আমি ছিলাম মুর্তি পূজক আপনারা আমাকে বানালেন মাজার পূজক।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ০৮ এপ্রিল, ২০১৪, ১২:১৪:৫৫ দুপুর
অপরূপা না খুজে তাওকয়াবান রমনী খুজেন
এক অপরুপা কাশ্মিরী মুসলিম মেয়েকে দেখে এক হিন্দু ছেলের খুব পছন্দ হলো।
সে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালো। মেয়ে পক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দিল যে কোন বিধর্মীর সাথে তারা মেয়েকে বিয়ে দিবে না।
ছেলেটি অস্থির হয়ে একে ধরে ওকে ধরে বলা শুরু করল,
“আমাকে মুসলিম বানিয়ে দাও! আমাকে মুসলিম বানিয়ে দাও!”
এক জনের দয়া হলো।
সে মসজিদে নিয়ে ছেলেটিকে কালিমা পড়িয়ে দিলেন।
ছেলেটি তখন মেয়ের বাড়িতে গিয়ে বলল, “মুসলিম হয়েছি, এবার বিয়ে দিন।”
মেয়ের বাবা বললেন, “আগে তোমাকে ছয় মাস পর্যবেক্ষন করে দেখি।
যদি দেখি দেওয়ার মত দিবো, ইনশা’আল্লাহ।” মেয়ের পরিবার খুব ধর্ম পরায়ন।
ছয় মাস পর ছেলে বলে, “এবার তো বিয়ে দিন।” মেয়ের বাবা বললেন, “চল আজমীর যাই, তোমার ঈমানের পরীক্ষা হবে।”
আজমীরে খাঁজা বাবার মাজারে এল সবাই।
মাজারের খাদেমরা নগদ টাকা সহ নানা ধরনের নজরানার এক বিশাল লিস্ট ধরিয়ে দিল।
ছেলেটি তাও যোগাড় করে দিল।
এরপর তাকে মাজারের কাছে নিয়ে ঢাকনা দিয়ে কয়েক জন খাদেম সহ ঢাকা হলো।
ঢাকনার নীচে ছেলেটিকে জোর করে মাজারে সিজদা করানো হলো।
বেরিয়ে এসে খাদেমরা জানালেন যে সে এখন মুসলিম হয়েছে আর খাঁজা বাবা খুব খুশি হয়েছেন।
খাঁজা বাবা খুশি কিন্তু ছেলেটির মুখ কালো।
মেয়ের বাবা উৎফুল্ল হয়ে বললেন,
“এসো, আর কোন বাধা নেই তুমি হবে আমার জামাতা।”
ছেলেটি বলল, “জনাব, আপনার মেয়েকে দেখে পাগল হয়েছিলাম সত্য, তাকে না পেলে আমার দুনিয়া বৃথা মনে হয়েছিল। তাই পিতৃ-পুরুষের ধর্মও নির্দ্বিধায় ত্যাগ করেছিলাম।
আমি ছিলাম মুর্তি পূজক আপনারা আমাকে বানালেন মাজার পূজক।
কিন্তু আমার গুরু যিনি আমাকে ইসলামে দিক্ষা দিয়েছেন তিনি আমাকে শিখিয়েছেন এক আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে মাথা না নোয়াতে।
মাথা নোয়ালে আমি আল্লাহর দৃষ্টিতে অভিশপ্ত হয়ে যাবো। আপনার মেয়ের থেকেও এখন আল্লাহকে খুশি রাখাই আমার কাছে বেশি গুরুত্ববহ।
আমি চলে যাচ্ছি। আপনাদের মেয়ের জন্য আমার আর কোনো আগ্রহ নাই।
খুঁজলে আরেকজন শিরকী কাউকে পেয়ে যাবেন, ধন্যবাদ।”
collected
বিষয়: বিবিধ
২১২০ বার পঠিত, ৩১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
রুপালী নদী লিখেছেন : বাংলাদেশের সব মাঝারগুলা যদি ভাইঙ্গা চুরমার করতে পারতাম তাইলে একটু শান্তি পাইতাম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন