এই বার বল আমার ভালবাসায় ভুল ছিল কিনা শেষ পর্ব

লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০২:৫০:৩৭ দুপুর

কথা দিয়েছিলাম আমার ভালবাসাকে পরিচয় করিয়ে দিবো।

আসুন আমার ভালবাসার পরিচয় করিয়ে দেইঃ

আমার ভালবাসার সাথে পরিচিত হলে এতক্ষন মনে মনে আবেগি ,পাগলি বা বুড়ির ভীমরুতী বলে যদি বকা দিয়ে থাকেন তা হলে সেই ভুলের অবসান হবে। তাই পরিচয় করিয়ে দিলে হয়ত দেখবেন আপনারদের অনেকের সাথে আমার চেয়ে বেশি পরিচিত বা আপনাদের ক্লোজ ফ্রেন্ড। দেখা যাক কে সে?

“যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি ঈমান এনেছে তারাই তাদের রবের কাছে ‘সিদ্দীক’ ও ‘শহীদ’ বলে গণ্য৷ তাদের জন্য তাদের পুরস্কার ও ‘নূর’ রয়েছে৷”সুরা হাদীদ ১৯

“যে ব্যক্তি আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য করবে সে তাদের সহযোগী হবে,যাদেরকে আল্লাহ পুরস্কৃত করেছেন নবী, সিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীলদের মধ্য থেকে ৷ মানুষ যাদের সংগ লাভ করতে পারে তাদের মধ্যে এরা কতই না চমৎকার সংগী৷ "সুরা নিসা ৬৯

হযরত আবু হুরাইয়া রাঃ বর্নিত একটি বড় হাদিসের শেষ অংশ ,রাসুল সাঃ বলেন,সেই আল্লাহ্‌র শপথ যার হাতে আমার জীবন, আমার মন তো চায় আল্লাহ্‌র পথে আমি শহিদ হই ,আবার জীবিত হই,আবার শহিদ হই,আবার জীবিত হই এবং আবার শহিদ হই।(সহিহুল বুখারী ,মুসলিম)

উপরের দুই আয়াতও হাদিস থেকে অনেকের নাম দেখছেন। এনাদেরকেও আমি ভালবাসি ।কিন্তু আমার তামান্না (প্রিয়) এর নাম শহীদ।আদুরে নাম শাহাদাতে তামান্না।এই নামের আসল অর্থ হচ্ছে চুড়ান্ত সাক্ষী। অনাকে ভালবাসলে আমি আল্লাহ বান্দা ও মুসলিম হিসাবে নিজের জীবনের সমগ্র কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ঈমানের সত্যতার সাক্ষ প্রদান করতে হবে এবং আল্লাহর পথে লড়াই করে প্রাণ উৎসর্গ করতেও দ্বিধাবোধ করা যাবে না।কারন যে জিনিসের ওপর ঈমান এনেছি তাকে যথার্থই সাচ্চা দিলে সত্য মনে করতে হবে এবং তা আমার কাছে এত বেশী প্রিয় ছিল যে, তার জন্য নিজের প্রাণ অকাতরে বিলিয়ে দিতেও দ্বিধা করবো না ইনশাল্লাহ এবং সত্যনিষ্ঠ ব্যক্তি হয়ে নিজের চিন্তাধারা, আকীদা-বিশ্বাস, ইচ্ছা,সংকল্প, কথা ও কর্মের মাধ্যমে সত্য-সরল পথে প্রতিষ্ঠিত থেকে এবং এই সংগে নিজের জীবনে সৎ ও সুনীতি অবলম্বন করা। আল্লাহ আপনি কবুল করুন।

কোথায় গেলে পাবো তোমায়ঃ

হযরত সাহল বিন হোনায়ফ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি খাঁটি অন্তরে আল্লাহর কাছে শাহাদাতের মৃত্যু চাইবে, আল্লাহ্‌ তা'আলা তাকে শহীদদের মর্যাদায় পৌঁছে দিবেন, যদিও সে নিজ বিছানায় মারা যায়।

{সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-১৯০৯}

জাবের ইবনে আতীক - রাদিআল্লাহু আনহু - বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : তোমাদের নিকট শাহাদাৎ কি ? তারা বলল : আল্লাহর রাস্তায় মারা যাওয়া। তিনি বললেন : আল্লাহর রাস্তায় মারা যাওয়া ছাড়াও সাত প্রকার শাহাদাৎ রয়েছে : প্লেগ বা মহামারিতে মৃত ব্যক্তি শহীদ; পানিতে ডুবে মৃত ব্যক্তি শহীদ; ফুসফুসে রোগাক্রান্ত মৃত ব্যক্তি শহীদ; পেটের রোগে মৃত ব্যক্তি শহীদ; আগুনে পুড়ে মৃত ব্যক্তি শহীদ; ধ্বংস স্তুপের নিচে চাপা পড়ে মৃত ব্যক্তি শহীদ; আর যে নারী পেটে বাচ্চা নিয়ে মারা যায় সেও শহীদ । আহমদ : (২৩৮০৪), আবূ দাউদ : (৩১১১), নাসায়ী : (১৮৪৬), সহিহ আবূ দাউদে আল-বানি হাদিসটি সহিহ বলেছেন

এই অন্ধকার মনে ভালবাসার প্রেরনার বাতি জ্বলল কিভাবে ?

অনেক বড় ও কঠিন প্রশ্ন ।কার মাধ্যমে কেমন করে এই ভালবাসা জোয়ার বা অনুপ্রেরনা পেলাম তা বলতে গেলে অনেক কথা মনে প্রেরনার বাতি ঘরের আলো হয়ে জ্বলে উঠছে।কিন্তু আমার বলার মত সময় থাকলেও তা শুনার মত সময় আমার প্রান প্রিয় পাঠকদের নেই। তাই আমার প্রিয় সন্মানিত শিক্ষক দাদা বার বার বলে দিয়েছেন লিখা ছোট করতে। তাই সংক্ষেপে বলিঃ

১ সত্য সন্ধানী নারীরাঃ

যারা আল্লাহ্‌র কোরানের পথে অকুতভয় সৈনিক হিসাবে নিজেদের হৃদয়ের কাবায় তিল তিল করে জমানো ঈমানকে বার বার শানিত ও তেজোদীপ্ত করে অত্যুজ্জল আলো ছড়িয়ে ছিলেন বহু নারীর মনের অন্ধকার মন্দিরে।তাদের এই চলার পথ মোখমলের নরম গালিচায় ফুলের পাপড়ি ছিটানো ছিল না বরং তা ছিল উত্তপ্ত প্রজ্জলিত অঙ্গার বিছান দূর্গম বন্ধুর মরুপথ।যুগে যুগে জালিমদের যত জাহিলী ষড়যন্ত্র এসেছিল কোন ষড়যন্ত্রই তাদের অন্তরের ঈমানের বারুত এর অনু পরমানু গুলোকে স্তমিত করতে পারে নাই।আল্লাহ্‌র দেওয়া নেয়ামত ঈমানের পরীক্ষা মনে করে শয়তানদের সব বাধা বিপত্তি এমন কি মৃত্যুকেও হাসি মুখে জান্নাতের মুল্যবান রত্নের মালা হিসাবে বরন করে নিয়েছেন।তাদের বিবি হাওয়া, মরিয়াম, আছিয়া ,হজরত খাদিজা,ফাতেমা, আয়েশা, আরও উত্তরসুরীদের আমিনা কুতুব,হামিদা ,জয়নাব গাজ্জালী, ডাঃআফিফা সিদ্দিকী সহ বর্তমান বাংলাদেশের সদ্য জামিনে মুক্ত পাওয়া কারাবরনকারী মুজাহিদা নারীরা।

“আল্লাহ দেখতে চান তোমাদের মধ্যে সাচ্চা মুমিন কে ? আর তিনি তাদেরকে বাছাই করে নিতে চান, যারা যথার্থ ( সত্য ও ন্যায়ের ) সাক্ষী হবে কেননা জালেমদেরকে আল্লাহ পছন্দ করেন না” আলে ইমরান ১৪০

২ ইসলামের প্রথম শহিদ হজরত সুমাইয়া রাঃ

হজরত সুমাইয়া ছিলেন প্রখ্যাত শহিদ সাহাবী আম্মার ইবনে ইয়াসির রা মা এবং মক্কার আবু হুজাইফার দাসী।ইসলামের দাওয়াতের প্রথম দিকেই স্বামী ইয়াসির রাঃ ও সন্তান সহ ইসলাম গ্রহন করার সাথে সাথে পৌত্তলীকদের অন্যায় অত্যাচারও নিষ্ঠুরতার পাহাড় মাথায় নিয়ে নেন। মুশরিকরা সুমাইয়া রাঃ ও অনার পরিবারের উপর এমন নিষ্ঠুরতা চালিয়েছিল যে দয়াল নবী সাঃ তা দেখে বললেন “হে ইয়াসিরের পরিবার বর্গ! ধৈর্য ধর।তোমাদের জন্য জান্নাত নির্ধারিত রয়েছে”। ৬১৬ খ্রী একদিন তিনি নানা প্রকার অত্যাচার ও শাস্তি ভোগ করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরছিলেন এমন সময় পশুত্বের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়া পাষান্ড আবু জেহেল সুমাইয়া রা দিকে একটি বর্শা ছুড়ে মারলে তা অনার লজ্জাস্থানে বিদ্ধে উনি শাহাদাত বরন করেন। শত হাজার বছর আগে যে শহিদি কাফেলার নেতৃত্ব তিনি দিয়ে গেছেন সেই পথ ধরে অনেকে কোরানের আহবানে দ্বীন কায়েমের পথে পাড়ি জমাচ্ছেন।আর এদের চলার পথে বাধা হয়ে অন্যায় অত্যাচার করার জন্য আবুজেহেলদের দলের নেতৃত্ব আজ দিচ্ছে ইবলিশ শয়তান।

“আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয় তাদেরকে মৃত বলো না ৷ এই ধরনের লোকেরা আসলে জীবিত ৷ কিন্তু তাদের জীবন সম্পর্কে তোমাদের কোন চেতনা থাকে না” সুরা বাকারা ১৫৪

৩ সাহাবাদের শাহাদাতের জযবাঃ

আসহাবে রাসুলের জীবনকথা পড়লে অনেক সাহাদের ঈমানের কষ্টি পাথরে যাচাই করা জীবনি আমরা জানি।আল্লাহ শুধু সম্পদ মহিলাদের থেকে পরুষদের দ্বীগুন দেন নাই ।মেধা শক্তি আমল প্রজ্ঞআ এমন কি শহিদে্র কাতারেও পুরুষরাই এগিয়ে আছে বলে আমার মনে হয় । অতীতের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় জান মালের উপর জুলুম নির্যাতন ত্যাগ কোরবানী এমন কি ইসলামের বিজয়ের ছেলেরাই বেশি অগ্রসর।সেই শহিদ হজরত মুসআব রাঃ হামজা ,ওমর,উসমান ,আলী থেকে আজ পর্যন্ত নোমান ,সাব্বির ,বেলাল , শিপন , রুহানি দের কাতার অনেক দীর্ঘ হয়ে যাচ্ছে।সেই পথ ধরে নারায়ে তাকবীর ধ্বনি তুলে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে অনেকেই ।

৪ ঈমানের সর্বচ্ছো কোরবানী ঃ

“বলো, আমার নামায, আমার ইবাদাতের সমস্ত অনুষ্ঠান, আমার জীবন ও মৃত্যু সবকিছু আল্লাহ রব্বুল আলামীনের জন্য নিবেদিত ” সুরা আনয়াম -১৬২

এই অমিয় বানী পান করার পর মনে হয় আমার জীবন ও মৃত্যু সব আল্লাহ্‌র জন্য । আমিই তো আমার না। যেই যোবন ,শক্তি , মেধা , ভালবাসা ,দুনিয়াবী ভোগ বিলাস কিছুই আমার জন্য নয় । আমি আত্নসমর্পঙ্কারী এক আসামী । আমার মন শরীর ইচ্ছা কামনা ভাসনা এমন কি চোখের পলক সব কিছুর উপর ডান্ডা ভেড়ি পরানো আমি এক আসামী । তাই জন্ম নেওয়ার সাথে সাথে আমার উপর মৃত্যুর গ্রেফতারী পরয়ানা জারী হয়ে আছে । এই ক্ষনস্থায়ী জীবণে আহামরি পাবার কিছুই নেই আবার আফসুস করার মত হারাবার ভয় নেই ।

“আর নিশ্চয়ই আমরা ভীতি, অনাহার, প্রাণ ও সম্পদের ক্ষতির মাধ্যমে এবং উপার্জন ও আমদানী হ্রাস করে তোমাদের পরীক্ষা করবো ৷ এ অবস্থায় যারা সবর করে এবং যখনই কোন বিপদ আসে বলেঃ “আমরা আল্লাহর জন্য এবং আল্লাহর দিকে আমাদের ফিরে যেতে হবে” সুরা বাকারা ১৫৫- ১৫৬

.

এর সুফল আর কুফল সুদূর প্রসারীঃ

১ আল্লাহ্‌র সাথে ক্রয় বিক্রয় ঃ

“আল্লাহ মুমিনদের থেকে তাদের প্রাণ ও ধন-সম্পদ জান্নাতের বিনিময়ে কিনে নিয়েছেন৷ তারা আল্লাহর পথে লড়াই করে এবং (কাফেরদের )মারে ও (নিজেরা)মরে”৷ সুরা তাওবা ১১১

২ অমরত্ব লাভ করা যায়ঃ

“যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে তাদেরকে মৃত মনে করো না৷ তারা আসলে জীবিত ৷ নিজেদের রবের কাছ থেকে তারা জীবিকা লাভ করছে৷”সুরা আলে ইমরান ১৬৯

৩ সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়ঃ

হযরত আবুদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আ’স রা বর্নিত ,রাসুল সা বলেছেন ,আল্লাহ তালা শহিদের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিবেন শুধু মাত্র ঋন ব্যতীত ।(মুসলিম )

৪ হজরত আবু দারদা রাঃ বর্নিত , রাসুল সা বলেছেন ,শহিদ তার বংশের ৭০ জনের জন্য সাফায়াত করবে।আবু দাউদ

৫ কুফল ঃ হজরত আবু হুরাইয়া রা বর্নিত , রাসুল সা বলেছেন, যে ব্যক্তি মরে গেল অথচ সে জিহাদ করেনি বা তার মনে জিহাদের জন্য কোন চিন্তা ,সংক্লল্প বা ইচ্ছা দেখা যায় নি তবে সে মুনাফিকের ন্যায় মারা গেল। মুসলিম ,আবু দাউদ ।

আন্তঃজাতিক বানিজ্য মেলায় ভালবাসার রমরমা ব্যবসা চলছেঃ

একবার বানিজ্য মেলায় গিয়েছিলাম ।সেখানে দেখি দেশি বিদেশি হরেক রকমের দোকান আর সেই রকমি ক্রেতাবিক্রেতা। ।১৪ ফ্রেব্রুয়ারী নাকি বিশ্ব ব্যাপী ভালবাসা দিবস ।সেই দিন নাকি লক্ষ লক্ষ কুমারী মাতা জন্ম নিবে। বহু ছেলে মেয়ে আনন্দের বন্যায় ভাসিয়ে দিবে তাদের সতীত্ব । ক্ষনিকের সুখের জন্য পাপের সাগরের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবে । সামান্য সময়ের মিথ্যা আনন্দ দিয়ে যাবে অনন্ত কালের চিরস্থায়ী বেদনা । যে ক্ষতি অপুরনীয় ।কোন কুল কিনারা পাবে না পুরন করার মত । তাই এটা আমার কাছে আন্তঃজাতিক বানিজ্য মেলায় ভালবাসার রমরমা ব্যবসা বলে মনে হচ্ছে।সব দিকে ভালবাসার গুঞ্জন । বিশ্ব ব্যাপী ভালবাসার ছড়া ছড়ি।

আবার আরেকদল কে দেখছি দুনিয়াবী আরাম আয়েশ সুখ সাচ্ছন্দ, বালাখানা ,অট্রালীকা আর মারচিটিজ গাড়ি ,পদ মর্যাদা , আকাশ চুম্বী সন্মান আর রাজত্ব ধরে রাখার জন্য প্রানপন প্রতিযোগীতা করছে ।আর এই সব এর ভালবাসার মোহে পড়ে হারাম হালাল এর নাই কোন বেদ বিচার । আর তাই ক্ষমতার অপব্যহারের জন্য লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে অন্যদেরকে ।আর এই ভালবাসার খেসারত দিতে গিয়ে কেউ থাকছে আট তলায় আর কেউ রাত কাটাচ্ছে গাছ তোলায় ।এরা অনেকে ইসলাম বিদ্বেষি অনেকে মুসলিম আবার অনেকে সুবিধাভোগী মুনাফিক।

আবার অন্যদিকে সারা বিশ্বব্যপী এরা কারা ?এ কোন অদৃশ্য ভালবাসার জন্য জীবনের সর্বোচ্ছ আরাম আয়েশ সুখ শান্তি ঘর বাড়ি এমন কি প্রান প্রিয় দের বারন বা মায়ের আদর মায়া মমতা সব তুচ্ছ মনে করে চুড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করছে । কারন তাদের একটাই উদ্দেশ্য, তা হল বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বে আল্লাহ প্রদত্ত আর রাসুল সা প্রদর্শিত জীবন বিধান কায়েমের সর্বাত্তক চেষ্টার মাধ্যমে আল্লাহ্‌র সন্তষ্টি অর্জন করে দুনিয়াতে সোনালী যুগ উপহার দিয়ে সবার মাঝে শান্তি আর আখিরাতের অনন্ত জীবনের ভয়াবহ আযাব থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাতের সুখ ভোগ করতে চায় । চিন্তা করলে দেখা যায় , যে আসলেই রাসুল সাঃ কে দুনিয়াতে পাঠানোর মূল উদ্দেশ্য ছিল আল্লাহর এই দুনিয়াতে এমন এক মানব গোষ্টি তৈরি করা , যারা নিজের জীবন , পরিবার , সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় আল্লাহ ব্যতীত আর কাউকে ইলাহ বা হুকুম কর্তা বলে মেনে নিবে না ।যেমন নিখিল বিশ্বের সর্বত্র আল্লাহর প্রবর্তিত প্রাকৃতিক আইন সমুহ একমাত্র তাহারই বিচক্ষনতা ,শ্রেষ্টত্ব ওসার্বভৌমত্বের সাক্ষ্য দিয়ে যাচ্ছে । তারা আর কাউকে তাদের হুকুম কর্তা বলে মেনে নিচ্ছে না ।

একটি স্টোল বুকিং দিলে পাবেন একটি সুরম্যরাজপ্রাসাদ ফ্রীঃ

হে মুমিন গন,আমি কি তোমাদের এমন একটি (লাভজনক ) ব্যবসার সন্ধান দেব যা তোমাদের (মহা বিচারের দিনে ) কঠোর আযাব থেকে বাচিয়ে দেবে।

(হ্যা, সে ব্যবসাটি হচ্ছে) তোমরা আল্লাহ তালা ও তার রসুলের উপর ঈমান আনবে এবং আল্লাহর (দ্বীন বা জীবন বিধান প্রতিষ্টার) পথে তোমাদের জান ও তোমাদের মাল দিয়ে সংগ্রাম করবে ; এটাই তোমাদের জন্য ভাল যদি তোমরা জানতে পারতে ,

(ঠিক মতো একাজ গূলো করতে পারলে ) আল্লাহ তালা তোমাদের গুনাহ সমুহ মাফ করে দিবেন এবং (শেষ বিচারের দিন) তোমদের তিনি প্রবেশ করাবেন এমন এক (সুরম্য ) জান্নাতে যার তলদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত থাকবে ,আর নন্দন কানন গৃহসমুহে ,আর এটাই হচ্ছে সব চাইতে বড় সাফল্য ," সুরা আস সফ ১০-১২

এই বার বল আমার ভালবাসায় ভুল ছিল কিনাঃ

হযরত সাহল ইবনে হানীফ রা বর্নিত। রাসুল সা বলেছেন ,যে ব্যক্তি আন্তরিকভাবে আল্লাহ্‌র নিকট শাহাদাতের প্রার্থনা করে ,আল্লাহ তাকে সাহাদাতের মর্যাদা দান করবেন,যদি সে ঘরে বিছানায়ও মৃত্যু বরন করে।(মুসলিম শরিফ )

আমার মতে যদি ভালবাসতে হয় তা হলে শুধু তোমাকেই ভালবাসব ।আমার মতে সকলের ভালবাসার তামান্না থাকা উচিত তোমার জন্য ।তাই শেষ বারের মত আর একবার মনের কথাটা বলি? ,”আমি তোমাকে চাই শুধু তোমাকে চাই , এ জীবনে আর কিছু পাইবা না পাই”। আর আমার ভালবাসার দিবসে আমি পোষাক পরব সাদা পাচ পিচের ড্রেস।আর তুমি আসবে সাদা কাশফুল হয়ে। যেন আমি তোমার ছোয়ায় একটুও ব্যাথা না পাই ।

দোয়াঃ

তারা আল্লাহর কাছে দোয়া করতে থাকেঃ ‘‘হে আমাদের রব!যখন তুমি আমাদের সোজা পথে চালিয়েছো তখন আর আমাদের অন্তরকে বক্রতায় আচ্ছন্ন করে দিয়ো না, তোমার দান ভাণ্ডার থেকে আমাদের জন্য রহমত দান করো কেননা তুমিই আসল দাতা। হে আমার প্রতিপালক আপনে আমাদের ক্ষমা করে দিন, আমার স্বরণ শক্তি বাডিয়ে দিন, আমারা যাহাতে তোমার পথে চলতে পারি হে আল্লাহ !তুমিই প্রথম, তোমার পূর্বে কিছু নেই। তুমিই সর্বশেষ, তোমার পরে কিছু নেই। তুমি প্রকাশ্য, তোমার উপরে কিছুই নেই। তুমি অপ্রকাশ্য, তোমার চেয়ে নিকটবর্তী কিছুই নেই;তুমিই আমাদের একমাত্র নিয়ন্ত্রনকারী । হে প্রভু তুমি আমাদের জন্য তাই করো যা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক।হে আল্লাহ ! তুমি আমাদের লাঞ্ছিত ও বিপর্যস্ত না করে সৎকর্মশীলদের সাথে সম্পৃক্ত কর। তুমি ঈমানকে আমাদের নিকট সুপ্রিয় করে দাও, এবং তা আমাদের অন্তরে সুশোভিত করে দাও। কুফর, অবাধ্যতা ও পাপাচারকে আমাদের অন্তরে ঘৃণিত করে দাও, আর আমাদেরকে হেদায়েত প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত করে নাও এবং ক্ষমা করে আমাদের মদ্ধে একতা বৃদ্ধি করে দাও ।

তুমি তো মার্জনাকারী ও দয়ালু।

‘হে আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট জান্নাত কামনা করি ও জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ চাই।’

(আবু দাউদ শরীফ)

প্রথম পর্বের প্রথম কথা (http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/2662/sottolikhon/2945#.UR32qB3QnfI

বিষয়: বিবিধ

১৯৩০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File