আমাদের জন্য একটি শিক্ষনীয় নিদর্শন হল বদর যুদ্ধ
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ০৪ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৯:১৬:২৬ রাত
"তোমাদের জন্য সেই দুটি দলের মধ্যে একটি শিক্ষার নিদর্শন ছিল যারা (বদরে) পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল৷ একটি দল আল্লাহর পথে যুদ্ধ করছিল এবং অন্য দলটি ছিল কাফের ৷ চোখের দেখায় লোকেরা দেখছিল, কাফেররা মু’মিনদের দ্বিগুণ। কিন্তু ফলাফল (প্রমাণ করলো যে) আল্লাহ তাঁর বিজয় ও সাহায্য দিয়ে যাকে ইচ্ছা সহায়তা দান করেছেন ৷ অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্ন লোকদের জন্য এর মধ্যে বড়ই শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে৷" আলে ইমরান
বদর যুদ্ধ এ আসল পার্থক্য ছিল তিনগুণ। কিন্তু সরাসরি এক নজরে দেখে যে কেউ মনে করতে পারতো, কাফেরদের সৈন্য সংখ্যা মুসলমানদের দ্বিগুন হবে।
বদর যুদ্ধের ঘটনাবলী ও ফলাফল আমাদের উপদেশ দেয়া হয়েছে। এ যুদ্ধের তিনটি বিষয় ছিল অত্যন্ত শিক্ষণীয়ঃ
একঃ মুসলমান ও কাফেররা যেভাবে পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিল তাতে উভয় দলের নৈতিক ও চারিত্রিক পার্থক্য সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। একিদেক কাফেরদের সেনাবাহিনীতে মদপানের হিড়িক চলছিল। তাদের গায়িকা ও নর্তকী বাঁদীরা সংগে এসেছিল। ফলে সেনা শিবিরের ভোগের পেয়ালা উপচে পড়ছিল।
অন্যদিকে মুসলমানদের সেনাদল আল্লাহভীতি ও আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের স্নিগ্ধ পরিবেশ বিরাজমান ছিল। তাদের মধ্যে ছিল চরম নৈতিক সংযম। সৈন্যরা নামায-রোয়ায় মশগুল ছিল। কথায় কথায় আল্লাহর নাম উচ্চারিত হচ্ছিল এবং আল্লাহর কাছে দোয়া ও করুণা ভিক্ষা মহড়া চলছিল। দু'টি সৈন্য দল দেখে যে কোন ব্যক্তি অতি সহজেই জানতে পারতো, কোন্ দলটি আল্লাহর পথে লড়াই করছে।
দুই: মুসলমানরা তাদের সংখ্যাল্পতা ও সমরাস্ত্রের অভাব সত্ত্বেও যেভাবে কাফেরদের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ ও উন্নত অস্ত্রসজ্জায় সেনাদলের ওপর বিজয় লাভ করলো তাতে একথা সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছিল যে, তারা আল্লাহর সাহায্যপুষ্ট ছিল।
তিন: আল্লাহর প্রবল প্রতাপান্বিত ক্ষমতা সম্পর্কে গাফেল হয়ে যারা নিজেদের সাজ-সরঞ্জাম ও সমর্থকদের সংখ্যাধিক্যের কারণে আত্নম্ভরিকতায় মেতে উঠেছিল, তাদের জন্য এ ঘটনাই ছিল যথার্থই একটি চাবুকের আঘাত। আল্লাহ কিভাবে মাত্র গুটিকয় বিত্তহীন, অভাবী ও প্রবাসী মুহাজির এবং মদীনার কৃষক সমাজের মুষ্টিমেয় জনগোষ্ঠীর সহায়তায় কুরাইশদের মতো অভিজাত শক্তিশালী ও সমগ্র আরবীয় সমাজের মধ্যমণি গোত্রকে পরাজিত করতে পারেন, তা তারা স্বচক্ষেই দেখে নিল।
আমার মতে আগামীকাল ৫ জানুয়ারি যে এক তরফার নির্বাচনের অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তা শুধু ইসলাম কে ও দেশকে ধ্বংস করার জন্য আর ক্ষমতা ধরে রেখে নিজের যতসব অপকর্ম ও হাজার খুন এর দায়ভার থেকে নিজেকে বাচানোর জন্য ।
যারা ভোট দেবে তারা শয়তানের দোষর ইসলাম বিরোধী তাগুক শক্তি নাস্তিক আর মুনাফেক ছাড়া অন্য কেউ নয় । ঘসেটি বেগম আর মীর জাফররাই কাল যাবে ভোট কেন্দ্রে ।
যাদের কে ভোট দিতে যাবে তারা কি সৎ ও যোগ্য তাকওয়াবান ব্যক্তি যে ক্ষমতায় এসে দেশের জন্য বা দশের জন্য কাজ করবেন ? না কি দেশটা প্রতিবেশিদের হাতে বিক্রি করে দিবেন?
াগামী কাল হয়ত বাংলাদেশ স্বাধীন বাংলা হিসাবে নতুন করে জন্ম নিবে আর না হয় ভারতের গোলাম রাষ্ট্র হিসাবে সবাই গোলামীর জিঞ্জির গলায় পরে নিবে ।
ভোটের ফলাফল আপনি আজই বলে দিতে পারবেন । তবে চুড়ান্ত ফলাফল হল , বাংলাদেশের মসজিদে আর আজান এর ধনি শুনতে পারবেন না , তার পরিবর্তে শুনবেন উলু উলু আর নমনম ,
দাড়ি টুপি আর পর্দানশীল পুরুষ মহিলা থাকবে না ,তার পরিবর্তে আসবে হাতে ছুড়ি আর কালে দুল পরা সন্তাসী মাস্তান আর ধর্ষনের সেঞ্চুরী করা সোনার ছেলেরা, আর পর্দানশীল নারীদের জায়গা দখল করে নিবে বিকিনি পরা শ্রীদেবীরা । আর ভাবতে পারছি না ।
আমাদের সকলের ইমানেরদাবী কালকের নির্বাচনকে বানচাল করা । এতে নিজের ও আমাদের ভবিষত প্রজন্মের জন্য দুনিয়া আখিরাত এর কল্যান ভয়ে আসবে এক সোণালি প্রভাত । সময়ের একফোড় যত কাজ হবে আর অসময়ের দশ ফোড়েও কাজ হবে না । সবাই ময়দানে ঝাফিয়ে পড়ুন । শয়তানের গোলামী করে হাজার দিন বেচে থাকার চেয়ে স্বাধীন ভাবে সিংহের মত একদিন বাচা অনেক উত্তম । আর শহিদী মরন তো আসল মরন । না হলে আপনার আমার কারনে দেশের আর দশের যেই ক্ষতি হবে সেই জন্য ৫ জানুয়ারিকে মানুষ কালো দিবস বাংলার ইতিহাসে কলংকময় অধ্যায় হিসাবে লিখা থাকবে। নাস্তিক দের মুকাবিলায় আল্লাহ আমাদের সাহায্য করুন ।
বিষয়: বিবিধ
২৪২৫ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সকলকে দোয়া করার অনুরোধ জানাচ্ছি ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর
কেন্দ্রীয়য় নায়েবে আমীর
জনাব এ,কে,এম নাজির আহমদ
হার্ট এ্যটাক
করে হাসপাতালে লাইফ
সাপোর্ট এ আছেন ।
সবাই উনার জন্য
দোয়া করবেন।
আমরা যেন এই ক্রান্তি মূহুর্তে একজন
দ্বীনের
দ্বায়ী ইলাল্লাহ ও
অভিভাবককে না হারাই, সে জন্য
ভাই এর সুস্থতা ও নেকহায়াতের জন্য
সকলকে দোয়া করার অনুরোধ জানাচ্ছি ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন