"মাইয়াও দিমু যৌতুকও দিমু।"
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ০৬ নভেম্বর, ২০১৩, ১২:০২:৪৭ রাত
এক লোক
বাজারে কলা বিক্রি করতে গেলো।
বিক্রি ভালই হচ্ছিল। সে হঠাৎ
চিন্তা করল।
আহা..!
মানুষে কলা কিনে তা কষ্ট
করে ছিলে খাবে! তার
চেয়ে বরং আমি এক কাজ করি,
কলাগুলোর
খোসা(আবরণ)ফেলে দিয়ে বিক্রি করি,
এতে ভাল দামে বেঁচা যাবে আবার
খেতেও মানুষের কষ্ট কম হবে। যেই
ভাবা সেই কাজ।
লোকটি তার কলাগুলোর
খোসা ফেলে দিয়ে একটি ডালায়
সাজিয়ে রাখল। এবার
যে কিনতে আসে সে এক নজর দেখেই
চলে যায়। কলা কেউ কিনে না।
ইতোমধ্যে খোসাবিহীন নগ্নকলার
ঘ্রাণ পেয়ে একদল বখাটে মাছি কলার
উপর হামলে পড়ল। ভনভন
করতে লাগল কলার উপর। সেই
সাথে ধুলোবালিও পড়তে লাগল। এসব
দেখে ক্রেতারা কলা কিনতে এসে নাক
সিঁটকে চলে যায়।
কলা বিক্রেতা ক্রেতাদের
চেঁচিয়ে জিজ্ঞেস করলঃ ওই মিয়ারা!
তোমরা কলা কিনছোনা কেন? কলায়
কি দোষ করল?
এক ক্রেতা জবাব দিলঃ ধুর মিয়া!
আপনার কলা কেউ কিনবেনা। কারণ
আপনি কলার
খোসা(আবরণ)ফেলে দিছেন। যার
জন্য কলা মূল্যহীন হয়ে পড়েছে।
কলা বিক্রেতা তার ভুল
বুঝতে পেরে বললঃ আচ্ছা ঠিক আছে,
কলা মাগনা, ফ্রী দিচ্ছি, নিয়ে যান।
ক্রেতাঃ কাম নাই আর খায়া লয়া! এই
কলা মাগনা, ফ্রী দিলেও নিমু না।
ধুলা-বালি, মাছি,
পিপড়া পইরা কলাগুলা খাবারও
অযোগ্য অইয়া গ্যাছেগা।
কলা বিক্রেতা দেখল কলা এখন কেউ
মাগনাও নিচ্ছে না। এখন উপায়?
কলা ফেলেও দেয়া যাচ্ছে না,
লোকে হাসবে। আবার বাড়িতেও
ফিরিয়ে নিতে গেলে নষ্ট হয়ে যাবে।
তাই সে এবার জোর
আওয়াজে বলতে লাগলঃ ওই মিয়ারা,
কলা নিবেন কলা! মাগনা দিমু
ফ্রী দিমু, সাথে সাথে টেকাও দিমু।
এইবার কিছুলোক টাকার
লোভে কলা কলা বিক্রেতার
কাছে থেকে কলা এবং টাকা নিল।
অতঃপর কিছুদুর গিয়ে কলা ফেলে দিল,
টাকা রেখে দিল।
#মন্তব্যঃ প্রিয় পাঠক বর্তমান
সমাজে আধুনিকা বেপর্দা নারীদেরকে ওই
খোসা বিহীন কলার সাথে একটু
মিলিয়ে দেখুনতো। তাদের
অবস্হা ঠিক ওই খোসা বিহীন কলার
মতই মূল্যহীন হয়ে পড়েছে।
একটা পুরুষ যতই খারাপ হোক, সেও
চায় একজন সতী-সাধ্বী, পর্দানশীল
নারীকে বিয়ে করতে।
বর্তমানে যৌতুক ছাড়া এসব
বেপর্দা নারীকে বিয়ে দেয়া কঠিন
হয়ে যাচ্ছে।
তাইতো বিপদে পড়ে কলা বিক্রেতার
সাথে সুর মিলিয়ে অনেক মেয়ের বাপ
বলতে বাধ্য হন-"মাইয়াও দিমু
যৌতুকও দিমু।"
কিন্তু কিছু দিন যাবার পর আবার সেই মেয়ে কে কলার মত ফেলে দিয়ে আবার সুখের জন্য আরেক মেয়ের পিছে ছুটে ।
তার চেয়ে পর্দা মেনে চলে ইসলামে দেওয়া সন্মান অর্জন করে দুনিয়া ও আখিরাতে অনেক শান্তি পাওয়া যাবে
আপু, তোর মৃত্যুর পর তোকে ঠিকই হিজাব আর জিলবাব করিয়ে কবরে শুইয়ে দেয়া হবে। এটা ছাড়া তোকে কোন সেকুলার আত্মীয়রাও কবর দিতে দিবেনা দেখিস। তোকে আপাদমস্তক হিজাবে মুড়ে ফেলা হবে। তারপরেই তোকে কবর দেয়া হবে। তোর স্টাইলিশ জিন্স, জেগিন্স,সালোয়ার, স্কিনি কামিজ, এলোমেলো বাতাসে উড়ন্ত শাড়ির আঁচল কিংবা তোর ঝলমলে কাল চুলগুলো কিছুই আর সেদিন কারো কাছে মূল্য পাবেনা। তুই এখন যেভাবে পর্দা ছাড়া, হিজাব ছাড়া চলছিস, সেভাবে কোন অবস্থাতেই তোকে শেষ বিদায় দেবেনা কেউ। দয়া করে তোর মৃত্যুর দিনটা তোর প্রথম হিজাবের দিন হতে দিস না।
বিষয়: বিবিধ
১৭৩৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন