আহারে ! হুজুর এ কি করলেন? শেষ করেও করলেন না শেষ।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ০৬ আগস্ট, ২০১৩, ০১:৩৯:৫৬ রাত
আমাদের দেশে সাধারনত খতম তারাবিহ এর মুনাজাত ২৭ এই রমজানের রাতেই হয়ে থাকে । খতম তারাবিহ শুরু টা যেমন আনন্দ দিয়ে শুরু হয় তেমন পেইন আর এক শুন্যতা দিয়ে শেষ হয় । আমপারার সুরা গুলো অনেকের জানা তাই মনে হল হৃদয় টা কেটে কেটে নিচের দিকে নেমে যাচ্ছিলো । পাওয়ার শুখের চেয়ে হারাবার পেইন টা সহ্য করা বেশি কষ্ট কর ।
বার বার মনে হল "আল্লাহ বান্দা কে এতো ভালবাসেন যে , ভালোবেসে গুনাহ মাফ করার মাধ্যমে আখিরাতের ভয়াবহ আযাব থেকে বাচার এক অপুর্ব সুযোগ দান করলেন । কিন্তু আমরা সেই সুযোগের সঠিক তত্ত্বাবধান ও সঠিক মর্যাদা না দিতেই তা চলে যাবার সময় হয়ে গেল । দুনিয়ার সুখের সাগরে এতই বিভোর ছিলাম যে কখন হেলায় পেলায় সময় চলে গেল একটু টেরও পেলাম না ।
আমি বুঝি আর না বুঝি হুজুরের এর সাথে তো শুনে শুনে খতম দিলাম। মুসলমান হিসাবে কম কিসের । যখন শেষের দুই রাকাত পড়ছিলো তখন ভাবলাম যাক আজ কোরআন খতম শেষ হবে । কিন্তু হুজুর যখন শেষের রাকাতে আবার সুরা ফাতিহার পর সুরা বাকারার প্রথম ১০ আয়াত পড়ে নামাজ শেষ করলেন তখন বার বার মনে হচ্ছিল যে , আহারে হুজুর এ কি করলেন ? শেষ করেও করলেন না শেষ ।
আবার সেই কোরানের গুরুভার দায়িত্ব ১১ মাসের জন্য এই কোরান নাজিলের মাসে আর কোরান নাজিলের রাতে আমাদের উপর দিয়ে দিলেন । এই কোরানের গুরুভার দায়িত্ব তো সৃষ্টির সেরা মানুষ ছাড়া আর কেউ নিতে চান নাই । কিন্তু আমরা সেই মানুষ জাতি কোরানের এই বিশাল দায়িত্ব পেয়েও নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছি । আল্লাহর বানী আমাদের জীবন চলার পথে কিছু আছে করনীয় আর কিছু আছে বর্জনীয় তা জানা মানা আর অন্য কে জানানোর মাধ্যমে এই বিশাল দায়িত্বর আঞ্জাম দিতে হবে । তা না হলে খলিফার দায়িত্ব পালন করা হবে না। আর সঠিক ভাবে আল্লাহর ইবাদাত করাও হবে না ।
এই কোরানের মর্যাদার কারনে কোরানের বাহক রাসুল সা এর এত মর্যাদা , রামাদান মাসে কোরান নাজিল হয়েছে বলে এই মাসে রয়েছে রহমত মাগফেরাত আর নাজাত , কোরান নাজিলের রাত বলে কদর রাতের এত কদর । নামাজে কোরান বুঝে পড়লে সেই নামাজ হবে জান্নাতের চাবি আর দুনিয়াতে সকল খারাপ ও অশ্লীল থেকে রক্ষা করবে । কোরান এর মাহফিলের কোরান শিক্ষার আলোচনাইয় বসলে সেই বরাবর আল্লাহ আসমানে ফেরেস্তাদের নিয়ে আরেকটি মাহফিলের আয়োজন করেন সেই বান্দাদের গুনাহ মাফ করার জন্য ।
এই কোরানের পথ হল সিরাতুল মুস্তাকিমের পথ , এই কোরান থেকে হেদায়াত প্রাপ্ত হতে পারলে এই কোরান আমাদের অন্ধকার থেকে আলোর দিকে এনে হুদাল্লিন মুত্তাকিন হিসাবে জান্নাতুল ফেরদাউস উপহার দিবেন । ইনশাল্লাহ । তাই আপনি আমি আমরা সবাই যারা খতম তারাবিহ পড়েছি , আমাদের সবার উপর এই দায়িত্ব এসে গেছেন যে, আমরা ইমামের পিছে বিনা বাক্য ব্যায়ে যেমন করে বিনয়া বনত হয়ে কোরানের কাছে আত্নসমার্পন করে নামাজ আদায় করেছি ।সেই ঈমানের দাবী ব্যক্তি পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্র এই কোরানের বিধান কায়েমের জন্য সংগ্রাম চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে । তা হলে উম্মোতে মোহাম্মাদী হিসাবে দুনিয়াতে শান্তি আর আখিরাতে মুক্তি পাওয়া সম্বভ হবে।
আর তা হলে বুঝা যাবে এই রামাদানে শুধু আমার দেহ তাকয়াবান হয় নাই আমিও হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ ।
হে আমাদের রব, আপনি হেদায়েত দেয়ার আমাদের অন্তরসমূহ বক্র করবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদেরকে রহমত দান করুন। নিশ্চয় আপনি মহাদাতা।
(সূরা আলে-ইমরান আয়াত,৮ )
‘হে আমাদের রব! আমরা ঈমান এনেছি, আমাদের গোনাহখাতা মাফ করে দাও এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আমাদের বাচাঁও ৷ আলে ইমরান
আল্লাহ আমাদের কোরানের দায়িত্ব পালন করার মত ঈমানী এলেমী ও আমলী যোগ্যতা দান করুন ।
বিষয়: বিবিধ
২৬২৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন