আজ আমার স্থ্যায়ী আবাসে যাবার পাথেয় নেবার কথা স্মরন করার দিন ।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ০১ জানুয়ারি, ২০১৪, ১১:৪৬:৩৪ রাত
আজ আমার স্থ্যায়ী আবাসে যাবার পাথেয় নেবার কথা স্মরন করার দিন
খুব সুন্দর চিমচাম গঠনের কোটটাই পরা একজন মাঝামাঝি বয়সের ব্যক্তি মেরাথন দৌড় দৌড়াচ্ছেন আর হাফাচ্ছেন । কি হয়েছে সুলতান সাহেব?সুলতান সাহেবের বলার ফুসরত কোথায় পাবে?এক ছেলে মারা যাবার ১০ বসর দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর আজ তাদের কোল জুড়ে একসন্তান এসেছে।আজ আবার সেই সুলতান সাহেবের ডোবল প্রমোশন হয়েছে।এতো খুশির মাঝে কি সন্তান হয়ে তা আর পাকিস্থানের ইসলামাবাদের কাউকে বলতে পারেন নাই।কারন তিনি তা জানার প্রয়োজন মনে করেন নাই।শুধু বলেছেন এই সন্তান আমার হৃদয় আলোকিত করা আল্লাহর এক বিশেষ নেয়ামত। কিন্তু সেই ভালবাসা অল্প কয়্যদিনে সব উজাড় করে দিয়ে সন্তানকে অকূল শোকের সাগরে জীবন ভেলায় ভাসতে দিয়ে গেলেন।বাবা তুমি কেমন ছিলে?তোমার আদর কেমন হয় ।বাবার বুকে মেয়েরা কেমন শান্তি অনুভব করে সব আমার কাছে গল্প আর কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নই ।
আমি পৃথিবী লোভ করার মতো বা ইর্ষাম্বিত হয়ার মত কিছুই খুজে পাইনা ।সব কিছু কে কেন জানি ছোট বেলা থেকেই তুচ্ছ আর মুল্যহীন মনে হয়।কিন্তু মাঝে মাঝে মা বাবার ভালবাসা নামক একটা জিনিসের কাঙ্গাল হয়ে পড়ি। কোন মেয়েকে বাবা মা আদর করতে দেখেলে আমার খুব লোভ আর হিংসা হয়।কারন মা টাও স্বার্থ পরের মত বাবার ভালবাসার টানে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যান ।হাহাকার হৃদয়ে কে সাথে সাথে গুছিয়ে নি এই বলে যে” আমার রাসুল সা যে বাবাই দেখেন নাই আর মা তো শিশু কালেই হারান। তাও আমি অবুঝ হলেও ২ বছর নাকি বাবার খুব আদুরে মেয়ে ছিলাম ।আজও বাবা আমি তোমাকে হাজার বাবাদের ভালবাসার মাঝে খুজি আর খুব খুব মিস করি।বাবা,জানো আমার মা সারা জীবন তোমার জন্য দুনয়নের জল ফেলে ফেলে তোমার প্রসংশার গেয়ে বলে আল্লাহর কাছে তোমার জন্য জান্নাতের সার্টিফিকেট চেয়ে তোমার জন্য নিয়ে গেছেন।
আজ সকালে হঠাত অনেক দিন পর আমার সেই পুরনো আইড তে ডুকে দেখি অনেক প্রিয়জনরা আমাকে জন্ম দিনের শুভেচ্ছা জানালেন।আমি অনাদের কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা ও মোবারকবাদ জানাই যে, অনারা আমাকে আজ আমার স্থ্যায়ী আবাসে যাবার কথা স্মরন করাইয়ে দিলেন।https://www.facebook.com/parvins3?fref=ts&ref=br_tf
আমি এর পর নিজের জীবনের হালখাতা মিলাতে শুরু করলাম।
কে আমি ?
আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ যিনি আমাকে হাজার হাজার শুক্রানুর মাঝে আমাকে বেচে নিয়ে মায়ের গর্ভে স্থান পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন ।সেই থেকে যুদ্ধ করেই চলছি ।কখন জীবন বাচানোর জন্য, কখন পরিবেশের সাথে খাপ খেয়ে নিজের অধিকার আদায়ের জন্য , কখন চিরশত্রু শয়তানের সাথে তাঁর ভ্রান্ত ভেড়াজাল থেকে মুক্তির জন্য আবার কখন নফসের গোলামি থেকে মুক্ত হয়ে একমাত্র প্রভুর একনিষ্ঠ দাসত্ব করে খাটি গোলাম হয়ার জন্য । তাই প্রতিদিন প্রতি নামাজে আল্লাহকে বিনিত ভাবে কায়মোন বাক্যে বলি। হে বিশ্ব জাহানের মালিক , আমাকে এমন একজন দাস বানাও যে ুধু মালিকের আনুগত্য ও হুকুম মেনে চলবে এবং উপাসনা , বন্দেগী ও দাসত্ব করবে । “আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদাত করি এবং একমাত্র তোমারই কাছে সাহায্য চাই” সুরা ফাতিহা। আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত; রাসুল (সাঃ) বলেনঃ “নিশ্চয়ই ধর্ম সহজ-সরল, কাজেই তোমরা মধ্যপন্থা অবলম্বন কর। এবং আশান্বিত থাক। সকাল-সন্ধ্যা-রাতে ইবাদতের মাধ্যমে (আল্লাহর) সাহায্য চাও।” [বুখারী]
কোন উদ্দেশ্যে আমার জন্ম?
“জিন ও মানুষকে আমি শুধু এ জন্যই সৃষ্টি করেছি যে, তারা আমার দাসত্ব করবে৷”সুরা যারিয়াত
আল্লাহ এখানে আমদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন কেন আমরা জন্ম গ্নহন করলাম ।? আমরা আল্লাহ ছাড়া আর কারো দাসত্ব করার জন্য সৃষ্টি করেননি৷ াল্লাহর সৃষ্টির প্রতিটি অণু-পরমাণু শুধু আল্লাহর দাসত্ব করছে ।আল্লাহ পৃথিবীতে জিন ও মানুষই শুধু ইচ্ছার স্বাধীনতা দিয়েছেন । সকল কাজের কেন্দ্রবিন্ধুতে আল্লাহ থাকতে হবে।আমাদেরকে একমাত্র স্রষ্টা ছাড়া আর কারো দাসত্বের জন্য সৃষ্টি করা হয়নি ।অন্য কারো সামনে নত হওয়া, অন্য কারো নির্দেশ পালন করা , অন্য কাউকে ভয় করা, অন্য কারো রচিত দীন বা আদর্শের অনুসরণ করা অন্য কাউকে নিজের ভাগ্যের নিয়ন্তা মনে করা এবং অন্য কোন সত্তার কাছে প্রার্থনার জন্য হাত বাড়ানোর আমাদের কাজ নয় । মুসলমান মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত আল্লাহর প্রতি অনুগ্রহ ও বিশ্বস্ত থাকে। সত্যের সাক্ষ্য দিয়ে আল্লাহর পথে চলে ঈমানের দাবীপুর্ণ করে আল্লাহর ভালবাসা লাভ করে দুনিয়ার ও আখিরাতের অনাবিল শান্তি অর্জন করতে হবে ।
“হে ঈমানদারগণ ! তোমরা যথাযথভাবে আল্লাহকে ভয় করো৷ মুসলিম থাকা অবস্থায় ছাড়া যেন তোমাদের মৃত্যু না হয়৷ “ সুরা আলে ইমরান
আমার দায়িত্ব কি ?
" আর এভাবেই আমি তোমাদেরকে একটি ‘মধ্যপন্থী’ উম্মাতে পরিণত করেছি, যাতে তোমরা দুনিয়াবাসীদের ওপর সাক্ষী হতে পারো এবং রসূল হতে পারেন তোমাদের ওপর সাক্ষী " বাকারা ১৪৩
এটি হচ্ছে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মাতের নেতৃত্বের ঘোষণাবানী। আল্লাহর পথপ্রদর্শনের দিকে ইংগিত করা হয়েছে। যার ফলে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুগত্যকারীরা সত্য-সরল পথের সন্ধান পেয়েছে এবং তারা ঈমানের উন্নতি করতে করতে এমন একটি মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে যেখানে তাদেরকে 'মধ্যপন্থী উম্মাত' বলে গণ্য করা হয়েছে ।
'মধ্যপন্থী উম্মাত' শব্দটি অত্যন্ত গভীর ও ব্যাপক তাৎপর্যের অধিকারী । এর অর্থ হচ্ছে, এমন একটি উৎকৃষ্ট ও উন্নত মর্যাদাসম্পন্ন দল, যারা নিজেরা ইনসাফ, ন্যায়-নিষ্ঠা ও ভারসাম্যের নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত , দুনিয়ার জাতিদের মধ্যে যারা কেন্দ্রীয় আসন লাভের যোগ্যতা রাখে , সত্য ও সততার ভিত্তিতে সবার সাথে যাদের সম্পর্ক সমান এবং কারোর সাথে যাদের কোন অবৈধ ও অন্যায় সম্পর্ক নেই । আমাদেরকে মধ্যপন্থী উম্মাতে পরিণত করার কারণ হচ্ছে এই যে, "তোমরা লোকদের ওপর সাক্ষী হবে এবং রসূল তোমাদের ওপর সাক্ষী হবেন । " , আখেরাতে যখন আল্লাহ সমগ্র মানবজাতিকে একত্র করে তাদের হিসেব নিবেন তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল প্রতিনিধি হিসেবে রসূল আমাদের ব্যাপারে এ মর্মে সাক্ষ্য দেবেন যে, সুস্থ ও সঠিক চিন্তা এবং সৎকাজ ও সুবিচারের যে শিক্ষা দিয়ে ওনাকে পাঠানো হয়েছিল তা তিনি আমাদের কাছে হুবহু এবং পুরোপুরি পৌছিয়ে দিয়েছিন আর বাস্তবে সেই অনুযায়ী নিজে কাজ করে দেখিয়ে দিয়েছেন।
এরপর রসূলের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে সাধারণ মানুষদের ব্যাপারে আমাদের এই মর্মে সাক্ষ্য দিতে হবে যে, রসূল আমাদের কাছে যা কিছু কার্যকর করে দেখিয়ে ছিলেন তা আমরা অন্যদের কাছে কার্যকর করে দেখিয়েছি কিনা। আর তা তাদের কাছে কার্যকর করে দেখাবার ব্যাপার আমরা মোটেই গড়িমসি করেছি কিনা।এভাবে কোন ব্যক্তি বা দলের এ দুনিয়ায় আল্লাহর পক্ষ থেকে সাক্ষ্য দানের দায়িত্বে নিযুক্ত হওয়াটাই মূলত আল্লাহ আমাদের নেতৃত্বের মর্যাদায় অভিষিক্ত করার নামান্তর । এর মধ্যে যেমন একদিকে মর্যাদা ও সম্মান বৃদ্ধির প্রশ্ন রয়েছে তেমনি অন্যদিকে রয়েছে দায়িত্বের বিরাট বোঝা ।
কোরানের মডেল হিসাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেভাবে এ উম্মাতের জন্য আল্লাহভীতি , সত্য-সঠিক পথ অবলম্বন, সুবিচার, ন্যায়-নিষ্ঠা ও সত্যপ্রীতির জীবন্ত সাক্ষী হয়েছেন তেমনিভাবে এ উম্মাতে মোহাম্মাদী হিসাবে আমাদেরকেও সারা দুনিয়াবাসীর জন্য কোরানের জীবন্ত মডেল হিসাবে পরিণত হতে হবে । যেন আমাদের কথা, কর্ম, আচরণ ইত্যাদি প্রত্যেকটি বিষয় দেখে দুনিয়াবাসী আল্লাহভীতি, সততা, ন্যায়-নিষ্ঠা ও সত্যপ্রীতির শিক্ষা গ্রহণ করে ।
আল্লাহর হিদায়াত আমাদের কাছে পৌছাবার ব্যাপারে যেমন রসূলের দায়িত্ব ছিল বড়ই সুকঠিন, এমনকি এ ব্যাপারে সামান্য ত্রুটি বা গাফলতি হলে আল্লাহর দরবারে তিনি পাকড়াও হতেন, অনুরূপভাবে এ হিদায়াতকে দুনিয়ার সাধারণ মানুষের কাছে পৌছাবার ব্যাপারেও আমাদের ওপর কঠিন দায়িত্ব আরোপিত হয়েছে।যদি আমরা আল্লাহর আদালতে যথার্থই এ মর্মে সাক্ষ্য দিতে ব্যর্থ হই যে, "আমাদের রসূলের মাধ্যমে আমরা যে হিদায়াত পেয়েছিলাম তা আমরা আল্লাহর বান্দাদের কাছে পৌছাবার ব্যাপারে আমরা কোন প্রকার ত্রুটি করেছি না করেনি । যদি না করি তা হলে আমরা সেদিন মারাত্মকভাবে পাকড়াও হয়ে যাবো ।
সেদিন এ নেতৃত্বের অহংকার সেখানে আমাদের ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়াবে ।
আমাদের নেতৃত্বের যুগে আমাদের যথার্থ ত্রুটির কারণে মানুষের চিন্তায় ও কর্মে যে সমস্ত গলদ দেখা দেবে , তার ফলে দুনিয়ায় যেসব গোমরাহী ছড়িয়ে পড়বে এবং যত বিপর্যয় ও বিশৃংখলার রাজত্ব বিস্তৃত হবে।সে সবের জন্য অসৎ নেতৃবর্গ এবং মানুষ ও জিন শয়তানদের সাথে সাথে আমরাও পাকড়াও হবো । আমাদের জিজ্ঞেস করা হবে , পৃথিবীতে যখন জুলুম, নির্যাতন, অন্যায়, অত্যাচার, পাপ ও ভ্রষ্টতার রাজত্ব বিস্তৃত হয়েছিল তখন আমরা কোথায় ছিলাম আর এর জন্য কি ভূমিকা রেখেছিলাম ৷
আজ বাংলা দেশ সহ সারা বিশ্বে ইসলাম কে ধংস করার যে ষড়যন্ত্র চলছে তাতে কেউ ঘৃনা করে চুপ থাকা মানে ঈমানের সব চেয়ে নিন্ম দাপে নেমে আসা । এর জন্য জোরাল প্রতিবাদ জানানো মানে ঈমানের সর্ব উচ্চ সিড়িতে পা দেওয়া । প্রতিদিন কত খবর আসে খবরের কাগজের পাতা ভরে কে কে গতকাল ইসলাম কে ভালবাসার কারনে শিশু মহিলা থেকে আরম্ভ করে সবাই শয়তানের রোষানলে পড়ে আখিরাতের জন্য কি পুরুস্কার সংগ্রহ করেছেন । একটা তেলাপোকা মারতে কি কষ্ট লাগে আর বিনা অপরাধে আমাদের বাবা ,ভাই ,স্বামী ও সন্তানদের উপর কি নির্যাতন চালানো হচ্ছে তা খুবই হৃদয় বিধারক । ।আর বাংলাদেশে যাদের উপর পুলিশ ও সরকার এর দালালরা হত্যা গুম ,খুন গুলি ,টিয়ার স্যাল ও রিমান্ডের নামে নির্যাতন করছে তাঁর প্রতিরোধ করার মত কিছুই তাদের হাতে নাই । শুধু আল্লাহ মুসা আঃ ফেরাউনের বাহিনী থেকে নীল নদের মাঝ খান রহমতের রাস্তা করে দিয়ে উদ্ধার করেছিলেন আর আমাদের প্রিয় নবী সাঃ কে বদরের প্রান্তে যেমন অল্প মুসলমানের বেশি সংখ্যায় কাফেরদের উপর বিজয় দিয়েছিলেন ।এখনো আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন আমরা শুধু বদরের মুসলমানদের মত সাচ্ছা ঈমানদার হতে হবে আমাদেরকে তা হলে আমরা বিজয়ী হতে পারব ইনশাআল্লাহ ।
“তোমরা আল্লাহ ও তার রসূলের প্রতি ঈমান আন এবং আল্লাহর পথে অর্থ-সম্পদ ও জান-প্রাণ দিয়ে জিহাদ করো এটাই তোমাদের জন্য অতিব কল্যাণকর যদি তোমরা তা জান৷” সুরা আস সফ
“মনমরা হয়ো না, দুঃখ করো না, তোমরাই বিজয়ী হবে, যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাকো৷ “ আলে ইমরান
“আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য এবং অতি নিকটবর্তী সময়ে বিজয়৷ হে নবী! ঈমানদারদেরকে এর সুসংবাদ দান করো৷” সুরা আস সফ
পৃথিবীতে বিজয়ী ও সফলতা লাভ করাও একটা বড় নিয়ামত । কিন্তু মু'মিনের নিকট প্রকৃত গুরুত্বের বিষয় এ পৃথিবীর সফলতা নয়, বরং আখেরাতের সফলতা ।. আল্লাহ আমাদের জন্য যথেষ্ট ।তিনি আমাদের সমস্ত কার্যসম্পাদনকারী ,তিনি আমাদের উত্তম অভিভাবক আর তিনি আমাদের উত্তম সাহায্যকারী ।
বিষয়: বিবিধ
২৫৬৪ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আসুন আমরা মুমিন হবার চেষ্টা করি৷ আমিন৷
মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন