টেকিতে এক চাপেই সব ধান থেকে এক সাথে চাল বের হয় না ।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ১৩ জুলাই, ২০১৩, ০৫:২৬:০৯ বিকাল
মাশাল্লাহ , তারাবীতে মহিলা ৪ কাতার হয়ে গেছেন গতকাল ।
আপাদের সাথে প্রতিদিন শুভেচ্ছা বিনিময় ও দেখা হওয়াতে অনেক আন্তরিকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
কোরআন ক্লাসে আপাদের আসতে অনেক বাধা হলেও আলহামদুলিল্লাহ কষ্ট হলেও তারাবীতে আপারা আসছেন । অনেকে বার বার প্রশ্ন করছেন ,
"পারভীন আপা , বলেন তো হুজুর যখন কোরআন পড়েন তখন একমনে তা শুনতে পারি না । বার বার মন অন্যদিকে চলে যায় কেন?"
আল্লাহ মাফ করেন । একই রোগের রুগী তো আমার মত তো দেখি অনেকেই । এই সময় মন তো পাসফোর্ট আর ভিসা টিকেট ছাড়াই দেশ বিদেশে ছুটে বেড়ায়।
আমরা অনেকেই হতাশ হয়ে যাচ্ছি । এতো চেষ্টা করেও নামাজ সহ আরো বিভিন্ন কল্যানকর কাজে মনোনিবেশ একনিষ্ঠ ভাবে রাখা যাচ্ছে না কেন ?
আপা গ্রামে ঢেকিতে ধান বানতে দেখেছি । ঢেকিতে এক চাপেই সব ধান থেকে এক সাথে চাল বের হয় না ।
একজন বা দুই জন ঢেকি চাপে আর একজন বার বার ঢেকির মাথার নিচের গর্তের যেখানে পার পড়ে সেখানে গোল করে ধান এনে দেন । একসময় দেখা যায় আর ধান রয় নাই সব ধানই চাল হয়ে গেছেন ।
শয়তান আমাদের প্রকাশ্য শত্রু । দুই হাত দিয়ে চেপে ধরে শয়তান এর ওসঅয়াস থেকে মন কে নিরাপদ রাখা যাচ্ছে না । ছুটে যাওয়া মন কে লাগাম দিয়ে ধানের মত বার বার গোল করে নামাজের কেন্দ্রবিন্ধু আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে আনতে হবে । আল্লাহ ক্ষমাশীল ।
বার শয়তানের ওসঅয়াস থেকে বাচার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে। নামাজের বিভিন্ন জায়গায় পড়া দোয়া গুলোর অর্থ জানতে হবে । এবং সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে ।
বেশি বেশি অর্থ সহ কোরআন অধ্যায়ন করতে হবে। বিশেষ করে নামাজে পড়া সুরা গুলোর অনুবাদ জানতে হবে ।
কোরানের ক্লাস গুলো তে উপস্থিত থেকে হৃদয়ে আল্লাহভীতি সৃষ্টি করতে হবে ।
মনে করতে হবে আমি নামাজে আমার দুই জাহানের মালিকের সাথে কথা বলছি ।
আমি উনাকে আমার বাহ্যিক চোখে না দেখলেও তিনি আমাকে সিসি ক্যামরা দিয়ে সর্বক্ষন দেখছেন ।
তাওবা করে আল্লাহর কাছে বার বার ক্ষমা চাইতে হবে ।
তাই নামাজ শেষ আল্লাহ নাম স্মরনের জিকির গুলো করা উচিত ।তাও অর্থ জানা প্রয়োজন । সবশেষে হতাশ বা নিরাশ হয়ে নামাজ পড়া বা আল্লাহর ফরজ কাজ বন্ধ করা যাবে না । ঢেকির মত বার বার চেষ্টা করে জীবন নামের ধান থেকে জান্নাতের চাল বের করে আনতে হবে ।
আজ বার বার ভাবলাম আমি কি ঠিক ভাবে কথা গুলো বুঝায়ে বলতে পেরেছি কিনা ?
হে আল্লাহ ! তুমি আমাকে ক্ষমা কর যা, আগে করেছি, যা পরে করেছি, যা গোপনে করেছি, যা প্রকাশ্যে করেছি, যা অতিরঞ্জিত করেছি। তুমি আমাকে ভালভাবে জান। তুমি আগে থেকেই আছ পরেও থাকবে। তুমি ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। [সহীহ মুসলিম ২০৭৮]
বিষয়: বিবিধ
২০৮৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন