অপারেশন চার্সলাইট এট মতিঝিল !! নিহতের সংখ্যা ২ হাজার এর অধিক !! পুলিশ, র্যাব, ছাত্রলীগ, যুবলীগের পাশাপাশি নামানো হয় বিদেশী বিশেষ বাহিনী !!
লিখেছেন লিখেছেন সোহাগ ০৭ মে, ২০১৩, ১১:৪৯:১২ সকাল
সোমবার ভোর রাতে রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে অন্তত ২ হাজার তৌহিদি জনতা শহীদ ও কয়েক হাজার এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করেছে হেফাজতে ইসলাম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম খা আলমগীরের নির্দেশে পুলিশ, র্যাব, ছাত্রলীগ, যুবলীগের পাশাপাশি ভিনদেশীয় বিশেষ বাহিনীও গণহত্যায় অংশ নেয়। ইসলাম ধ্বংসের চক্রান্তের ধারাবাহিকতায় নাস্তিকদের পক্ষ নিয়ে সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের আলেম ওলামাদের ওপর এই গণহত্যা চালিয়েছে। সমাবেশ চলাকালে রোববার দুপুর থেকেই পল্টন, বায়তুল মোকাররম এলাকায় ভাংচুর অগ্নিসংযোগের সঙ্গেও হেফাজতে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। গণহত্যার পরিবেশ সৃষ্টিতে পরিকল্পিতভাবেই এসব ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয় বলে দাবি করে সংগঠনটি। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সম্পাদক মাইনুদ্দিন রুহী ও সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী স্বাক্ষরিত লিখিত বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।
ওআইসি, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই গণহত্যার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের নেতারা বলেন, লাখো-কোটি নবীপ্রেমিক জনতার প্রাণের দাবি ১৩ দফা বাস্তবায়িত না হলে শহীদের রক্তে গোটা দেশে ব্যাপক প্রতিরোধের দাবানল জ্বলে উঠবে।
৬ মে কালরাত উল্লেখ করে তার বর্ণনা দিতে গিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার নজিরবিহীনভাবে বিদ্যুত্সংযোগ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিয়ে পুলিশ, বিজিবি র্যাব ছাড়া বিপুলসংখ্যক বিদেশি সশস্ত্র লোক দিয়ে আচমকা সমাবেশস্থলে ব্রাশ ফায়ার শুরু করে। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা সেই ব্যাপক হত্যাযজ্ঞে কমপক্ষে দুই সহস্রাধিক নেতাকর্মী শাহাদাত বরণ করেছেন। আহতের সংখ্যা আড়াই হাজারের বেশি। অনেক লাশ গুম করা হয়েছে। ভোরের আলো ফোটার আগেই সিটি করপোরেশনের ময়লা বহনের গাড়িতে করে বিপুলসংখ্যক লাশ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বহু নেতাকর্মী এখনও নিখোঁজ রয়েছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আহত ও নিহতের চূড়ান্ত পরিসংখ্যান এখনও নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে।
তৌহিদি জনতার উদ্দেশে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নেতাকর্মীরা যে যেখানে আছেন সেখানেই শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানান হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা। হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের গতকাল ভোর থেকেই সরকারের পেটোয়া বাহিনী ফ্যাসিবাদী কায়দায় অবরুদ্ধ করে রাখায় সকাল ১১টায় সাংবাদ সম্মেলন করে জাতিকে দিকনির্দেশনা দেয়ার কথা থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে সরকার নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমের প্রচারিত খবরে, অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ, জ্বালাও-পোড়াও ও ভাংচুরের ঘটনার সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের সামান্যতম সম্পর্কও নেই। এটি অত্যন্ত পরিষ্কার, সারাদেশ থেকে ঢাকায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা পেট্রল, করাত ইত্যাদি জ্বালানি বা যন্ত্রপাতি নিয়ে যায়নি, তারা প্রত্যেকে শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচিতে জায়নামাজ, তাসবিহ, মিসওয়াক নিয়ে গেছেন। তাদের দিয়ে কোনোভাবেই বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ, গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে রাখা সম্ভব নয়। এসব মিথ্যা, উদ্ভট ও অসত্ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে নজিরবিহীন এ পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দেয়ার অপচেষ্টা হিসেবেই এসব দুষ্কর্মের দায় হেফাজতের ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে।
সূত্রঃ
http://www.ikhwanonline.com/Article.aspx?ArtID=148421&SecID=341
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2013/05/07/199017#.UYiU49gXEwo
http://www.humanrights.asia/news/ahrc-news/AHRC-STM-088-2013
বিষয়: বিবিধ
১২৩৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন