শিল্পীরা বরাবর বোকাই থেকে যাবে? আর ডিউকরা কত দূর্ত চালাক!
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ০৮ জুলাই, ২০১৩, ১২:৩৭:৪৮ দুপুর
মাঝে মাঝে মনে হয় মেয়েরা অনেক বোকা কারন তদের সরলতার সুযোগে একটা ছেলের কথায় বিশ্বাস এনে নিজেরদের সর্বস্ব হারিয়ে রিক্ত হস্তে ফিরে এসে ধুকেধুকে জীবন টা শেষ করে । আমার প্রশ্ন , কেন এই জীবন টা নিয়ে এই লুডু খেলায় নেমেছো ?
আরে বোন তুমি সুন্দরী ! তা তো তোমার সৃষ্টিকর্তার দেও্য়া গিফট।
ক্লাসে, রাস্তায় কিংবা মামাতো/খালাতো/ ফুফাতো ভাইরা তোমাকে অনেক"দাম দেয়"।
আর তাতে তুমি নিজেকে গর্বিতও মনে করছো । যখন অন্য যুবক তোমার পানে ফ্যাল-ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে তোমার মনের ওজন তখন হালকা হয়ে যায় - তুমি আকাশে উড়তে থাক ।
মাটির স্পর্শ ভুলিয়ে দিতে পারে না তোমার অহমিকার তেজ!
কিন্তু তুমি জান কি? ছেলেরা মেয়ে দের কে দুই ভাগ করে নেয় ..
১. প্রেম করার উপযোগী।
২. বিয়ে করার উপযোগী।
সুন্দরী আর বেপর্দারপ্ মেয়েদের কে তারা প্রথম শ্রেনীভুক্ত - অনলি ফর
ফ্লাটিং!আরো মনে করে তারা শুধু ব্যবহৃৎ হন - সাময়িক
মনোরঞ্জন (হোকনা সেটা দৃষ্টিসুখ না হয়
আরেকটু বেশি!) । খুব কম ছেলেরাই যেনে শুনে তাদেরকে ঘরে তোলেন।
ঠিক যেমন শো-রুমে ডিসপ্লে ডল এ সাজানো জামা পছন্দ করে দোকানের আলমারীতে রাখা আনকোরা ভাঁজ না খোলা জামা কিনে আনার মতই...।
যখন ইস্যু আসে বিয়ে বিষয়ে, তখন সব পুরুষের পছন্দই কিন্তু পর্দানশীল ,সুশীল, কম দেমাগী, শান্ত ভদ্র মেয়েটির দিকে। এমনকি ছেলের মা (যিনি নিজেও একজন নারী) ও এমন
মেয়েকে তার ছেলে বউ হিসেবে খোঁজেন।
জ্বি! তোমার এখন মনে হতে পারে আমার মানসিকতা কত নিচু দ্যাখ!
কিভাবে লিখছে সুন্দরী মেয়েদের অপমান করে!!!"
শুনেন আপুমনি , আমার ঢাকা ইউভার্সিটির ক্লাসমিট ডিউক ৬ বছর আমার চোখের সামনে দিয়ে সুন্দরী শিল্পীর সাথে চুকায়ে প্রেম করে । সেই শেষ এম এ ফাইলান পরীক্ষার আগে আমাকে বলে, ভাবী , প্লিজ আমার একটা উপকার করেন । আমি পরীক্ষা শেষ হলে দেশের বাহিরে চলে যাব আর যাবার আগে মা চান আমি যেন বিয়ে যাই ।তাই আমাকে একটা ভাল ধার্মিক আর পর্দানশীল মেয়ে জোগাড় করে দেন ।
আমি তো আকাশ থেকে মাটিতে পড়া মানুষের মত থ হয়ে গেলাম ।
আমি বললাম , তা হলে শিল্পী তোমার উপর রাগ করবে না ?
সে বলল , শিল্পীদের সাথে সময় কাটানো যায় কিন্তু জীবন কাটান যায় না।
আমি অবাক হয়ে বললাম , শিল্পীরা বরাবর বোকাই থেকে যাবে? আর ডিউকরা কত দূর্ত চালাক!
আপুমনি আমি তোমাকে সময়ের সাথে উপযোগী স্টাইল করতে মানা করছি না ।কিন্তু সেই স্টাইল যেন তোমার জীবনকে উপভোগ করার মানেই উগ্রতা না দেয় । বরং শালীনতায়ও জীবনের সুন্দর রং গুলো ছুঁয়ে দেখা যায়। মেয়েরা সাজু গুজু করবে তা আল্লাহ জানেন তাই আমাদের কে ১৪ জনের সামনে যাবার অনুমতি দিয়েছেন ।এর বাহিরে গেলেই আমাদের বিপদ সীমানায় পড়তে হবে।যা বর্তমানে অহরহ হচ্ছে।
আমার সাথের ক্লাসমিট আবার রোকেয়া হলের রুমমিট আঞ্জুর কান্না এখন মনে হলে আমাকে কাদায় । আমি দেখেছি , আঞ্জু নিজের মন প্রান ও দেহ সোফে দিয়ে কিভাবে পরে প্রতারনার জ্বালে জড়িয়ে পড়েছে । সেই অসহায় চেহারা আর করুন কান্নার বিলাপ আমার জীবনের এক অভিজ্ঞতা । অনেক সময় শান্তনা দিতে গিয়ে নিজেই কেদে ফেলেছি ।আমার বোন টার কত সুন্দর চেহারা আর কত সুন্দর সহজ সরল একটা মন ছিল । যা সব মেয়েদের জন্য অনেক বড় সম্পদ আর তাই হয়ে গেল তার জীবনের কালসাপ এর মত শত্রু। ঐ ছেলে কে বিয়ে করতে বললে সে বলে “ আমাকে যেমন সব বিলিয়ে দিয়েছো এমন আর কয় জন কে দিয়েছো তা কে জানে ? আর যেন কোন বোন এই বোকামি না করে তাই আমার এই লিখা ।
২. বিয়ে করার উপযোগীঃ
আমার সাহেব প্রায় বলেন আমাকে “তুমি কত ভাল ভাল মেয়েদের সাথে পরিচিত বা তারা তোমাকে মা বলে ডেকে অন্তরশীতল করে ,এদের থেকে তোমার ছেলেদের জন্য বৌ হিসাবে পছন্দ করতে পারো না।
এক ঝাপ্টাইয় জবাব দিলাম , না , আমি পারি না। আমার বিবেক আমাকে সায় দেয় না। কারন আমার এই মেয়ে গুলো এত বুদ্ধিমতি , এত চালাক এত তাকওয়াবান আর এত যোগ্যতা সম্পন্ন যাদের মা হবার বা আমার ছেলের বৌ হবার যোগ্যতা আমার বা আমার ছেলেদের নেই বলে আমার মনে হয় ।
সাহেব হতবম্ভ হয়ে বলে উঠেন কি বল ?
জী , তোমরা সব মেয়েদের এক পাল্লায় মেপে যত অশান্তি সৃষ্টি কর। তুলা যেই পাল্লায় মাপো স্বর্ন ,মনি মুক্তা আবার সেই পাল্লায় মাপা যায় না । আর এই মেয়েরা এর চেয়েও আমার কাছে দামী মোনে হয়।তাই আমি জীবনেও গটকালী করে কারো বিয়ে দিতে পারি নাই ।কারন আমার মনে হয় ,এরা ঝিনুকের ভিতরের মুক্তার মত একা একা কোন পুরুষের স্প্র্শ ছাড়া নিজেদের তাওকয়ার শক্ত আবরনে ঢেকে রাখেন। আর যার গলার মালা হয়ে যান তার দুনিয়া আর আখিরাত জীবনে হিরার মত শুধু আলো ছড়ান ।
আমি অনেক ছেলেদের দেখি খুব হতাশায় কাহিল হোয়ে ্যাচ্ছে ।
তাদের কে বলছি ,আরে ভাই তুমি চাচ্ছ একটা হীরার টুকরা আর নিজেকে সাত সাগর পাড়ি দেওয়ার যোগ্যতা বা তাকওয়া য়াছে কিনা তা নিজের বিবেক কে নিজে জ়িজ্ঞাসা কর? আর সিন্ধু সেচে সেই মুক্তা পাবার মত ধৈয্যশীল কিনা তাও ভেবে দেখ?
পদ্ম ফুল সব পুকুরে ফুটে না।তাই আপুরা তুমি একটা পদ্মের মত ফুটে উঠ ।তোমার জন্য একটা পুকুর মত ভালবাসা নিয়ে সান বাধানো ঘাটে বসে অপেক্ষায় থাকা হৃদয় এর এক সুপুরুষ। যার চোখ কখন কোন মেয়ের দিকে পড়েনি আর মনে তুমি ছাড়া অন্য কারো ছবি আকেনি।তুমি ফুলের মত পবিত্র ।তোমার সুন্দর্য আর যোগ্যতার ঘ্রানে ভোমর আনা গোনা করবে আর তোমার ভুয়সি প্রশংসায় গুন গুন করে গান গাইবেই। তুমি তোমার কোমল পাপড়িতে তাদের বসতে দিও না । তারা শুধু তোমার জীবনের পবিত্র পাপড়িতে কলংকের দাগ রেখে আরেক ফুলের খুজে উড়ে বেড়াবে । তাই সাবধান সাবধান থেকে তাদের কে সাহসের সাথে ফিরাও ।ভীরু চিত্তের হলে নেকড়ের মত লেজ গুটায়ে সরে যাবে আর যদি সুপুরুষ হয় তা হলে তোমার সাহসীকতাকে পছন্দ করে সে তোমার বাবা মা বা অবিভাবকের কাছে পস্তাব নিয়ে আসবে ।
তাই আল্লাহর সাহায্য করুন । আমার লিখায় কোন ভাই বা বোন মনে কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি ক্ষমাপার্থী । কারন আমি আমার দৃষ্টিতে যা সত্য মনে হয়েছে তা তুলে ধরেছি ।আর আমার সাথে আপনার মত নাও মিলতে পারে ।আল্লাহ এই রমজানে আমাকে আপনাকে আমাদের মাবাবা কে ও সকল মুমিন মুত্তাকিন কে রহমত , মাগফেরাত ও নাজাত দান করুন ।
বিষয়: বিবিধ
৩৬৪৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন