আমরা কি আবার সেই আইয়্যামে জাহিলিয়াতের অন্ধকার যুগের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছি?
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১১:২৫:৫৮ রাত
আমরা কি আবার সেই আইয়্যামে জাহিলিয়াতের অন্ধকার যুগের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছি?
“আম্মা আপনি কি জানেন,আপনাদের গ্রাম থেকে গুরুতর আহত হয়ে আমাদের কয়েকজন ভাই ঢাকায় একটা হসপিটালে ভর্তি হয়েছে।একজন ভাই ৫ দিন থেকে জ্ঞান ফিরে আসছে না?”
মেঝ ছেলের কাছে রাত ৯টায় খবরটা শুনে মাথায় যেন আকাশটা ভেঙ্গে পড়ল।কারন মেয়েদের বিয়ের পর বাবার বাড়ি দিক থেকে আসা একটা কাক দেখলেও তাকে খুব ভালবেসে কাছে এনে নিজের প্রিয়জন ছেড়ে দূরে আসা চটপট করা প্রানটা শান্তি পায়।সেখানে এরা হলো সত্যের আলোর মিছিলের জোনাকী।এই আলোর পথের দিশারীদেরকে অন্ধকারে ডুবে থাকা হৃদয় গুলো ভুতের মুখের আগুন ভেবে নিজেদের লেজ গুটায়ে পালায়।সত্যের মুকাবিলা করতে এসে এরা নর্দমার কীটের মত তাগুতের অন্ধকারের মাঝে হারিয়ে যায়।কারন অন্যায়কারীদের শক্তি উত্তাল সাগরে ভাসমান ফেনার মত অনেক দূর্বল হয় তাই নিমিষে মিশে যায়।
আমার চোখ গুলি তোমরা নাওঃ
আলহামদুলিল্লাহ।বাসা থেকে অনেক কলাকৌশল অবলম্বন করে হসপিটালে গিয়ে হাজির হলাম। আমি আমার ক্ষুদ্র জীবনের পরিসরে বহু বার কখনো রুগী হয়ে আবার কখনো রুগী দেখার বা সেবিকা হয়ে অনেক সময় হসপিটালে কাটিয়েছি।কিন্তু আমি এই রকম রুগী আর কখন দেখি নাই।প্রথম যে রুমে ডুকলাম, সেখানে গিয়ে দেখি দুই চোখ ও শরীল স্প্রীং বুলেটে আহত আর দুই পায়ের গোড়ালী সহ কাটা একটা অল্প বয়সের ছেলে যন্ত্রনায় চটপট করে করছে।তার সাথে আরেক সিট খালি কিন্তু এর পাশেই ১৮-২০ বছরের একটা ছেলে অনেকটা সুস্থ্য নামজীর মত নামাজ পড়ছেন।নামাজ শেষে অনেক্ষন নীরবে কান্না করল।আমি ভেবেছি রোগীর সাথে আসা কোন আত্নীয়।নামাজ শেষে দেখি সেই এমন একজন রুগী যার একচোখ শকুনেরা পুরাই শেষ করে দিয়েছে আর দেহের অনেক জায়গায় হিংস্র জানোয়ারদের নিষ্টুর আক্রমনের ছিন্ন।তাদের অবস্থ্যা এত করুন যা দেখে শুধু আমি না বনের পশু পাখিরাও কান্না ধরে রাখতে পারবে না।এত কষ্টের মাঝেও তাদের আল্লাহর ফরজ দায়িত্ব পালনে কোন অবহেলা নেই।তা দেখে মনে হল আমার চোখ গুলি তোমরা নাও।আর নিজেকে নিজের বিবেকার কাছে পরাজিত সৈনিকের মত মনে হলো।আর লজ্জাবতী পাতার মত লজ্জিত হয়ে আল্লাহর কাছে বার বার ক্ষমা চাইলাম।
তোমাদের এত আপন লাগছে কেন?
আমাকে কোলে পিঠে করে বড় করা একমাত্র ভাইয়ের বড় ছেলে তাদের দায়িত্বশীল হয়াতে তারা আমাকে ফুপু ডাকে।তাই আমার চোখের পানি দেখে তাদের সেবায় নিয়োজিত তাদের একজন দ্বীনি ভাই বললেন,ফুপু আরেক রুমে আরো গুরুতর আমাদের আরো দুই ভাই আছেন।আমি ভাবলাম এর চেয়ে আর কতইবা তারা গুরুতর হবে?যাবার সময় ছেলেটা অনেকটা সতর্ক করে বলল, ফুপু, এখন যেই রুমে যাচ্ছি সেই রুমের ভাইরা জানে না আমাদের সাথের আরেক ভাই যে শাহাদাত বরন করেছেন। রুমে ডুকেই দেখি একটা নিস্পাপ চেহারার আমার দিকে কি করুন চোখে তাকিয়ে একটু নড়ে আমাকে সালাম দিতে চেষ্টা করেও আরো তার কষ্ট বাড়ালো।তার সেবায় নিয়োজিত আমার স্কুল বান্ধুবী ও চাচাতো বোনের ছেলে একটা এক্সে ফিল্ম বের করে দেখালো।আমি কুচকুচে কালো ফিল্মে অগনিত চিতল পিঠার বুকের চিদ্রের মত সাদা ফোটা দেখতে পাই।সে বলল,খালাম্মা আওয়ামী পুলিশের ছোড়া স্প্রীং বুলেটে তার ডান পাশের হাত কাধ গলা গাল ও চোয়াল এমন ঝাঝড়া করে দিয়েছে।আমি অপরাজয় বাংলার ঐ নারী মুর্তিটার মত বাকরুদ্ধ থ হয়ে অপলক নয়নে চেয়ে রইলাম।কারন যেখানে আবেগ প্রবল সেখানে ভাষা অচল।
াল্লাহ!আমি এ কি দেখলাম?
“আল্লাহ ও আল্লাহ ,ও মা মা গো” পাশের সিটের থেকে খুব কাতর দুর্বল ক্ষীন গলায় ভেসে আসা এই শব্দ কয়টা ভুমিকম্পনের মত আমার সকল নিঃস্তব্দ নিস্তেজ হৃদয়টায় ভেঙ্গে খান খান হয়ে ভালবাসার অতল গহ্বরে হারিয়ে যাওয়া শুরু করলাম ।আমার মনে হল আমার ছোট ছেলের গলার আওয়াজ।প্রবল এক মাতৃত্বের টানে আমি ১৪ বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী ফুটফুটে এক ইসলামী আন্দোলনের কিশোর সৈনিকের পাশে দাড়ালাম।ওর মায়ের মতো হয়ত আমি নেককার না কিন্তু লক্ষ লক্ষ মায়ের মত অফুরন্ত ভালবাসার দাবী নিয়ে আমার আবেগ আমাকে পাগল পারা করে তুলে তাকে বুকে ঝড়ায়ে নিয়ে বলতে “বাচাধন আমার বুকে এসে তোর সব কষ্ট আমাকে দিয়ে তুই একটু প্রান খুলে বিজয়ের হাসি দে”।তখনি আল্লাহর আদেশ পর্দার কথা মাথায় আসতে ওর সামনে থেকে নিজেকে গুছিয়েনি।আর ভাবনার জাল বিচিয়ে দেই সেই সন্মানিতা মায়ের উপর যিনি মৃত্যুর পথযাত্রী বুকের মানিক কে একমুটো পানতা ভাত মুখে তুলে দিয়ে ইসলামের আলোর মশাল বহনকারীদের সাথে ময়দানে পাঠান।আর াওয়ামী হায়না পুলিশলীগ মৃত বলে লাশ গুম করার সময় অন্য দ্বীনি ভাই দেখে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে হিংস্র পুলিশের মুখ থেকে তাকে ছিনিয়েনেন। তারপর নিজের কোমরের সাথে বেধে ৮তলা থেকে রশি বেয়ে নীচে নিয়ে আসেন।তার শরীলে ধারালো অস্ত্রের কোপ।হাটুতে এমন ভাবে কোপ দেয় হাটুর বাটির ৪ ভাগের ৩ ভাগ পড়ে যায়।আর একভাগ সহ চামড়ার সাথে পা টা ঝুলে থাকে।তখন ভাবলাম,আল্লাহ আমি এ কি দেখলাম?আমি এখন কোথায়?ামরা কাস্মির,মিশর,সিরিয়া ফিলিস্তিনে বসবাস করছি। তা হলে আমরা কি আবার সেই আইয়্যামে জাহিলিয়াতের যুগের দ্বারপ্রান্তে চলে যাচ্ছি?
কি শুনার কথা একি শুনছি?
ছেলেদের মুখে পুলিশ নামের জানোয়ারদের বর্বতার লোমহর্ষক আক্রমন আর রোগীদের নিয়ে ঢাকা কাহিনি শুনে আর স্বচোখে দেখে আমার হৃদয়ের ব্যাথা সহ্য হয় না ।হাসপাতালে ডুকেও তারা রোগীদের উপর আক্রমন করে নেকড়ের মত তাদের টেনে হিচড়ে বাহিরে নিয়ে আরো মারধর করে।ওহ হে মাবূদ, কবে শেষ হবে তোমার এই ঈমানী পরীক্ষা ? পাখির মারার মত গুলি করে মানুষ মারা এখন নিত্যদিনের ঘটনা ।হিংস্র কুকুরগুলো সাতক্ষীরা সহ যেখানেই ইসলামের পরিবার পাচ্ছে সেখানেই জান মাল সহ সব ধ্বংস করছে । বিশেষ করে ছেলেদেরকে ।খেয়াল করে দেখুন সবগুলো অপকর্ম তারা করছে আবার বাকসালি কায়দায় হাত পা মুখে বাঁধা থাকতে হবে।কেউ কিছু বলতে পারবে না। গনতন্ত্রের মানষ্কন্যা বাবার স্বপ্ন বাকশাল কায়েম করতে গিয়ে বিনা অপরাধে গনতন্তের বিবেকের গলায় ফাসি দিয়েছে।এই জালিমের জুলুম থেকে আল্লাহ মজলুম জনগনকে রক্ষা করুন।
এদের অপরাধ কি?ঃ
বাসায় বার বার স্মৃতির পাতা থেকে সেই মূমূর্ষ সন্তানদের নুরালী চেহারা গুলো রাবার ফ্লুইড দিয়ে মুছে ফেলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বার বার তাদের কাছে ছুটে গেলাম।বিবেককে জিজ্ঞাসা করলাম বলত এদের অপরাধ কি?কেন সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে চলে তাদের বুকের তাজা রক্ত আর আহত নয়নেও নয়নের জল ঝরাতে হচ্ছে?বিবেকের উত্তর আসার আগেই ফাজিল নফসের শয়তান ফাজলামি করে আগেই উত্তর দেওয়া শুরু করল। তাদের অপরাধ, এই বয়সসন্ধিকাল ও যৌবন বয়সে তারা বসন্তবাহারে ফুলে ফুলে আলিঙ্গন করা ভ্রমরের মত মেয়েদের সাথে সময় কাটায়ে ১০০ ধর্ষনের পর “সোনার ছেলে”উপাধি নোবেল পুরুস্কার পাওয়া মা জননী থেকে নিতে পারে নাই।তারা সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে চলে আবার অন্যদেরকে দাওয়াত দিয়ে এই পথে চলায়।তারা কোরান হাদিস এর ইসলামী জ্ঞান অর্জন করে একাগ্রতা সহকারে সালাত আদায় করে আবার রাত্রি জেগে ইবাদত করে দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য প্রভুর ভালবাসা নিয়ে নেন।নাস্তিক মুনাফেকদের অপকর্ম এমনকি বাংলার মানষকন্যার প্রতিবেশি দেশের সাথে পরকীয়া করে দেশ বিলিয়ে দেওয়া সহ সব কিছু তারা সবার আগে বুঝে ফেলে।আবার সেই আলোকে অন্যদের মাথা ওয়াস করে দেয়। পরিশ্রমপ্রিয়তা, কষ্টসহিষ্ণূতা, সংযম,বিপদে দৃঢ়তা,সাহসিকতা, চারিত্রিক মাধুর্যতা ইত্যাদি মৌলিক মানবীয় গুনাবলীতে তারা আলোকিত।তাই তারা তলাবিহীন নৌকার মাঝি আর পানি শুন্য সাহারা মরুর ন্যায় নদী সাগরের কোটিপতি জেলে হতে পারে নাই।যার কারনে অন্ধকার জগতের শয়তান ছেলেরা আতংকিত থাকতে হয়।
বিবেকের বিবেচনাঃ
নফসের শয়তানের গালে কষে একচড় দিয়ে চুপ করায়ে বিবেককে বললাম কিছু বলতে।সে কি দেবদারু, শিলকরই জীবগাছ বা বোবা প্রানীর মত বাকরুদ্ধ হয়ে রইল।তখন তাকে বললাম তুমি কি কালা, বোবা, অন্ধ?হক কথা শোনার ব্যাপারে বধির , হককথা বলার ক্ষেত্রে বোবা এবং হক ও সত্য দেখার প্রশ্নে অন্ধ হয়ে গেছ?নাকি নিজেকে অসহায় মনে করে তাগুত শক্তি কে ভয় পাচ্ছ?ইসলামের সুশিক্ষার অভাবে আর কুশিক্ষার ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কি জালেমদের পন্ডিত হয়ে গেছ? তাহলে শুনঃ"যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তাদেরকে তিনি বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে। আর যারা কুফরী করে তাদের অভিভাবক হচ্ছে তাগুত। তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। এরাই হলো দোযখের অধিবাসী, চিরকাল তারা সেখানেই থাকবে।" [সূরা বাক্বারাহ ২৫৭] ।পঞ্চইন্দ্রিয়ের সহযোগিতা পেয়ে বিবেক রেইচ খেলার ঘোড়ার মত টগবগ করে সতেজ হয়ে হকের পথে পরিচালিত করবে।
আমি যা বুঝলামঃ
আমরা মুসলিম সেই জাতি! “মুসলিম হয়ে যাও ৷ তখনই সে বলে উঠলো, “আমি বিশ্ব-জাহানের প্রভুর ‘মুসলিম’ হয়ে গেলাম ৷ ”বাকারা -১৩১
যারা একমাত্র আল্লাহর অনুগত করে, আল্লাহকে নিজের মালিক , প্রভু ও মাবুদ হিসেবে মেনে নেয়, নিজের জান মাল পুরোপুরি আল্লাহর হাতে সোপর্দ করে দেয় এবং দুনিয়ায় আল্লাহ প্রদত্ত জীবন বিধান অনুযায়ী জীবন যাপন করে । আমাদের আকীদা-বিশ্বাস ও কর্মপদ্ধতির নাম 'ইসলাম' ।মানব জাতির সৃষ্টিলগ্ন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে ও বিভিন্ন জাতির জন্য আসা সকল নবী ও শেষ নবী সাঃ এটিই ছিল তাঁদের সবার দীন ও জীবন বিধান ।তাই পৃথিবীর সকল মানুষের জীবন বিধান ইসলাম আর শরিয়ত রাসুল সা আদর্শ।যা মুশরিকদের কাছে অনেক অসহ্য। তাই শেষ মরন কামড় দিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে।আমাদের পরিপূর্ন হেদায়েত,পার্থিব ও পারলৌকিক দিক নির্দেশনা নির্ভুল ও নির্ভেজাল অদৃশ্য আল্লাহর দৃশ্যবানী আল কোরান।ঈমানদার হিসাবে আমাদের কাজ সৎকর্মশীল হয়ে নির্ভয়ে নির্ভিক সৈনিকের মত শয়তানদের মুকাবিলা করা।বেইমান মুনাফিকদের চিন্তাকর্ষক কর্ম দেখে হতাশাগ্রস্থ্য হয়ে পিছিয়ে যেওনা।
একই বনে লাগাম ছাড়া বন্য গরু ছাগল মহিষের ঘাস খাওয়া দেখে বনের রাজা সিংহ ঘাস না খেয়ে বরং বনের রাজা হয়ে হুংকার দিয়ে নিজের কতৃত্ব দেখায়ে তাদের ঘাড় ভেঙ্গে তাদের কে নিজের কাজে ব্যবহার করা।আমরা ইসলামের অতীতের প্রেরনা থেকে তাই শিক্ষা পাই।মুসলিম জাতি আল্লাহর সর্বোত্তম জাতি হিসাবে নিজেদের কতৃত্ব বিশ্বের অর্ধেকের বেশি ভাগে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।আমাদের সন্তানরা কি আবুবকর ওমর আলী খালেদ বিন ওয়ালিদের উত্তরসুরী নয়?ইসলাম এর আলোকে ইনশাল্লাহ তোমরাও এই বাংলাকে নমরুদ ফেরাউন আবু লাহাব আবু জাহেলদের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে।তোমাদের সবুজ তারুন্য আর বুকের মাঝখানের হৃদপিন্ডের লাল লোহিত কনিকা দিয়ে লালসবুজ পতাকার উপরের কালো মেঘের মতো আনাগোনা করা শয়তানদের কুকর্ম দূর করে একটা সোনালী রোদেলা দুপুর সমাজ উপহার দাও।আর একটা মেজর ডালিম আজ বাংলাদেশে খুব দরকার। গলায় ফাস দিলেও তুমি পরবর্তি প্রজন্মের জন্য বাংলার মুসলিমদের ইতিহাসের স্বেত পাথরে তোমার নাম স্বর্নাক্ষোরে লিখে যাও।আমার গর্ভেধারন করা সন্তান সহ সব মায়ের সন্তানদের বলছি,”বাবারা হয়ত ইসলামের বিজয় নিয়ে গাজী হয়ে ঘরে মায়ের বুকে আস না হয় শহিদ হয়ে জান্নাতের সিড়িতে গুনাগার মায়ের হাত টা ধরে মাকে জান্নাতে নেওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকো।
হে আল্লাহ্, তোমার সাহায্য ও বিজয় আর কত দুর।আমাদের সাহস দাও ,আমাদের বক্ষ প্রসস্ত করে দাও, জালেম কে হেদায়াত দান কর না হয় নমরুদ ফেরাউনের মত গজব করে দাও। (হে ঈমানদারগণ, তোমরা এভাবে দোয়া চাওঃ) হে আমাদের রব! ভুল-ভ্রান্তিতে আমরা যেসব গোনাহ করে বসি, তুমি সেগুলো পাকড়াও করো না ৷ হে প্রভু! আমাদের ওপর এমন বোঝা চাপিয়ে দিয়ো না, যা তুমি আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিলে ৷ হে আমাদের প্রতিপালক! যে বোঝা বহন করার সামর্থ আমাদের নেই , তা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়ো না ৷আমাদের প্রতি কোমল হও, আমাদের অপরাধ ক্ষমা করো এবং আমাদের প্রতি করুণা করো৷ তুমি আমাদের অভিভাবক ৷ কাফেরদের মোকাবিলায় তুমি আমাদের সাহায্য করো৷
বিষয়: বিবিধ
৩১০৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন