খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থীদেরে পেজ- "খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় নিউজঃ দৈনিক গল্লামারী মোড় "এ মন্দীরের ভিতর এক ছোট বাচ্চা ছেলের পাঞ্জাবী ও টুপি পরিহীত ছবি ব্যবহার ।
লিখেছেন লিখেছেন মেজর জলিল ১৩ অক্টোবর, ২০১৪, ০২:৫১:৫০ দুপুর
বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বেশ কিছু ফেসবুক পেজ আছে যার নিয়ন্ত্রক মূলত বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো। এই পেজগুলো বেশ জনপ্রিয় ও বটে।তবে বামপন্থীরা তাদের পরিচয় লুকিয়ে নিরপেক্ষতার ভান ধরে এই পেজগুলো চালায়।এই নিরপেক্ষতার আড়ালে তারা খুব কৌশলে ধর্ম অবমাননা করে, জীবন থেকে ধর্মকে আলাদা করে রাখতে বিভিন্ন যুক্তি ও পেশ করে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা টিন এজে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে আর এরা অনেক ক্ষেত্রেই ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ, তাই তারা না বুঝে বামপন্থীদের ক্ষপ্পরে পড়ে আল্লাহর সাথে শিরকের মত পাপ করে।এই ধর্মীয় অজ্ঞতার জন্য পারিবারিক শিক্ষা, সামাজিক অবস্থা অনেক ক্ষেত্রেই দায়ী। এই বামপন্থীরা বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনের নামে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে সধারন ছাত্র ছাত্রীদের সাথে মিশে নিজেদের জনপ্রিয় করে তুলে, অনেক ক্ষেত্রেই তারা সাধারন ছাত্র ছাত্রীদের ব্লাক মেইল করে। কোন ছাত্র ছাত্রী এদের বিরোধীতা করলে তাকে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি করে যাতে মনে হয় সে খুব ই ক্ষ্যাত, অসামজিক। তাকে কোণ ঠাসা করে রাখা হয়। এগুলো বামপন্থীদের কৌশলের ই অংশ।
সকল ধর্মের লোক স্বাধীনভাবে তার ধর্ম পালন করবে এটা খুব ই স্বাভাবিক।তাই বলে কোন ধর্মের অনুসারী ব্যক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানের নামে , সংস্কৃতির নামে তার ধর্মের নিষিদ্ধ কোন বিষয় পালন করানো, খাওয়ানো অনেক বড় ধরনের অপরাধ।হোক সে হিন্দ,মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বা অন্য কোন ধর্মের অনুসারি।
হিন্দু ধর্মে যেমন গরুর গোস্ত খাওয়া নিষেধ মুসলিমদের তেমনি শূকর, মদ নিষেধ।মুসলিমদের অন্য ধর্মের অনুষ্ঠান পালন ও অংশগ্রহন ও নিষেধ। হলি খেলা হিন্দু ধর্মের উতসব, আর মুসলিমদের এটা নিষেধ।
অথচ এবার সনাতন ধর্মালম্বীদের দূর্গা পুজার শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থীদেরে পেজ- খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় নিউজঃ দৈনিক গল্লামারী মোড় এ মন্দীরের ভিতর এক ছোট বাচ্চা ছেলের পাঞ্জাবী ও টুপি পরিহীত ছবি ব্যবহার করেছে। এবং এই ছবির ক্যাপশনের লিখেছে-“ সকলকে সারদীয় শুভেচ্ছা
ধর্মীয় সম্প্রিতি বজায় থাকুক আমাদের দেশে”
এখানে কথা হলা ধর্মীয় সম্প্রীতির সাথে মন্দীরের ভিতর এক ছোট বাচ্চা ছেলের পাঞ্জাবী টুপি পড়া অবস্থায় দাঁড়ানো ছবি দ্বারা কি ইঙ্গীত দিচ্ছেন??? ধর্মীয় সম্প্রীতি মানে কি হিন্দুদের গরুর গোস্ত খাওয়া আর মুসলিমদের পাঞ্জাবী টুপি পড়ে মন্দীরে যাওয়া???
এটা যেমন কোন হিন্দু ও মানবেনা তেমনি কোন মুসলিম ও মানবেনা। এ ধরনের বিতর্কিত কাজটিই করতেছে এই বামপন্থীরা।
এই বামপন্থীরা ই কৌশলে শিরককে সংস্কৃতির অংশ বানিয়েছে, এই বামপন্থীরা ই কপালে তিলক, র্যা গ ডে এর উছিলায় রঙ মাখা-মাখির নামে হলি খেলার সংস্কৃতি চালু করেছে। এগুলো অন্য ধর্মের পালনের অংশ।মুসলিমরা এই তিলক, হলি খেলা মানে হল আল্লাহর সাথে শিরক করা,যা মহা পাপ।
তাই সকল ধর্মের অনুসারীদের উচিত তার ধর্মকে সম্মান করা, তার ধর্মকে সঠিক ভাবে মেনে চলা। অন্তত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতির নামে, অনুষ্ঠানের নামে এমন কিছু না করা যা ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক এবং মহা পাপ।
তাই আসুন বামপন্থীদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ হই, বাম্পন্থীদের প্রতিহত করি।
শিরক সম্পর্কে কোরানের দূটি আয়াতঃ-
১)তোমরা যদি এদের জিজ্ঞেস করো যমীন ও আসমান কে সৃষ্টি করেছে? তাহলে এরা নিজেরাই বলবে, আল্লাহ। এদের বলে দাও, বাস্তব ও সত্য যখন এই তখন আল্লাহ যদি আমার ক্ষতি করতে চান তাহলে আল্লাহকে বাদ দিয়ে যেসব দেবীদের তোমরা পূজা করো তারা কি তাঁর ক্ষতির হাত থেকে আমাকে রক্ষা করতে পারবে? কিংবা আল্লাহ যদি আমাকে রহমত দান করতে চান তাহলে এরা কি তাঁর রহমত ঠেকিয়ে রাখতে পারবে? তাদের বলে দাও, আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। ভরসাকারীরা তাঁরই ওপর ভরসা করে। {আয যুমারঃ ৩৮ }
২)আল্লাহ অবশ্যই শিরককে মাফ করেন না। এছাড়া অন্যান্য যত গোনাহর হোক না কেন তিনি যাকে ইচ্ছা মাফ করে দেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে আর কাউকে শরীক করেছে সেতো এক বিরাট মিথ্যা রচনা করেছে এবং কঠিন গোনাহের কাজ করেছে। {আন্ নিসাঃ ৪৮ }বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বেশ কিছু ফেসবুক পেজ আছে যার নিয়ন্ত্রক মূলত বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো। এই পেজগুলো বেশ জনপ্রিয় ও বটে।তবে বামপন্থীরা তাদের পরিচয় লুকিয়ে নিরপেক্ষতার ভান ধরে এই পেজগুলো চালায়।এই নিরপেক্ষতার আড়ালে তারা খুব কৌশলে ধর্ম অবমাননা করে, জীবন থেকে ধর্মকে আলাদা করে রাখতে বিভিন্ন যুক্তি ও পেশ করে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা টিন এজে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে আর এরা অনেক ক্ষেত্রেই ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ, তাই তারা না বুঝে বামপন্থীদের ক্ষপ্পরে পড়ে আল্লাহর সাথে শিরকের মত পাপ করে।এই ধর্মীয় অজ্ঞতার জন্য পারিবারিক শিক্ষা, সামাজিক অবস্থা অনেক ক্ষেত্রেই দায়ী। এই বামপন্থীরা বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনের নামে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে সধারন ছাত্র ছাত্রীদের সাথে মিশে নিজেদের জনপ্রিয় করে তুলে, অনেক ক্ষেত্রেই তারা সাধারন ছাত্র ছাত্রীদের ব্লাক মেইল করে। কোন ছাত্র ছাত্রী এদের বিরোধীতা করলে তাকে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি করে যাতে মনে হয় সে খুব ই ক্ষ্যাত, অসামজিক। তাকে কোণ ঠাসা করে রাখা হয়। এগুলো বামপন্থীদের কৌশলের ই অংশ।
সকল ধর্মের লোক স্বাধীনভাবে তার ধর্ম পালন করবে এটা খুব ই স্বাভাবিক।তাই বলে কোন ধর্মের অনুসারী ব্যক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানের নামে , সংস্কৃতির নামে তার ধর্মের নিষিদ্ধ কোন বিষয় পালন করানো, খাওয়ানো অনেক বড় ধরনের অপরাধ।হোক সে হিন্দ,মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বা অন্য কোন ধর্মের অনুসারি।
হিন্দু ধর্মে যেমন গরুর গোস্ত খাওয়া নিষেধ মুসলিমদের তেমনি শূকর, মদ নিষেধ।মুসলিমদের অন্য ধর্মের অনুষ্ঠান পালন ও অংশগ্রহন ও নিষেধ। হলি খেলা হিন্দু ধর্মের উতসব, আর মুসলিমদের এটা নিষেধ।
অথচ এবার সনাতন ধর্মালম্বীদের দূর্গা পুজার শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থীদেরে পেজ- খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় নিউজঃ দৈনিক গল্লামারী মোড় এ মন্দীরের ভিতর এক ছোট বাচ্চা ছেলের পাঞ্জাবী ও টুপি পরিহীত ছবি ব্যবহার করেছে। এবং এই ছবির ক্যাপশনের লিখেছে-“ সকলকে সারদীয় শুভেচ্ছা
ধর্মীয় সম্প্রিতি বজায় থাকুক আমাদের দেশে”
এখানে কথা হলা ধর্মীয় সম্প্রীতির সাথে মন্দীরের ভিতর এক ছোট বাচ্চা ছেলের পাঞ্জাবী টুপি পড়া অবস্থায় দাঁড়ানো ছবি দ্বারা কি ইঙ্গীত দিচ্ছেন??? ধর্মীয় সম্প্রীতি মানে কি হিন্দুদের গরুর গোস্ত খাওয়া আর মুসলিমদের পাঞ্জাবী টুপি পড়ে মন্দীরে যাওয়া???
এটা যেমন কোন হিন্দু ও মানবেনা তেমনি কোন মুসলিম ও মানবেনা। এ ধরনের বিতর্কিত কাজটিই করতেছে এই বামপন্থীরা।
এই বামপন্থীরা ই কৌশলে শিরককে সংস্কৃতির অংশ বানিয়েছে, এই বামপন্থীরা ই কপালে তিলক, র্যা গ ডে এর উছিলায় রঙ মাখা-মাখির নামে হলি খেলার সংস্কৃতি চালু করেছে। এগুলো অন্য ধর্মের পালনের অংশ।মুসলিমরা এই তিলক, হলি খেলা মানে হল আল্লাহর সাথে শিরক করা,যা মহা পাপ।
তাই সকল ধর্মের অনুসারীদের উচিত তার ধর্মকে সম্মান করা, তার ধর্মকে সঠিক ভাবে মেনে চলা। অন্তত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতির নামে, অনুষ্ঠানের নামে এমন কিছু না করা যা ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক এবং মহা পাপ।
তাই আসুন বামপন্থীদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ হই, বাম্পন্থীদের প্রতিহত করি।
শিরক সম্পর্কে কোরানের দূটি আয়াতঃ-
১)তোমরা যদি এদের জিজ্ঞেস করো যমীন ও আসমান কে সৃষ্টি করেছে? তাহলে এরা নিজেরাই বলবে, আল্লাহ। এদের বলে দাও, বাস্তব ও সত্য যখন এই তখন আল্লাহ যদি আমার ক্ষতি করতে চান তাহলে আল্লাহকে বাদ দিয়ে যেসব দেবীদের তোমরা পূজা করো তারা কি তাঁর ক্ষতির হাত থেকে আমাকে রক্ষা করতে পারবে? কিংবা আল্লাহ যদি আমাকে রহমত দান করতে চান তাহলে এরা কি তাঁর রহমত ঠেকিয়ে রাখতে পারবে? তাদের বলে দাও, আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। ভরসাকারীরা তাঁরই ওপর ভরসা করে। {আয যুমারঃ ৩৮ }
২)আল্লাহ অবশ্যই শিরককে মাফ করেন না। এছাড়া অন্যান্য যত গোনাহর হোক না কেন তিনি যাকে ইচ্ছা মাফ করে দেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে আর কাউকে শরীক করেছে সেতো এক বিরাট মিথ্যা রচনা করেছে এবং কঠিন গোনাহের কাজ করেছে। {আন্ নিসাঃ ৪৮ }
বিষয়: বিবিধ
২১০৭ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইবলিশ তার কাজের জন্য কিয়ামত পর্যন্তই সুযোগপ্রাপ্ত
আমাদের কাজ হলো পাহারা দেয়া
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
মন্তব্য করতে লগইন করুন