যুগে যুগে ইসলামী আন্দোলনের ধারক বাহক নারীরাও ছিল
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ০৮ জুন, ২০১৩, ১০:২৭:১৮ রাত
¤ চিনতে পারেন???
যুগে যুগে ইসলামী আন্দোলনের ধারক বাহক নারীরাও ছি ল নবী-রাসূল (সাঃ) থেকে শুরু
করে তাঁদের উত্তরসূরীরা বাতিলের মোকাবেলায় জান মালের কুরবানীর যে ত্যাগ পেশ করেছেন, তাঁর-ই
দৃষ্টান্ত মুহ্ִতারেমা
জয়নব আল-গাজালী ।
আল্লাহ্ִ কুর্ִানে বলছেঃ-
আমি মানুষকে পরীক্ষা করবো কিছুটা ভয়, জান মালের ক্ষতি, ফসলের ক্ষতি দ্বারা এবং লোভ লালসা দিয়ে ।
(সুরা-বাকারা-১৫৫)
ইসলামী মহিলা সংস্থার সভানেত্রী মুহতারেমা জয়নব আল-গাজালী সব কিছু দিয়ে কুরবানী পেশ করেছেন ।
জয়নব আল-গাজালীর নেতৃত্বে পরিচালিত প্রচন্ড গণ-আন্দোলনের সস্মুখে প্রেসিডেন্ট নাসের বেসামাল হয়ে পড়েন ।
কিন্তু নাসের মিশরীয় জন্ִগনের আন্দোলনের মূল শক্তির ব্যাপারে অভিত ছিলেন । তাই তিনি প্রথমে জয়নব আল-গাজালীকে গুরুত্বপূর্ন ম্ন্ত্রীপদ ও বিভিন্ন ভাবে লোভ দেখান । কিন্তু জয়নব আল-গাজালী এসব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে জন্ִগনের দাবী মোতাবেক দেশে ইসলামী সমাজ প্রতিস্থার দাবী জানান ।
অবশেষে জালিম নাসের সরকার উপায় না দেখে সভানেত্রী মুহতারেমা জয়নব আল-গাজালীকে লৌহকারার অন্তরালে নিক্ষেপ করেন এবং অমানুষিক নির্জাতন চালান ।
মু’মিনের পরিচয়ঃ
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিনটি বস্তু মু’মিনের চারিত্রিক গুণাবলীর অন্তর্ভূক্ত।
একটি হলো, সে ক্রোধান্বিত হলে ক্রোধ তার দ্বারা কোন অবৈধ ও অন্যায় কাজ করাতে পারে না।
দ্বিতীয় হলো, যখন সে খুশী হয় তখন খুশী তাকে হকের সীমা লংঘন করতে দেয় না।
আর তৃতীয়টি হলো, অপরের জিনিস, যার উপর তার কোন অধিকার নেই,ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তাতে হস্তক্ষেপ করে না।
– মিশকাত
ষ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করছি সেই সব বোনদের যারা হাজারো প্রতিকূলতার মধ্যেও জয়নব আল-গাজালী ও সুমাইয়া (রাঃ) এর আদর্শে অনূপ্রানীত হয়ে বাংলার বুকে দ্বীনি কাজের আনযাম দিয়ে যাচ্ছে । আল্লাহ্ִ সেই সব বোনদের কবুল করুন,
হে আল্লাহ্ আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি দুশ্চিন্তা ও দুর্ভাবনা থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও কাপুরুষতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষের অত্যাচার থেকে।”(বুখারী)
হে চিরঞ্জিব ও সকল কিছুর ধারক! তোমার কাছে আমি সাহায্য প্রর্থনা করছি, সুতরাং আমার সকল অবস্থা সংশোধন করে দাও, এবং এক পলকের জন্য হলেও আমাকে আমার নিজের উপর ছেড়ে দিও না।(নাসাঈ) ।
আল্লাহ আমাদের সকলকে শয়তানের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে এসে মুক্ত জীবন-যাপন করার তাওফীক দিন।
হে আল্লাহ্ তুমি অসীম ক্ষমতাময়। আমরা শয়তানের সামনে অসহায়। তাই তোমার অসীম ক্ষমতার মাধ্যমে শয়তানের সবধরনের ষড়যন্ত্র থেকে আশ্রয় চাইছি। হে আল্লাহ আমাদের কে মানুষের প্রথম এবং শেষ শত্রু প্রকাশ্য শত্রু শয়তান এর কুমন্ত্রনা ও অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্য ঈমানী শক্তি দান করুন।আমীন
বিষয়: বিবিধ
২২৭৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন