এসো আল্লাহর বিধান জেনে বুঝে কোরানের ছায়াতলে সমবেত হই
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ২৩ জুন, ২০১৩, ০৯:৩৮:১৪ রাত
এসো আল্লাহর বিধান জেনে বুঝে কোরানের ছায়াতলে সমবেত হই
সমস্ত প্রশংসা বিশ্ব জগতের স্রষ্টা একমাত্র আল্লাহ তা’লার জন্য ।আমাকে এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জ্ঞানের মাধ্যমে অমুল্য রতন কোরান এর কিছু লিখার তাওফিক দান করেছেন।দরুদ ও সালাম আমার প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাঃ এর প্রতি, যার উপর আমার অদৃশ্য রহমানুর রাহিম আল্লাহ তা’আলা মানব জাতির দুনিয়ার কল্যানের ও আখিরাতের মুক্তির জন্য সর্বশ্রেষ্ট নেয়ামত দৃশ্যবান মহা গ্রন্থ আল কুরআন নাজিল করেছেন।
আসসালামুয়ালিকুম আমার ইসলাম প্রিয় ও প্রান প্রিয় ভাই বোণ ছেলে মেয়েরা।আমরা সবাই জানি ণেক আমলের পিরামিডের মাস মাহে রামাদান আমাদের হৃদয়ের করিডোরে নক করছে।কিছুটা প্রীতি আর কিছু টা ভীতি নিয়ে মন আনছান করছে।আল্লাহর নৈকট্যলাভ করার আনন্দে একবার মন নেচে উঠছে আবার এতো ভয় হচ্ছে যে ,গুনাহ থেকে ক্ষমা পাওয়ার জন্য কিভাবে সঠিক পথে চলব এবং তা জানার আর মানার উপায় কি ?
রমজান কুরআণ নাজিলের মাস ।আর কোরান মানুষের কাছে যা দাবী করেঃতা হল
আল্লাহর আদেশ নির্দেশ অনুসারে কোন কাজ করা , সেই বিধান এর শিক্ষার জীবন্ত উদাহরন হিসাবে নিজেকে তুলে ধরা ,সারা দুনিয়ার সামনে এর দাওয়াত বা আহ্বান তুলে ধরা, কোরান এর অনুসারে আকিদা বিশ্বাস ,ধ্যান ধারনা ,নৈতিক- চরিত্র,ও আচার-আচরন করা । যা এমন একটি সহজ সরল পথের কাজ কিন্তু এর চেয়ে বেশি কঠিন ও গুরুবার কাজের কল্পনা করা যায় না ।
খলিফা বা আল্লাহর প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালনের জন্য পৃথিবীতে আমাদের আসা।আর সেই দায়িত্ব পালন করার হিকমত ও শয়তানের নানা প্রকার বাধাবিপত্তি বরদাশত করার মত শক্তি আমাদের দেহ ও মনে অর্জন করা আবশ্যক। আল্লাহর বানী কুরআন অধ্যায়ন মানে বুঝে বুঝে কোরান পড়ার মাধ্যমে আর ইবাদত বন্দেগীতে তার প্রমান দিয়ে এই শক্তি অর্জনের কৌশল ও হিকমত লাভ করতে হবে।মুমিন মুত্তাকিন হিসাবে এই জ্ঞান এর মাধ্যমে আগে নিজের সাড়ে ৩ হাত দেহে কোরআন কায়েম করে তারপর বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে তা কায়েম করতে হবে।
আল্লাহর বানী,”আপনি বলুন ্যারা জানে আর যারা জানে না তারা কি সমান হতে পারে?বুদ্ধিমান লোকেরাই তো নসিহত কবুল করে থাকে” ।সুরা জুমার ৯
“বল অন্ধ ও চক্ষুমান কি সমান হতে পারে ?আলো ও অন্ধকার কি এক ও অভিন্ন হতে পারে”। সুরা রায়াদ -১৬
হযরত আনাস রাঃ হতে বর্ণিত,নবী করিম সাঃবলেছেন ,”প্রতিটি মুসলিম নরনারীর উপর জ্ঞান অর্জন করা ফরয”।(ইবনে মাজাহ )
হযরত আনাস রাঃ হতে বর্ণিত, নবী করিম সাঃ বলেছেন, “যে ব্যক্তি এলেম অন্বেষনে বের হয় ,সে প্রত্যাবর্তন না করা পযন্ত আল্লাহর পথেই থাকে” ।(তিরমিযি )
“ধন সম্পদ তুমি নিজে পাহারা দিয়ে রাখতে হয় ,আর জ্ঞান তোমাকে পাহারা দিয়ে রাখে”।– হযরত আলী রাঃ
“ইসলামের জ্ঞান ছাড়া সে যত বড় উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত পন্ডিত হোক না কেন সে মূর্খ পন্ডিত”। –ডঃ মোহাম্মাদ শহিদুল্লাহ ।
শিক্ষা যে কোন একটা জাতির মেরুদন্ড ।শিক্ষা ছাড়া জাতি বিকলাঙ্গ বা মেরুদন্ড হীন কেচোর শয়তানের বা অন্যান্য জাতির পদদলিত হতে থাকে।সুশিক্ষা ব্যতীত সমাজের অন্যায় ,অবিচার , শোষন ,জুলুম ইত্যাদি অপরাধ কচুরি ফেনার মত বিস্তার লাভ করে । আর সেই সুশিক্ষার জন্য আমাদের বার বার কোরান পড়ার মাধ্যমে আল্লাহ তালার তার খাটি বান্দা হিসাবে এ কিতাব কে নির্ভূল ,নির্ভেজাল ও পথ নির্দেশনার পথের মুত্তাকিন দের মত পথিক হতে হবে ।কোরান এর সিরাতাল মুস্তাকিমের পথে চলে হুদাল্লিন মুত্তাকিন হয়ে সালেহিনদের কাতারে দাঁড়াতে হবে ।কারন প্রকৃত শিক্ষা ছাড়া প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ হওয়া যায় না।
কাল কিয়ামতের মাথে এই কোরান এর সুপারিশ কারী হিসাবে পাবার জন্য রমজানে অর্থসহ খতম করতে হলে আসুন আমরা আজ থেকেই তারাবির তালিকা মতে নীচের তালিকা অনুসারে রমজান এর আমোল শুরু করে দেই ।ইনশাল্লাহ আমরা শেষ করতে পারব।
মাহে রমজান –
তারাবীহ তে কোরান খতম এর তালিকা
১ ] মাহে রমজান –১ম তারাবীহ
১ম ও ২য় পারার প্রথমার্ধ
সুরা আল ফাতিহা থেকে বাকারা ২০৩ আয়াত পর্যন্ত
২] মাহে রমজান –২য়তারাবীহ
২য় পারার শেষার্ধ ও ৩য় পারা
সুরা আল বাকারা ২০৪ থেকে – আলে ইমরান ৯১ আয়াত পর্যন্ত
৩] মাহে রমজান –৩য়তারাবীহ
৪র্থ পারা থেকে ৫ম পারার প্রথমার্ধ
আলে ইমরান ৯২ থেকে সুরা আন নিসা ৮৭ পর্যন্ত
৪] মাহে রমজান –৪র্থ তারাবীহ
৫ম পারার শেষার্ধ ও ৬ষ্ঠ পারা
সুরা আন নিসা ৮৮ থেকে সুরা আল মায়েদা ৮২ পর্যন্ত
৫] মাহে রমজান –৫ম তারাবীহ
৭ম পারা থেকে ৮ম পারার প্রথমার্ধ
সুরা আল মায়েদা ৮৩ থেকে সুরা আল আ’রাফ ১১ আয়াত পর্যন্ত
৬] মাহে রমজান – ৬ষ্ঠ তারাবীহ
৮ম পারার দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ৯ম পারা
সুরা আল আ’রাফ ১২ আয়াত সুরা আনফাল ৪০ আয়াত পর্যন্ত
৭] মাহে রমজান – ৭ম তারাবীহ
১০ম পারা
সুরা আনফাল ৪১ আয়াত থেকে সুরা আত তাওবাহ ৯৩ আয়াত পর্যন্ত
৮] মাহে রমজান – ৮ম তারাবীহ
১১ তম পারা
সুরা আত তাওবাহ ৯৪ আয়াত থেকে সুরা হুদ ৫ নং আয়াত পর্যন্ত
৯] মাহে রমজান – ৯ম তারাবীহ
১২ তম পারা
সুরা হুদ ৬ নং আয়াত থেকে সুরা ইউসুফ ৫২ পর্যন্ত
১০] মাহে রমজান –১০ম তারাবীহ
১৩ তম পারা
সুরা ইউসুফ ৫৩ থেকে সুরা ইব্রাহিম শেষ আয়াত পর্যন্ত
১১] মাহে রমজান –১১ তম তারাবীহ
১৪ তম পারা
সুরা আল হিজর ও সুরা আন নাহল
১২] মাহে রমজান –১২ তম তারাবীহ
১৫ তম পারা
সুরা বনী ঈসরাইলের ১ থেকে সুরা কাহফ ৭৪ আয়াত পর্যন্ত
১৩] মাহে রমজান – ১৩ তম তারাবীহ
১৬ তম পারা
সুরা কাহফ ৭৫ আয়াত থেকে সুরা ত্বোয়া-হা শেষ আয়াত পর্যন্ত
১৪] মাহে রমজান –১৪ তম তারাবীহ
১৭ তম পারা
সুরা আম্বিয়া ১ থেকে সুরা আল হাজ্ব শেষ আয়াত পর্যন্ত
১৫] মাহে রমজান – ১৫ তম তারাবীহ
১৮ তম পারা
সুরা আল মুমিনুন থেকে আল ফুরকান ২০ আয়াত পর্যন্ত
১৬] মাহে রমজান – ১৬ তম তারাবীহ
১৯ তম পারা
আল ফুরকান ২১ আয়াত থেকে সুরা আন নামল ৫৯ আয়াত পর্যন্ত
১৭] মাহে রমজান – ১৭ তম তারাবীহ
২০ তম পারা
সুরা আন নামল ৬০ আয়াত থেকে সুরা আল আনকাবুত ৪৪ আয়াত পর্যন্ত
১৮] মাহে রমজান – ১৮ তম তারাবীহ
২১ তম পারা
সুরা আল আনকাবুত ৪৫ আয়াত থেকে সুরা আল- আহযাব ৩০ আয়াত পর্যন্ত
১৯] মাহে রমজান – ১৯ তম তারাবীহ
২২তম পারা
সুরা আল- আহযাব ৩১ আয়াত থেকে সুরা ইয়াসিন ২১আয়াত পর্যন্ত
২০] মাহে রমজান – ২০ তম তারাবীহ
২৩ তম পারা
সুরা ইয়াসিন ২২ আয়াত থেকে সুরা আয যুমার ৩১ আয়াত পর্যন্ত
২১] মাহে রমজান – ২১ তম তারাবীহ
২৪ তম পারা
সুরা আয যুমার ৩২ আয়াত থেকে সুরা হা-মীম আস্ সাজ্দা ৪৬ আয়াত পর্যন্ত
২২] মাহে রমজান – ২২ তম তারাবীহ
২৫ তম পারা
সুরা হা-মীম আস্ সাজ্দা ৪৭ আয়াত থেকেসুরা আল জাছিয়া শেষ আয়াত পর্যন্ত
২৩] মাহে রমজান – ২৩ তম তারাবীহ
২৬ তম পারা
সুরা আল আহ্ক্বাফ ১ আয়াত থেকে সুরা আল যারিয়াত ৩০ আয়াত পর্যন্ত
২৪] মাহে রমজান – ২৪ তম তারাবীহ
২৭ তম পারা
সুরা আল যারিয়াত ৩১ আয়াত থেকে সুরা আল হাদীদ এর শেষ আয়াত পর্যন্ত
২৫] মাহে রমজান – ২৫ তম তারাবীহ
২৮ তম পারা
সুরা আল মুজাদালা থেকে সুরা আত তাহরীম এর শেষ আয়াত পর্যন্ত
২৬] মাহে রমজান –২৬তম তারাবীহ
২৯ তম পারা
সুরা আল মূলক থেকে সুরা মুরসালাত এর শেষ আয়াত পর্যন্ত
২৭] মাহে রমজান – ২৭ তম তারাবীহ
৩০ তম পারা
সুরা আন নাবা থেকে সুরা আন নাস এর শেষ আয়াত পর্যন্ত
নিয়েছি : ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশান এন্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন[আই.ই.আর.এফ]
বিষয়: বিবিধ
২০২৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন