হে প্রভূ, এই রাত শুধুই তোমার আর আমার

লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৬:১৩:০৬ সন্ধ্যা

হে প্রভূ, এই রাত শুধুই তোমার আর আমার

প্রাইমারীতে পড়ার বয়সেই পাশের ঘরের চাচাত বোন নেপুরের সাথে মেধা প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে পড়ি।পাশাপাশি ঘর ও একই হাউজ টিউটর হওয়াতে আমি যখনই পড়তে বসি তখনই সে আমার দেখে বসে যায়।স্বাভাবিক নিয়মের সাথে আরও বাড়তি সময় হিসাবে বেছে নিলাম রাতের শেষ ভাগের সময় কে।আম্মু হারিকেনের কেরসিন পোড়ানোর ভয়ে বাধা হয়ে দাড়ালেও আমার মনের ব্যাকূলতার কাছে হার মানে ।চেষ্টার ফল বিফল হয় না ।তাই প্রাইমারী থেকে হাই স্কুলে উঠার সময় মেধাতালিকায় প্রথম হওয়াতে একমাত্র বড় ভাইটি কোলে নিয়ে স্কুল থেকে বাড়ি নিয়ে আসে।এতে রাত জাগা নিশাচর হওয়ার আগ্রহ আরও বেড়ে গেল ।

ছোট বেলায় বিয়ে হওয়াতে বান্ধবীরা বলত আমার জীবনে নাকি আর পড়া লেখা হবে না ।তাই স্ত্রী বা বউ হিসাবে যে বাড়তি সময় আমাকে দিতে হত সেই হারায়ে যাওয়া সময় পূরন করতে আবার রাত জাগা শুরু করি।এস এস সি পরিক্ষা দিয়ে প্রিয়তম স্বামীর হাত ধরে ঢাকা এসে সংসার জীবন শুরু করি, আমি যোথ সংসার ও ৩ বাচ্ছার দায়িত্ত্ব পালন করতে গিয়ে দীর্ঘ ৬ বছর আমার পড়া লেখায় ভাটা পড়ে যায়। জীবন যুদ্বে সংগ্রাম করে পড়ার প্রতি যে সুপ্ত ইস্পিহাকে হৃদয়ের মনি কোঠোরে লুকিয়ে রেখেছিলাম তা আবার জাগিয়ে তুলতে আল্লাহ আমাকে সক্ষম করেন ।সেখানেও মেধার প্রতিযোগী হিসাবে বড় জা কে পেয়ে যাই ।বাচ্ছা ও সংসারের দায়িত্ত্ব পালনের পর পড়ার সময় হিসাবে বেছেনি আবার রাতের শেষ প্রহর কে ।বি এড এ ফাষ্ট ক্লাস পাওয়ার পর বুঝলাম পরিশ্রম কখনও বিথা যায় না ।বেগম রোকেয়াকে দেখেনি কিন্তু শুনেছি তিনি মোমবাতি জ্বালায়ে পড়েছেন ।আমি ওনাকে অনুসরন করে একই নিয়ম পড়া চালিয়ে যাই।

হাদিসে পেয়েছিলাম ব্যস্ত হয়ার আগে অবসর সময়কে কাজে লাগানর জন্য।তাই পরের দিনের জন্য অনেক কাজ আমি রাত জেগে করে রেখে দিতাম ।কারন মনে হত দিনটা সবার জন্য আর রাত টা শুধু আমার জন্য । বাচ্ছাদের ও সাহেবের প্রিয় খাবার বা হঠাৎ আসা মেহমানদের জন্য অনেক খাবার রাত জেগে রান্না করে চোখের আড়াল করে রেখেদিতাম ।সারপ্রাইজ খাবার প্রিয় জনদের সামনে দিলে কি যে খুশি হয় তা দেখতে খুব আনন্দ লাগে।রাত জেগে জেগে বাচ্ছাদের পড়ার নোট ও নিজের পড়ার নোট তৈরি করে রাখতাম ।যোথ সংসারের কেউ যেন বাধা হয়ে না দাড়ায় তাই শেষ রাতেই সারা দিনের খাবার রান্না করে রেখে দিতাম । কারন সকালে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে আমার ক্লাস আর বাচ্ছাদের স্কুলের ক্লাস একই সময় শুরু হত ।

আল্লাহর একবিশেষ নেয়ামত হিসাবে তিনি আমার জন্য কিছু দ্বীনি বোন মিলায়ে দিলেন ।একজন দ্বীনিবোন সকালে হঠাৎ করে ফোন দিয়ে বললেন আজকে প্রোগ্রামে আপনাকে কোরানের দারস দিতে হবে ।আমি উর্ধ্বতন বোনের আদেশ না করার সাহস পেলাম না। কায়মনো বাক্যে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইলাম ।তখন আমি তাফসির থেকে নোটটা তৈরি করতে গিয়ে রাতের শেষ ভাগেরএবাদত আল্লাহর কাছে কত প্রিয় তা আমি উপলদ্বি করতে পারলাম।আম্মুকে ছোট বেলায় থেকে তাহাজ্জুদ পড়তে দেখতাম আর আমার কোন সমস্যার কথা শুনলেই বলত তাহাজ্জত পড়,সমস্যা দূর হয়ে যাবে।দারস তৈরি করতে গিয়ে দেখলাম, কোরানে আল্লাহ ওনার হাবিব রাসুল সাঃ কে আদেশ দেওয়ার মাধ্যমে উম্মোতি মোহাম্মাদিকে এইতাহাজ্জত পড়ার আদেশ দিয়েছেন। আমি তাতে খুব আনন্দিত হলাম ।কারন দুনিয়ার জ্ঞান অর্জনের কথা ভেবে রাত জাগার অভ্যাস করলেও তা আখেরাতের ঞ্জান অর্জনের জন্য হলে আরও ভাল হবে। আমি যা বুঝেছি সেই দিন তা একটু আপনাদের সাথে শেয়ার করি । ভূল হলে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।

তাহাজ্জুদ নামায কি ?

তাহাজ্জুদ মানে ঘুম ভেংগে উঠে আল্লাহর সান্নিধ্যে লাভের আশায় কিছু সময় কাটিয়ে দেওয়া ।আর আল্লাহর বানী হল ;

“রাতে তাহাজ্জুদ পড় ,এটি তোমার জন্য নফল”-সুরা বনী ইসরাইল আয়াত ৭৯ ।

“হে বস্ত্রমুড়ি দিয়ে শয়নকারী রাতের বেলায় নামাজ রত থাক” । সুরা মুযযাম্মিল আয়াত-১

“রাতের বেলায় তার সামনে সিজদায় অবনত হও।রাতের দীর্ঘ সময় তার তাসবীহ অর্থাৎ তার পবিত্রতা বর্ণনাকরতে থাক”। সুরা দাহর আয়াত ২৬ ।

এর দু’টি অর্থ হতে পারে।এক, নামাজে দাঁড়িয়ে রাত অতিবাহিত করা এবং রাতের অল্প কিছু সময় মাত্র ঘুমে কাটান। দুই, আমাদের কাছে সমস্ত রাতই নামাজ পড়ে কাটিয়ে দেয়ার দাবি করা হছে না ।বরং ঘুমের মাধ্যমে বিশ্রাম করার পর একটা ক্ষুদ্র অংশ ইবাদত বন্দিগীতে কাটিয়ে দেওয়া ।

তাহাজ্জুদ নামায কি ফরয ,সুন্নত না নফল ?

আল্লাহর বানী হল ;

“রাতে তাহাজ্জুদ পড় ,এটি তোমার জন্য নফল”-সুরা বনী ইসরাইল আয়াত ৭৯ ।

তাহাজ্জুদ নামায ফরয নয় নফল ।নফল মানে ফরযের অতিরিক্ত । আল্লাহ ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়া সুরা বনী ইসরাইল আয়াত ৭৮ এর মাধ্যমে জানা যায় ফরয করেছেন। কিন্তু দয়াময় মেহেরবান আল্লাহ কোরানে যে ষষ্ঠ নামাজটির আদেশ দিয়েছেন তা অনেক গুরুত্তপূরণ হলেও তা নফল করে দিয়েছেন ।

তাহাজ্জুদের সময় সীমা কখন বা কতটুকু ?

আল্লাহর বানী হল ;

“হে বস্ত্রমুড়ি দিয়ে শয়নকারী রাতের বেলায় নামাজ রত থাক ।তবে কিছু সময় ছাড়া অর্ধেক রাত কিংবা তার চেয়ে কিছু কম করো ,অথবা কিছু বাড়িয়ে নাও” । সুরা মুযযাম্মিল আয়াত-১-৩

“হে নবী,তোমার রব জানেন যে ,তুমি কোন সময় রাতের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ, কোন সময় অর্ধাংশ এবং কোন এক-তৃতীয়াংশ সময় ইবাদতে দাড়িয়ে কাটিয়ে দাও”।। সুরা মুযযাম্মিল আয়াত-২০

তাহাজ্জুদের সময় কি করব ?

“আর কুরআন থেমে থেমে পাঠ করো ।আমি অতি শীঘ্র তোমার উপর একটি গুরুভার বানী নাজিল করব ।” । সুরা মুযযাম্মিল আয়াত-৪-৫ ।

“ফযরে কোরআন পড়ার ব্যবস্থ্যা কর ।কারন ফজরের কোরান পাঠ পরিলক্ষিত হয়ে থাকে”--সুরা বনী ইসরাইল আয়াত ৭৮।

“রাতের বেলায় তার সামনে সিজদায় অবনত হও।রাতের দীর্ঘ সময় তার তাসবীহ অর্থাৎ তার পবিত্রতা বর্ণনাকরতে থাক”। সুরা দাহর আয়াত ২৬ ।

এখানে কোরানকে আল্লাহ গুরুভার বলার কারন হল ,কোরান মানুষের কাছে যা দাবী করেঃ

১।তার নির্দেশ অনুসারে কাজ করা ,

২।তার শিক্ষার জীবন্ত উদাহরন হিসাবে নিজেকে তুলে ধরা ,

৩।সারা দুনিয়ার সামনে এর দাওয়াত বা আহ্বান তুলে ধরা,

৪। কোরান এর অনুসারে আকিদা বিশ্বাস ,ধ্যান ধারনা ,নৈতিক- চরিত্র,ও আচার-আচরন এবং তাহযীব –তামুদ্দীনের করা এমন একটি কাজ যে, এর চেয়ে বেশি কঠিন ও গুরুবার কাজের কল্পনা করা যায় না ,

৫।তার অবতরনের পর দায়িত্ব পালনের গুরুত্ত্ব অনেক বেশি তাই গুরুভার বলা হয়েছে। এই ভার বহন করার ও বরদাশত করার মত শক্তি আমাদের দেহ ও মনে অর্জন করা আবশ্যক। আর এই শক্তি অর্জনের কৌশল হিসাবে রাতের আরামের গুম পরিত্যাগ করে নামাজে বা তেলয়াতে কুরআন থেমে থেমে পাঠ করা এর মানে বুঝে বুঝে কোরান পড়ার মাধ্যমে ইবাদত বন্দেগীতে কাটিয়ে দেওয়া ।

তাহাজ্জুদের গুরুত্বঃ

“হে বস্ত্রমুড়ি দিয়ে শয়নকারী রাতের বেলায় নামাজ রত থাক ।তবে কিছু সময় ছাড়া অর্ধেক রাত কিংবা তার চেয়ে কিছু কম করো ,অথবা কিছু বাড়িয়ে নাও ।আর কুরআন থেমে থেমে পাঠ করো ।আমি অতি শীঘ্র তোমার উপর একটি গুরুভার বানী নাজিল করব ।প্রকৃতপক্ষে রাতের বেলা জেগে উঠা প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রন করতে অনেক বেশি কার্যকর এবং যথাযথ ভাবে কুরআন পড়ার জন্য উপযুক্ত সময় ।দিনের বেলায় তো তোমার অনেক ব্যাস্ততা রয়েছে । নিজ প্রভুর নাম স্মরন করতে থাক । এবং সবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারই জন্য হয়ে যাও”।(সুরা মুযযাম্মিল আয়াতঃ ১-৮)।

১।প্রকৃতপক্ষে রাতের বেলা জেগে উঠা প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রন করতে অনেক বেশি কার্যকর এবং যথাযথ ভাবে কুরআন পড়ার জন্য উপযুক্ত সময় । এই আয়াত অনুসারে বুঝা যায় যে, রাতের বেলা ইবাদত ও নামাজের জন্য আরামের শয্যা ত্যাগ করা মানুষে্র স্বভাব –বিরুদ্ধ কাজ। কারন এসময় মানুষের মন ও প্রবৃত্তি আরাম কামনা করে ।তাই এটি এমন একটি কাজ যা প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রন করতে অনেক বেশি কার্যকর এবং দেহ ও মনের উপর প্রভাব বিস্তার করে সেই শক্তি দিয়ে দীনের দাওয়াত কে বিজয়ী করার জন্য আল্লাহর পথে কাজ করা যায় ।

২। এ কাজটি মানুষের হৃদয় –মন ও বক্তব্যের যোগসাজোন করার উপযুক্ত সময় ,কারন তখন আল্লাহ ও বান্দার মধ্যে আর কেউ আড়াল থাকে না।তাই মুখের কথা আর অন্তরের কথা এক হয়ে যায়।

৩।এই সময় মানুষের ভিতর ও বাহির এর মধ্যে সংগতি ও মিল সৃষ্টির অতি উত্তম সময় ।কারন যে ব্যক্তি রাতের নির্জন নিথর পরিবেশে আরাম আয়েশ পরিত্যাগ করে ইবাদাত করার জন্য উঠবে সে নি্সন্দেহে খালেস মনেই এই রূপ করবে। তখন লোক দেখানোর কোন সু্যোগ থাকে না।

৪।মানুষের জন্য এ ধরনের ইবাদাত-বন্দেগী যেহেতু দিনের বেলায় ইবাদত-বন্দেগী থেকে অনেক বেশি কার্যকর ।তাই তা নিয়মিত করার ফলে মানুষের মধ্যে অনেক বেশি দৃঢ়তা সৃষ্টি হয়, সে অত্যন্ত শক্ত হয়ে আল্লাহর পথে অগ্রসর হতে পারে এবং এই পথের বাধাবিপত্তি ও কঠোরতা সমূহকে সে অটল ও অবিচল থেকে বরদাশত করতে পারে ।

৫।এ সময় মানুষ প্রশান্তি ,তৃপ্তি ও মনোযোগ সহকারে বুঝে কোরান পড়তে পারে ।গভীর চিন্তা ভাবনা ও মনোনিবেশসহ কোরান পাঠের জন্য এটা একটা উপযুক্ত সময় ।

৬।“দিনের বেলায় তো তোমরা অনেক ব্যাস্ততা রয়েছে , নিজ প্রভুর নাম স্মরন করতে থাক” ।দিনের বেলায় হাজার ব্যস্ততার জন্য আশা অনুরূপ মনিবের গোলামি করা হয় না ।আর এই ভাবে চলতে থাকলে মনও গাফেল হয়ে যায় ।তাই এই সময় আল্লাহকে মনের চাহিদা বা সমস্ত ভালভাসা উজার করে স্মরন করা যায় ।তখন শুধু বলতে ইচ্ছা হয় , হে প্রভু দিনে আমি সবার আর রাতে শুধু তোমার ।

৭।“এবং সবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারই জন্য হয়ে যাও”।এই সময় দুনিয়ার কিছুর কথা চিন্তা না করে সব দায়িত্ত্ব আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে সে প্রভুর একনিষ্ঠ খালেস বান্দা হওয়া যায়।বিপদ মসিবত ,মনের অস্থিরতা বা উৎকন্ঠা বিশ্ব জাহানের মালিক ইলাহী ক্ষমতা ও কর্তত্ত্ব যার হাতে তার কাছে সব কিছু সোপর্দ করে দেওয়া যায় ।পৃথিবীর সমস্ত কিছু থেকে মনকে আল্লাহর দিকে করে যখন হাত তুলবেন ।তখন আপনার হৃদয় ব্যাকুল হয়ে বার বার বলে উঠবে হে প্রভু, এই রাত শুধু তোমার আর আমার ।

তাহাজ্জুদ পড়ায় কিছু বাধা ও পরিত্রাণঃ

১। এই সময় মনের মাঝে কিছু ভয় আসতে পারে। আসলে দেখা যায় বনের বাঘে খায় না, মনের বাঘেই খায়। আমি যদি সৃষ্টিকর্তাকে ভয় পাই তাহলে সমস্ত সৃষ্টি আমাকে ভয় পাবেন। আর কবরে আমাকে একাই থাকতে হবে। এই কথাগুলো স্মরণ করলে, ইনশা-আল্ল¬াহ ভয় দূর হয়ে যাবে ।

২। প্রেসার বা ঠাণ্ডা জনিত সমস্যা থাকলে ঐ ঔষুধ গুলো ঘুম বারিয়ে ফেলে। কিন্তু কায়মনোবাক্যে আল্ল¬াহর সাহায্য চেয়ে তাহাজ্জুদের নিয়ত করে শয়ন করলে ইনশা-আল্ল¬াহ তিনি সাহায্য করবেন।

৩। অনেকে বলেন, এ সময় কোন আলো জ্বালানো যাবে না! তা ঠিক নয়। অন্যদের অসুবিধা না হলে জ্বালাতে পারেন।

৪। যত তাড়া তাড়ি ঘুমাবেন ততই সেই সময় সুস্থতা থাকতে পারবেন। একটু পরে উঠব বললে আর উঠা হবে না। কারণ শয়তান আপনার শত্রু। আবার উঠে ফজর পড়ব বললে ফজর কাজা হয়ে যাবে। তার চাইতে ফজর পড়ে নেয়াই উত্তম।

৫।তাহাজ্জুদ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নফল ইবাদত, যার মাধ্যমে মহানএই সময় আল্লাহর কাছাকাছি যাওয়া যায়।

হযরত আবু হোরায়রা রাঃ হতে বর্নিত, রাসুলে করিম সাঃ বলেছেন , "যখন রাতের এক তৃতীইয়াংশ বাকী থাকে ,তখন স্ব্যং আমাদের প্রভু পরয়ার দেগার দুনিয়ার নিকটবর্তী আসমানে অবতির্ন হন এবং বলতে থাকেন ।ওগো কে আছ, যে (এই সময় ) আমাকে ডাকবে !আমি তার ডাকে সারা দিব ।ওগো !কে আছ, যে আমার কাছে কিছু চাবে , আমি তাকে তা দিয়ে দিব ।ওগো কে আছ, যে এই সময় আমার কাছে গুনাহ হতে ক্ষমা চাবে , আমি তাকে ক্ষমা করে দিব ।(বুখারী , মুসলিম )

তাই আসুন আমরা সকলেই আমাদের মহান প্রভূর কাছাকাছি হওয়ার জন্য নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়ি। এবং আমাদের নিজস্ব পরিবার-পরিজন ও পার্শবর্তী ভাই-বোনদেরকেও তাহাজ্জুদ পড়তে উদ্বুদ্ধ করি। খাস করে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থ্যার জন্য আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে সাহায্য চাই । তিনি আমাদের কে ও ইসলামকে রক্ষা করুন । ইসলামের শত্রুদের হেদায়াত করুন না হয় নমরুদ ফেরাউনের মত ধ্বংস করুন ।

দয়াময় প্রতিপালক আমাদের সকল মুমিন নর-নারীকেই তাঁর কাছাকাছি হয়ে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সকলকেই তাহাজ্জুদ পড়ার তাওফীক দান করুন আমিন।

মহান আল্লাহর দরবারে আমাদের প্রার্থনা: হে আমাদের প্রভূ ! আমাদের অন্তরকে প্রশস্ত করে দিন। আমাদের কাজকে সহজ করে দিন। এবং আমাদের মুখের জরতা দূর করে দিন। হে আমাদের মুনিব! দুনিয়া ও আখেরাতে আপনিই আমাদের অভিভাবক ও প্রতিপালক। আমাদেরকে প্রকৃত মুসলিম বনিয়ে আপনার প্রিয় বান্দা-বান্দীদের মধ্যে শামিল করে নিন

আলহামদুলিল্লাহ । আমার এই লিখার পিছনে একটা বড় কারন হল , কোন বোন যেন দুনিয়া ও আখেরাতের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে গিয়ে পিছিয়ে যেন না পড়েন ।আর ইকামতে দ্বীনের দায়িত্ব পালনে যেন হিমশিম না খান । আল্লাহ আমাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে উত্তম পুরস্কার দান করুন । আমাদের সবাইকে মহান প্রভুর সান্ন্যিদ্য লাভ করার তাওফিক দান করুন ।আমিন ছুম্মা আমিন ইয়া রাব্বুল আলামিন ।

বিষয়: বিবিধ

১৯০৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File