কে কে বলতে পারবেন? কোয়ান্টিটি বড় না কোয়ালিটি বড় ?

লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১১:০১:৪৩ রাত



শুনতে যদিও শুনায় খুব কাছাকাছি দুইটি শব্দ ।কিন্তু এদের মাঝে প্রার্থক্য অনেক বড়। কোয়ান্টিটি অর্জন করা যায় খুব অল্প মেহনবত আর অল্প সময়ের মধ্যে কিন্তু কোয়ালিটি অর্জন করতে হয় ,স্বর্ন জ্বালায়ে পোড়ায়ে তার মাঝের খাত বের করার মত অনেক কঠিন মেহনতের আর ধৈর্যের মাধ্যমে নিজের মাঝের অনেক ক্ষতি কর ও খারাপ নফসের স্বভাবকে সংশোধন করে উত্তম চরিত্রে...র মাধ্যমে দুনিয়া ও আখিরাতের অমুল্য সম্পদ হিসেবে তা লাভ করতে হয় ।

ধান খেতে ফসল তোলার আগে একজন কৃষক ধান গাছে ধানের কোয়ান্টিটি দেখে আয়ব্যায় আর পারিশ্রমিক হিসাব করে অনেক খুশি হন । কিন্তু ধানের চিটা যা দেখতে ঠিক ধানের মত তা বাতাসের সাথে উড়ে চলে যাবার পর কোয়ালিটি সম্পূর্ন ধান গুলো দেখে বুঝতে পারেন যে কোয়ান্টিটি আর কোয়ালিটি এক জিনিস নয় ।

আবার মলমূত্র ,ময়লা ,আবর্জনায় বা নালা নর্দমায় অনেক পোকা থাকে ।সেখান তাদের কোয়ান্টিটি এত বেশি যে তারা সেই কোয়ান্টিটির সাথে কোয়ালিটি না থাকায় সেখান থেকে তারা শুধু দুর্গন্ধ আর রোগ জীবানু চতুর দিকে চড়াইয়ে প্রকৃতির আরো ক্ষতি সাধন করে । আর মৌচাকের মৌমাছি গুলোর কোয়ান্টিটি কম হলেও তাদের কোয়ালিটি আর একতা , শৃংখলা এতোই মজবুত আর সুস্নজ্ঞটিত যে তারা আল্প সময়ে অধিক কাজ করে সব চেয়ে পুষ্টিকর প্রানীয় মধু ফুল থেকে সংগ্রহ করে আনেন । এর মাধ্যমেও বুঝা যায় আল্লাহ কিভাবে কোয়ান্টিটি আর কোয়ালিটির শিক্ষা দিয়েছেন আমাদেরকে ।

মানষের উদাহরন এই ব্যাপারে কোরানে অনেক সুরায় আছে । আলে ইমরানে আল্লাহ নিজেই কোয়ান্টিটি আর কোয়ালিটি তুলে ধরেছেন । বদর যুদ্ধে কাফেরদের কোয়ান্টিটি ছিল মুসলমানদের চেয়ে ৩ গুন বেশি ।আর তাদের কে আনন্দ আর চিত্তবিনোদন দেওয়ার আর বহু কাফের নর নারীকে এনে নাচ গান নারি ভোগ মদ সব রসদান কারিনিরাও ছিল । আর এই দিকে মুসলমান সংখ্যা ছিল খুবই সামান্য সেই তুলনায় ।আর তাদের চিত্তবিনোদন আর আনন্দের জন্য ছিল কোরান নামাজ আর রাসুলের বানীর মাধ্যমে ধৈর্য আর মনোবল নিয়ে আল্লাহর সাহায্যের মাধ্যমে মজবুত ঈমান । যুদ্ধের ফলাফল আমরা সবাই জানি । তাও বলি মসুলমানরা আল্লাহর সাহায্যে বিজয়ী হন । কারন কাফের দের কোয়ান্টিটি ছিল কিন্তু কোয়ালিটি ছিল না ।আর মুসলমান দের কোয়ান্টিটি কম ছিল কিন্তু কোয়ালিটি ছিল টইটুম্বর । যা আল্লাহ বেশি পছন্দ করেন ।

তাই আজকেও আমার এই লিখার পিছনে সব চেয়ে বেশি যে কথা বলার উদ্দেশ্য তা হল আমরা যারা মনের কাবায় কলেমার পতাকা কোরানের রশি দিয়ে রাসুলের সুন্নার ফিলারের সাথে ইমানের মাথায় বেধে নিয়েছি । তারা বিধর্মীদের কোয়ান্টিটি দেখে বিচলিত হবেন না । কারন কোয়ান্টিটি দিয়ে দুনিয়া আর আখিরাতের সকল সফলতা নির্ভর করে না । তাই শাহাবাগের এই পালাযাত্রা আর নাটকের মঞ্চ দেখে হতবাগ হবেন না ।কারন তাদের আসল মুলধন কোয়ালিটির অনেক অভাব রয়েছে । েদের জ্ঞানের মুল উৎস তাওহীদ রিসালাত ও আখিরাতের প্রতি নেই কোন বিশ্বাস । দুনিয়াকেই তারা সুখের প্রথম ও শেষ ঠিকানা মনে করে । তাই কোরান সুন্নাহ এর জ্ঞানের অভাবে এরা অনেকটা মেরুদন্ডহীন প্রানীর মত ।এরা যুগে যুগে লাঞ্চিত আর পদদলিত হয়ে এসেছে কেচোর মত ।

আর মুসলমান হিসাবে যদি মনে করেন আমাদের কোয়ান্টিটি কম তা হলে মনে রাখবেন আল্লাহর রহমতে কোরান আর সুন্নাহ এর জ্ঞানের মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের এমন এক কোয়ালিটি দিয়েছেন তা অনেক মুল্যবান ধন সম্পদ এর চেয়েও মুল্যবান । আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন আমাদের হৃদয়ের কাবায় ।তাই আমাদের কিসের ভয় । আমাদের মাঝে সিসা ঢালা প্রাচীরের মত ভাই ভাই এর মত একতা ও শৃংখলা থাকতে হবে ।এই কোয়ালিটি যাদের থাকে সারা পৃথিবী তাদের কাছে নত জানু হয়ে ঋনী হয়ে থাকে । তাই এই বার আমার প্রশ্নের উত্তর দেন ? আপনি একজন মুসলমান হিসাবে এক মত ,এক বাক্যে একতা বদ্ধ হয়ে এক সুরে বলেন কোয়ান্টিটি বড় না কোয়ালিটি বড় ?

ভাল লাগলে প্রিয়দের শেয়ার করে ছোয়াবের ভাগীদার হয়ে যান । কারন এই সময় আমলের মৌসুম যাচ্ছে । ইসলাম আর ঈমানের উপর কঠিন পরীক্ষা দিতে হচ্ছে বা দিচ্ছে আপনার কোন বাবা মা বা ভাই বোন কে । তাই আসুন মনের সব ভেদাবেদ ভুলে আজ এক হয়ে যাই মনের কাবার প্রাঙ্গনে ।

বিষয়: বিবিধ

১২৫০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File