এই সেই শেয়ার বাজারর হাজার কোটি টাকা কেলেন্কারীর হোতা আর হলমার্ক দুর্নীতির গডফাদার আবুল মাল, যিনি বলেন খালেদা জিয়া সন্ত্রাসের নেতা !!

লিখেছেন লিখেছেন সোহাগ ২৮ মার্চ, ২০১৩, ০৩:৪৩:১৪ দুপুর

সরকারের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত সমঝোতাই হতে যাচ্ছে হল-মার্কের। দেশের ব্যাংক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি করে ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বের করে নেওয়ার পরও হল-মার্ককে আরও ঋণ দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। আর তা করা হচ্ছে হল-মার্কের কারখানাগুলো চালু করার কথা বলে। এ জন্য জেল থেকে বের করে আনাও হবে কেলেঙ্কারির হোতাদের।

সচিবালয়ে গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ ধরনের কথাই বলেছেন। অর্থমন্ত্রী এ সময় সরাসরিই বলেছেন, ‘তাঁদের জামিনে জেল থেকে বের করে আনার চিন্তা রয়েছে।’

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা থেকে নানা ফন্দিফিকির ও জালিয়াতির মাধ্যমে দুই হাজার ৬৮১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে হল-মার্ক গ্রুপ। গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। পরে সোনালী ব্যাংকের জড়িত কর্মকর্তা এবং হল-মার্কের এমডি, চেয়ারম্যান ও মহাব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

তবে সরকারের এই উদ্যোগে বিস্ময় প্রকাশ করে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘হল-মার্কের ব্যাপারে সরকারের এই চিন্তা সমাজে ভুল বার্তা দেবে। এতে ভবিষ্যতে একই ধরনের অন্যায় করতে উৎসাহিত হতে পারে অন্যরা।’

সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলে দুর্নীতি-সহায়ক শক্তি না দুর্নীতি প্রতিরোধ শক্তির প্রভাব বেশি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।

অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য: হল-মার্কের ব্যাপারে নমনীয় হওয়ার কারণ হিসেবে ৩১ বছর আগের কিছু ঋণখেলাপির ব্যাপারে তৎকালীন সরকারের উদাহরণ সামনে আনেন অর্থমন্ত্রী। গতকাল তিনি বলেন, ‘১৯৮২ সালে ১০ জন বড় ঋণখেলাপি ছিলেন। একেকজন পয়সা নিয়েছিলেন সাত থেকে আটটি ব্যাংক থেকে। কিন্তু তখন তা ফেরত দেওয়ার অবস্থা ছিল না তাঁদের। ঋণখেলাপিদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সম্পদ ও দায় হিসাব করে একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। হল-মার্কের ক্ষেত্রে এ রকম কিছু একটা হবে।’

হল-মার্কের বিভিন্ন ব্যবসা আছে, যেগুলো চালু হওয়া প্রয়োজন—এ কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘হল-মার্ক যে টাকা নিয়ে গেছে, তা জনগণের টাকা। এই টাকা উদ্ধার করতে হবে। উদ্ধারের জন্য দরকার কারখানা চালু। আর সে জন্যই ওদের দরকার আরও ঋণ।’ হল-মার্কে প্রশাসক নিয়োগের কথা উঠেছিল—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রশাসক নিয়োগ হতে পারে। আমি অবশ্য প্রশাসক নিয়োগের কথা বলিনি।’

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-03-28/news/340259

বিষয়: বিবিধ

১২০৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File