শহিদের স্ত্রীর(আব্দুল কাদের মোল্লা ভাবী)পাশে কিছুক্ষন সময় কাটালামঃ

লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৩:০২:৩৬ রাত

শহিদের স্ত্রীর(আব্দুল কাদের মোল্লা ভাবী)পাশে কিছুক্ষন সময় কাটালামঃ



“শারমিন এদের বাপ ছেলের মনের ব্যাথা বেশি হলে এমন মুডঅফ হয়ে যায়। তুমি আম্মু, তাতে কিছু মনে করো না ঠিক হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।ট্রাইবুনালের নিরাপরাধী আসামীদের পক্ষের সব আইনজীবিদের মনের অবস্থ্যাই এখন খারাপ”।

আমার হাস্যুজ্জোল রসিক সাহেব আর বন্ধুর মত ছেলে গুলো মনে হয় হাসি ভু্লেই গেল। তাই আমার মামনি (ছেলের বউ)টাকে উপরের কথা বললাম।আমি আবার কারো এই রকম অবস্থ্যা দেখলে ভাল লাগে না তাই তার সাথে কথা বলে তাকে হালকা করতে গিয়ে অনেকর বকাও শুনেছি।আল্লাহ মাফ করেন ।কিছু দিন থেকে এখন দেখি এইটা ভাইরাসের মত আমারকেও এরেস্ট করতে চায়।নিরোপরাধী দ্বীনি ভাইদের একটা রায় হয় আর মনে হয় আমাদের বাকীদের সচেতন বিবেক গুলি মানুষিক জুলুমের স্বীকার হয়ে ক্ষতবিক্ষত হয়ে কাতরাতে থাকে। মোল্লা ভাই শহিদ হলো আর আমার মাথার আর বুকের পেইন ননস্টোপ এত বেশি হচ্ছিল যে মনে হলো আমি মনে হয় আবার ব্রেইন স্ট্রোক করে ফেলছি কারন হাত পা এমনকি মন প্যারালাইস্ট হওয়ার মত কোন জোর পাচ্ছিলাম না।শরীলের এই জড়পদার্থ অবস্থ্যাকে প্রশ্রয় না দিয়ে এর অবসান করার জন্য আজ এক দ্বীনি বোনকে ফোন দিয়ে বললাম “আপা আমি পেয়ারী আপাকে দেখতে যাবো, আপনি আমার সাথে যাবেন?” আপা আমার মনের ব্যগতিক অবস্থ্যা বুঝে রাজি হয়ে গেলেন।

যাওয়ার পথে জায়গায় জায়গায় কিছু পশু দেখলাম,যারা সন্ত্রাসী পোষাকের উপর RAB কটি পরে বড় বড় লাঠি হাতে জায়গায় দাড়ানো।আমরা তাতে আলহামদুলিল্লাহ মোটেও বিচলিত হলাম না।আল্লাহ আমাদের স্বসন্মানের সাথে মোল্লা ভাইয়ের বাসায় পৌছালেন আর বাসার ভিতরে ডুকতেই ভাবলাম ভুল কোন বাসার চলে আসলাম কিনা।কারন অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের যেই রকম অবস্থ্যা দেখে এসেছি তেমন দেখব বলে ব্যাকুল হয়ে গিয়েছিলাম ।সুবহানাল্লাহ সেই রকম কিছু বিন্দু পরিমানও ফেলাম না। ছেলে মেয়েরা সবাই সবার স্বাভাবিক কাজকর্ম করে যাচ্ছে।আপার রুমে গিয়ে আপার সামনে বসে আপার চেহারার দিকে তাকায়ে ভাবলাম,যেই ব্যক্তির জন্য দেশে বিদেশে বাংলাদেশি আর বিদেশী সকল কোরানের সৈনিকদের অশ্রু আর বুকের মাঝে ব্যাথার জগদ্ধল পাথর চাপা দিয়ে দীর্ঘ শ্বাস প্রশ্বাস ফেলে ফেলে কাহিল হয় যাচ্ছেন।সেখানে সেই বাড়ির সবাইকে দেখি বুকের হাজার টন ওজনের ব্যাথা বুকের মাঝে কবর দিয়ে ফেলেছেন সন্মানিত শহিদের মতই ঝটপট।আল্লাহর কাছে নিয়ে যাওয়া প্রিয় প্রশান্ত আত্মার সাথে ওনার পরিবার আল্লাহর ভালবাসা ধৈর্য্যশীলদের সাথে তার বাস্তব উদাহরন হয়ে প্রশান্তিতে আছেন।এই অবস্থ্যা দেখে আমার নফসের অস্থির শয়তানের গালে এক থাপ্পড় পড়ল মনে হলো।কারন আমার বিবেক সেই রকম ভাবেই নড়াচড়া য়ে উঠল।

আমার পেয়ারী আপা(শহিদ আব্দুল কাদের মোল্লা ভাবী)আমাকে আগের মতই বুকে জড়ায়ে নিলেন।আমি আমার কলিজার টুকরা বোনের বুকের সাথে বুক মিলিয়ে আমার চঞ্চল অস্থির হৃদয় কি যে এক অমৃতসুধা পান করার মত জান্নাতী সুখ লাভ করেছি। তা আমি আমার ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জ্ঞান আর এই আকাবাকা কালো বাংলা অক্ষর দিয়ে সিরাতুল মোস্তাকিমের পথে চলা একজন শহিদের স্ত্রী থেকে পাওয়া অনাবিল শান্তি আর আদর্শ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারলাম না বলে ক্ষমা করবেন।তবে আমার হৃদয় থেকে বোবা পাহাড়ের ঝর্নার মতো অনবরত বয়ে যাওয়া কান্না থেমে গেল তবুও কেন জানি না এখনো অশ্রু ভরা দু’নয়ন?

শহিদ আব্দুল কাদের মোল্লা ভাই সহ সারা বিশ্বের দ্বীন কায়েমের চেষ্টায় শাহাদাত প্রাপ্ত্য ভাইয়েরা আমার রক্তের সম্পর্কের কেউ নন এক একজন ভাইয়ের শহিদ হবার খবর কানের আসলে কলিজায় গিয়ে তীরের মত আঘাত করে যে পেইন শুরু হয় তখন মনে হয় না আমার আপন রক্তের ভাইয়ের চেয়েও ওনারা আত্মার সাথে সম্পর্ক যুক্ত।শুধু আল্লাহর বান্দা ও ও রাসুল সাঃ এর গুনাগার উম্মত তাও আল্লাহর আরেক মুমিন বান্দার প্রতি জালিম সরকারের অন্যায় রায় কার্যকর করা দেখে আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়ি. ।অবাক হয়ে যাবেন আর দশটা বিধবার মত কেন জানি বর্ণনাহীন আবেগ আপাকে আপ্লুত করতে পারেনি। কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে ঈমানী এলেমী ও আমোলী যোগ্যতা অনেক বেশি আল্লাহ মোল্লা ভাই ও ওনার পরিবার কে দান করেছেন ।তার বাস্তব উদাহরন শুধু আমি নয় কাশিমপুর কারাগারের অনেক আসামী ,জেলেরকর্মচারীরা ও দ্বীনি ভাইবোনেরা অশ্রুসিক্ত নয়নে অবলোকন করেছেন। মানুষের ন্যুনতম মৌলিক অধিকার যা একজন স্বামী বা বাবা মারা গেলে একজন বিধবা স্ত্রী বা সেই পরিবারের সবাই পেয়ে থাকে । যেটা আমাদের সামাজিক ভাবে স্বীকৃত জানাজা, শোকে কান্নাকাটি বা অন্যদেরকে সমবেদনা জানাতে আসতে দেওয়া তার কোনো সুযোগ এই পরিবার কে দেওয়া হয়নি দেয়া হয়নি ।বরং লাস উনারদের কাউকে হস্তান্তর না করে উনাকে গ্রামে নিয়ে যায় কিন্তু পরিবারকে যাবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে আরো উলটা তাদের কে পুলিশ ও আওয়ামী গুন্ডারা মেরে আহত করে ফেলে।.কারণ মোল্লা ভাই নাকি কসাই কাদের তাই " যুদ্ধাপরাধী". বিচারে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।তাই ফাসি দেওয়ার কিছুক্ষন এর মধ্যে কান্নার শান্তনার পরিবর্তে আরো সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হয়ে আর লাসটাও দেখতে পারেন নাই ।কত নিষ্টুর পৃথিবী।

আপার সামনে গিয়ে আমার মত আবেগ আক্রান্ত আরো অনেক আমার সন্মানিতা দ্বীনি বোনদের কে ফেলাম।আর আমার পেয়ারী আপার কে পেলাম ধৈর্য্যর পিরামিড হিসাবে তবে মাঝে ভাইয়ের অনেক আনন্দঘন মুহুর্তের স্মৃতিচারন করতে গিয়ে সেই আগের হাস্যুজ্জোল চেহারা।আমি বার বার আপার কোরান সুন্নাহর আদর্শে মিশ্রিত দীপ্তমান ঈমানী জযবার বৃদ্ধিকারী মধুরবানী শুনছিলাম।যা আমাদের দেহ মনে ইসলাম কায়েমের জন্য ইসলামের বিপ্লবী দাওয়াত,ইসলামী বিপ্লবের উপযোগী ব্যক্তি গঠন করে তাকওয়া ভিত্তিক এমন নেতৃত্ব সৃষ্টি করে যারা জান মাল এর কোরবানী দিতে বিন্দুমাত্র কুন্ঠিত হন না।এখনো আমরা সেই শিক্ষার আলোকে আমাদের কে ময়দানে আরো বেশি প্রান চঞ্চল থাকার মাধ্যমে ইসলাম কায়েম করেই এই হত্যার প্রতিশোধ নিতে হবে।তখন বার বার ামার অবচেতন মন গুমড়ে গুমড়ে কেদে বলছিল, “হে আল্লাহ আপনি ছাড়া কারো শক্তি নেই আমাদের কে দুখকষ্ট ও দুনিয়াবী আসমানী বিপদ আপদ থেকে বাচাবার এবং আপনি ছাড়া কারো ক্ষমতা নেই আমাদেরকে সুখ সম্পদ প্রাদান করার।

মেয়েদের মুখে বাবার স্মৃতিচারনঃ

পেয়ারী আপার মেয়েদের কে দেখে বার বার চোখে পানি আসছিল কারন আমি বাবা দেখি নাই। বাবার আদর কেমন হয় তা আমি তাদের মুখে মোল্লা ভাইর অতি আদরের বিভিন্ন সময়ের স্মৃতিচারন শুনে বার বার আমার কাছে মামনিদের কে বাংলাদেশের সব চেয়ে গর্বিত সন্তান বলে মনে হয়েছে।জেল খানায় বাবার সাথে কাটানো সময় বা শাহাদাতের দ্বার প্রান্তে যাওয়া তাদের বাবাকে কত কষ্টে এই জালিম সরকার রেখেছেন এই কথা স্মরন করতে গিয়ে অনেক কষ্টকে গলাচিপে ধরে রাখার মাঝেও শারমিনের চোখের পানির ফোটা গুলি আমার কাছে মনে হয়েছে জালিম সরকারের পতনের জন্য এটোমবোমা হিসাবে কাজ করবে ইনশাল্লাহ।সে বলল তার আব্বু সব সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের মৃত্য পছন্দ করতেন ।তার মতে তার আব্বুর কোন ইচ্ছা আল্লাহ অপুরন রাখেন নাই। বড় মেয়ে পারভীন তার বাবাকে জিজ্ঞাসা করে “আব্বু, ১৬ইডিসেম্বর তোমার জন্য কি রান্না করে আনব?বাবা আদরের মেয়েকে বুকের ব্যথা বুকে লুকায়ে হাসিমুখে জিজ্ঞাসা করল, সেই দিনও রান্না করে আনবে?”

স্ত্রীর মুখে স্বামীর সুনাম?

আপার মুখে শুনা মোল্লা ভাইর অনেক ভাল গুন শুনলাম, আমার মতে যা সব মুমিন মুমেনার থাকা উচিত।যেমন, তিনি খুব অল্প সময়ে মানুষের মন জয় করে ফেলতে পারতেন।সব সময় নিজের সব কিছু নিজেই গুছিয়ে টিপ টপ রাখতেন ।যা অনেক পুরুষ মা বোন বা ্বউ করে দিবেন বলে ফেলে রাখেন।তাই আপা বললেন ,তিনি কখন মোল্লা ভাইয়ের জন্য চিন্তিত ছিলেন না।যখন আল্লাহ যেখানে যেই অবস্থ্যায় রাখতেন তাতেই নিজেকে সুন্দর ভাবে মানিয়ে নিতেন।তাই যখন ফাসির রায় হয় এরপর খুবই ছোট এবড়োথেবড়ো মেঝে টিন সেটের আলো বাতাস ছাড়া একটা রুমেও থাকতে কোন আপুত্তি করে নাই।সব সময় ধৈর্য্যশীল ছিলেন।করলা মানে উস্তা বাজি ,ঘন ডাল আর সবজ্বি ছিল উনার প্রিয় খাবার। ছোট বাচ্ছাদের আল্লাহর রাসুলের কথা মনে করে খুব আদর করতেন। ভাইয়ের আরো কত স্মৃতি চারন করলেন। আপা আশাবাদী ইনশাল্লাহ জান্নাতে ভাইয়ের সাথে দেখা হবে ।

একজন শহিদের স্ত্রীর কিছু মুল্যবান কথাঃ

আমাদের মাঝে আল্লাহর সাথে ভালবাসার দুরুত্ব কমে গেছে।তাই আমরা অনেকে ইসলামকে শুধু বক্তৃতা, সেমিনার আর মিডিয়া নেটে শুধু ব্যবহার করছি।এই স্বৈরাচার সরকারের জুলুম থেকে ইসলাম আর মজলুমদের রক্ষা করার ইসলামী আন্দোলন কে বেগবান করে কোরানের বিধান(দ্বীন)প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে আল্লাহর সাথে আমাদের সম্পর্ক আরো মজবুত করতে হবে।ইসলাম প্রতিষ্টা চেষ্টা সর্বশক্তি দিয়ে অব্যাহত রেখে এই সবুজ বাংলার বুকের লাল বৃত্তের সাথে সব শহিদদের রক্তে ভিজা মাটিতে ইসলামের বীজ বপন করে একটা সোনালী সমাজ কায়েম করে এই নাস্তিক জালেমদের ধ্বংস করতে হবে।মোল্লা ভাই আপাকে বলেছিলেন, হাসিনার বাবা বাকশাল কায়েম করে কি অপকর্ম করেছিলেন এই নতুন প্রজন্ম তা দেখে নাই, এখন সেইটা আবার এই সরকার মনে করিয়ে দিচ্ছেন। ইসলাম কায়েম করতে গিয়ে আল্লাহর হুকুমে যা হবার তা হবেই কিন্তু আমাদের কে তা ধৈর্য্য ও সাহসিকতার সাথে তা মুকাবিলা করতে হবে।কোন ক্রমেই সাহস ধৈর্য্য বা হতাশ হয়া যাবে না।ময়দানে হিকমতের সাথে আমাদের ঠিকে থাকার জন্য প্রানপন লড়তে হবে। আওয়ামীগের আমাদের যত ভাই বোন বা আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব যতই আপন হোক না কেন এদেরকে বয়কট করে এদের সাথে আমাদের সম্পর্ক এর দুরুত্ব থাকতে হবে।আর আমাদের দ্বীনি ভাই বোন দের মাঝে পারস্পরিক সম্প্ররক মজবুত করতে হবে। আমরা একে অন্যের সব চেয়ে বেশি আপন।

বিদায়ের মুহুর্তঃ

মাঝে ঘড়িটার উপর বড্ড অভিমান আসে।মন চায় কাটাগুলোকে খুলে পানিতে চুবায়ে ধরি্। কারো একটু শান্তি দেখলে সে হিংসার আগুনে পুড়ে লাগাম ছাড়া পাগলা ঘোড়ার মত দৌড়াতে থাকে ।আর কারো কোন অশান্তি বা কষ্ট দেখলে সেই সময় কচ্ছপ গতিতে হাটে।আজ কোন ফাকে দিয়ে ৩ ঘন্টা চলে গেলো একটু টেরও ফেলাম না।আপা ,দুরের থেকে আসা সব দ্বীনি বোনদের বিকালের গল্ডাগলের আগে বাসায় ফিরেতে বললেন ।তাই বাসায় আসার জন্য রওনা দিতে চাইলাম আর পা ফেরাগের মত আটকে রইল।তাও ৩বার উঠলাম আবার বসে গেলাম।এরপর ধৈর্য্যধরে এইবার বিদায় নিতে আবার আপার একদম কাছে যেতেই এতো ব্যস্ততা আর ক্ষতবিক্ষত মনের মাঝেও আমার সাহেবের,ছেলেদের ও ছেলেরা আন্দোলনে কে কি অবস্থ্যায় আছেন।আজ আপার মনে আছে আমার থানার ইসলামের ভিত্তিস্থাপন করে দীর্ঘ সময় যে আমাকে নিয়ে এলাকার পরিচর্যার করেছেন সেই কথা সব আপার সামনে তুলে ধরলেন।ইউনিট এর সংখ্যা ও বোনদের আর্থিক করবানির কথা শুনে অনেক খুশি হয়ে বললেন, সব কথার আগে এই কথাটা শুনাতেন।অনেক শান্তি পেলেন। বিদায়ের সময় আপার মায়ার বাধন থেকে জোর করে মন টা আনতে চেষ্টা করতে গিয়ে আমি আর আমাকে ধরে রাখতে পারলাম না ।আপা আমার মনের অবস্থ্যা বুঝে আমাকে বুকে আবার ঝড়ায়ে নিলেন,আর বললেন, মোল্লা ভাই উনার আমল নিয়ে চলে গেছেন আল্লাহর কাছে এখন আমরা কি নিয়ে যাব? তাই কোরান সুন্নাহর আলোকে আল্লাহর সাথে আমাদের সম্পর্ক মজবুত করার মাধ্যমে আমল বাড়াতে হবে। আমাদের সবার ভালবাসার থেকে আল্লাহ রহমানুর রাহিম আপনাদের মোল্লা ভাইকে অধিক ভালবেসেছেন তাই আল্লাহ উনাকে প্রশান্ত আত্তাদের মাঝে উনাকে নিয়ে গেছেন।যার স্বপ্ন উনি সব সময় দেখতেন”

এপার্ট্মেন্টের গেটে এসে দেখি ৪ জন পুলিশ ধারানো। আমার রিক্সা তাই গেটে থামতে দিলো না।দুরেই নেমে গেলাম ।কারন না জিজ্ঞাসা করেই ডূকে গেলাম।আল্লাহ লিফটের সামনে দেখি লিফটের জন্য অপেক্ষা করছেন ৪ তলার বিচারপতি ভাই।আমার ঘৃনা ও ক্ষোপ থেকে কথা বলতে ইচ্ছা হলো না। ২০ সেকেন্ডের মধ্যে উনি বললেন ভাবী কেমন আছেন ?মনে হলো হাতের কাছে পেয়ে কিছু না বললে আমার জীবিত শহিদ ভাইয়ের আত্তা কি বলবেন ।তাই বলা শুরু করলাম ।ভাই আপনারা বিচারপ্রতিরা যেই অবিচার রায় কার্যকর করলেন আর আপনাদের সরকার যে ভাবে পাখির মত মানুষ মারার লাইসেন্স দিলো তাতে কেউ কি সুস্থ্য থাকতে পারে? আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের মহা বিচারের দিনে কি জবাব দিবেন?নির্দোষ যেনেও এই রায় কিভাবে দিলেন?তিনি বললেন এটা অযোগ্যতা বা সীমাবদ্ধতা আছে সব আমরা ইচ্ছা করলেও করতে পারি না। আল্লাহ যখন সব স্ত্য দিবা লোকের মত বের করে দেখাবেন তখন বিশ্ববাসী এই রায় এর জন্য আগামী প্রজন্মের পর প্রজন্ম এর কাছে কি জবাব দিবেন। . ামি সাহসিকতা ও দৃঢ়তার সাথে নামার সময় বললাম ভাই , ইতিহাসে মিথ্যা কখনো লুকায়ে থাকে না ।চিরকাল সত্য জয় লাভ করেছে ,আজ নির্দোষ কাদের মোল্লাকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে আপনারা বিজয়ীর হাসি হাসছেন, কাল কেয়ামতের ময়দানে মোল্লা হাসবেন ,আর আপনারা কাদবেন।

আব্দুল কাদের মোল্লা ভাঈ এড় শেষ কথা ,

আমি আগেই বলেছি জন্ম মৃত্যুর মালিক আল্লাহ, অন্য কেউ নন। তার প্রমাণ তেমরা পেয়েছোতো। আজও আমি আশা করি আল্লাহ তাইলে পৃথিবীর কোনো শক্তিই আমাকে মারতে পারবে না। তিনি বলেন, আমার মৃত্যু যদি হয় তা হবে এই সরকারের মনো বৃত্তির কারণে। আব্দুল কাদের মোল্লা বলেন, আমি ইসলামের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে যাচ্ছি। আমি কারো কাছে ক্ষমা প্রর্থণা করব না। আমার জীবন, মৃত্যুর মালিক মহান আল্লাহ, তিনি যে সিদ্ধান্ত আমরা জন্য করবেন তাই উত্তম। আর তা আমি প্রাণ পণে পালন করব।তিনি বলেন, আমি শহীদ হলে তোমরা হবে শহীদের বংশধর। আর আল্লাহ তোমাদের সব সময় সরাসরি সাহায্য করবেন। আমি আখিরাতে, আর তোমরা পৃথিবী সম্মান পাবে। তোমরা দেশের সব লোককে বলবে যেন আমার শহীদী মরণের আল্লাহ যেন কবুল করবে তার জন্য দোয়া করতে। আল্লাহ মোল্লা ভাই সহ সকল ভাইকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন ,আমিন ।

বিষয়: বিবিধ

৮৩২৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File