"সময়ের এক ফোড় আর অসময়ের দশ ফোড়" ।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২৪ অক্টোবর, ২০১৩, ০৩:১৯:০৯ দুপুর
"সময়ের এক ফোড় আর অসময়ের দশ ফোড়" ।
সন্মানিত ইসলাম প্রিয় ছেলে মেয়ে ও ভাই বোনেরা ,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমুতুল্লাহ ।
আল্লাহর উপর ভরসা করে আশা করছি যে , আপনারা বর্তমান কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও ইমানের দাবী পুর্ন করে আল্লাহ সন্তুষ্টির লক্ষে ময়দানে সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রান পন চেষ্টা করে যাচ্ছেন । আলহামদুলিল্লাহ ।
দেশবিরোধী ও ইসলাম বিদ্বেষী এই জালিম ও স্বৈরশাসক কে উচ্ছেদ করে দেশে মজলুম জনগনের মাঝে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য ইসলাম ও মজলুমের পক্ষে কাজ করা আমাদের সকলের ঈমানী দায়িত্ব । না হলে আল্লাহ ও রাসুল সাঃ কে অপমানকারী নাস্তিকদের মদদদাতা এই সরকার বাংলাদেশ থেকে ইসলাম , ইসলামী আন্দোলন , ইসলামি নেতৃত্ব , ইসলামী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নির্মুল করে ছাড়বে । এই দেশে দাউদ হায়দার আর তাসলিমা নাসরিনের মত নাস্তিকরা ইসলাম প্রিয় জনগনের প্রতিবাদের মুখে ঠাই পায় নাই ।
"যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহর পথে বাড়ি-ঘর ত্যাগ করেছে এবং জিহাদ করেছে আর যারা আশ্রয় দিয়েছে এবং সাহায্য -সহায়তা করেছে তারাই সাচ্চা মুমিন৷ তাদের জন্যে রয়েছে ভূলের ক্ষমা ও সর্বোত্তম রিযিক৷" আনফাল ৭৪
এই সময় চুপ থেকে ঘরে বসে থাকার সময় নয় । ইসলাম ও মানবতা বিরোধী এই শয়তানের দালালদের শক্তি খুবই দূর্বল । তা দিয়েই তারা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য মরন কামড় দিতে চেষ্টআ করবে । কিন্তু দেশ প্রেমিক তৌহিদী জনতার সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই রক্ষা পাবে এই সবুজ শ্যামল বাংলাদেশের দীন-ধর্ম , মা বোন দের ইজ্জত -আবরু, পেশাজীবিদের ব্যবসা বানিজ্য , শান্তিতে রাত কাটানোর ঘর বাড়ি সহ জানমালের নিরাপত্তা । প্রতিবেশী দেশের মদদে চলা এই জালিম সরকারের পতনের ঘন্টা এখন শুধু আর সামান্য একটু সময়ের ব্যাপার । তাই হিরার চেয়ে দামী এই মুল্যবান সময় নষ্ট করা যাবে না । কারন সময়ের এক ফোড় আর অসময়ের দশ ফোড়ের সমান । তাই এখন শুধু আল্লাহর সাহায্য আর আপনাদের ঈমানের দৃড় মনোবল নিয়ে ময়দান আকড়ে পড়ে থাকলে আর কিছুই তাদের কে ফেরাউন নমরুদ এর মত ধ্বংসের অতল গহবর থেকে রক্ষা করতে পারবে না ।
আর যারা এখন এই সময় নষ্ট করে ঘরে বসে তামশা দেখবেন তারা দুনিয়াবাসি ও আখিরাতবাসির নিকট চিরদিনের জন্য মুনাফেক ও নাস্তিক হিসাবে নিজেদের নাম লেখায়ে রাখবেন । মুসলমান নাম দারী মুনাফেক দের উদ্দেশ্যে আল্লাহ বলেন
""হে ঈমানদারগণ! তোমাদের কী হলো , যখনই তোমাদের আল্লাহর পথে বের হতে বলা হলো, অমনি তোমরা মাটি কামড়ে পড়ে থাকলে? তোমরা কি আখেরাতের মোকাবিলায় দুনিয়ার জীবন পছন্দ করে নিয়েছো? যদি তাই হয় তাহলে তোমরা মনে রেখো, দুনিয়ার জীবনের এমন সাজ সরঞ্জাম আখেরাতে খুব সামান্য বলে প্রমাণিত হবে৷" সুরা তাওবা -৩৮
এই সময় যারা কাজ করবে না তাদের এই থেকে বিরত থাকার জন্য দুই টি শিক্ষা রয়েছে ঃ
এক, আখেরাতের অনন্ত জীবন ও সেখানকার সীমা-সংখ্যাহীন সাজ সরঞ্জাম দেখার পর আমরা জানতে পারব, দুনিয়ার সামান্য জীবনকালে সুঐশ্বর্য ভোগের যে বড় বড় সম্ভবনা আমাদের আয়ত্ব ছিল এবং যে সর্বাধিক পরিমানে বিলাস সামগ্রী আমরা লাভ করতে পেরেছি তা আখেরাতের সেই সীমাহীন সম্ভবনা এবং সেই অন্তহীন নিয়ামতে পরিপূর্ণ সুবিশাল রাজ্যের তুলনায় খুবপি নগন্য । তখন আমরা নিজেদের সংকীর্ণ দৃষ্টি ও অদূরদর্শিতার জন্য এ মর্মে আফসোস করতে থাকব, যে, আল্লাহ হাজার বুঝানো সত্ত্বেও দুনিয়ার তুচ্ছ ও ক্ষণস্থায়ী লাভের মোহে আমরা কেন নিজেদেরকে এ চিরন্তন ও বিপুল পরিমাণ লাভ থেকে বঞ্চিত থাকলাম ।
দুই, দুনিয়ার জীবনের সামগ্রি আখেরাতে কোন কাজে লাগবে না। এখানে যতই ঐশ্বর্য সম্পদ ও সাজ-সরঞ্জাম আমরা সংগ্রহ করি না কেন, শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করার সাথে সাথেই সব কিছু থেকে হাত গুটিয়ে চলে যাবো চির স্থায়ী ঠিকানায় । মৃত্যুর পরপারে যে জগত রয়েছে এখানকার কোন জিনিসই সেখানে আমাদের সাথে স্থানাস্তরিত হবে না। এখানকার আল্লাহর দেওয়য়া আমানত এর যে অংশটুকু আমরা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য কুরবানী করব এবং যে জিনিসকে ভালবাসার ওপর আমরা আল্লাহ ও তাঁর দীনের প্রতি ভালোবাসাকে প্রাধান্য দিবো একমাত্র সেই অংশই আমরা সেখানে তা বহু গুনে বাড়িয়ে পাবো ইনশাল্লাহ ।
"হে আমাদের রব! ভুল-ভ্রান্তিতে আমরা যেসব গোনাহ করে বসি, তুমি সেগুলো পাকড়াও করো না ৷ হে প্রভু! আমাদের ওপর এমন বোঝা চাপিয়ে দিয়ো না, যা তুমি আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিলে ৷হে আমাদের প্রতিপালক! যে বোঝা বহন করার সামর্থ আমাদের নেই , তা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়ো না ৷ আমাদের প্রতি কোমল হও, আমাদের অপরাধ ক্ষমা করো এবং আমাদের প্রতি করুণা করো৷ তুমি আমাদের অভিভাবক ৷ কাফেরদের মোকাবিলায় তুমি আমাদের সাহায্য করো৷" সুরা বাকারা
বিষয়: বিবিধ
৩৭৩৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন