার আর তার বাচ্ছাদের পছন্দ আপা এই গুলো আপন মা বোনের মত তুলে রেখে দিতেন।সে একবার পা ভাঙ্গলে আপা নিজের বাসার কাজের মেয়ে কে তার সেবার জন্য তার বাসায় দিয়ে দেন ।আমি সুস্থ না হয়া পর্যন্ত তারকাছে থাকে।
আপার স্বামী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগিয় হেড ছিলেন ।কিন্তু এতে আপার মাঝে কোন অহংকার ছিল না ।স্যার আর আপা নরম কাদা মাটির মত মানুষ ছিলেন।আপা মনিকার উপকারের জন্য কত কষ্ট দেন এই স্যার কে তা সে ভুলতে পারছে না।আজও তার কোন অসুস্থ্যতা বা কয়েক দিন আপা খবর না পেলে স্যার কে নিয়ে আপা দৌড়ায়ে আসেন তার বাসায় ।মনিকার বয়স ছিলো তখন ১৮ যা হেসে খেলে কাটান অনেকেই ।আর তার এই বসন্ত বয়সে যখন তার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখীর ঘুর্নিঝড়ে শুকনো খড়কুটার মত মনটা উড়ছিলো যখন তখন এই বোন আল্লাহর রহমতের ছাতা হাতে নিয়ে ছুটে এসে মজবুত ভাবে তার হাত খানি চেপে ধরে ছিলেন ।আজও ওনাদের নাম স্মরন করলে তার দুই নয়ন অশ্রু সিক্ত হয়ে দুই হাত উঠে যায় আল্লাহর দরবারে। আপা আর স্যার কে আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে ওনাদের জান্নাতি সুখ দান করুন ।
গ্রাম অঞ্চলে মেয়েদের শিক্ষিত করা হয় একটা ভাল ছেলের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ।মনিকা যখন ক্লাস ৮পাস করার পর বিয়ে যায় তখন সে ভেবেছিল যাক এই পড়ার অত্যাচার থেকে বাচা গেল।কিন্তু মা ভাই স্বামীর পড়ানোর আন্তরিকতায় এস এস সি পাস করে ভেবেছে যাক অনেক ভাল শিক্ষিত হয়ে গেছে। সুন্দর করে চিঠি লিখে প্রাবাসী স্বামীর হৃদয় ঝুড়াতে পারে।আবার বাচ্ছাদের পড়াতে পারে । কোরান হাদিসের বই বাংলা বই সবই পড়তে পারে।কিন্তু না হবে না। কিছু আপন জনেরা ময়দানে একা পেয়ে তাকে বিষাক্ত তীরের ন্যায় কিছু প্রশ্ন ছুড়ে মারল। যেমন, তার ব্যক্তি গত বা তার বাবা হারা পরিবারের কি যোগ্যতা আছে একটা এম এ পাস ছেলের পাশে তাকে বউ হিসাবে দাড় করায়ে দিল ।সে ভাবে তার পরিবার ও তার জীবন থেকে কথার গ্লানি মুছতে হবে ।তাই এটা কে সে জীবনের চ্যালেন্স হিসাবে গ্রহন করে আর এর রকম হাজার মেয়েকে মানষিক আঘাত থেকে রক্ষা করার জন্য তাকে উদাহরন হিসাবে আগাতেই হবে ।আর এই জন্য নারীরা তাদের গোপন অস্র হিসাবে উচ্চ শিক্ষার্জন আর জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে নিজের মর্যাদা কে পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রের মাঝে অনেক উচু সিড়িতে ইনশাআল্লাহ উঠাতে পারবে ইনশাআল্লাহ ।তাই সে বাচ্ছাও নিজের পড়া ,ক্লাস, ক্যারিয়ার আর যৌথ সংসার নিয়ে এত ব্যস্ত হয়ে পড়ে যে আপার সাথে আর দেখা করার সুযোগ হয় না।
কিন্তু আপা নাছাড় বান্দা। সেই দিনআপা আমাকে ইউনিভার্সিটির ম্যাডাম এর মত অনেক কথা বলার পর আদেশ করলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট তো অনেক গুলো সংগ্রহ করলেন ,আখিরাতে যাওয়ার সময় কয়টা নিবেন? আমি তো থ হয়ে রইলাম।আমি আমার ভুল বুঝতে পেরে কান্না শুরু করলে আমাকে বললেন “এই বার আল্লাহর একজন বান্দাও রাসুলের উম্মত হিসাবে একজন আদর্শ স্ত্রী ও মা হিসাবে জান্নাতের সার্টিফিকেটের জন্য কাজ শুরু করেন।“
আমার প্রান প্রিয় পেয়ারী আপারা কে মনে পড়ছে:
দীর্ঘ সময় মনিকা আর ফাহমিদা আপার এক সাথে ইসলামের কাজ করেন।হঠাত আপা মনিকা কে জানালেন,"আজ বিকালে নতুন এক জায়গায় নতুন কয়েক জন বোন সহ নতুন এক বোনের বাসায় নতুন এক মেহমানের সাথে আমরা সবাই প্রোগ্রামের মাধ্যমে পরিচিত হব।এত নতুনের মাঝে সে নিজেই ভয়ে নতুন করে হারিয়ে যাতে লাগল। নতুনের সামনে গিয়ে নিজেকে বিকশিত করে তুলে ধরা অনেক কঠিন কাজ তাই সমস্ত শরীর গ্রীষ্মের প্রখর তাপে রুক্ষ শুস্ক গাছের মত আধ মরা অবস্থা হয়ে গেল।মনিকার মনের ব্যাগাচ্যাগা অবস্থা আপা মনের ডাক্তার মত বুঝতে আর বাকি রয় নাই ।আপা অনেক নরম হৃদয়ের মানুষ তাই সান্তনা দিয়ে বললেন" আপনি কি পড়েন নাই? নেতৃত্ব পরিবর্তন হবে কিন্তু আনুগত্য পরিবর্তন হবে না একই থাকবে বা বাড়বে কমবে না”।
পরিচয়ের সময় পেয়ারী আপা কে চিনে সে । আল্লাহু আকবার কোরানের আলো যেখানে যায় তাই আলোকিত হয়ে যায় । এখানে এখানে পেয়ারী আপা কে প্রথম দিনই দায়িত্ব দেওয়াতে আপার সাথে পরামর্শ করে চলতে গিয়ে দেখে সে যত টা ভয় পেয়েছিল আপা হল তার উলটা ।কত সুন্দর ব্যবহার এর মাঝে আপার এডমিনিস্টেসান ছিল অনেক কড়া ।একটুও ফাকি দেওয়ার উপায় নেই ।
কম্পিউটারের মাদার বোর্ড এর মত আপার মাথায় অসাধারন স্মরন শক্তি। সপ্তাহের বুধবার টা মনে হত একসপ্তাহে বার বার আসে।পড়া শিখা না থাকলে আল্লাহ আজ যেন আপা না আসে । বিকালে বৃষ্টি হলে কি খুশি হত আজ মনে হয় আপা আসতে পারবে না। কুয়াশা আর শীতের ঠান্ডার মাঝে আপা এসে হাজির ।এর দেরি হলে বলতেন“ কম্বলের নীচের থেকে আসতে দেরী করলেন “ আর আমি রিকসা না পেয়ে এই অবস্থায় হেটে এসেছি”। সানয়ারা জাহান অরফে তার প্রান প্রিয় পেয়ারী আপা কে সে খুব কাছে পেয়েছে তবে আল্লাহর এত প্রিয় বান্দী যে আপা হয়ে গেছেন তা এত বেশি ? তা এই অধম ঠাহর করতে পারিনি , টের পেয়েছি কিছুটা ।
আপা আমার ডান নিলয়ঃ
আমাদের দাও্য়াতী কাজ হবে ব্যুয়েট শিক্ষকদের আবাসিক এলাকায়।সেখান থেকে ৩জন বোন আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা ৩জন।ব্যুয়েটের একজন আর আমরা একজন করে করে গ্রুপ বের হবে।মনিকার গ্রুপে ইয়াসমিন আপা।মনিকার গায়ে আপার কথা গুলো কাঠালের গায়ের কাটার মত ক্ষরক্ষরা মনে হল।ফাহমিদা আপাকে বললাম আমার সাথে যেন উনাকে না দেন । পরে ফাহমিদা আপা বুঝালে বুঝলাম যে, ইয়াছমিন আপা , জীবনের অধিকাংশ সময় প্রবাসে কাটিয়ে ছেলেমেয়েদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য ভাইকে প্রবাসে রেখে দেশে চলে আসেন।মাসাল্লাহ ছেলে মেয়ে ওমেয়ের জামাইরা সহ আধা ডজনের বেশি ডাক্তার ইঙ্গিনিয়ার বানিয়েছেন ঠিকই কিন্তু মা বাবা দুইয়ের প্রসাশনিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আপা কে কখন মনে হয়েছে ঝুনা(ঝনঝনা)নারিকেল আবার মনে হয়েছে তরমুজের ভিতরের চেয়েও নরম সুস্বাদু যা পিপাসার্থ আর রোদে কালন্ত পথিকের প্রান ঝুড়ায় নিমিষে। আপার কথা ছিল ঝটঝাটঙ্কথা বা চলাফেরা ছিল ইসলামের খাটি নিয়মে।কথায় কোন বনিতা বা বেকা তেড়া নেই ।যাকে যা বলার ঠাসঠুস।প্রথমে যে কেউ ভালবাসা নিয়ে আপার সাথে কথা বলতে আসলে দুই/ একটা কথা বলেই ইস্প্রিটব্যাকারে থাক্কা খাবার মত থাক্কা খাবে । অনেকে সেখানেই থেমে গিয়ে আর আগায় না।মনিকার মত বুঝতে পারা সংখ্যাও কমনয়।
মনিকার হৃদয়ে এই আপাটা অনেক বড় একটা জায়গা দখল করে নিয়েছে।আপাকে যারা উপর থেকে দেখেছে তারা জানে আপা খুব কঠিন ।তাই অনেক বোন মনিকাকে প্রশ্ন করে আচ্ছা আপা, ইয়াছমিন আপার সাথে আপনি কিভাবে এতো মধুর সম্পর্ক স্থাপন করলেন?আমরা তো ভয়েও উনার সামনে যেতে পারি না”।মনিকার একটাই উত্তর, আপার মত মুমিন মহিয়ষীনারী খুব কম আছেন।প্রোগ্রাম আপার বাসায় সব গুলো দিতাম, কারন আপার হরেক রকমের রান্না আর আথিয়তা বোন্দের পাগল করে ফেলে।ইসলামের যে কোন কাজে বা প্রোগ্রামে আপা সবার আগে।নেতৃত্ব দেওয়া আর আনুগত্য করা আপার সাথে পাল্লা দেওয়ার জুড়ি মেলাবার কাউকে আমি পাইনি।দানশীলতায় আলহামদুলিল্লাহ আপাকে শুধু ইসলামের সমস্যাটা বুঝায়ে বলতে যত দেরী হস্ত প্রসস্থ করে দিতে দেরি নেই।আপা ছিল ধৈর্যের পিরামিড।তাও মনের অনেক গোপন কথা মনিকে বলত।এতে নাকি শান্তি পেতেন।
মনিকা আর ইয়াছমিন আপা ছিল একই হৃদয়ের দুইটি পায়রা।ইসলামের জন্য দুই জন এক হুসাইলেই একসাথে উড়াল দিত।মনিকা বার বার অসুথ্য হয় আর আপার নিজের টাকা দিয়ে কারো অপেক্ষা না করে সিকিতসা করায়ে দিবে।আজ সেই আপাকে প্রবাসে পাঠায়ে মনিকা বার বার আল্লাহর কাছে কাদে আর বলে আপা আপনি যে আমার ডান নিলয় ছিলেণ তা থাকতে বুঝতে পারিনি।এখন সেই শুন্য স্থানের রক্তক্ষরনে কষ্টে বুঝতে পারছি।আজো ইয়াছমিন আপার এপার্ট্মেন্টে প্রোগ্রাম করে এসে অনেক ক্ষন অশ্রুসিক্ত নয়নে আল্লাহর কাছে উনার ইসলামের সকল ত্যাগ কবুল হওয়ার জন্য সাহায্য চাইলাম।কারন এখন তো আর কেউ প্রতিদিন মনিকার খবর নেয় না ফোন করে।চেহারা দেখে এখন তো আর কেউ বলে না ইসলামের জন্য হলেও আপনাকে বাচতে হবে তাই আসেন আমি আপনাকে ডাক্তার দেখাই ।আমিরিকার দেখে বসে মনিকার জন্য ডাক্তারের সিরিয়াল নেন।সেই খান থেকে ফোন আসে উনার গলার আওয়াজ শুনলে আবেগ এতো প্রবল হয়ে উঠে তখন ভাষা অচল হয়ে শুধু কান্না আসে।আল্লাহ আমার প্রান প্রিয় বোণটাকে উনার মুত্তাকিন স্বামী সন্তান নিয়ে দুনিয়া ও আখিরাতে সুখে রাখুন।
বিষয়: বিবিধ
৩৭৬৬ বার পঠিত, ৬০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আচ্ছা পেয়ারী অপ যিনি তিনিকি সেই পেয়ারী আপা জিনির স্বামীর নাম দেশ বিদেশে ইসলামী আন্দোলনের সিপাহিদের প্রেরণা ?
[দোয়ার একটা প্যাকেট করা আছে আমার, যেকোন সময় দোয়া করতে গেলেই সেটার কথা মনে পড়ে- সেটাই রবের সামনে পেশ করি মনে মনে! এত কথা বলার/লেখার সময় কোথায়!!]
কিন্তু বর্তমানে মহিলাদের কাজকর্ম নিয়ে আমি হতাশ।
পাঠক মনে খেলা করে ভীষণ। মনের অজান্তে আপনি, আমাদের একটা মূল্যবোধের দিকে টেনে নিয়ে গেছেন। একজন
আম পাঠক হয়ে আপনাকে তাই জানাই আন্তরিক সাধুবাদ।
অনুভুতির লিখাগুলো অনুভূতি দিয়েই পড়েছি। ভাল লাগল।বাকহীন মনের অনুভূতির সংস্পর্শ বড়ই চমতকার। কথা নেই বার্তা নেই। একবার দেখেই ভাল লাগা। অতৃপ্ত মন আর একবার দেখতে চায়। না । পাশে বসে সময় নিয়ে কথা বলতে চায়। এভাবেই মনিকা আর আপার হৃদয়ের মিলটা পুরো গল্প জুড়ে ছিল। মনে হয়েছিল, আমি দর্শক। শেষ করে সম্বিত ফিরে এলে বুঝলাম, দুত্তরি। আমিতো দর্শক না পাঠক।
ধন্যবাদ। ভাল লাগল।
(১) ১ম বক্সে আপনার লিংকটা বসান।
(২) ২য় বক্সে কিছু না লিখলেও চলবে। OK দিন।
(৩) এখন (সিলেক্ট অল করে) পুরো কোডটা কপি করে প্রত্যেক জবাবের শেষে পেস্ট করে দিন।
(৪) এখন আপ্নার করা প্রত্যেক জবাবেরর শেষে প্রদর্শিত "Click this link" এর উপর ক্লিক করলে আপনার কাঙ্কিত পোস্টটি (লিংকটি) ওপেন হবে।
আবার ট্রাই করেন।
ঠিক হলে এটার মতো দেখাবে। Click this link এ ক্লিক করলে "এখন রওশনের জীবনের কি হবে ?" পোস্টটা ওপেন হবে।
১. আপনি যে লিংটি দিতে চান তা Copy করুন।
তার পরে হ্যারির স্টেপগুলো ফলো করুন দেখবেন হয়ে গেছে।
(২) ২য় বক্সে আসলে শুধু OK দিন।
(৩) আগে এক বার এ অবস্থায় "মন্তব্য প্রকাশ করুন" বাটনে চাপ দিন। মন্তব্য পাবলিশ হওয়ার পর দেখবেন ক্লিক করলে নতুন পেইজ ওপেন হচ্ছে।
আমার জন্য বিশেষভাবে দুয়া করবেন যদি সুযোগ হয়। আল্লাহ্ যেন আমাকে হেদায়ত দান করেন, তাঁর প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করে নেন।
লিংকে কোন কিছু এডিট করবেন না।
মনে রাখবেন... আমি এত্ত সহজে ছাড়ি না, টিচার হিসেবে খুব কঠিন প্রকৃতির প্রানী আমি যেমনই হোক আমার ছাত্রী শিখিয়েই ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। অপেক্ষায় থাকবো.......
মন্তব্য করতে লগইন করুন