মেঘ দেখে করিস নারে ভয় তার আড়ালে সূর্য হাসে।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২৭ মার্চ, ২০১৪, ০৬:০১:৫৯ সন্ধ্যা
মেঘ দেখে করিস নারে ভয় তার আড়ালে সূর্য হাসে।
বসন্তের সাথে পাল্লআ দিতে গিয়ে আমার বারান্ধার টবের গাছেও ফুল ফুটেছে । ঘুম না আসাতে বুঝা যাচ্ছে সেই ফুল গুলো থেকে ঘ্রান নিয়ে দক্ষিনের জানালা দিয়ে কি ধারুন এয়ার কন্ডিশনের মাতাল হাওয়া প্রকৃতিতে বইছে । বাগানের গাছে গাছে নানান রঙের ফুল আর কলি দিয়ে সাজানো ডালা ভ্রমরেরা ও অলিরা গুনগুন করে মনের আনন্দে প্রকৃতিকে নিমন্ত্রন করছে । কুকিলটাও মনের সকল বাধন খুলে মন মাতাল করা সুরে গান গেয়ে যাচ্ছে । কারো মনের ব্যাথা হাসি কান্না কিছুই সে বুঝে না ।
দাওয়াতি সাপ্তাহ পালন বা পক্ষ পালন আসলে আমার রুটিন মাফিক বাসায় বাসায় গিয়ে গিয়ে সবার কাছে কাছে এই জামাতের নাম আর নেতা নেত্রীদের নাম আর কত প্রশ্ন এর উত্তরের মাঝে এই সংগঠনের পরিচয় তুলে ধরতে হত । এই বার দাও্যাতি দশকে আমার মনে হল বর্তমান অবৈধ সরকার আমাদের দাওয়াতি কাজ ২৫ বছরের এগিয়ে দিয়েছে ।তারা যত বিরোধীতা করে অন্যায় ভাবে জুলুম নির্যাতন করছে তত আমাদের প্রতি মানুষের মনে অনেক বড় আল্লাহর রহমত তৈরী হচ্ছে । আর কারা মুসলিম কারা মুনাফিক আর নাস্তিক কারা তা চিনার সুযোগ হয়েছে । দাও্যাতি দশকে আমলের মৌসুমের মত আমল করার সুযোগ যাচ্ছে । তাছাড়া যা দেখলাম বোনদের মাঝে তা হল , আগে আমরা অনেকেই মনে হয় , আল্লাহ কে স্মরন ঠিক মত এত বার করতাম না বা স্বামী সন্তানের জন্য এত আল্লাহর সাহায্য চাইতাম না ।অশ্রু বিসর্জন দিয়ে শেষ রাতে সাহায্য চেয়ে নিজেদের গুনাহ মাফ চেয়ে তাওবা করে রোযা রাখছেন ।
যারা আল্ভলাহর ভয়ের চেয়ে বান্দার ভয়ে অস্থির হয়ে আছেন । আপনারা কালবৈশাখীর মেঘ দেখে ভয় পাবেন না ,তার আড়ালেই সূর্য হাসে । ইনশাআল্লাহ রাসুল সা এর উপর মক্কার কাফেরা ইসলামের উপর ঝড়ের মত এই ঝড় হাওয়া , শিলা বৃষ্টি আর ধমকা হাওয়াটা ধামলেই রাতের আধার মত কাল মেঘ কেটে যাবে । অনেক মানুষের মরু হৃদয় গুলো ইসলামের সবুজ প্রান্তর আর ঘন বৃক্ষের মরু উদ্যানে পরিনত হবে ইনশাআল্লাহ । ্তবে কালবৈশাখী আসার আগেই কলেমার পতাকাবাহী সব মুসলমানদের কে ঈমানের ফিলার গুলো মজবুত করে নিতে হবে। যেন কালবৈশাখী্র মত কঠিন দুর্যোগ আসলেও আমাদের ঈমানের আর আমলের জান্নাতী ঘর টা একটুও না হেলে না পড়ে । প্রয়োজনে গুনে ধরা কিছু কাঠের দরজা জানালা মত নিজের দূর্তাবলতা গুলো সরায়ে তওবা করে নতুন সেগুনের কাঠ এর মত কোরান সুন্নাহর আলোকে ইমাণ আমোল আরো মজবুত করে নিতে হবে ।
"যারা (আল্লাহ তায়ালা ও তার রাসুলের উপর )ঈমানের পথ অবলম্বন করেছে তারা ( সর্বদা )লড়াই করে আল্লাহর পথে ৷ আর যারা (আল্লাহ তালাকে )অস্বীকার করেছে তারা লড়াই করে তাগুতের পথে ।কাজেই শয়তান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে লড়ো এবং(তোমরা সাহস হারিয়ো না) নিশ্চিত জেনে রাখো, শয়তানের কৌশল আসলে নিতান্তই দুর্বল৷" সুরা নিসা ৭৬
এটি আল্লাহর একটি দ্ব্যর্থহীন ফায়সালা। আল্লাহর পৃথিবীতে একমাত্র আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে লড়াই করা হচ্ছে ঈমানদারদের কাজ। যথার্থ ও সত্যিকার মুমিন এই কাজ থেকে কখনো বিরত থাকবে না। আর আল্লাহর পৃথিবীতে আল্লাহ বিরোধী ও আল্লাহদ্রোহীদের রাজত্ব ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য তাগুতের পথে লড়াই করা হচ্ছে কাফেরদের কাজ । কোন ঈমানদার ব্যক্তি এ কাজ করতে পারে না।
আপাত দৃষ্টিতে শয়তান ও তার সাথীরা বিরাট প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে আসে এবং জবরদস্ত কৌশল অবলম্বন করে কিন্তু তাদের প্রস্তুতি ও কৌশল দেখে ঈমানদারদের ভীত হওয়া উচিত নয় অবশ্যি তাদের সকল প্রস্তুতি ও কৌশল ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।
আমি যখন আল্লাহ্ কে বলি আমি নিজের উপর জুলুম করেছি-আল্লাহ বলেনঃ
" হে আমার বান্দারা !! যারা নিজের আত্মার ওপর জুলুম করেছো আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। "
সূরা জুমার-৫৩
আমি যখন আল্লাহ্কে বলি আমার অন্তরের অশান্তির কথা-আল্লাহ্ বলেনঃ
"আল্লাহর স্মরণই হচ্ছে এমন জিনিস যার সাহায্যে চিত্ত প্রশান্তি লাভ করে।"
সূরা আর রাদ-২৯
আমি যখন আমার সমস্ত কিছুর জন্য আল্লাহ্ এর উপর ভরসা করি-আল্লাহ্ বলেনঃ
" যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর নির্ভর করে আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তাঁর কাজ সম্পূর্ণ করে থাকেন।"
সূরা তালাক-৩
ভয় হতাশা বা নিরাশা আমাদের কাছেও যেন না পারে। শয়তানের সকল ষড়যন্ত্র থেকে আল্লাহ ঈনশাল্লাহ বদরের বিজয় মত আমাদের জন্য ইসলামের বিজয় খুব নিকট বর্তি করে দিবেন । হে আমাদের প্রতিপালক !আমাদের প্রতি কোমল হও, আমাদের অপরাধ ক্ষমা করো এবং আমাদের প্রতি করুণা করো৷ তুমি আমাদের অভিভাবক ৷ কাফেরদের মোকাবিলায় তুমি আমাদের সাহায্য করো৷
বিষয়: বিবিধ
১৯৫৮ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহতালার ভয়ে বিদীর্ণ হয়ে গেছে।আমি এসব দৃষ্টান্ত মানুষের জন্যে বর্ণনা করি,যাতে তারা
চিন্তা-ভাবনা করে।"
সূরা আল হাশর-২১
পুর্বে ঘরে ফিরে যাব না
আল্লাহ আগেও তোমাদের নাম রেখেছিলেন “মুসলিম” এবং এর (কুরআন) মধ্যেও (তোমাদের নাম এটিই)যাতে রসূল তোমাদের ওপর সাক্ষী হন এবং তোমরা সাক্ষী হও লোকদের ওপর।কাজেই নামায কায়েম করো, যাকাত দাও এবং আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যাও। তিনি তোমাদের অভিভাবক, বড়ই ভালো অভিভাবক তিনি, বড়ই ভালো সাহায্যকারী তিনি।
সূরা আল হাজ্জ-৭৮
"তুমি কি দেখো না আল্লাহর সামনে সিজদাবনত সবকিছুই যা আছে আকাশে ও পৃথিবীতে--- সূর্য, চন্দ্র, তারকা, পাহাড়, গাছপালা, জীবজন্তু এবং বহু মানুষ ও এমন বহু লোক যাদের প্রতি আযাব অবধারিত হয়ে গেছে? আর যাকে আল্লাহ লাঞ্ছিত ও হেয় করেন তার সম্মানদাতা কেউ নেই আল্লাহ যা কিছু চান তাই করেন।"
সূরা হজ-১৮ —
"তুমি কি দেখো না আল্লাহর সামনে সিজদাবনত সবকিছুই যা আছে আকাশে ও পৃথিবীতে--- সূর্য, চন্দ্র, তারকা, পাহাড়, গাছপালা, জীবজন্তু এবং বহু মানুষ ও এমন বহু লোক যাদের প্রতি আযাব অবধারিত হয়ে গেছে? আর যাকে আল্লাহ লাঞ্ছিত ও হেয় করেন তার সম্মানদাতা কেউ নেই আল্লাহ যা কিছু চান তাই করেন।"
সূরা হজ-১৮ —
"সাত আসমান,পৃথিবী এবং এই দুইয়ের মধ্যে যা কিছু আছে তা সবই আল্লাহ তায়ালার তাসবীহ পাঠ করে।এ সৃষ্টি জগতে এমন কোন বস্তু নেই যা তাঁর প্রশংসার সাথে পবিত্রতা ও মহত্ত্ব বর্ণনা করে না।কিন্তু তোমরা তাদের এই তাসবীহ পাঠ (পবিত্রতা ও মহত্ত্ব বর্ণনা)বুঝতে পার না"
সূরা বনী ইসরাঈল-৪৪
একজন মুসলিম কোন অবস্থাতেই নিরাশ হতে পারেনা।
হে আমাদের রব, তোমার ওপরেই আমরা ভরসা করেছি, তোমার প্রতিই আমরা রুজু করেছি আর তোমার কাছেই আমাদের ফিরে আসতে হবে। হে আমাদের রব, আমাদেরকে কাফেরদের জন্য ফিতনা বানিয়ে দিও না। হে আমাদের রব, আমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করে দাও। নিঃসন্দেহে তুমিই পরাক্রমশালী এবং জ্ঞানী।
সূরা আল মুমতাহিনাঃ৪-৫
"যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে,তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের
বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদি তারা তাদের পিতা, পুত্র,
ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী ও হয়। তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন
এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর অদৃশ্য শক্তি দ্বারা।তিনি তাদেরকে জান্নাতে
দাখিল করবেন,যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের
প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল।জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।"
সূরা আল মুজাদালাহ:২২
কেননা সবচেয়ে তীব্র হতাশার
মূহুর্তগুলোতে আল্লাহ আশার
আলো পাঠিয়ে দেন। ভুলে যেয়ো না,
চারপাশ আঁধার
করে আসা ঘনকালো মেঘ থেকেই তুমুল
বৃষ্টিটা হয়ে থাকে।" ~রুমী
"তুমি ভালোবাসা খুঁজতে যেয়ো না, ও
তোমার কাজ নয়। বরং খেয়াল
করে দেখো তোমার
ভিতরে কী কী প্রাচীর
তুমি গড়ে তুলেছ
যা তোমাকে ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত
করছে।" -- জালালুদ্দিন রুমী
"তোমার কাছে যা-ই আসুক না কেন
তুমি কৃতজ্ঞ থেকো, কেননা তোমার
কাছে যা পাঠানো হয় তা তার পক্ষ
থেকে পথনির্দেশ।" -- জালালুদ্দিন
রুমী
এই পথটা তোমার, তুমি পথ চলো একা
তোমার চলার পথে হয়ত কেউ
সঙ্গী হবে
কিন্তু তোমার পথটা অন্য কেউ
হেঁটে দিবে না।
~ জালালুদ্দিন রুমী
"তুমি তো সমুদ্রের মাঝে কোন
জলবিন্দু নও, তুমি এক ফোঁটা জলবিন্দুর
মাঝে সম্পূর্ণ এক সমুদ্র।" ~
জালালুদ্দিন রুমী
"সমস্ত উদ্বেগ মুছে ফেলে একদম মুক্ত
হয়ে যাও,
চিন্তা করো তার কথা যিনি সকল
চিন্তাকে সৃষ্টি করেছেন।
যখন সমস্ত দ্বার এখনো এত অবারিত
কেন তুমি তবু বন্দীশালাতেই বাস
করো?"
~ জালালুদ্দিন রুমী
একটু ঠান্ডা হও, শুধুমাত্র আল্লাহর
হাতই তোমার হৃদয়ের এই ভার
সরানোর ক্ষমতা রাখে। ~রুমী
"যদি আলো থাকে তোমার হৃদয়ে ওই,
ঘরে ফেরার পথ খুঁজে পাবে অবশ্যই।"
~জালালুদ্দিন রুমী
"আমি তো শিখেছি প্রতিটি প্রাণ
মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। কিন্তু
জীবনের স্বাদ পাবে খুব অল্প কিছু
প্রাণ।"~জালালুদ্দিন রুমী
কেননা সবচেয়ে তীব্র হতাশার
মূহুর্তগুলোতে আল্লাহ আশার
আলো পাঠিয়ে দেন। ভুলে যেয়ো না,
চারপাশ আঁধার
করে আসা ঘনকালো মেঘ থেকেই তুমুল
বৃষ্টিটা হয়ে থাকে।" ~রুমী
"তুমি ভালোবাসা খুঁজতে যেয়ো না, ও
তোমার কাজ নয়। বরং খেয়াল
করে দেখো তোমার
ভিতরে কী কী প্রাচীর
তুমি গড়ে তুলেছ
যা তোমাকে ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত
করছে।" -- জালালুদ্দিন রুমী
"তোমার কাছে যা-ই আসুক না কেন
তুমি কৃতজ্ঞ থেকো, কেননা তোমার
কাছে যা পাঠানো হয় তা তার পক্ষ
থেকে পথনির্দেশ।" -- জালালুদ্দিন
রুমী
এই পথটা তোমার, তুমি পথ চলো একা
তোমার চলার পথে হয়ত কেউ
সঙ্গী হবে
কিন্তু তোমার পথটা অন্য কেউ
হেঁটে দিবে না।
~ জালালুদ্দিন রুমী
"তুমি তো সমুদ্রের মাঝে কোন
জলবিন্দু নও, তুমি এক ফোঁটা জলবিন্দুর
মাঝে সম্পূর্ণ এক সমুদ্র।" ~
জালালুদ্দিন রুমী
"সমস্ত উদ্বেগ মুছে ফেলে একদম মুক্ত
হয়ে যাও,
চিন্তা করো তার কথা যিনি সকল
চিন্তাকে সৃষ্টি করেছেন।
যখন সমস্ত দ্বার এখনো এত অবারিত
কেন তুমি তবু বন্দীশালাতেই বাস
করো?"
~ জালালুদ্দিন রুমী
একটু ঠান্ডা হও, শুধুমাত্র আল্লাহর
হাতই তোমার হৃদয়ের এই ভার
সরানোর ক্ষমতা রাখে। ~রুমী
"যদি আলো থাকে তোমার হৃদয়ে ওই,
ঘরে ফেরার পথ খুঁজে পাবে অবশ্যই।"
~জালালুদ্দিন রুমী
"আমি তো শিখেছি প্রতিটি প্রাণ
মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। কিন্তু
জীবনের স্বাদ পাবে খুব অল্প কিছু
প্রাণ।"~জালালুদ্দিন রুমী
আস সফ ১০-১১
ভালোবাসা স্থাপনকারীরা কোথায় ? আজ যে দিন আমার
ছায়া ব্যতীত কোন ছায়া থাকবে না- আমি তাদের ছায়া দেব।"
[সহীহ মুসলিম : ৪৬৫৫]
খুব ভালো লাগ্লো...
জাযাকাল্লাহ খাইরান!
অনুমতি ছাড়া মৃত্যু বরণ
করতে পারবে না। মৃত্যুর সময়
তো (নির্দিষ্টভাবে) লিখিত
রয়েছে। যে ব্যক্তি দুনিয়ার
প্রতিদানের আশায় কাজ করবে,
তাকে আমরা এই দুনিয়া থেকেই দান
করবো। আর যে আখিরাতের প্রতিদান
পাওয়ার ইচ্ছা নিয়ে কাজ করবে,
সে আখিরাতেরই প্রতিদান পাবে।
আর কৃতজ্ঞতা স্বীকারকারীদেরক
ে তাদের কাজের প্রতিদান
আমরা নিশ্চয়ই দান করবো।''
------সূরা আলে-ইমরান -১৪৫
মন্তব্য করতে লগইন করুন