ভোগের আনন্দ ক্ষনস্থায়ী আর ত্যাগের আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী।

লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ৩১ জুলাই, ২০১৩, ১১:৩৭:৩৪ রাত



আসসালামুয়ালাইকুম ।

ইসলাম প্রিয় মেয়ে ও বোনদের বিনীত ভাবে বলছি ,

আমরা অনেকেই কেউ স্বামী আবার কেউ বাবার বা ভাই এর সংসারে কেউ স্ত্রী বা কেউ মেয়ে বা বোন হিসাবে আছি । সেই পুরুষদের মাধ্যমেই আল্লাহ আমাদের রিযিক এর ব্যবস্থ্যা করে থাকেন । ওনারা আমাদের মুখে সুখের হাসি ফুটানোর জন্য মাথার ঘাম পায়ে পেলে উপার্জন করেন । দুনিয়াবী ভোগ বিলাস আরাম আয়েশের কাছে কখনো কখনো মনে হয় খুবই তা সামান্য । কিন্তু যখন মনে হয়, হারামে পেট ভরে খাবার চেয়ে হালাল খাবার অল্প খাওয়া্র মাঝেও অনেক আনন্দ



এই আয়ের মাঝে যখন কোন বাড়তি চাপ (বিয়ে, জন্মদিন , ডাক্তার খরচ বা ঈদের আনুষ্টানিকতা )আসে তখন সেই সীমিত আয়ের সংসারের কর্তা মশাই পেরেশান হয়ে যান। তখন আমাদের মহিলাদের নমনীয়তা বা সচেনতা ওনাকে দেয় অনেক মানুষীক প্রশান্তি ।

ঈদ মানে আনন্দ । আর আনন্দ শুধু ভোগে নয় ত্যগের মাঝে থাকে অনেক বেশি । ভোগের আনন্দ ক্ষনস্থায়ী আর ত্যাগের আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী।



আপনি পাড়া প্রতিবেশির সাথে প্রতিযোগীতা বা মার্কেটে মনোহরী অনেক পন্য দেখে তা কেনার জন্য মন পেরেশান হয়ে উঠেন। সারা বছরের একটা কিনা কাটার ঈদ বলে কথা ।

তা ছাড়া বন্ধুবান্ধব বা আপন জনের কাছে বুক ফুলায়ে দাম বলে দামী পোশাক পোড়ে হাটতে মজা পাবেন অনেক । কিন্তু যিনি সারা মাস খেটে আয় করা পকেটের টাকা বের করে আপনার সামান্য শখ পুরোন করতে গিয়ে পকেট খালি করে বাসার গেটে এসে দারোয়ান থেকে রিক্সসাভাড়া দিচ্ছেন ওনার মানুষিক অবস্থ্যা টা কি একবার ভেবে দেখেছেন আপুমনি । উনার বুকের ধুকধুকানি আবার শুরু হয়ে গেছে কারন উনি ১০/১১ তারিখে ঈদ হবার পর মাসের বাকী দিন গুলো এর খরচ কিভাবে চালাবেন। কার কাছে ঋন করার জন্য হাত পাতবেন।

আমরা কি পারি না আমাদের চাহিদা কমায়ে আমাদের ছেলে মেয়ে বা ছোট ভাই বোন্দের কে বুঝায়ে উনার উপর থেকে মানুষিক চাপ টা কমাতে ? উনার সাথে বসে আমাদের আয় ব্যয় অনুসারে ঈদের বাজেট করতে ? উনাকে হালাল পথে চলতে সাহায্য করতে ?আমাদের বরন পোষনের যেই দায়িত্ব উনি মাথায় নিয়েছেন তা একটুও যেন উনার কাছে বোঝার মত মনে না হয় তা লাগব করতে । ঈদ বার বার আসবে । কিন্তু তাই বলে আমাদের সংসারের মাঝে সারা বছরের জান্নাতী আনন্দ এর মাঝে যেন বাটা পড়ে না যায় । সেই দিকে গভীর খেয়াল রাখতে হবে ।

আপু একমুখ স্বর্ন দিয়েও ভরা যায় । আর দশ মুখ ছাই দিয়েও ভরা যায় না । তাই আপনার পক্ষের আত্নীয় স্বজনদের ঈদের গীফট দেওয়ার জন্য চাপাচাপি করবেন না । আগে ঘরে চেরাগ জ্বালাতে দিন তারপর মসজিদে । তাই আল্লাহর সাহায্য চেয়ে সবর করুন । অল্প তে তুষ্ট থাকুন । যেই বোন টা পথের পাশে বা বস্তি তে আছে সে যে পুরান কাপড় গুলো এখন থেকে ধুয়ে ঈদ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তার কথা ভাবুন । একটা কিছু এনে দিলে তাতে হাসি মুখে উনাকে অভিনন্দন জানান ।

আপনি ২০০ টাকার একটা ওয়রনা পেয়ে অনেক খুশি হয়েছেন তা উনাকে দেখান । আর হাজার হাজ়ার টাকা রোজগার করেও নিজের জন্য কিছুই নিতে পারেন নাই । উনাকে আপনার তিল তিল করে জমানো টাকা দিয়ে একটা পাঞ্জাবী কিনে দিইয়ে দেখেন কি খুশি হয়ে সারা বছর তা পরবে আর মিষ্টি হাসি দিয়ে আপনার কোপালে এসে একটা চুমু দিবে । তখন মনে হয়, আমার ঈদ সারা বছর এর জন্য আলহামদুলিল্লাহ । যখন শুনি অনেক দামী শাড়ি বা থ্রীপিচ পেয়েও মেচিং করা কস্মেটিক এর জন্য স্বামী স্ত্রী ঝগড়া করে ঈদের সেমাই রান্না হয় নাই বাসায় তখন কষ্টে খুব কান্না আসে ।



রাসুলের সেই হাদিস টা মনে করুন বেশি করে " দুনিয়ার ভোগ বিলাস আর আরাম আয়েশের দিকে তাকালে নিচের দিকে তাকাতে আর আখিরাতের দিকে তাকালে আপনার চেয়ে যিনি বেশি আমল করছেন তার দিকে তাকান ।

আল্লাহ আমাদের জান্নাতী রমনীদের মাঝে স্থান পাও্যার মোত আমল করার তাওফিক দান করুন ।



বিষয়: বিবিধ

৩৩৬২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File