সাইয়্যিদ কুতুব (রহঃ) এর ফাঁসির আগে কালিমা পড়ানো নিয়ে একটি শিক্ষনীয় ঘটনাঃ-

লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১১:৩৩:৪০ রাত

সাইয়্যিদ কুতুব (রহঃ) এর ফাঁসির আগে কালিমা পড়ানো নিয়ে একটি শিক্ষনীয় ঘটনাঃ-

-

ফাঁসির আগের রাতে সাইয়্যিদ কুতুব(রহঃ)-কে

কালিমা পড়ানোর জন্য জেলের ইমামকে পাঠানো হলো। জেলের ইমাম এসে আল্লামা সায়্যিদ কুতুব (রহঃ)-

কে কালিমার তালকিন দেয়ার চেষ্টা করতে লাগলেন।

তাকে দেখে সায়্যিদ কুতুব জিজ্ঞাসা করলেন

আপনি কি জন্য এখানে এসেছেন?

ইমাম বললেন,

আমি আপনাকে কালিমা পড়াতে এসেছি।

মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আগে

আসামীকে কালিমা পড়ানো আমার দায়িত্ব।

সায়্যিদ কুতুব বললেন,

এই দায়িত্ব আপনাকে কে দিয়েছে?

ইমাম বললেন, সরকার দিয়েছে।

সাইয়্যিদ কুতুব বললেন,

এর বিনিময়ে কি আপনি বেতন পান?

ইমাম বললেন,

হ্যাঁ আমি সরকার থেকে বেতন-ভাতা পাই।

তখন সাইয়্যিদ কুতুব (রহঃ)

সেই ইমাম সাহেবকে জিজ্ঞাসা করলেন,

আপনি কি জানেন-

কি কারণে আমাকে ফাঁসি দেয়া হচ্ছে?

ইমাম বললেন,

না বেশি কিছু জানি না।

সাইয়্যিদ কুতুব বললেন,

আপনি আমাকে যেই কালিমা পড়াতে এসেছেন,

সেই কালিমার ব্যখ্যা লেখার কারণেই

তো আমাকে ফাঁসি দেয়া হচ্ছে।

কি আশ্চর্য!

যেই কালিমা পড়ানোর কারণে আপনি বেতন- ভাতা পান সেই কালিমার ব্যখ্যা মুসলিম উম্মাহকে জানানোর অপরাধেই আমাকেই ফাসি দেয়া হচ্ছে।

সুতরাং বোঝা যাচ্ছে,

আপনার কালিমার বুঝ

আর আমার কালিমার বুঝ এক নয়।

আপনার কোন প্রয়োজন নেই।"



বাস্তবিক কেউ সোয়া লাখ বার কলেমা পড়ে কোরানের ও সুন্নার সুবিধা মত কিছু বিধান মেনে মুসলমান হিসাবে নিজেকে দাবী করে ।

আর কেউ একবার পড়েই কোরানের ও সুন্নাহর পুরোটাই নিজের ব্যক্তিগত জীবনে পরিবারে সমাজে রাষ্ট্রে তা বাস্তবায়ন করার জন্য সারা জীবন তাগুত শক্তির সাথে লড়ে যায় । বুঝার মধ্যে বিশাল প্রার্থক্য ।

কলেমার উপর ঈমান আনা মানে

১আল্লাহর দেওয়া জীবন বিধান জানা মানা অন্য কে জানানো

২। একজন উম্মতী মোহাম্মাদী হিসাবে রাসুল সাঃ কে একজন আদর্শ নেতা হিসাবে উনার ৬৩ বছর জীবনের মক্কা ও মদিনার দুই জীবন কে ইসলামের শরিয়ত হিসাবে মেনে নেওয়া ।

বিষয়: বিবিধ

৩২৬৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File