দোদুল্যমান বান্দা কালেমা চোর,এরা না পায় শ্মশান, না পায় গোর
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ০৫ নভেম্বর, ২০১৩, ০১:২৫:৪৫ রাত
দোদুল্যমান বান্দা কালেমা চোর,এরা না পায় শ্মশান, না পায় গোর।
ইসলামের বর্তমান সময়ে আল্লাহর বান্দারা ৩ টি ভাগ হয়ে যাচ্ছে।
১।নাস্তিকঃসকল ক্ষমতার উতস আল্লাহ রাব্বুল আলামিনএই কথার উপর তারা বিশ্বাসী নয়।
২।মুনাফিকঃ কপটতা,ভন্ডামী,ধোকাবাজী ও কুফর আর অবাধ্যতা এই দ্বিমুখী স্বভাব অন্তরে পোষন করে মুখে ঈমান্দার সুলভ বাক্য উচ্চারন করে মুসলমানের বেশ ধারন করে থাকে।
৩।আস্তিকঃ আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল সাঃ এর উপর ঈমান এনে এরা অকাতরে ও নির্ভয়ে জান মাল সব আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য বিলিয়ে দেন।
মুনাফিকের আল্লাহর দেওয়া পরিচয়ঃ
“এই মুনাফিকরা আল্লাহর সাথে ধোঁকাবাজি করছে৷ অথচ আল্লাহই তাদেরকে ধোঁকার মধ্যে ফেলে রেখে দিয়েছেন৷ তারা যখন নামাযের জন্য ওঠে, আড়মোড়া ভাংতে ভাংতে শৈথিল্য সহকারে নিছক লোক দেখাবার জন্য ওঠে এবং আল্লাহকে খুব কমই স্মরণ করে৷
কুফর ও ঈমানের মাঝে দোদুল্যমান অবস্থায় থাকে, না পুরোপুরি এদিকে, না পুরোপুরি ওদিকে৷ যাকে আল্লাহ পথভ্রষ্ট করে দিয়েছেন তার জন্য তুমি কোন পথ পেতে পারো না৷
হে ঈমানদারগণ ! মুমিনদের বাদ দিয়ে কাফেরদেরকে নিজেদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না৷ তোমরা কি নিজেদের বিরুদ্ধে আল্লাহর হাতে সুস্পষ্ট প্রমাণ তুলে দিতে চাও ? হে ঈমানদারগণ ! মুমিনদের বাদ দিয়ে কাফেরদেরকে নিজেদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না৷ তোমরা কি নিজেদের বিরুদ্ধে আল্লাহর হাতে সুস্পষ্ট প্রমাণ তুলে দিতে চাও?” সুরা নিসা-
এখানে মুনাফিকের চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
রাসুল সাঃ এর দেওয়া পরিচয়ঃ
রাসুল সাঃ মুনাফিকের ৩ টি পরিচয় তুলে ধরেনঃ
১। যখন কথা বলে মিথ্যা বলে।
২। যখন ওয়াদা করে তা খেলাফ করে।
৩।যখন তার কাছে আমানত রাখা হয় তা খেয়ানত করে। (বুখারী ও মুসলিম)
হাদীসে অপর এক জায়গায় পাওয়া যায়, “যখন তারা ঝগড়ায় লিপ্ত হয়,তখন অশ্লীল ভাষায় গালীগালাজ করে”।
এই চারিত্রিক দোষে আজ সুশীল সমাজের অনেক জ্ঞানপাপীরা মিথ্যা ও প্রতারনার সুযোগ নিয়ে ইসলামের চরম ক্ষতি সাধন করে যাচ্ছে। রাসুল সাঃ মাক্কী জীবনে এই মুনাফিক ছিল না। মাদানী যুগে ইসলামের অনেক ক্ষতিসাধন করার জন্য এই মুনাফিকের আবির্ভাব হয়।এরা মুসলমানের লেবাশ বড় বড় জুব্বা পরলেও রাসুল সাঃ মাক্কী ও মাদানী জীবনকে পুরোপুরি অনুসরন করে না। নিজেদের সুবিধা অনুসারে মুসলমান ও নাস্তিকিদের সাথে আতাত রেখে চলে। যারা আল্লাহর কালাম ও রসূলের জীবন চরিত্র থেকে হিদায়াত লাভ করে না।এদের সত্য বিমুখ ও বাতিলের প্রতি গভীর অনুরাগী দেখে আল্লাহও তা্দেরকে সেদিকেই ফিরিয়ে দিয়েছেন। যেদিকে সে নিজে ফিরে যেতে চায় এবং তার গোমরাহীকে আঁকড়ে ধরার কারণে আল্লাহর তার জন্য হিদায়াতের দরজা বন্ধ করে কেবল মাত্র গোমরাহীর দরজা খুলে দিয়েছেন। এধরনের ব্যক্তিকে সঠিক পথ দেখানো আসলে কোন মানুষের সাধ্যের অতীত।
অনেকের রিযিকের অজুহাতে মুনাফেকী করে থাকেন ।
রিযিকের সমস্ত সম্পদ মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর ক্ষমতা ও কুদরতের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণাধীন, এটা একটা জাজ্জ্বল্যমান সত্য। মানুষ যা কিছু পায়, যতটুকু পায় আল্লাহর কাছে থেকেই পায়। কিন্তু যে ব্যক্তি যে পথে রিযিক চায় আল্লাহ তাকে সেই পথেই রিযিক দান করেন। যদি কোন ব্যক্তি হালাল পথে রিযিক চায় এবং সেজন্য প্রচেষ্টাও চালাতে থাকে তাহলে আল্লাহ তার জন্য রিযিকের হালাল পথগুলো খুলে দেন। তার নিয়ত যে পরিমাণ সৎ ও নিষ্কলুষ হয় সেই পরিমাণ হারাম পথ তার জন্য বন্ধ করে দেন। বিপরীত পক্ষে যে ব্যক্তি হারাম খাবার জন্য উঠে পড়ে লাগে এবং এ জন্য চেষ্টা-চরিত্র করতে থাকে, আল্লাহর হুকুমে সে হারাম খাবারই পায় । এরপর তার ভাগ্যে হালাল রুজি লিখে দেবার ক্ষমতা আর কারো থাকে না।
মুনাফেকী বর্জনের জন্য তার মনোবলই যথেষ্টঃ
একটা জাজ্জ্বল্যমান সত্য যে, এই দুনিয়ায় চিন্তা ও কর্মের সমস্ত পথ আল্লাহ ক্ষমতা ও ইখতিয়ারের অধীন। আল্লাহর হুকুম, অনুমতি ও তাওফীক দেও্যার সুযোগ দান ছাড়া কোন একটি পথেও চলার ক্ষমতা মানুষের নেই। কোন্ ব্যক্তি কোন পথে চলার অনুমতি পায় এবং কোন্ পথে চলার উপকরণ তার জন্য সংগ্রহ করে দেয়া হয় এটা পুরোপুরি নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিজের চাহিদা, প্রচেষ্টা ও সাধনার ওপর। যদি আল্লাহর সাথে তার মানিসক সংযোগ থাকে, সে সত্যানসন্ধানী হয় এবং সাচ্চা নিয়তে আল্লাহর পথে চলার জন্য প্রচেষ্টা চালায় তাহলে আল্লাহ তাকে তারই অনুমতি ও সুযোগ দান করেন। তখন এ পথে চলার যাবতীয় উপকরণ ও সরঞ্জাম তার আয়ত্তাধীন হয়ে যায়।
বিপরীত পক্ষে যে ব্যক্তি গোমরাহী ও পথভ্রষ্টতা পছন্দ করে এবং ভুল পথে চলার জন্য চেষ্টা-সাধনা করে, আল্লাহর পক্ষ থেক তার জন্য হিদায়াতের, রহমত ও নেয়ামতের সমস্ত দরজা বন্ধ হয়ে যায় এবং সেই সমস্ত পথ তার জন্য খুলে দেয়া হয় যেগুলো সে নিজের জন্য বাছাই করে নিয়েছে। এই ব্যক্তিকে ভুল চিন্তা করার, ভুল কাজ করার ও ভুল পথে নিজের শক্তি-সামর্থ ব্যয় করা থেকে নিরস্ত রাখার ক্ষমতা কারো নেই। যে ব্যক্তি নিজেই তার ভাগ্যের সঠিক পথ হারিয়ে বসে এবং আল্লাহ যাকে সঠিক পথ থেকে বঞ্চিত করেন, কেউ তাকে সঠিক পথের সন্ধান দিতে এবং এই হারানো নেয়ামত খুঁজে দিতে পারে না।
মুনাফিকের পরিনতিঃ
১।মুনাফেকী অনেক অনেক ক্ষেত্রে কুফরীর চেয়েও জগন্য পাপ। কারন আল্লাহর ব্যাপারে কাফিরের অন্তরের অবিশ্বাস ও অবাধ্যতা যেমন মুনাফিকের অন্তরেও তেমন। নাস্তিক কে বুঝা যায় কিন্তু মুনাফেক কে চিনা কঠিন।
২। মুনাফেক জগন্য মিথ্যা বলে ।আর মিথ্যা মানুষকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়।
৩। মুনাফিক ইসলামের জগন্যতম শত্রু। ইসলামের লেবাশ পরে ইসলামের কঠিন দুসময়ে মুসলমানদের সাথে প্রপ্তারনা করে ইসলামের সব চেয়ে বড় ক্ষতি করে।যা এদের সাহায্য না পেলে কাফিররাও করার সাহস পেতো না।
৪। পরকালের কঠিন শাস্তি আল্লাহ এদের জন্য নিদিষ্ট করে রেখেছেন।আল্লাহ বলেন,
“নিশ্চিত জেনো, মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে চলে যাবে এবং তোমরা কাউকে তাদের সাহায্যকারী হিসেবে পাবে না৷” সুরা নিসা ১৪৫
৫।দ্বিমুখী মুনাফিকরা সমাজের জগন্য কীট। তাদের কে একবার চিনতে পারলে কেউই তাদের কে সন্মান ও শ্রদ্ধা করে না।
মুমিন ও ফাসেকের মধ্যে প্রার্থক্যঃ
“এটা কি কখনো হতে পারে, যে ব্যক্তি মু’মিন সে ফাসেকের মতো হয়ে যাবে ? এ দু’পক্ষ সমান হতে পারে না ৷ যারা ঈমান এনেছে এবং যারা সৎকাজ করেছে তাদের জন্য তো রয়েছে জান্নাতের বাসস্থান , আপ্যায়নের জন্য তাদের কাজের প্রতিদানস্বরূপ৷ আর যারা ফাসেকীর পথ অবলম্বন করেছে তাদের আবাস হচ্ছে জাহান্নাম৷ যখনই তারা তা থেকে বের হতে চাইবে তার মধ্যেই ঠেলে দেয়া হবে এবং তাদেরকে বলা হবে, আস্বাদন করো এখন সেই আগুনের শাস্তির স্বাদ যাকে তোমরা মিথ্যা বলতে৷”
সুরা সাজদাঃ১৮-২০
মু'মিন ও ফাসেক দু'টি বিপরীতমুখী :
মু'মিন বলতে এমন লোক বুঝানো হয়েছে, যে আল্লাহকে নিজের রব ও একমাত্র উপাস্য মেনে নিয়ে আল্লাহ তার পয়গম্বরদের মাধ্যমে যে আইন-কানুন পাঠিয়েছেন তার আনুগত্য করে।
পক্ষান্তরে ফাসেক হচ্ছে এমন এক ব্যক্তি যে ফাসেকী আনুগত্য থেকে বের হয়ে আসা বা অন্যকথায় বিদ্রোহ, বল্গাহীন স্বেচ্ছাচারী মনোবৃত্তি ও আল্লাহ ছাড়া অন্য সত্তার আনুগত্যের নীতি অবলম্বন করে।
দুনিয়ায় তাদের চিন্তাধারা ও জীবন পদ্ধতি এক হতে পারে না এবং আখেরাতেও তাদের সাথে আল্লাহর আচরণ এক হওয়া সম্ভব নয়। মুমিনদের সেই জান্নাতগুলো নিছক তাদের প্রমোদ উদ্যান হবে না বরং সেখানেই হবে তাদের আবাস। চিরকাল তারা সেখানে বসবাস করবে।
মু’মিন ও মুনাফিকের পার্থক্যঃ
“মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী , এরা সবাই পরষ্পরের বন্ধু ও সহযোগী৷ এরা ভাল কাজের হুকুম দেয় এবং খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে, নামায কায়েম করে, যাকাত দেয় এবংআল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করে৷ এরা এমন লোক যাদের ওপর আল্লাহর রহমত নাযিল হবেই৷ অবশ্যি আল্লাহ সবার ওপর পরাক্রমশালি এবং জ্ঞানী ও বিজ্ঞ৷” সুরা তাওবাঃ৭১
“যখন কোন নতুন সূরা নাযিল হয় তখন তাদের কেউ কেউ (ঠাট্রা করে মুসলমানদের ) জিজ্ঞেস করে, বলো, এর ফলে তোমাদের কার ঈমান বেড়ে গেছে? (এর জবাব হচ্ছে) যারা ঈমান এনেছে (প্রত্যেকটি অবতীর্ণ সুরা) যথার্থই ঈমান বাড়িয়েই দিয়েছে এবং তারা এর ফলে আনন্দিত৷
তবে যাদের অন্তরে (মুনাফিকী) রোগ বাসা বেঁধেছিল তাদের পূর্ব কলুষতার ওপর (প্রত্যেকটি নতুন সূরা) আরো একটি কলুষতা বাড়িয়ে দিয়েছে এবং তারা মৃত্যু পর্যন্ত কুফরীতে লিপ্ত রয়েছে৷”
সুরা তাওবাঃ১২৪-১২৫
মুনাফিক ও গুনাহগার মুমিনদের মধ্যে প্রার্থক্য কিভাবে করা হবেঃ
যে ব্যক্তি ঈমানের দাবী করে,কিন্তু আসলে আল্লাহ, তাঁর রসূলও মুমিনের ব্যাপারে আন্তরিক নয়, তার এ আন্তরিকতাহীনতার প্রমাণ যদি তার কার্যকলাপের মাধ্যমে পাওয়া যায়, তাহলে তার সাথে কঠোর ব্যবহার করা হবে। আল্লাহর পথে ব্যয় করার জন্য সে কোন সম্পদ পেশ করলে তা প্রত্যাখান করা হবে। সে মারা গেলে কোন মুসলমান তার জানাযার নামায পড়বে না। এবং তার গোনাহ মাফের জন্য দোয়াও করবে না, সে তার বাপ বা ভাই হলেও।
অন্যদিকে যে ব্যক্তি সত্যিকার মুমিন কিন্তু এ সত্ত্বেও সে এমন কিছু কাজ করে বসেছে যা তার আন্তরিকাতাহীনতার প্রমাণ করে, এ ক্ষেত্রে সে যদি নিজের ভূল স্বীকার করে নেয় তাহলে তাকে মাফ করে দেয়া হবে। তার সদকা, দান -খয়রাত গ্রহণ করা হবে এবং তার ওপর রহমত নাযিলের জন্য দোয়াও করা হবে।
এখন কোন ব্যক্তির আন্তরিকতাবিহীন কার্যকলাপের পরও তাকে নিছক একজন গোনাহগার মুমিন গণ্য করতে হলে তাকে তিনটি মানদণ্ডে যাচাই করতে হবে। আলোচ্য আয়াতে বর্ণিত এ মানদণ্ডগুলোর নিম্নরূপঃ
(১) নিজের ভুলের জন্য সে খোঁড়া অজুহাত ও মনগড়া ব্যাখ্যা পেশ করবে না। বরং যে ভুল হয়ে গেছে সহজ সরলভাবে তা মেনে নিব।
(২) সে আন্তরিকতাহীনতার দাগী ও অপরাধী কিনা তা যাচাই করতে হবে । যদি সে ইসলামের এক সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে থাকে এবং তার জীবনের সমস্ত কার্যকলাপে আন্তরিক সেবা, ত্যাগ, কুরবানী ও ভালো কাজে অগ্রবর্তী থাকার বেকর্ড থেকে থাকে, তাহলে ধরে নিতে হবে, যে বর্তমানে যে ভুল সে করেছে তা ঈমান ও আন্তরিকতাহীনতার ফল নয় বরং তা নিছক সাময়িক সৃষ্ট একটি দুর্বলতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
(৩) তার ভবিষ্যত কার্যকলাপের ওপর নজর রাখাতে হবে। দেখতে হবে, তার ভুলের স্বীকৃতি কি নিছক মৌখিক না তার মধ্যে লজ্জার গভীর অনুভূতি রয়েছে। যদি নিজের ভুল সংশোধনের জন্য তাকে অস্থির ও উৎকণ্ঠিত দেখা যায় এবং তার প্রতিটি কথা থেকে এ কথা প্রকাশ হয় যে, তার জীবনে যে ঈমানী ক্রটির চিত্র ভেসে উঠেছিল তাকে মুছে ফেলার ও তা সংশোধন করার জন্য সে প্রাণন্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তাহলে সে যথাথই লজ্জিত হয়েছে বলে মনে করা হবে, এ লজ্জা ও অনুশোচনাই হবে তার ঈমান ও আন্তরিকতার প্রমাণ।
গোনাহ মাফের জন্য মুখ ও অন্তর দিয়ে তাওবা করার সাথে সাথে বাস্তাব কাজের মাধ্যমেও তাওবা করতে হবে। আর আল্লাহর পথে ধন -সম্পদ দান করা হচ্ছে বাস্তব তাওবার একটি পদ্ধতি। এভাবে নফসের মধ্যে যে দুষিত ময়লা আবর্জনা লালিত হচ্ছিল এবং যার কারণে মানুষ গোনাহে লিপ্ত হয়েছিল তা দূর হয়ে যায় এবং ভালো ও কল্যাণের দিকে ফিরে যাবার যোগ্যতা বেড়ে যায়। গোনাহ করার পর তা স্বীকার করার ব্যাপাটি এমন যেমন এক ব্যক্তি গর্তের মধ্যে পড়ে যায় এবং নিজের পড়ে যাওয়াটা সে অনুভব করতে পারে। তারপর নিজের গোনাহের ওপর তার লজ্জিত হওয়াটা এ অর্থ বহন করে যে, এ গর্তকে সে নিজের অবস্থানের জন্য বড়ই খারাপ জায়গা মনে করে এবং চুড়ান্ত পর্যায়ে প্রতিটি বিষয় সম্পূর্ণরূপে স্বয়ং আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত। আর আল্লাহ এমন এক সত্তা যার কাছে কোন কিছু গোপন থাকতে পারে না। এ জন্য কোন ব্যক্তি দুনিয়ায় তার ভন্ডামী ও মুনাফিকী গোপন করতে সক্ষমও হয় এবং মানুষ যেসব মানদণ্ডে কারোর ঈমান ও আন্তরিকতা পরখ করতে পারে সেসবগুলোতে পুরোপুরি উত্তির্ণ হলেও একথা মনে করা উচিত নয়, যে সে মুনাফিকীর শাস্তি থেকে রেহাই পেয়ে গেছে।
মুনাফিকের শেষ পরিনতিঃ
“নিশ্চিত জেনো, মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে চলে যাবে এবং তোমরা কাউকে তাদের সাহায্যকারী হিসেবে পাবে না৷” সুরা নিসা ১৪৫.
আমরা আমাদের মুনাফিকী ত্যাগ করে খাটি মুমিন হতে হবে । না হলে সেই প্রবাদ বাক্যের মতো হয়ে যাবে “দোদুল্যমান বান্দা কালেমা চোর,এরা না পায় শ্মশান, না পায় গোর”আল্লাহ আমাদের কে রক্ষা করুন।আমাদের কে সংশোধন হয়ে সঠিক ভাবে সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে চলার তাওফিক দান করুন ।
তাফহীমুল কোরআন
বিষয়: বিবিধ
১৮২২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন